ভাস্কর্য সম্পর্কে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি কী ?
ছবি, ভাস্কর্য, মূর্তি ইত্যাদিকে ইসলাম দু’ভাগে ভাগ করে।
এক. প্রাণীর ছবি।
দুই. প্রাণহীন বস্তুর ছবি।
প্রাণীর ছবি, ভাস্কর্য, মূর্তি একান্ত প্রয়োজন ব্যতীত তৈরি করা যাবে না। প্রদর্শন করা যাবে না। স্থাপন করা যাবে না। হাদিসে এসেছে- আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূল’ (ﷺ) একদিন সফর থেকে ফিরে আসলেন। আমি একটি পর্দা টানিয়েছিলাম। যাতে প্রাণীর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছবি ছিল। রাসূল (ﷺ) যখন এটা দেখলেন, ক্রোধে তার মুখমণ্ডল বিবর্ণ হয়ে গেল। তিনি বললেন, হে আয়েশা, কেয়ামতের দিন সবচেয়ে কঠিন শাস্তি তার হবে, যে আল্লাহর সৃষ্টির সাদৃশ্য নির্মাণ করে।’ অতপর আমি সেটাকে টুকরো করে একটি বা দুটি বালিশ বানালাম।
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) আমাকে নির্দেশ দিয়ে পাঠালেন যে, ‘কোনো প্রতিকৃতি রাখবে না। সবগুলো ভেঙে দেবে। আর কোনো উঁচু কবর রাখবে না। সবগুলো সমতল করে দেবে।’
আবু তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন,
‘যে ঘরে কুকুর ও প্রতিকৃতি আছে সেখানে ফেরেশতা প্রবেশ করে না।’ (বুখারি, মুসলিম)
প্রাণী ব্যতীত যে কোনো বস্তুই হোক তার ছবি, ভাস্কর্য, মূর্তি ইত্যাদি অঙ্কন, নির্মাণ, স্থাপন ও প্রদর্শন করা যাবে। কারণ, হাদিসে যে সকল নিষেধাজ্ঞার কথা এসেছে তার সবই ছিল প্রাণীর ছবি বিষয়ে। কেউ যদি কোনো ফুল, ফল, গাছ, নদী, পাহাড়, চন্দ্র, সূর্য, ঝর্ণা, জাহাজ, বিমান, গাড়ি, যুদ্ধাস্ত্র, ব্যবহারিক আসবাব-পত্র, কলম, বই ইত্যাদির ভাস্কর্য তৈরি করে সেটা ইসলামে অনুমোদিত।
লেখক: আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
সম্পাদনা: আলী হাসান তাইয়েব