দক্ষিণ কোরিয়ায় দ্রুত বিকশিত হচ্ছে ইসলাম!

২০০১-০২ সালে সৌদি আরবের প্রিন্স সুলতান ইবনে আবদুল আজিজ সিউলে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি মাদরাসার জন্য তিন লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেন। ১৯৮২ সালে সিউলে একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য কোরিয়া সরকার চার লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার জায়গা মুসলমানদের অনুকূলে প্রদান করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে।
.
২০০১-০২ সালে সৌদি আরবের প্রিন্স সুলতান ইবনে আবদুল আজিজ সিউলে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি মাদরাসার জন্য তিন লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেন। ১৯৮২ সালে সিউলে একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য কোরিয়া সরকার চার লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার জায়গা মুসলমানদের অনুকূলে প্রদান করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পে সৌদি আরবের প্রিন্স নায়েফ ইবনে আবদুল আজিজ ও মালয়েশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. মাহাথির মুহাম্মদের আর্থিক অনুদান রয়েছে।
.
১০২৪ খ্রিষ্টাব্দে আরব বণিক ও ধর্ম প্রচারকরা সর্বপ্রথম কোরিয়ায় আসেন। পরবর্তীকালে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে মুসলমানরা কোরিয়ায় জড়ো হতে থাকেন। এ দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মুসলমানরা কর্মরত। গত ৫০ বছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় মুসলিম জনসংখ্যা দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে। বর্তমানে ৪০ হাজার স্থায়ী এবং এক লাখ বিদেশি কর্মজীবী মুসলমান নিজেদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ, ধর্মচর্চা ও ধর্ম প্রচারে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছেন।
.
১৯৫০ সালের প্রথম দিকে কোরীয় যুদ্ধ (১৯৫০-৫৩) চলাকালে জাতিসংঘ বাহিনীর অধীনে তুর্কি সেনা ব্রিগেড কোরিয়ায় এলে ইসলাম প্রচার বিশেষ গতি লাভ করে। এ ক্ষেত্রে তুর্কি সেনা ব্রিগেডের ইমাম আবদুল গফুর কারাইমাইলাগলুর ভূমিকা বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমানে ৯টি মসজিদ, চারটি ইসলামিক সেন্টার ও ৬০টি মুসাল্লা (নামাজের স্বল্প পরিসর স্থান) রয়েছে। ১৯৬৯ সালে কোরিয়ান সরকার প্রদত্ত ১৫০০ বর্গমিটারের জমিতে গড়ে ওঠে সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার। বিভিন্ন মসজিদে ছুটির দিন রোববারে আরবি ভাষা শিক্ষার কোর্স চালু রয়েছে। এ পর্যন্ত কোরীয় ভাষায় ইসলামের ওপর লিখিত ১৭টি গ্রন্থ বেরিয়েছে। দ্য মুসলিম উইকলি নিউজ ও আল-ইসলাম নামের দ্বিমাসিক ও দ্বিভাষিক জার্নাল নিয়মিত প্রকাশিত হয়।
.
দাওয়াতি তৎপরতার অংশ হিসেবে কোরিয়া মুসলিম ফেডারেশন কর্তৃপক্ষ সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদে নিয়মিত সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধানে ধর্ম অনুশীলন ও ধর্ম প্রচারের স্বীকৃতি থাকায় মুসলমানরা স্বচ্ছন্দে দাওয়াতি মেহনত চালিয়ে যাচ্ছেন। মুসলমান ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে কোনো বাধা নেই। প্রতি বছর বিভিন্ন কাফেলা হজব্রত পালনে সরকারের সহযোগিতা লাভ করে।

Source

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button