ফাঁদ ( ইসলামী গল্প )
ফাঁদ ( ইসলামী গল্প )
একবার এক ইঁদুর লক্ষ্য করল যে বাড়িতে ইঁদুর মারার ফাঁদ পাতা রয়েছে। সে খুবই ভয় পেল। ফাঁদটি অকেজো করার জন্য… সে ঐ বাড়িতে থাকা মুরগির সাহায্য চাইল।
মুরগি ঘটনা শুনে জবাব দিল- “ফাঁদটি আমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না অতএব আমি এখানে কোন সাহায্য করতে পারব না”। মুরগির কাছ থেকে এই উত্তর শুনে ইঁদুর খুব দুঃখিত হল এবং ছাগলের কাছে গিয়ে সাহায্য চাইল।
ছাগল ফাঁদের কথা শুনে বলল- “ওই ফাঁদ বড়দের জন্য নয়। সুতরাং ওটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নাই। ইঁদুর ছাগলের কাছ থেকে একই উত্তর শুনে দুঃখিত হয়ে গরুর কাছে এলো।
সব কথা শুনে গরু বলল- “ইদুরের ফাঁদ আমার মত বড় প্রাণীর কোন ক্ষতিই করতে পারবে না। সুতরাং এখানে আমি কোন কিছু
করার প্রয়োজন মনে করছি না। ইঁদুর শেষ পর্যন্ত নিরাশ হয়ে তার ঘরে ফিরে এলো।
রাতের বেলায় হঠাৎ ফাদ পড়ার শব্দ বাড়ির কর্ত্রী বুঝতে পারলেন যে ফাঁদে কিছু একটা ধরা পড়েছে। অন্ধকারে ফাঁদের কাছাকাছি যেতেই উনি পায়ে কামড় খেলেন। আসলে ফাঁদে ইঁদুরের বদলে সাপ ধরা পড়েছে।
চিকিৎসার জন্য তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডাকা হল। চিকিৎসা শুরু হয়ে গেল। কিন্তু অবস্থা মোটেই ভালোনা।
হালকা খাবার হিসেবে ডাক্তার মুরগির সূপ খাওয়াতে বল্লেন। সুপের জন্য কর্তা মুরগিকে জবাই করে দিলেন।
অবস্থা আস্তে আস্তে খারাপ হতে লাগলো। দূরদূরান্ত থেকে আরও অনেকে আত্মীয় স্বজন আসতে লাগলো। বাধ্য হয়ে কর্তা ছাগলকে জবাই করলেন তাদের আপ্যায়ন করার জন্য।
পরে আরও ভালো চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার দরকার হতে লাগলো। অবশেষে বাড়ির কর্তা তাদের গরুটিকে কসাইয়ের কাছে
বিক্রি করে দিল।
এক সময় বাড়ির কর্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠল। আর এই সমস্ত কিছু ইঁদুরটি তার ছোট্ট ঘর থেকে পর্যবেক্ষণ করল।
আমাদের জন্য শিক্ষা : বিপদে সাহায্য চাইলে সাহায্য করা উচিৎ, সেই বিপদ আমাকে স্পর্শ করুক বা না করুক। হয়ত একদিন অন্যের বিপদের ফল আমাকেও ভোগ করতে হতে পারে।