উলামার মতানৈক্য ও আমাদের কর্তব্য
মতভেদ মানুষের এক প্রকৃতি। কোন এক বিষয়কে পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে দ্বিমত হওয়া স্বাভাবিক। রং নিয়ে, স্বাদ নিয়ে, গন্ধ নিয়ে এক এক মানুষের ভালো লাগা- না লাগার ব্যাপারে এক এক মত, এক এক ভিন্ন ভিন্ন পছন্দ। মানুষের প্রায় সকল ব্যাপারেই মতভেদ অস্বাভাবিক কিছু নয়। এক ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ও চিকিৎসা অন্য ডাক্তারের সাথে মিল খায় না। এক প্রকৌশলীর প্রকৌশল অন্য প্রকৌশলীর সাথে খাপ খায় না। সুতরাং শরীয়তের বিষয়াবলীতেও অনুরূপ দ্বিমত থাকা অস্বাভাবিক নয়, বরং তা স্বাভাবিক। তাই কোন বিষয়ে মতভেদ শুনে আশ্চর্য হওয়ার এবং আক্ষেপ করার কিছু নেই। বরং জানতে হবে এটাই তো প্রকৃতি।
তবে মতভেদ যে রহমত তা নয়। এ বিষয়ে উল্লেখ্য হাদীসাঢ সহীহ নয়, বরং তা জাল । পক্ষান্তরে হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) বলেন, মতভেদ হল মন্দ জিনিস ।” মতভেদ স্বাভাবিক হলেও সে নিয়ে বাড়াবাড়ি করা, হক জানার পর তা প্রত্যাখ্যান করা বা তার দিকে প্রত্যাবর্তন না করা, বরং তা নিয়ে কলহবিবাদ তথা লাঠালাঠি ও যুদ্ধ করা অবশ্যই বাঞ্ছিত নয়। কিন্তু এই অবাঞ্ছিত ঘটমান-বর্তমানের ফলেই সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন, আমাদের আল্লাহ এক, নবী এক, কিতাব এক, কিবলাহ এক তবে মতভেদ কিসের ও কেন? কেন উলামাগণ একমত নন? কেন এত মযহাব ও ফিকাহবন্দী তথা দলাদলি? এ সকল প্রশ্নের কিছু কিছু উত্তর দেওয়া হয়েছে অত্র পুস্তিকায়।
বইটির সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
————————–
নাম: ‘উলামার মতানৈক্য ও আমাদের কর্তব্য’
মূল লেখক: আল্লামা মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উছায়মীন (রহ.)
অনুবাদক: আব্দুল হামীদ ফায়যী আল মাদানী
প্রকাশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স, ঢাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩১
বইটির সূচীপত্রঃ
——————–
মতানৈক্যের প্রথম কারণ
দ্বিতীয় উদাহরণ
মতানৈক্যের দ্বিতীয় কারণ
মতানৈক্যের তৃতীয় কারণ
মতানৈক্যের চতুর্থ কারণ
মতানৈক্যের পঞ্চম কারণ
মতানৈক্যের ষষ্ঠ কারণ
আমাদের কর্তব্য