যাকাত না দেয়ায় দুনিয়ায় ও আখিরাতে ভয়াবহ শাস্তি

যাকাত না দেয়ায় দুনিয়ায় ও আখিরাতে ভয়াবহ শাস্তি

অনুলিখন : মুহাম্মাদ আলীমুদ্দীন

যাকাতইসলামের বুনিয়াদী আমলে মধ্যে ফরয তথা অত্যাবশ্যকীয় একটি বিষয তাদের জন্য যাদের কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে যত জায়গায় নামাযের নির্দেশ দিয়েছেন তন্মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাথে সাথে যাকাতেরও নির্দেশ দিয়েছেন। যাকাত বিষয়ক ধারাবাহিক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এবারের বিষয় যাকাত না আদায় করার পরিণাম।  যাকাত আদায় না করার দুনিয়াবী ও আখিরাতের শাস্তি আলোচিত হবে ইনশআল্লাহ।

পরকালের শাস্তি

১ । আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَبَشِّرْهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٍيَوْمَ يُحْمَىٰ عَلَيْهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوَىٰ بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنُوبُهُمْ وَظُهُورُهُمْ ۖ هَٰذَا مَا كَنَزْتُمْ لِأَنفُسِكُمْ فَذُوقُوا مَا كُنتُمْ تَكْنِزُونَ 

    অর্থাৎ যারা সোনা, রূপাকে জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে না তাদের কঠিন আযাবের সংবাদ দাও। কিয়ামতের দিন ঐ সমস্ত ধাতুকে গরম করে এর দ্বারা তাদের কপালে, শরীরের পার্শ্বে ও পিঠে ছেক দেয়া হবে। (আর বলা হবে) এটা হচ্ছে ঐ সম্পদ যা তোমরা জমা করে রেখেছিলে নিজেদের জন্য। আর ঐ জিনিস জমা রাখার শাস্তি গ্রহণ কর। (সূরা তাওবাহ, আয়াত নং ৩৪-৩৫ )

 

২। আবূ হুরাইরা (রাঃ) রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বলেনঃ সম্পদের অধিকারী কোন ব্যক্তি যদি যাকাত না দেয় তবে কিয়ামতের দিন ঐ সমস্ত জিনিসকে জাহান্নামের আগুনে গরম করে পাত বানানো হবে, তারপর এর দ্বারা তার পার্শ্ব, কপাল ও অন্যান্য অঙ্গে ছেক দেয়া চলতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহ তা’আলা বিচার শেষ করেন। ঐ দিন হবে পঞ্চাশ হাজার বৎসরের সমান। তারপর তার নির্দিষ্ট স্থান হবে হয় জান্নাত না হয় জাহান্নাম (মুসলিম, আহমাদ)

৩। বুখারী শরীফে বর্ণিত আছে, রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেনঃ যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’আলা সম্পদের অধিকারী করেছেন, তিনি যদি যাকাত আদায় না করেন তবে ঐ সম্পদকে এক শক্তিশালী টাক মাথা, দুই শিং ওয়ালা রূপে উঠানো হবে যা তাকে কিয়ামতের দিন আঘাত করতে থাকবে। তারপর তাকে দাঁত দিয়ে কামড়াবে ও বলবেঃ আমি তোমার মাল, আমি তোমার গুপ্ত সম্পদ। তারপর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিলাওয়াত করেনঃ

وَلَا يَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَبْخَلُونَ بِمَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ هُوَ خَيْرًا لَّهُم ۖ بَلْ هُوَ شَرٌّ لَّهُمْ ۖ سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُوا بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۗ وَلِلَّهِ مِيرَاثُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۗ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ [٣:١٨٠]

অর্থাৎ- আল্লাহ তাদেরকে নিজের অনুগ্রহে যা দান করেছেন, তাতে যারা কৃপণতা করে এই কার্পণ্য তাদের জন্য মঙ্গলকর হবে বলে তারা যেন ধারণা না করে। বরং এটা তাদের পক্ষে একান্তই ক্ষতিকর প্রতিপন্ন হবে। যাতে তারা কার্পণ্য করে সে সমস্ত ধন-সম্পদকে কিয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ি বানিয়ে পরানো হবে। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং- ১৮০) – সহীহ আল বুখারী,  হা/১৪৩০।

 

রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেনঃ যাদেরকে উট,গরু বা ছাগলের অধিকারী করা হয়েছিল,কিন্তু তারা তাদের যাকাত আদায় করেনি, তখন ঐ পশুদের কিয়ামতের দিন উপস্থিত করা হবে আরও বড় ও মোটা করে। তখন তারা তাদের মালিককে শিং ও পা দ্বারা করতে থাকবে। যখন একটি ক্লান্ত হয়ে যাবে তখন অন্যটি শুরু করবে। আর এটা চলতে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত না বিচার শেষ হয়। (মুসলিম, সুনান ইবনে মাজাহ হা/১৭৮৫ , সনদ সহীহ, আলবানী )

ধনীদের মধ্যে যারা যাকাত আদায় করেন না তাদের এই যাকাত আদায় না করাকে কুরআনে মুশরিকদের কাজ বলে গণ্য করা হয়েছে এবং তাদেরকে অভিসম্পাত দেয়া হয়েছে।

وَوَيْلٌ لِّلْمُشْرِكِينَالَّذِينَ لَا يُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُم بِالْآخِرَةِ هُمْ كَافِرُونَ [٤١:٧

অনুবাদ : ধ্বংস অনিবার্য ঐ সকল মুশরিকদের জন্যে যারা যাকাত আদায় করে না। প্রকৃতপক্ষে তারা পরকাল অস্বীকারকারী। (সূরা হা-মীম সাজদাহ, আয়াত নং-৬-৭)।

রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন যে, “নফল নামায দ্বারা যেমন যেভাবে ফরয আদায়ের ত্রুটি পূর্ণ করা হবে, অনুরূপভাবে যাকাতের ব্যাপারটিও তদ্রুপ হবে। অর্থাত নফল সাদকাহ দ্বারাও যাকাতের ত্রুটি পূর্ণ করা হবে। অত:পর অন্যান্য আমলের হিসাবও অনুরূপভাবে গ্রহণ করা হবে। ( সুনান আবূ দাউদ, হা/৮৬৪-৮৬৬, আলবানীর তাহ্ক্বীক সূত্রে সহীহ )।

সুতরাং যাকাত দেয়া হলেই নফল সাদকাহ তার ত্রুটি পূর্ণ করবে। শুধু নফল দান-সদকা যাকাতের বিনিময়ে হবে না।

সুতরাং যারা বলে যাকাত না দিলে কি হবে, দান ক্ষয়রাত তো কম করছি না ! এ দম্ভোক্তি কুফরের শামিল। বরং দান-ক্ষয়রাত হিসাব করে দিতে হয় না। কিন্তু যাকাত হিসাব করে এবং উপযুক্ত হক্বদারকে দিতে হয়। যাকাত আদায় না করে যদি দান সাদকাহ করা হয় তা কবুল হবে না। কারণ যাকাত ফরয আর দান-সাদকাহ নফল। যাকাত আদায় না করলে সম্পদ অপবিত্র হবে। আর আল্লাহ অপবিত্র সম্পদ কবুল করেন না। তাই আমাদের সকলের উচিত যাদের সামর্থ্য আছে যাকাত সঠিকভাবে আদায় করা। সেই সাথে আমাদের ত্রুটি বিচ্যুতি থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত দান-সাদকাহ করা। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন।

 

 যাকাত না দেবার বৈষয়িক শাস্তি

যারা যাকাত দেবে না তাদের জন্য পরকালীন শাস্তির সঙ্গে বৈষয়িক শাস্তিও আছে। যেমন, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যেসব লোক যাকাত দিতে অস্বীকার করবে, আল্লাহ তাদের কঠিন ক্ষুধা ও দূর্ভিক্ষে নিমজ্জিত করবেন। অন্যত্র বলা হয়েছেঃ

যে জাতি যাকাত দেয় না, তাদের উপর বৃষ্টিপাত বন্ধ করে দেয়া হয়। (হাকিম বলেন, ইমাম মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীসটি সহীহ)

অপর এক হাদীসে বলা হয়েছেঃ

স্থল ও জলভাগে যে ধন-সম্পদ নষ্ট হয় তা শুধু যাকাত বন্ধ করার দরূন। যে সম্পদের যাকাত দেয়া হয় না সে সম্পদকে আল্লাহ বিনষ্ট করেন- (কনযুল উম্মাল)। অন্য এক হাদীসে বলা হয়েছেঃ যাকাত যে মালের সাথে মিশ্রিত হয়ে থাকে তা অবশ্যই বিপর্যয়ের শিকার হবে। (বায্‌যার, বায়হাকী)

 

যাকাত না দেবার শরয়ী শাস্তি

যারা যাকাত দেবে না,অস্বীকার করবে দিতে,তাদের জন্য শরয়ীসম্মত শাস্তিও রয়েছে। নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে লোক সওয়াব লাভের আশায় যাকাত দেয়, সে তার সওয়াব পাবে। আর যে তা দিতে চাইবে না আমি তা অবশ্যই গ্রহণ করব তার সম্পদ থেকে। আর  এ হচ্ছে আমাদের রব প্রভু প্রতিপালকের বহু সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের অন্যতম। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বংশের লোকদের পক্ষে তা থেকে কিছু গ্রহণ করা হালাল নয়। (বায়হাকী ও আবু দাঊদ)

 

উল্লিখিত হাদীস থেকে আমরা কয়েকটি বিষয় জানতে পারছি, আর তা হল,

প্রথমতঃ যাকাত দিতে হবে সওয়াবের আশায় আর এর প্রতিদান পাওয়া যাবে কাল কিয়ামাতে আল্লাহর কাছে।

দ্বিতীয়তঃ কৃপণতা, লোভ লালসা কিংবা অন্য কোন কারণে যাকাত দিতে অস্বীকার করলে তার কাছ থেকে শক্তিবলে তা আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে তার যাকাত ছাড়াও অর্ধেক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে যাকাত দিতে অস্বীকৃতির কারণে। কেননা সে তার সম্পদে আল্লাহর নির্ধারিত হক গোপন করেছে ও অস্বীকার করেছে।

তৃতীয়তঃ এরূপ কঠোরতা অবলম্বনের কারণ সমাজ ও রাষ্ট্রে গরীব-মিসকীনের হক আদায়ের বাধ্যবাধকতা। কেননা আল্লাহই তাদের জন্য যাকাত ফরয করেছেন। প্রয়োজনে যুদ্ধের অনুমতিও রয়েছে, তবুও কোন শৈথিল্য প্রদর্শনের সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে সূরা তাওবার ১০৩ নং আয়াতে প্রদত্ত নির্দেশ, রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুসৃত আদর্শ এবং প্রথম খলীফা হযরত আবূ বকর (রাঃ) কর্তৃক যাকাত দিতে অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থা আমাদের স্মরণে রাখতে হবে।

 

যাকাত অমান্যকারী কাফির

    ইসলামী শরীয়তে যাকাত ফরয এবং  এটি এমনই গুরুত্বপূর্ন যে, এর অস্বীকারকারীকে ও এর অমান্যকারীকে আলিমগণ কাফির হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং বলেছেন যে, ধনুক থেকে যেমন তীর বের হয়ে যায় ঠিক তেমনিভাবে সেও ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়।

    ইমাম নববী বলেনঃ  যাকাত দেয়া ফরয একথা স্বীকার করে কেউ যদি তা দিতে অস্বীকার করে তাহলে দেখতে হবে সে নওমুসলিম কিনা যে এ সম্পর্কে না জনার দরূন কিংবা সমাজ সভ্যতা থেকে দূরে বিচ্ছিন্ন অবস্থানের কারণে এরূপ করেছে। এরূপ হলে তাকে কাফির বলা যাবে না। তাকে তখন ভালভাবে জানাতে ও বুঝাতে হবে এবং তারপর তার কাছে থেকে যাকাত নিয়ে নিতে হবে। এ সময়ে যদি সে দিতে অস্বীকার করে তাহলে তাকে কাফির বলতে হবে।

কিন্তু যদি এমন হয় যে, লোকটি মুসলমান, মুসলিম সমাজেই বাস,এ বিষয়ে কোন কিছুই তার অজানা নয়, অথবা তারপরও সে অস্বীকার করেছ, তবে সেক্ষেত্রে সে নির্ঘাত কাফির বলে গণ্য হবে। তার উপর মুরতাদ হবার শাস্তি কার্যকর হবে। প্রথমে তাকে তওবাহ করতে বলা হবে, তওবাহ না করলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। কেননা যাকাত ফরয হবার বিষয়টি সর্বজনবিদিত। তা দ্বীন ইসলামের অবিচ্ছিন্ন অঙ্গ। কাজেই একে অস্বীকার করা হলে আল্লাহকে অস্বীকার করা হয়, রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কেও অমান্য করা হয়। অতএব তার কাফির হবার ব্যাপারে কোন সন্দেহ থাকে না। ইবনু কুদামা প্রমুখ বড় বড় ফিকাহবিদেরও এইমত ফকীহরও এই মত। জানার বুঝার পরও যাকাতকে উপেক্ষা ও অবহেলার চোখে দেখে এবং বলে যে, তা এ যুগে উপযুক্ত নয়, তারা মুসলিম সন্তান হলেও এবং মুসলিম পিতা-মাতার আশ্রয়ে লালিত-পালিত হলেও তাদের এ কাজ সুস্পষ্ট মুরতাদ হবার কাজ যদিও তাদের শাসনের জন্য আবূ বকর (রাঃ)-এর মত খলীফা নেই। (আবুল হাসান নদভী লিখিত পুস্তকের বরাতে ইসলামের যাকাত বিধান ১০২ পৃষ্ঠা)

যাকাত অস্বীকারকারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে যতক্ষণ না অস্বীকারকারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নতি স্বীকার না করে। এ ক্ষেত্রে হযরত আবূ বকর (রাঃ)-এর নীতি ও আদর্শ অনুসরণীয়। এ প্রসঙ্গে তিনি যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তা উল্লেখ করা হলোঃ

আল্লাহর কসম! আমি যেসব লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব যারা সলাত ও যাকাতের মাঝে পার্থক্য করবে। কেননা যাকাত হল মালের অধিকার। আল্লাহর কসম! তারা যদি রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুগে প্রদত্ত উটের রশিটি দিতেও অস্বীকার করে তবে তাদের এই অস্বীকৃতির দরূন আমি তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই যুদ্ধ করব। যারা যাকাত আদায় করবে না, তারা যে কুফরি করল এ সম্বন্ধে আল্লাহ তা’আলা বলেন-

 فَإِن تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ ۗ وَنُفَصِّلُ الْآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٩:١١]

    অর্থাৎ- যদি তারা তাওবাহ করে এবং সলাত কায়েম করে এবং যাকাত আদায় করে তবে তাঁরা তোমাদের দ্বীনি ভাই- (সূরাহ আত্‌-তাওবাহ আয়াত-১১)।

এ আয়াত হতে এ কথা পরিস্কার হচ্ছে যে, যারা সলাত আদায় করবে না এবং যাকাত প্রদান করবে না তারা তোমাদের দ্বীনি ভাই নয়। বরং তারা কাফির। এজন্য আবূ বকর (রাঃ) ঐ সমস্ত লোকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছিলেন যারা সলাত ও যাকাতকে আলাদা করেছিল এবং সলাত কায়েম রেখেছিল কিন্তু যাকাত দিতে অস্বীকার করেছিল। আর সমস্ত সাহাবী কিরাম তার ঐ জিহাদকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। ( মুহাম্মদ বিন জামীল যাইনূকৃত আরকানুল ইসলাম ওয়াল ঈমান ও আকীদাহ আল ইসলামিয়াহ)

সূত্র :

১. যাকাতের গুরুত্ব ও বিধান, লেখক: হাফেজ মুহাম্মাদ আইয়ূব, হুসাইন আল মাদানী প্রকাশনী, বংশাল, ঢাকা।

২. যাকাত কেন ও কিভাবে দিবেন  লেখক : আবুল কালাম আযাদ, আযাদ প্রকাশন, আন্দরকিল্লা, চট্রগ্রাম

৩. ইসলামে যাকাত ব্যবস্থা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা।

 যাকাত-এর অর্থ, খাত ও গুরুত্ব নিয়ে লেকচার

যাকাত সম্পর্কিত বিধিবিধান ধারাবাহিকভাবে আলোচিত হতে থাকবে।

যাকাত সম্পর্কিত আমাদের অন্যান্য লিখা :

 

ইসলামে যাকাতের গুরুত্ব

যাকাত না দেয়ার পরিণাম

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
slot gacor skybet88 slot online skybet88 skybet88 skybet88 slot gacor skybet88 slot bonus new member skybet88 skybet88 skybet88 slot shopeepay slot gacor skybet88 demo slot skybet88 skybet88 skybet88 skybet88