ইমাম নববীর ৪০ হাদীস ( হাদীস নং- ২৫)

হাদীস-২৫

শিরোনামঃ যিকরের ফজীলত।

عَنْ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَيْضًا، “أَنَّ نَاسًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه و سلم قَالُوا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه و سلم يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَهَبَ أَهْلُ الدُّثُورِ بِالْأُجُورِ؛ يُصَلُّونَ كَمَا نُصَلِّي، وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُومُ، وَيَتَصَدَّقُونَ بِفُضُولِ أَمْوَالِهِمْ. قَالَ: أَوَلَيْسَ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لَكُمْ مَا تَصَّدَّقُونَ؟ إنَّ بِكُلِّ تَسْبِيحَةٍ صَدَقَةً، وَكُلِّ تَكْبِيرَةٍ صَدَقَةً، وَكُلِّ تَحْمِيدَةٍ صَدَقَةً، وَكُلِّ تَهْلِيلَةٍ صَدَقَةً، وَأَمْرٌ بِمَعْرُوفٍ صَدَقَةٌ، وَنَهْيٌ عَنْ مُنْكَرٍ صَدَقَةٌ، وَفِي بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةٌ. قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَأْتِي أَحَدُنَا شَهْوَتَهُ وَيَكُونُ لَهُ فِيهَا أَجْرٌ؟ قَالَ: أَرَأَيْتُمْ لَوْ وَضَعَهَا فِي حَرَامٍ أَكَانَ عَلَيْهِ وِزْرٌ؟ فَكَذَلِكَ إذَا وَضَعَهَا فِي الْحَلَالِ، كَانَ لَهُ أَجْرٌ”.
رَوَاهُ مُسْلِمٌ [رقم:1006].

অনুবাদ:

আবু যার গিফারী (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) এর কতিপয় সাহাবী নবী (সা:) কে বলেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ ! বিত্তবানরা সওয়াবের কাজে এগিয়ে গেছে , আমরা যেমন সালাত আদায় করি তারাও সেরকম করে , আমরা সিয়াম পালন করি তারাও সেরুপ সিয়াম পালন করে আর প্রয়োজনের  অতিরিক্ত সম্পদ তারা সদকাহ করে।

তিনি (সা:) বলেন : আল্লাহ তা’আলা কি তোমাদের জন্য এমন জিনিস রাখেননি, যা তোমরা সদকাহ দিতে পার? তোমাদের জন্যে প্রত্যেক তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) হচ্ছে সদকাহ, প্রতেক তাকবীর (আল্লাহু আকবার) হচ্ছে সদকাহ, প্রত্যেক তাহমীদ (আল হামদুলিল্লাহ) হচেছ সদকাহ, প্রত্যেক তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) হচ্ছে সদকাহ, সৎকাজের আদেশ সদকাহ, অসৎকাজের নিষেধও সদকাহ, আর তোমাদের প্রত্যেক নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাসও সদকাহ।

তাঁরা জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাদের কেউ যখন যৌন আকাংখায় স্ত্রীর সাথে সম্ভোগ করে তাতেও কি পুণ্য মিলবে? তার সওয়াব হবে?

তিনি (সা:) বলেন : তোমরা কি দেখনা যখন সে তা হারাম পদ্ধতিতে সম্পাদন করে তখন সে গুনাহগার হয়।  সুতরাং অনুরুপভাবে যখন সে তা বৈধ উপায়ে করে, তখন সে এর জন্য সওয়াব ও প্রতিদান পাবে।

-মুসলিম।

হাদীসের শিক্ষাঃ

  1. সৎ কাজ ও কল্যাণকর কাজে উৎসাহী ও প্রতিযোগী মনোভাবাপন্ন হওয়া উচিত।
  2. যিকর আযকার একপ্রকার শ্রেষ্ঠ সাদকাহ্‌ ।
  3. মহান আল্লাহ তা’আলার অনুগ্রহ ও কল্যাণের দ্বার সুপ্রশস্ত অসীম ও অপ্রতুল।
  4. বিত্তবান কৃতজ্ঞ/আল্লাহর পথে খরচকারী বিত্তবান কৃতজ্ঞরে মর্যাদা যেরুপ তেমনি যিকরকারী ধৈর্য্যশীল দরিদ্রের মর্যাদা সেরুপ।
  5. কল্যাণজনক বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার প্রতি উৎসাহ প্রদান।
  6. সৎ নিয়তের বদৌলতে সাধারন অভ্যাস সমূহ ও আনুগত্যে এবং ইবাদতে পরিণত হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
skybet88 skybet88 skybet88 skybet88 mix parlay skybet88 slot bonus new member skybet88 skybet88 skybet88 slot gacor skybet88 skybet88