ইনশাআল্লাহ” বনাম “ইং শা আল্লাহ
আরবি সাধারণ কথাবার্তায় তাজবিদের ব্যবহার এবং “ইনশাআল্লাহ” বনাম “ইং শা আল্লাহ”
প্রশ্ন: আরবি নরমাল কনভারসেশনে কি তাজউইদ এর নিয়মাবলী তথা: গুন্নাহ, মদ্দ ইত্যাদি ঠিক রাখা জরুরি? নাকি শুধু কুরআন পড়ার ক্ষেত্রে এসব বিধান ঠিক রাখব? আর আমরা যে “ইন শা আল্লাহ “বলি এটা তো নরমাল কনভারসেশনের মধ্যেই পড়ে। তাহলে এখানে কি ইখফার নিয়মে “ইং শা আল্লাহ” বলতে হবে?
উত্তর:
◈ তাজবিদের নিয়মাবলী তথা ইযহার, ইকলাব, ইদগাম, ইখফা, গুন্নাহ, তিন বা চার আলিফ মদ্দ, কলকলা ও অন্যান্য সিফাতুল হরূফ ইত্যাদি বিধিবিধানগুলো মূলত কেবল কুরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কারণ তাজবিদের উদ্দেশ্য হল, কুরআন তিলাওয়াতের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা।
তাই কুরআন ছাড়া হাদিস পাঠ, আরবি কবিতা, সাহিত্য ও প্রবন্ধ পাঠ, দৈনন্দিন জীবনে আরবি কথোপকথন ইত্যাদিতে তাজবিদের প্রয়োজন নাই। তবে বিশুদ্ধতার স্বার্থে আরবি পড়া বা বালার সময় আরবি অক্ষরের সঠিক উচ্চারণ এবং আরবি ব্যকরণের মৌলিক বিধিবিধানগুলো ঠিক রাখা অপরিহার্য।
◈ ‘ইনশাআল্লাহ’, ‘ইনশাল্লাহ’ না কি ‘ইং শা আল্লাহ’?
কুরআনের বাইরে তথা হাদিস ও হাদিসের দুআ পাঠ, আরবি পত্র-পত্রিকা ও সাহিত্য পাঠ এবং দৈনন্দিন সাধারণ কথাবার্তায় “ইনশাআল্লাহ” লেখা বা বলাই অধিক উপযুক্ত। কেননা, কুরআন ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে তাজবিদের বিধিবিধান প্রযোজ্য নয়। তবে কুরআনের আয়াতের উচ্চারণ লেখার সময় ইফখা এর নিয়ম অনুযায়ী ‘ইং শা-আল্লাহ’ লেখা যেতে পারে। (যদিও ইখফার উচ্চারণ পরিপূর্ণ লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়)। আল্লাহু আলাম।
–আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল