কানাডার মুসলমানরা ইসলাম নিয়ে গর্বিত

কানাডা এমন একটি দেশ যেখানে কোনো সাম্প্রদায়িক হানাহানি নেই। সেখানে কোনো ধর্মকে খাটো করে দেখা হয় না কখনও। সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, কানাডার দুই-তৃতীয়াংশ মুসলমান নিয়মিত মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করে থাকেন। প্রার্থনালয়ে নিয়মিত যাতায়াতের এ হার অন্য যে কোনো ধর্মের লোকদের তুলনায় অনেক বেশি।

টরেন্টো, মনট্রিল, ক্যালগেরি ও হ্যালিফ্যাক্সে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সুউচ্চ মিনার গম্বুজসহ অনেক মসজিদ। পাশাপাশি রয়েছে অসংখ্য ছোট ছোট প্রার্থনার স্থান। বিভিন্ন শহরে অবস্থিত প্রায় শতাধিক মসজিদ প্রতি শুক্রবার কানায় কানায় পূর্ণ থাকে মুসল্লিদের উপস্থিতিতে।

সেই কানাডায় ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে আয়োজন করা হয় বিশেষ সম্মেলনের। কানাডার ক্যালগেরি শহরে শনিবার সন্ধ্যায় (১৪ মে) দুই শতাধিক ইমাম-খতিবের উপস্থিতিতে এ সম্মেলন শেষ হয়েছে। সম্মেলনে আর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও সমাজ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে ভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অালোচনা হয়। ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোকাররম আলী যায়দি ছিলেন এ সম্মেলন আয়োজকদের একজন।

সম্মেলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতি সম্প্রতি শেষ হওয়া এক গবেষণার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে, প্রচলিত চিন্তার উর্ধ্বে কানাডার শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমান কানাডার অধিবাসী এবং মুসলমান হওয়ার কারণে গর্ববোধ করেন। এ ফলাফল প্রমাণ করে মুসলমানরা কতোটা দেশের প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করে থাকেন। বস্তুত আমরা মুসলমানরা এ দেশের জনগণেরই একটি অংশ।

যায়দি আরও বলেন, যারা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে চায় এবং মুসলমানদের সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন যাদের মনে আছে তাদের কৌতুহল কীভাবে মেটানো হবে- এ সম্মেলনে এসব নিয়ে বিস্তারিত অালোচনা হয়েছে।

সম্মেলনের সিদ্ধান্তমতে, প্রত্যেক মসজিদ ও নামাজখানায় সপ্তাহের র্নির্দিষ্ট একটি দিনে ইসলাম নিয়ে উন্মুক্ত অালোচনা, প্রশ্নোত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আশা করা হচ্ছে, নতুন এ কর্মসূচির ফলে মুসলমানরা আরও সমাজবান্ধব হয়ে উঠবেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে কানাডায় বসবাসরত মুসলমানদের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। যা এদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৩.২ ভাগ। অবশ্য সম্প্রতি বছরগুলোতে তাদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, আগামী ২০৩০ সালে দেশটিতে মুসলমানদের সংখ্যা বেড়ে ৩০ লাখে দাঁড়াবে।

উৎসঃ ফেসবুক

 

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button
skybet88 skybet88 skybet88 skybet88 mix parlay skybet88 slot bonus new member skybet88 skybet88 skybet88 slot gacor skybet88 skybet88