ইমাম মুসলিম (রহ) এর জীবনী

ইমাম মুসলিম (র) ছিলেন এক ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ, হাদীস শাস্ত্রের এক অনন্য দিকপাল, হাদীস-সমালোচনা ও রিজাল-শাস্ত্রের অভিজ্ঞ পন্ডিত এবং হিজরী তৃতীয় শতাব্দীর এক মহান ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন হাদীসের হাফিজ, হুজ্জাহ এবং বিশ্বস্ত হাদীস বর্ণনাকারী। তাঁর প্রণীত “ সহীহ মুসলিম” সমগ্র উম্মাহ কর্তৃক সমাদৃত ও বিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত। যেটির মর্যাদা সহীহুল বুখারীর পরেই। যুগে যুগে হাদীস বিশারদগণ এ গ্রন্থের গুরুত্ব উপলব্ধি করে এর অসংখ্য শরহ গ্রন্থ প্রণয়ন করেন।

নাম ও বংশ: তাঁর নাম মুসলিম, উপনাম আবুল হুসাইন, উপাধি আসাকিরুদ্দীন । পিতার নাম আল-হাজ্জাজ । তাঁর বংশ তালিকা এই যে, মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ ইবন মুসলিম ইব্‌ন ওয়ারদ ইবনে কুশায আল-কুশাইরী আন-নাইসাপুরী।

জন্ম ও জন্মস্থান: ইমাম মুসলিম ২০২ হিজরী মোতাবেক ৮১৭ খ্রীস্টাব্দ খুরাসানের প্রসিদ্ধ শহর নায়সাপূর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। কারও কারও মতে ইমাম মুসলিম (র) ২০৪ হিজরী মোতাবেক ৮১৯ খ্রীস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। এ সম্পর্কে হাফিজ শামসুদ্দীন আয-যাহাবী (র) বলেন, তিনি ২০৪ হিজরী সনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২১৮ হিজরী সালে প্রথম হাদীস শ্রবণ করেন।অধিকাংশ রিজাল শাস্ত্রবিদ তাঁর মৃতকাল ২৬১হিজরী এবং বয়স ৫৫ বত্সর উল্লেখ করেছেন। এই হিসেবে তাঁর জন্মকাল ২০৬ হিজরী হওয়াই সঠিক ও অধিক যুক্তিযুক্ত।

তাঁর জন্মস্থান নায়সাপূর খুরাসানের একটি প্রসিদ্ধ শহর। এখানে শত শত ‘আলিম ও জ্ঞানী ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেন। ইয়া’কুত হামাভী নায়সাপূর সম্পর্কে বলেন, “এটি একটি বিরাট এবং মহা মর্যাদাসম্পন্ন শহর। এটি সম্মানিত ব্যক্তিগণের খনিস্বরুপ। জ্ঞানী ও আলিমগণের ঝর্ণাধারা স্বরুপ। আমি যত শহর ভ্রমণ করেছি, এর অনুরুপ কোন শহর প্রত্যক্ষ করিনি।

বাল্যকাল:

ইমাম মুসলিমের বাল্যকাল সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। তবে বাল্যকাল থেকেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও বিদ্যানুরাগী ছিলেন। তিনি ছোট বেলাতেই পবিত্র কুরআন হিফয করেছেন। ইমাম মুসলিম তাঁর পিতা-হাজ্জাজ এবং নায়সাপূরের অন্যান্য ‘আলিমগণের নিকট থেকে শিক্ষা অর্জন করেছেন। সে সময় নায়সাপূরের ছিলো জ্ঞান চর্চ্চার কেন্ত্রবিন্দু। তাঁর পিতা ছিলেন একজন হাদীস বিশারদ।ইবনু ‘আসাকির ইমাম মুসলিম (র) এর শিষ মুহাম্মাদ ইবনে আব্দিল-ওয়াহাব আল-ফাররা থেকে বর্ণনা করেন, ইমাম মুসলিমের পিতা হাজ্জাজ ইবনে মুসলিম আমার পিতার অন্যতম শায়খ ছিলেন।

শিক্ষাজীবন:

ইমাম মুসলিম তাঁর মাতৃভূমি নায়সাপূরে প্রথম হাদীস শ্রবণ করেন ও হাদীসের দারসে উপস্থিত হয়ে হাদীস শ্রবণ করতে আরম্ভ করেন। তখন সে এলাকার প্রখ্যতা মুহাদ্দিস ছিলেন ইমাম আয-যুহলী । তাঁর নিকট হতে হাদীস শিক্ষালাভ করতে থাকেন।

হাদীস অন্বেষণে দেশ ভ্রমণ:

হাদীস সংগ্রহের জন্য এই হাদীস বিশারদ বিশ্বব্যাপী ব্যাপক ভ্রমণ করেছেন।বিশেষ করে ইসলামী বিশ্বের যেসব শহর ইলমে হাদীস শিক্ষার জন্য প্রসিদ্ধ ছিল, যেসব শহর ছিলো তায়র দীর্ঘ সফরের আওতায়। তিনি আরবের মক্কা,মদীনা,ইরাকের বাগদাদ,কূফা,বসরা ছাড়াও খুরাসান, রায়, মিসর, সিরিয়া প্রভৃতি স্থানে ভ্রমণ করেছেন। ঐতিহাসিক ও জীবনীগ্রন্থ রচয়িতাগণের বর্ণনানুসারে ইমাম মুসলিম (র) সর্বপ্রথম ২১৮ হিজরী সালে হাদীস শ্রবণ শুরু করেন এবং এসময় তার বয়স ছিল ১২বছর। তিনি প্রথম হাদীস শ্রবণ করেন ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াহইয়া আল-লায়সী থেকে।

চৌদ্দ বছর বয়সে ২২০হিজরী সালে ইমাম মুসলিম (র) প্রথম সফরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তিনি বায়তুল্লাহর হাজ্জ পালনের উদ্দ্যেশ্যে এ সময় খুরাসান থেকে রওয়ানা হন। এ সফরে তিনি হিজাজের মুহাদ্দিসগণের নিকট থেকে হাদীস শ্রবণ করেন। তিনি প্রসিদ্ধ হাদীস বিশারদ ইমাম ‘আবদুল্লাহ ইবন মাসলামাহ আল-কানবী এর সাথে মক্কায় সাক্ষাত করে তার থেকে হাদীস শ্রবণ করেন। এই ভ্রমণের দীর্ঘকাল সময়ে যেসব মুহাদ্দীসগণের নিকট হাদীস শিক্ষা লাভ করেছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াহইয়া নায়সাপুরী, ইসহাক ইবনে রাহওয়াহ, বিশর ইবনুল হিকাম, মুহাম্মদ ইবনে মিহরাল আল-জামাল, ইবরাহীম ইবন মুসা আল-ফাররা, হাফিজ আবূ গাসসান মুহাম্মাদ ইবন আমর আর-রাযী যুনায়জ, আহমাদ ইবন হাম্বল, খালফ ইবন হিশাম আল-বয়সার, আহমাদ ইবনে আব্দিল্লাহ ইবনে য়ুনুস, মুহাম্মাদ ইবনে খালিদ আস-সাকসাকী, ওয়ালিদ ইবনে মুসলিম, ইমাম বুখারী, আবু মুসআ’ব আয-যুহরী প্রমুখ।

হাফিয মিযযি তার তাহযীবুল-কালাম-ফী আসমাইর রিজাল গ্রন্থে ইমাম মুসলিম-এর শায়খগনের সংখ্যা ২১২ জন বলে উল্লেখ করেছেন। ইমাম যাহাবী তাঁর সিয়ারু আলামিন-নুবালা গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন ২১৩জন।  হাফিজ মুহাম্মাদ ইবনে সাখাভী ২১৭ জন উল্লেখ করেছেন।

শিষ্যবৃন্দগণ:

অতি অল্প কালের মধ্যেই ইমাম মুসলিম ইলমে হাদীসে পান্ডিত্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ইমাম মুসলিম (র) এর সুনাম চুতর্দিকে ছড়িয়ে পড়ার কারণে অসংখ্য হাদীস অন্বেষণকারী ব্যক্তি তাঁর সান্নিধ্যে আগমন করেন। ইমাম মুসলিমের কতিপয় উল্লেখযোগ্য ছাত্রের মধ্যে অন্যতম হলো:

ইমাম তিরমিযী (১টি হাদীস শ্রবণ করেছেন), ইবরাহীম ইবন ইসহাক আস-সায়রাফী, আবু বকর মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ইবন খুজাইমাহ, মুহাম্মাদ ইবন আবদ ইবন হুমাইদ, আবু হাতিম মাক্কী ইবন আবদান আত-তাহমীমী, আবু আওয়ানাহ আল-ইসফিরানী, আল ফাযল ইবন মুহাম্মাদ ইবনু আলী আল-বলখী, আবু সাঈদ হাতিম ইবন আহমদ ইবনে মাহমুদ আল-কিন্দী আল-বুখারী,আবু হামিদ আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবন আল-হাসান ইবন আশ-শারকী প্রমুখ।

রচনাবলী:

ইমাম মুসলিম (র) অনেক গ্রন্থ রচনা ও সংকলন করেছেন। এর অধিকাংশগুলোই হাদীস শাস্ত্র সম্পর্কিত । তাঁর রচিত কিছু কিছু পান্ডুলিপি আকারেই রয়ে গেছে। আর কিছু কিছু গ্রন্থ মুদ্রিত হয়েছে।

এ সম্পর্কে ‘আবদুল হামীদ সিদ্দীকী বলেন,

Imam Muslim has to his credit many other valuable contributions to different branches of Hadith literature, most of them retain their eminence even to the present day. Amongst these Kitab-al-Musnad al-Kabir Al-al Rijal Jami, Kabir, Kitab-al-Asma Wal kuna, Kitab-al-ilal, Kitab-al-wijdan are very important.

নিম্নে তাঁর কিছু গ্রন্থাবলীর নাম দেয়া হলো:

আল-কিতাব আস-সহীহ: এটি তাঁর রচিত বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থ । যেটি সহীহ মুসলিম নামে পরিচিত। এটি বিশ্বের অনেক ভাষায় রচিত হয়েছে। এর অনেক শরাহ গ্রন্থ রচিত হয়েছে। এর মধ্যে ইমাম নববীর শরহে মুসলিম বিখ্যাত। এ গ্রন্থ সম্পর্কে ইমাম নিজেই বলেন, ‘হাদীসবিদগণ যদি দুই শত বছর ধরেও হাদীস লিপিবদ্ধ করতে থাকেন, তবুও তাদের এই মুসনাদগ্রন্থটির ওপরই নির্ভর করতে হবে’।

আল-মুনফারাদাত-ওয়াল-ওয়াহদান: যে সকল রাবী থেকে শুদু একটি হাদীস বর্ণিত রয়েছে, ইমাম মুসলিম তাঁর এই গ্রন্থে সে সব রাবীর বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। এ গ্রন্থটি ভারতের হায়দারাবাদ থেকে ১৩২৩ হিজরী সালে মুদ্রিত হয়েছে।

কিতাবুল-কুনা-ওয়াল আসমা: আল-মুনতাজাম গ্রন্থে এ কিতাবটির নাম উল্লেখ রয়েছে।এ গ্রন্থে এমন সব রাবীর নাম উল্লেখ করেছেন যারা কুনিয়াত বা উপনামে প্রসিদ্ধ। আবার যে সকল রাবী নামে প্রসিদ্ধ রয়েছেন, তিনি এতে তাঁদের কুনিয়াত বর্ণনা করেছেন। এ  গ্রন্থের লিখিত কপি দামিশকের ‘মাকতাবাতু’য-যাহিরিয়্যাহ’ এ সংরক্ষিত আছে। এর একটি হস্তলিপি ভারতের পাটনা লাইব্রেরীতে এবং তৃতীয় কপি তুরস্কের ‘মাকতাবাহ শহীদ’ এ সংরক্ষিত রয়েছে।

কিতাবুত-তাময়ীয:

রিজালু ‘উরওয়াতিবনি’য-যুবায়র

কিতাবুত-তাবাকাত

আল-মুসনাদুল কাবীর আল আসমাইর রিজাল

আল-জামিউল-কাবীর

আল-ইলাল

আল-ওয়াহদান

হাদীসে আমর ইবনে শুআইব

মাশাইখু মালি

মাশাইখিসু-সাওরী

লাইসা লাহু ইল্লা রাবীন ওয়াহেদ

যিকর আওহামিল-মুহাদ্দিসীন

তাবাকাতিত-তাবিঈন

আল-মুখদারামীন

আল-আকরান

আল-আফরাদ

মাশাইখ শু’বাহ

আফরাদীম-শামীইন

আল-ইনতিফা বি আহাব্বিস সিবা

জানাইযি ইস্তিতরাদান

মুসনাদু হাদীসি মালিক

সুওয়ালাতিহী আহমাদ ইবনে হাম্বল

তাফযীলুস-সুনান

কিতাবুল-মারেফাহ

রুওয়াতিল-ইতিবার

কিতাব আল-জামি আলা আল-আবওয়াব প্রভৃতি।

ইমাম মুসলিম (র) এর ইন্তিকাল:

ইমাম মুসলিম (র) এর আয়ু ছিল কম। তাঁর জীবনের বেশিরভাগ ছিল হাদীস চর্চ্চায় ব্যাপৃত। তিনি বিভিন্ন দেশ পরিভ্রমণ শেষে নায়সাপূরে প্রত্যাবর্তন করতেন। তিনি  ২৬১ হিজরী সালের রজব মাসের ২৪তারিখ রবিবার সন্ধ্যায় নায়সাপূরে ইন্তিকাল করেন। এটা ছিলো ৮৭৫খ্রিস্টাব্দের মে মাসের ৬তারিখ।

কিন্তু হাফিয আবূ ‘আব্দিল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব বলেন, ‘মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ (র) রবিবার সন্ধ্যায় ইন্তিকাল করেন। এবং ২৬১ হিজরী সালের ২৫শে রজব তাঁকে দাফন করা হয়।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স কত ছিলো তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। তিনি ৫৫ মতান্তরে ৬০ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন।তাঁকে নায়সাপুর শহরের অভ্যন্তরে নাসীরবাদে দাফন করা হয়।

তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে একটি ঘটনা রয়েছে,  একবার জনৈক ব্যক্তি ইমাম মুসলিম (রহ) এর নিকট হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন। উক্ত হাদীস সম্পর্কে ইমাম মুসলিমের তাত্ক্ষণিক কোন ধারণা ছিলো না। এজন্য তিনি কোন উত্তর না দিয়ে নিজ গৃহে ফির আসেন। এবং স্বীয় পান্ডুলিপিসমূহ অনুসন্ধান করতে থাকেন। এর সময়ে তার নিকট খুরমা খেজুরের টুকরি রাখা ছিলো। তিনি এতই মগ্ন ছিলেন যে, একটা করে খেজুর খাচ্ছিলেন আর খুঁজছিলেন। এভাবে খেজুরের ঝুড়ি খালি হয়ে যায় এবং তিনি হাদীসটিও খুজে পান। অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে তিনি অসুস্থ  হয়ে পড়েন এবং সেই রোগেই তিনি ইহকাল ত্যাগ করেন।

পেশা: তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। ইবনুল ইমাদ হাম্বলী বলেন, নাইসাপুরের হিমস নামক স্থানে তাঁর সরাইখানার ব্যবসা ছিলো। মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল ওয়াহহাব ফাররা বলেন, তিনি বস্ত্র ব্যবসায়ী ছিলেন।

তাঁর আকৃতি:

তিনি শুভ্র চুল ও দাঁড়ি বিশিষ্ট দীর্ঘকায় ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর চেহারা সুন্দর এবং তিনি সুন্দর পোশাক পরিধান করতেন। বার্ধক্যের চিহ্ন অল্প বয়সেই তাঁর মধ্যে ফুটে উঠেছিলো । তিনি দু’কাঁধের  মাঝ বরাবর পাগড়ী ঝুলিয়ে রাখতেন।

ইমাম মুসলিম সম্পর্কে মনিষীগণের ও হাদিসবিশারদের অভিমত:

হাফিজ খতীব বাগদাদী বলেন, মুসলিম (র) ইমামসমূহের অন্যতম এবং হাদিসে হাফিজ গণের অর্ন্তভূক্ত।

বসরার মুহাদ্দিস ও সিকাহ রাবী মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার আল-আবদী বলেন, পৃথিবীতে হাফিজের সংখ্যা হচ্ছে চারজন, রায়-এ আবু যুর’আহ, নায়সাপুরে ইমাম মুসলিম, সমরকন্দ-এ আব্দুল্লাহ দারেমী এবং বুখারাতে ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল।

মুসলিম শরীফের শরাহ গ্রন্থের লিখক ইমাম নববী (র) বলেন, ‘হাদীসের ইমামগণের মধ্যে মুসলিম (র) অন্যতম। তিনি এ বিষয়ের মহান ব্যক্তিগণের মধ্যে একজন মহান ব্যক্তি, হাদীসের হিফয ও নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীগণের অন্তর্ভূক্ত এবং হাদীস অন্বেষণে বিভিন্ন অঞ্চল ও শহরের ইমামগণের নিকট ভ্রমণকারীগণের মধ্যে একজন। হাদীস জগতের অগ্রগামী ব্যক্তি । প্রতিটি যুগে ও কালেই তাঁর কিতাবটি নির্ভরশীল গ্রন্থ।

ইমাম মুসলিম (র) আজ আর নেই, কিন্তু হাদীস শাস্ত্রে তিনি যে সুবিশাল গ্রন্থ ‘সহীহ মুসলিম” লিপিবদ্ধ করে গেছেন তাতে তিনি মুসলিম বিশ্বের স্বচ্ছ আকাশে চীরভাস্বর হয়ে আছেন ও থাকবেন। আল্লাহ তাঁর এই খিদমাতকে কবুল করে তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন- আমীন।

সূত্র : বিভিন্ন কিতাব ও ইন্টারনেট।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
skybet88 skybet88 skybet88 skybet88 mix parlay skybet88 slot bonus new member skybet88 skybet88 skybet88 slot gacor skybet88 skybet88