
কোরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে রমজান মাসে একজন মুমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য (পর্ব ৪)
আজকের পর্ব
কোরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে রমজান মাসে একজন মুমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য (পর্ব ৪)
তাড়াতাড়ি ইফতার করাঃ
সূর্য অস্ত যাওয়া নিশ্চিত হলে তাড়াতাড়ি ইফতার করা রোযাদারের জন্য মুস্তাহাব। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
«لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ»
‘‘মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত কল্যাণের উপর থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা অনতিবিলম্বে ইফতার করবে।’’ (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৫৬ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬০৮)
কি দিয়ে ইফতার করবেঃ
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
«كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يُفْطِرُ عَلَى رُطَبَاتٍ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّىَ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ رُطَبَاتٌ فَعَلَى تَمَرَاتٍ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ حَسَا حَسَوَاتٍ مِنْ مَاءٍ»
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘রুতাব’ (শুকনা নয় এমন) খেজুর দিয়ে নামাযের আগে ইফতার করতেন, রুতাব পাওয়া না গেলে শুকনা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাও পাওয়া না গেলে তিনি কয়েক ঢোক পানি পানে ইফতার করতেন।’’ (উত্তম সনদে ইমাম আহমাদ, হাদীস নং ১২৬৭৬ ও আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩৫৬)
রোযাদারকে ইফতার করানোঃ
সহীহ সনদে তিরমিযী ও আহমাদ বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
«مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا كُتِبَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ إِلَّا أَنَّهُ لَا يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِ الصَّائِمِ شَيْء»
‘‘যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করায়, সে উক্ত রোযাদারের সাওয়াবের কোনরূপ ঘাটিত না করেই তার সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে।’’ (সুনান তিরমিযী, হাদীস নং ৮০৭ ও মুসনাদ আহমাদ, হাদীস নং ১৭০৩৩)
ইফতারের দোয়া:
بِسْمِ اللهِ, اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ.
ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ.
(حديث حسن/ رواه ابو داود والحاكم عن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما)
উচ্চারণ: যাহাবায যামাউ ওয়াবতালাতিল উরূকু ওয়াসাবাতাল আজরু ইন শা আল্লাহ।
অর্থ: পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, শিরাগুলি সিক্ত হয়েছে, সাওয়াব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইন শা আল্লাহ। [সুনানে আবু দাউদ -২৩৫৯ সহি]
কাউর ঘরে ইফতার করিলে পড়ার দোয়া:
أَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُونَ، وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلاَئِكَةُ.
(حديث صحيح/ رواه البخاري عن عمر بن ابي سلمة رضي الله عنه)
উচ্চারণ: আফতারা ইনদাকুমুস সাইমুনা, ওয়া আকালা তায়ামাকুমুল আবরারু, ওয়াসাল্লাত আলাইকুমুল মালাঈকা।
অর্থ: রোজাদারগণ তোমাদের সাথে ইফতার করিলো, তোমাদের আহার সৎ লোকগণ গ্রহণ করিলো এবং তোমাদের জন্য ফেরেশতাগণ রহমতের দোয়া করিলো।
আগামী পর্বে ইনশাআল্লাহ তারাবীহ , তাহাজ্জুদ ও রাতের যেকোন নফল নামায বিষয়ে আলোচনা করা
কোরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে রমজান মাসে একজন মুমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য (পর্ব ৪)
তাড়াতাড়ি ইফতার করাঃ
সূর্য অস্ত যাওয়া নিশ্চিত হলে তাড়াতাড়ি ইফতার করা রোযাদারের জন্য মুস্তাহাব। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
«لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ»
‘‘মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত কল্যাণের উপর থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা অনতিবিলম্বে ইফতার করবে।’’ (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৫৬ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬০৮)
কি দিয়ে ইফতার করবেঃ
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
«كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يُفْطِرُ عَلَى رُطَبَاتٍ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّىَ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ رُطَبَاتٌ فَعَلَى تَمَرَاتٍ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ حَسَا حَسَوَاتٍ مِنْ مَاءٍ»
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘রুতাব’ (শুকনা নয় এমন) খেজুর দিয়ে নামাযের আগে ইফতার করতেন, রুতাব পাওয়া না গেলে শুকনা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাও পাওয়া না গেলে তিনি কয়েক ঢোক পানি পানে ইফতার করতেন।’’ (উত্তম সনদে ইমাম আহমাদ, হাদীস নং ১২৬৭৬ ও আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩৫৬)
রোযাদারকে ইফতার করানোঃ
সহীহ সনদে তিরমিযী ও আহমাদ বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
«مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا كُتِبَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ إِلَّا أَنَّهُ لَا يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِ الصَّائِمِ شَيْء»
‘‘যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করায়, সে উক্ত রোযাদারের সাওয়াবের কোনরূপ ঘাটিত না করেই তার সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে।’’ (সুনান তিরমিযী, হাদীস নং ৮০৭ ও মুসনাদ আহমাদ, হাদীস নং ১৭০৩৩)
ইফতারের দোয়া:
بِسْمِ اللهِ, اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ.
ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ.
(حديث حسن/ رواه ابو داود والحاكم عن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما)
উচ্চারণ: যাহাবায যামাউ ওয়াবতালাতিল উরূকু ওয়াসাবাতাল আজরু ইন শা আল্লাহ।
অর্থ: পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, শিরাগুলি সিক্ত হয়েছে, সাওয়াব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইন শা আল্লাহ। [সুনানে আবু দাউদ -২৩৫৯ সহি]
কাউর ঘরে ইফতার করিলে পড়ার দোয়া:
أَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُونَ، وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلاَئِكَةُ.
(حديث صحيح/ رواه البخاري عن عمر بن ابي سلمة رضي الله عنه)
উচ্চারণ: আফতারা ইনদাকুমুস সাইমুনা, ওয়া আকালা তায়ামাকুমুল আবরারু, ওয়াসাল্লাত আলাইকুমুল মালাঈকা।
অর্থ: রোজাদারগণ তোমাদের সাথে ইফতার করিলো, তোমাদের আহার সৎ লোকগণ গ্রহণ করিলো এবং তোমাদের জন্য ফেরেশতাগণ রহমতের দোয়া করিলো।
আগামী পর্বে ইনশাআল্লাহ তারাবীহ , তাহাজ্জুদ ও রাতের যেকোন নফল নামায বিষয়ে আলোচনা করা