বিসমিল্লাহর পরিবর্তে ৭৮৬: একটি পর্যালোচনা

রচনায় : মুহাম্মাদ মেহেদী হাসান বিন মুছত্বফা।[1]

বর্তমানে মুসলমানদের মধ্যে একটি মারাত্নক বিদ’আত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র, জনসাধারণ তো বটেই এমনকি এক শ্রেণীর কায়েমী স্বার্থবাদী আলেমরাও ‘বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’ এর পরিবর্তে ৭৮৬ লিখতে আরম্ভ করেছেন। বাস, লরি, ট্রাক, রিক্সা, দোকান, যত্রতত্র ৭৮৬ লিখা স্টিকার শোভা পাচ্ছে। এমনকি মসজিদ, মাদ্রাসার দেওয়ালেও নক্সা করে ৭৮৬ লেখা হচ্ছে। আর পত্রের শুরুতে ৭৮৬ লেখা তো একটি অতি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সুধী পাঠকবৃন্দ! আপনারা যারা ‘বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’-এর স্থলে ৭৮৬ লেখেন, কখনো ভেবে দেখেছেন কি তা লেখা শরী’আত সম্মত কি-না, সুন্নাত না বিদ‘আত? আলোচ্য প্রবন্ধে এই বিষয়ে কিছু প্রামাণ্য আলোচনা পেশ করার প্রয়াস পাব।

‘বিসমিল্লাহর’ স্থলে ৭৮৬ লেখা একটি সুস্পষ্ট বিদ‘আত এবং ইসলামী শিক্ষার সঙ্গে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের নামান্তর, যাতে মুসলিম জাতির একটি বৃহত্তর অংশ দীর্ঘদিন যাবৎ লিপ্ত। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, ইসলাম কোন গাণিতিক ধর্ম নয় এবং কুরআনও কোন গাণিতিক গ্রন্থ নয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন,

وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ-

‘যে ব্যক্তি ইসলামকে ত্যাগ করে অন্য কোন পথ গ্রহণ করবে সেটা কখনই গৃহীত হবে না এবং ক্বিয়ামতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং-৮৫)

‘আবজাদ (أبجد) পদ্ধতির সূত্রমতে ‘বিসমিল্লাহ’-র পরিবর্তে ৭৮৬ লেখার যে প্রচলন হয় তা কোন শারঈ পদ্ধতি তো নয়ই, এমনকি মুসলমানেরা এই পদ্ধতির প্রবর্তকও নয়। পদ্ধতিটির আবিষ্কারক হ’লেন গ্রীসের প্রখ্যাত দার্শনিক পীথাগোরাস (Pythagoras)। তিনি ইহুদী ছিলেন এবং মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু ছিলেন। সূত্রটির ব্যবহার প্রধানত সম্রাটের এবং সরকারী কর্মচারীদের তোষামোদীর জন্য ব্যবহৃত হ’ত। যেমন তাদের সিংহাসন আরোহণের তারিখ অমুক পুণ্য বাক্যের কোডের সঙ্গে, জন্মগ্রহণের তারিখ অমুক পুণ্য বাক্যের কোডের সঙ্গে, মৃত্যু তারিখ অমুক কোডের সঙ্গে ইত্যাদি।

পিথাগোরাস প্রবর্তিত এই ‘আবজাদ’ পদ্ধতিকে নাম সর্বস্ব মুসলিম বিদা‘আতী আলেমরা গ্রহণ করে নিয়ে পেট-পূজা ও রুটি-রুযীর মাধ্যম বানিয়ে নেয়। এই সূত্র মতেই তা’বীয, তখতি ও দোকান ঘরের জন্য বিভিন্ন সংখ্যাতাত্ত্বিক বোর্ডেরও উদ্ভাবন করে তারা।

ইহুদী পিথাগোরাসের আবিষ্কৃত এই পদ্ধতিকে গ্রহণকারীরা সুস্পষ্ট বিরুদ্ধাচরণ করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, جَالِفُوا الْمُشرِكِيِْنَ  ‘তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধাচরণ কর’।[2] পাঠক বন্ধু! আপনারা কি মুশরিক –ইহুদী প্রবর্তিত ৭৮৬ কে গ্রহণ করে নিজের নাম শিরক্বী খাতায় লেখাতে চান? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, مِنْهُمْ مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْ مٍ فَهُوَ ‘কেউ যদি কোন জাতির সাদৃশ্য গ্রহণ করে তা’হলে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে’।[3]

‘বিসমিল্লা-হির রহমা-নির’-এর মধ্যে ‘রহমান’ ও ‘রহীম’ আল্লাহ তা’আলার নিরানব্বইটি গুনবাচক নামের মধ্যে অন্যতম দু’টি নাম। এই সমস্ত নামের দ্বারাই তাঁকে স্মরণ করার হুকুম দিয়ে আল্লাহ তা’আলা বলেন,

وَلِلَّهِ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ فَادْعُوهُ بِهَا وَذَرُوا الَّذِينَ يُلْحِدُونَ فِي أَسْمَائِهِ سَيُجْزَوْنَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ-
‘আল্লাহ তা’আলার বহু সুন্দর নাম রয়েছে। সুতরাং তাঁকে সেই নামেই সম্বোধন কর এবং সেই সমস্ত লোকদের পরিত্যাগ কর যারা আল্লাহর নামকে বিকৃত করে। অনতিবলম্বে তারা তাদের কৃতকার্যের ফল ভোগ করবে’। (আ’রাফ, আয়াত নং ১৮০)

লক্ষ্যণীয় হ’ল, আল্লাহর পবিত্র নাম বিকৃত সমূহকে বিকৃত করা জঘন্য অপরাধ। নিঃসন্দেহে এটা আল্লাহর সঙ্গে ঠাট্টা-বিদ্রুপের শামিল। আমাদের সমাজে কিছু বিদ‘আতী, আশেকে নবীর দাবীদার আলেমদের বক্তব্য হচ্ছে যে, আমরা ৭৮৬ এই কারণে লেখি যাতে ‘বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’-এর বেইযযতি না হয়। এই সমস্ত লোকদের নিকট আমাদের প্রশ্ন, আপনারা কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈ, তাবে-তাবেঈ, সালফে ছালেহীনদের চেয়েও ইসলামকে বেশী বুঝে ফেলেছেন? তাদের হৃদয়ে কি আল্লাহর আল্লাহর নামের জন্য সম্মান, ভালবাসা, শ্রদ্ধা ছিল না? যদি আল্লাহর নামের বেইযযতির প্রশ্নই হ’ত তাহ’লে কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অমুসলিম বাদশাহদের নিকট লিখিত পত্র ‘বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’ দ্বারা শুরু করতেন কেন? আহলে-কিতাবদের লিখিত এসব শব্দ চিঠিতে কুরআনের আয়াত লিখতেন কেন? পারস্যের সম্রাট কিসরা তো রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রেরিত চিঠিকে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলেছিল। তাহ’লে কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাফেরদরকে লিখিত চিঠিতে ‘বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’ লিখে আল্লাহর নামের সম্মানহানি করেছেন? (নাঊযুবিল্লাহ)।

যদি তাই হ’ত তাহ’লে আল্লাহ তা’আলা জিবরীল (আলাইহিস সালাম)-এর দ্বারা নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কেন সাবধান করলেন না যে, অমুসলিমদের লিখিত চিঠিতে এই শব্দ যেন আর না লেখা হয়। তাছাড়া বর্তমানে তো শুধু অমুসলিম নয়, মুসলমানদেরকে লিখিত চিঠিতেও ৭৮৬ লেখা হচ্ছে। যদি এই ধরনের ‘কোড’ ব্যবহার উত্তমই  হ’ত তাহ’লে স্বর্ণ যুগের সোনার মানুষগুলির মধ্যে কেউই এমন ‘কোড’ ব্যবহার করলেন না কেন? নিঃসন্দেহে এটা সুস্পষ্ট বিদ‘আত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,أمْرِ نَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ مَنْ أحْدَ ثَ في ‘কেউ যদি দ্বীনের মধ্যে কোন নতুন প্রথার প্রচলন ঘটায় আর সেটা তার মধ্যে না থাকে, তা’হলে তা পরিত্যাজ্য হবে’।[4]

আমাদের সমাজের একটা বৃহত্তর অংশ ইমানগণের তাক্বলীদ বা অন্ধ অনুসরণে বিশ্বাসী। তাদের নিকটেও সবিনয় জানতে চাই যে, ৭৮৬ লেখার ব্যাপারে আপনারা চার ইমামের মধ্যে কোন ইমামের অনুসরণ করেন? ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেঈ ও ইমাম আহমাদ (রহঃ) কি ‘বিসমিল্লাহর স্থলে ৭৮৬, আল্লাহর জন্য ৬৬ এবং মুহাম্মাদ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য ৯৬ লেখার জন্য কোন নির্দেশ দিয়েছেন? যদি আপনারা বলেন যে, আমরা বাপ-দাদাদের এইভাবেই লিখতে দেখেছি, তাহ’লে এটা নিঃসন্দেহে মক্কার কাফেরদের সাদৃশ্য। যাদেরকে মূর্তিপূজা ত্যাগ করে তাওহীদের দিকে আহ্বান জানানো হ’লে বলত, بَلْ نَتَّبِعُ مَا وَجَدْنَا عَلَيْهِ ءَابَآءَنَآۚ বরং আমরা তারই অনুসরণ করব,যা আমাদের বাপ-দাদাদের করতে দেখেছি’ (সূরা লোক্বমানঃ ২১)।

বিসমিল্লাহনয়, বরংহরে কৃষ্ণএরই প্রতিধ্বনিঃ

সুপ্রিয় পাঠক! যে সমস্ত লোকেরা ৭৮৬ লেখার স্বপক্ষে দলীল পেশ করে নিঃসন্দেহে তারা নিজেদের মূর্খতা ও অজ্ঞতাকেই প্রকাশ করে। কারণ আবজাদ সূত্র মতে ‘রহমানের’ আলিফকে ধরলে ‘বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’-এর কোড ৭৮৬ এর পরিবর্তে ৭৮৭ হবে। অনুরূপ ‘আল্লাহ’ শব্দের ‘লাম’-এর উপরে যে আলিফ রয়েছে তার কোড যোগ করলে হবে ৭৮৮। মূলত ৭৮৮- ই সঠিক কোড ৭৮৬ নয়। সাথে সাথে বিসমিল্লাহর প্রথমে যে একটি গোপন আলিফ রয়েছে সেটিও বাদ দেয়া হয়েছে। সুতরাং ৭৮৬-এর হিসাব মিলানোর কোন সুযোগ নেই। পক্ষান্তরে হিন্দুদের ভগবান ‘হরে কৃষ্ণ’ ( هر ى كرشنا)-এর সরাসরি ও সন্দেহাতীতভাবেই কোড হয় ৭৮৬। সংখ্যাতত্ত্ব নির্ণয়ের পদ্ধতি পরে বর্ণনা করেছি। সুতরাং যারা পত্র-পত্রিকায়, মসজিদ –মাদ্রাসায় ৭৮৬ লেখে তারা নিজেদের অজ্ঞতার জন্যই আল্লাহকে ছেড়ে হিন্দুদের ভগবানের নাম লিখে শিরকে লিপ্ত হয়। অতএব এই ধরনের শিরকী কাজ নিঃসন্দেহে শয়তানী ধোঁকা ও আত্নপ্রবঞ্চার শামিল। আল্লাহ বলেন,

إِنَّهُ مَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ –

‘যে আল্লাহর সঙ্গে শিরক করবে তার উপর আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার ঠিকানা হ’ল জাহান্নাম’ (সূরা মায়িদাঃ ৭২)। রাসূল্ললাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে প্রতিটি কাজ ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করতে বলেছেন। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে চিঠি-পত্র লেখা সমস্তই এর অন্তর্গত। এখন আমরা যদি দয়াময় আল্লাহর পরিবর্তে এমন সংখ্যা ব্যবহার করি, যা ‘হরে কৃষ্ণ’ অর্থ বহন করে, তাহ’লে আমরা ছওয়াবের অধিকারী হবে না, না ধ্বংসাত্নক শিরকী পাপের ভাগী হব?

অপসন্দনীয় নাম দ্বারা সম্বোধনঃ

আল্লাহ তা’আলা বলেন, وَلَا تَلْمِزُوا أَنفُسَكُمْ وَلَا تَنَابَزُوا بِالْأَلْقَابِ   ‘তোমরা একে অপরকে অপসন্দনীয় নাম দ্বারা সম্বোধন কর না’ (সূরা হুজুরাতঃ ১১)।

যে সমস্ত ভাই ৭৮৬ লেখেন তাদের নিকট জানতে চাই, যদি আপনাদের নামের পরিবির্তে কোড দ্বারা সম্বোধন করা হয়, তাহ’লে আপনি কি খুশি হবেন? নম্বরের দ্বারা তো জেলের আসামীদেরও ডাকা হয়। মনে করুন আপনার নাম ‘ওমর আলী’। তাহ’লে আপনার নামের কোড হবে ৪২০।

এখন যদি আপনাকে Four twenty বলে ডাকা হয় তাহ’লে আপনি কি সন্তুষ্ট হবেন? আপনার স্ত্রীর নাম যদি শাকিলা বানু হয় এবং পুত্রের নাম শাহিদ আলী হয় তাহ’লে তাদের নামের কোড হবে ৪২০। আপনি কি পসন্দ করেন যে লোকেরা আপনাকে, আপনার পিতা-মাতা, স্ত্রী, সন্তানকে নামের পরিবর্তে সংখ্যা দ্বারা আহ্বান করুক? নিঃসন্দেহে প্রতিটি সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী লোকের নিকটই এটা হবে অপসন্দনীয় বিষয়। এক্ষণে প্রশ্ন হ’ল, যেটা আপনি নিজের জন্য পসন্দ করেন না সেটা মহান আল্লাহ তা’আলার জন্য কোন আক্বীদার কারণে পসন্দ করেন?

আবজাদ পদ্ধতিঃ

 Abzad-1

Abzad-2

‘আলিফ’ থেকে ‘ইয়া’ পর্যন্ত বর্ণমালাকে উপরোক্ত পদ্ধতিতে সাজিয়ে প্রতিটি বর্ণের জন্য একটি নির্দিষ্ট মান নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন কোন শব্দকে কোডে রূপান্তরিত করতে হ’লে ঐ শব্দের বর্ণগুলির মান সমষ্টিই হবে ঐ শব্দের কোড। উদাহরণ স্বরূপ ‘বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’ এর বর্ণমালার মান সমষ্টি ‘রহমা-ন’ ও আল্লাহ শব্দের লাম-এর আলিফকে বাদ দিলে ৭৮৬ হবে এবং উক্ত আলিফদ্বয়কে যোগ করলে ৭৮৮ হবে। যেমন-

 Abzad-3

যোগফলঃ ৪০+১০+৮+২০০+৩০+১+৫০+৪০+৮+২০০+৩০+১+৫+৩০+৩০+১+৪০+৬০+২= ৭৮৬

এবার ‘হরে কৃষ্ণ’-এর কোড লক্ষ্য করুনঃ

Abzad-4

যোগফলঃ

১+৫০+৩০০+২০০+২০+১০+২০০+৫= ৭৮৬।

উল্লেখ্য, রবি শংকরের কোডও ৭৮৬ হবে ।

পরিশেষে বলব আর কতকাল তাক্বলীদ, বিদ‘আত, কুসংস্কার ও শিরকের ঘূর্ণিপাকে চক্কর খাবেন? আর কতদিন মুসলমানদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে গোমরাহ করতে থাকবেন? সময় বাকী থাকতেই খালিছ অন্তরে তওবা করে কুরআন ও ছহীহ হাদীছের দিকে প্রত্যাবর্তন করুন। প্রতিজ্ঞা করুন ৭৮৬, ৯৬, ৬৬-এর আসল স্বরূপ জেনে নেওয়ার পর আর লিখব না, বলবও না, অপরকেও লিখতে ও বলতে দিব না। যদি সত্য প্রকাশিত হওয়ার পরেও একগুঁয়েমী না ছাড়েন তাহ’লে জেনে রাখুন, (দ্বীনের বিষয়ে সংযোজিত) ‘প্রতিটি নতুন বিষয়ই বিদ‘আত আর প্রতিটি বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা আর প্রতিটি ভ্রষ্টতার পরিণামই জাহান্নাম’।[5]

তথ্যসূত্র: 

[1] ফযীলত, প্রথম বর্ষ, জামে’আ দারুস সালাম, ওমরাবাদ, তামিলনাড়ু, ভারত।

[2] মুত্তাফাক্ব আলাইহি, মিশকাত হা/ ৪৪২১।

[3] আবুদাঊদ, সনদ হাসান, মিশকাত হা/৪৩৪৭।

[4] মুত্তাফাক্ব আলাইহি, মিশকাত হা/১৪০।

[5] মুসলিম, মিশকাত হা/ ১৪১; ছহীহ নাসাঈ হা/১৫৭৭ ‘দুই ঈদের ছালাত’ অধ্যায় ‘খুৎবা কেমন হবে’ অনুচ্ছেদ।

সূত্র: আত-তাহরীক ৮ম বর্ষ ৯ম সংখ্যা থেকে সংগৃহীত।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button