এবং হিমু যখন প্র্যাকটিসিং মুসলমান (পর্ব- ২)

১ম পর্বের পর …

বিস্ময়কর ব্যপার হল – এতো রাতেও ফুপার বাড়ির প্রতিটি বাতি জ্বলছে। কোনো একটা সমস্যা নিশ্চই হয়েছে। আমি সেই সমস্যায় উপস্থিত হয়ে নির্বিকার ভঙ্গিতে বলব – ‘ভাত খাব’। সেই বলাটাও সমস্যা।

আজ বোধ হয় কপালে ভাত নেই। পুলিশের থাপ্পড় খেয়েই রাত পার করতে হবে। আমি কলিংবেল এ হাত রাখলাম। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে সদর দরজা খুলে গেলো। বড় ফুপা তার ফরসা ছোট খাটো মুখ বেড় করে ভীত চোখে আমার দিকে তাকালেন। পরক্ষনেই আনন্দে প্রায় লাফিয়ে উঠলেন , আরে তুই? হিমু? আয় আয় ভেতরে আয়। এই শোন দেখ কে এসেছে ? হিমু এসেছে । হিমু।

সিঁড়িতে ধুপ ধাপ শব্দ হচ্ছে। মনে হচ্ছে সবাই এক সঙ্গে নেমে আসছে। কিছুক্ষণ আগে পুলিশকে ভড়কে দিয়ে এখন নিজেই ভড়কে যাচ্ছি।

গ্রিলের দরজা খুলতে খুলতে বড় ফুপা বললেন , কেমন আছিস রে হিমু?

ভালো আছি ।

বাড়ির অন্যরাও চলে এসেছে। আঠারো উনিশ বছরের একজন তরুণকে দেখা যাচ্ছে। ছেলেটি এমন ভাবে আমাকে দেখছে যেনো আমি আসলে আগ্রার তাজমহল। হেঁটে মালিবাগ চলে এসেছি।

ফুপা বললেন , হেন জায়গা নেই তোকে খোজা হয় নি । কোথায় ছিলি ?

আমি নির্বিকার ভঙ্গিতে হাসার চেষ্টা করলাম। নির্বিকার ভঙ্গি ঠিক ফুটল না। আমার জন্যে এই পরিবারটির প্রবল আগ্রহের আসল কারণটা না জানলে সহজ হওয়া যাচ্ছে না। সামথিং ইজ রং , ভেরি রং ।

বাদল ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। ওর কোন খোজ না পেয়ে আমাকে খোজা হচ্ছে, আজকাল দাড়ি টুপি সহ ছেলে পুলেরা তিনদিনের জন্য তাঁবলীগে গেলেও বাবা মায়ের মোন আকুপাকু করতে থাকে, এই আবার টেররিস্ট হয়ে গেলো নাকি। বাদল দাড়ি রেখেছে । বেশ বড় চুল রেখেছে । বাদলের হারিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন যুক্তি যুক্ত কারণ আমার মাথায় আসছে না । এ ছাড়া আমার জন্যে এত ব্যস্ততার দ্বিতীয় কোন কারণ হতে পারে না। ইসলাম প্র্যাকটিস শুরু করার পর থেকেই, আমি এ বাড়ির নিষিদ্ধজন। ইদানীং টেলিভিশনে সচেতনতা মূলক বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের কারণে এই বাড়ির দরজা আরও জোড়ে আমার জন্যে বন্ধ হয়েছে । শুধু আমি নিষিদ্ধ নই আমার ছায়াও এখন এ বাড়িতে নিষিদ্ধ।

আমি ফুপুর দিকে তাকিয়ে বললাম বাদল কোথায়? বাদলকে তো দেখছি না। শুয়ে পড়েছে ?

ফুপা -ফুপু মুখ চাওয়া চাওয়ি করলেন। ফুপা বললেন, ও ঘরেই আছে।

আসুখ বিসুখ?

না। হিমু তুই বস, তোর সঙ্গে কথা আছে। চা খাবি?

চা অবশ্যই খাব , তবে ভাত টাত খেয়ে তারপর খাব। ফুপু , রাতে রান্না কি করেছেন? লেফট ওভার নিশ্চয় ডিপ ফ্রিজে রেখে দিয়েছেন?

ফুপু গম্ভীর গলায় বললেন, আর রান্না বান্না! দুদিন ধরে ঘড়ে হাঁড়ি চড়ছে না।

ব্যপার কি?

ফুপা গলা পরিষ্কার করছেন যেন অস্বস্তির কোন কথা বলতে যাচ্ছেন। ব্যটারি চার্জ করে নিতে হচ্ছে।

বুঝলি হিমু, আমাদের উপর দিয়ে বিরাট বিপদ যাচ্ছে। হয়েছে কী, বাদল তার বন্ধুর বোনের বিয়েতে গিয়েছিল। ঐ বিয়ে খেতে গিয়েই কাল হয়েছে। গলায় কাঁটা ফুটেছে।

খাসির রেজালা খেয়ে গলায় কাঁটা ফুটবে কী? গলায় হাড় ফুটতে পারে।

কাঁটাই ফুটেছে। বেশি কায়দা করতে গিয়ে ওরা বাঙ্গালি বিয়ের আয়োজন করেছে– মাছ ভাত, ডাল দই… ফাজিল আর কি , বেশি বেশি বাঙ্গালি।

বাদলের গলার সেই কাঁটা এখন আর বেরুচ্ছে না?

না।

ডাক্তার দেখান নি?

ডাক্তার দেখাব না ! বলিস কী? হেন ডাক্তার ণেই যাকে দেখানো হয় নি। আজ সকালেও একজন ই এন টি স্পেশালিষ্টের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। — হাঁ করিয়ে চিমটা ঢুকিয়ে নানা কসরত করেছে। কাঁটা অনেক নিচে চিমটা দিয়ে ধরতে পারছে না। দুদিন ধরে বাদল খাচ্ছে না ।ঘুমাচ্ছে না । কি যে বিপদে পড়েছি।

বিপদ তো বটেই।

কি আর বলবো তোকে লজ্জার কথা। পীর সাহেবের মুরিদের মধ্যে আমার এক জাকেরিন ভাই বলেছিল বিড়ালের পায়ে ধরে মাফ চাইলে গলার কাঁটা নেমে যাবে। তার মতে গ্রামবাঙলার মানুষ গত পাঁচশ বছর ধরে কাঁটা ফুটলেই বিড়ালের পায়ে ধরছে। কাজেই এর একটা গুরুত্ব আছে। কাঁটা হচ্ছে বিড়ালের খাদ্য। আমরা সেই খাদ্য খেয়ে বিড়ালের প্রতি একটা অবিচার করছি। সেই জন্যেই বিড়ালের পায়ে ধরে ক্ষমা প্রার্থনা।

ছেলের হালত দেখে , সেই সময় জাকেরিন ভাইয়ের কথা গুলো আমার কাছে বেশ যুক্তি যুক্ত লেগেছে।

ভালো কথা তাহলে কি বাদলকে বিড়ালের পায়েও ধরানো হয়েছে ?

ফুপা থম থমে গলায় বলল বিড়ালের পায়েও ধরানো হয়েছে। সেও এক কেলেংকারি। বিড়াল খামচি দিয়ে রক্ত টক্ত বের করে বিশ্রী কাণ্ড করেছে। এ টি এস দিতে হয়েছে। এখন তুই একটা ব্যবস্থা করে দে।

আমি?

ফুপু বলল

হু। বাদলের ধারনা আল্লাহর ইচ্ছায় নাকি তুই ই একটা ব্যবস্থা করতে পারবি। তোর ফুপা ওকে কোলকাতা নিয়ে যেতে চাচ্ছে। ও তোর সঙ্গে দেখা না করে যাবে না। হেন জায়গা ণেই যে তোর খোজ করা হয় নি। তোকে হঠাৎ আসতে দেখে বুকে পানি এসেছে। দুটা দিন গেছে – ছেলে একটা কিছু মুখে দেয় নি। আরও কয়েকদিন এরকম গেলে তো মরে যাবে।

ফুপুর কথা শেষ হবার আগেই বাদল ঘরে ঢুকলো। চুল উসকু খুসকু , চোখ বসে গেছে। ঠিকমতো দাঁড়াতেও পারছে আ। দরজা ধরে দাঁড়িয়ে আছে। ,

আমি বললামঃ খবর কি রে?

বাদল ফ্যকাশে ভঙ্গিতে হাসলো। সাহিত্যের ভাষায় এই হাসির নাম করুন হাসি।

আমি বললামঃ কীরে শেষ পর্যন্ত মাছের হাঁতে পরাজিত?

বাদল তার মুখ আরও করুন করে ফেলল। বসে থাক আল্লাহ নিশ্চই উত্তম ব্যবস্থা করবেন. আমি আগে গোসল টোসল করে খাওয়া দাওয়া করে নেই তারপর তোর সমস্যা ট্যাকেল করবো ইন শা আল্লাহ।

বাদলের মুখ মুহুর্তের মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে গেলো। পাশে সেই তরুণ ছেলেটির ঠোটের কোনায় ব্যঙ্গের হাসির আভাস। তবে সে কিছু বলল না। এ বাড়ির পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ন আমার অনুকূলে। এরকম অনুকূল আবহাওয়ার সুযোগ গ্রহণ না করা নিতান্তই অন্যায় হবে। আমি ফুপুর দিকে তাকিয়ে বললাম গোসল করব। ফুপু আপনার বাথরুমে হট ওয়াটারের ব্যবস্থা আছে না?

গিজার নষ্ট হয়ে গেছে । যাই হোক, পানি গরম করে দিচ্ছি। গোসল করে ফেল। গোসল করে ভাত খাবি তো?

হু।

তাহলে ভাত-টাত যা আছে গরম করতে দেই।

ঘরে কী পোলাওয়ের চাল আছে ?

আছে।

তাহলে চট করে পলাওয়ের চাল চড়িয়ে দিন। আলু ভাজা করুন। কুচি কুচি করে আলু কেটে ডুবা তেলে কড়া করে ভাজা। গরম ভাত, আলু ভাজার সঙ্গে এক চামচ গাওয়া ঘি। — খেতে এক্সেলেন্ট হবে। গাওয়া ঘি আছে তো?

ঘি নেই।

মাখন আছে ?

হু।

অল্প আঁচে মাখন ফুটাতে থাকেন। গাদ যেটা বের হবে ফেলে দেবেন এক্কেবারে এক নম্বর পাতে খাওয়া ঘি তৈরি হবে। কয়েকটা শুকনা মরিচ ভাজলে মন্দ হয় না।। ঘি এর মধ্যেই ভাজবেন।

বাদলের কাঁটা টার কিছু করা যায় কিনা দেখ।

দেখবো । ইন শা আল্লাহ , সে দু দিন যখন অপেক্ষা করেছে আরও ঘণ্টা খানেক অপেক্ষা করতে পারবে। পারবি না বাদল?

বাদল হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ল। মনে হচ্ছে কথা বলার মতো অবস্থাও তার ণেই। আমি গুন গুন করে আবারও সেই নাসিদটা গাইতে চেষ্টা করলাম। তরুণ সেই ছেলেটা আমার দিকে তাকাচ্ছে। তার চোখের দৃষ্টি কেমন? ভালো না। সেই দৃষ্টিতে কৌতহল আছে । সুদ্ধ কৌতূহল না অশুদ্ধ কৌতূহল। ছেলেটা একটা দৃশ্য দেখার জন্যে অপেক্ষা করছে। সে দৃশ্যটি হল একজন হুজুর টাইপ মানুষ এর পরাজিত হয়ে লজ্জা পাওয়ার মজাদার দৃশ্য।পুলিশের মতো এই ছেলেটাকেও ভড়কে দিতে পারলে ভালো লাগতো। পারছি না। এই বয়সের ছেলে গুলো এতো সহজে ভড়কায় না। আমি তার দিকে তাকিয়ে বললামঃ তোমার নাম কি?

ইরাম

শোন ইরাম , তোমার যদি কোন কাঁটার ব্যপার থাকে, গলায় কাঁটা বা হৃদয়ে কাঁটা , আমাকে বলো তোমার কাঁটারও একটা ব্যবস্থা করা যায় নাকি দেখি।

ইরাম কঠিন ভঙ্গিতে বলল আমার জন্যে আপনাকে ভাবতে হবে না । আপনি গোসল করতে যান, আপনাকে গরম পানি দেয়া হয়েছে।

‘এত তাড়াতাড়ি তো পানি গরম হওয়ার কথা না।’

খাওয়ার জন্যে পানি ফুটানো হয়েছে ঐ পানিই দেয়া হয়েছে।’

‘মেনি থ্যাংকস।যাযাকাল্লাহু খাইর’

আমি খেতে বসেছি। চেয়ারে বসেই বাদলকে ডাকলাম, বাদল খেতে আয়। বাদলের জন্যে একটা প্লেট দেখি।

ফুপা বললেনঃ ও তো ঢোকই গিলতে পারছে না। ভাত খাবে কি? তুই তো ওর ব্যপারটা বুঝতেই পারছিস না।

আমি ফুপাকে সম্পূর্ন অগ্রাহ্য করে ডাকলাম বাদল আয়।

বাদল উঠে এলো । আমার আদেশ অগ্রাহ্য করা সবার পক্ষেই সম্ভব বাদলের পক্ষে না। আমি অন্য সবাইকে সরে যেতে বললাম ।

শোন এখন ঘরে যা , ভালো করে ওজু করবি , তারপর দুই রাকাত নফল নামায পড়বি । নামায শেষ করে আল্লাহর কাছে তোর এই দুর্দশার কথা খুলে বলবি। যদিও তিনি জানেন তারপরও ভালো করে তার কাছে চাইতে হবে।ভিক্ষুকের মতো করে চাইতে হবে।কান্দা কাটি করা ভিখারির জন্যে তো মানুষেরই দয়া হয়। আর আল্লাহ তো দয়ার সাগর নিয়ে বসে আছেন। দেখবি অবশ্যই আল্লাহ সহজ করে দেবেন। তাড়াতাড়ি যা , তুই আসলে তোকে নিয়ে খাওয়া শুরু করবো। দারুণ ক্ষিদে পেয়েছে।

বাদল ধীর পায়ে তার ঘরে চলে গেলো। আমি কোথায় জেনো গলার কাঁটা দুর করার একতা দোয়া দেখেছিলাম খুব সম্ভবত সুরা ওয়াকিয়াহর একটা আয়াত পরে আগে মানুষ গলায় কাঁটা লাগলে ঝাড়তো। কিন্তু গলায় কাঁটা লাগলে এই আমলটি কতটুকু সহিহ তা জানি না । এর কোন নির্ভর যোগ্য দলিল আছে কিনা তাও আমার ধারনার বাইরে। তাই সহজ বুদ্ধিতে । দুই রাখাত নফল নামায পরে আল্লাহর কাছে বলাটাকেই বুদ্ধিমানের কাজ মনে হল। আমিও গোসল সেরে দুই রাকাত নফল পড়ে আল্লাহর কাছে বলেছি। দেখা যাক আল্লাহ তাকদিড়ে কি রেখেছেন।

অল্প সময় পরই বাদল চলে এলো

‘বাদল শোন , তোর পেটে খিদে, তুই বিসমিল্লাহ বলে খেয়ে যাবি। গলায় ব্যথা করবে– করুক। কিছু যায় আসে না। আপাতত কিছু সময়ের জন্যে গলাটাকে পাত্তা দিবি না । আল্লাহর উপর ভরসা কর। ওনাকে যেহেতু বলেছিস উনি অবশ্যই ঠিক করে দেবেন। কাঁটা থাকুক কাঁটার মতো, তুই থাকবি তোর মত। বুঝতে পারছিস?

হু।

আরাম করে তুই আমার সঙ্গে ভাত খাবি। ভাত খওয়ার পর আমরা মিষ্টি পান খাবো। জড়দা ছাড়া। তারপর দেখি তোর কাঁটার কি করা যায়।

হিমু ভাই খাওয়ার আগে কাঁটার কিছু একটা ব্যবস্থা করলে হয় না?

‘হয়। আগে করলেও হয় — তাতে কাঁটাটাকে গুরুত্ব দেয়া হয়। আমরা ফুলকে গুরুত্ব দেবো । কাঁটাকে না। ঠিক না ?

ঠিক।

আয় খাওয়া শুরু করা যাক। বাদল ভাত মাখছে। আমি বললাম, বিসমিল্লাহ বলেছিস

বাদল হ্যাঁ সূচক মাথা নারলো

শুকনা মরিচ ভালো করে ডলে নে– ঝালের চটে নাক দিয়ে মুখ দিয়ে পানি বেরুবে তবেই না খেয়ে আরাম। শুরু করা যাক…

বিসমিল্লাহ…

বাদল খাওয়া শুরু করল। কয়েক নলা খেয়েই হতভম্ব গলায় বলল, হিমু ভাই , কাঁটা চলে গেছে বলে মনে হচ্ছে।

‘চলে গেলে গেছে। এতে আকাশ থেকে পড়ার কি আছে ? আল্লাহকে বলেছিলি ।। আল্লাহ তোর দোয়া কবুল করেছেন। বল আলহামদুলিল্লাহ

বাদল বলল : আলহামদুলিল্লাহ

এখন খাওয়া শেষ কর।

বাসার সবাইকে খবর টা দিয়ে আসি।

এটা এমন কোন বড় খবর না যে মাইক বাজিয়ে শহরে ঘোষণা দিতে হবে । আরাম করে খা তো। আলু ভাজিটা অসাধারণ হয়েছে না?

‘অমৃত ভাজির মতো লাগছে। ‘

ঘি দিয়ে চপ চপ করে খা ভালো লাগবে।

আজ তুমি না এলে আমি হয়তো মরেই যেতাম । আমি সবাইকে বলেছি হিমু ভাই ই কেবল পারে এই কাঁটা দুর করতে। কেউ আমার কথা বিশ্বাস করে না।

শোন বাদল। হিমু ভাই কিচ্ছু পারে না ।। যা করেন আল্লাহ করেন। এই ভাবে আর বলবি না এটা শিরক হয়ে যায় বুঝলি

জ্বি ।

ইরাম তো তোমাকে নিয়ে হাসাহাসি করছিল।

তাই নাকি?

হ্যাঁ। আমি যখন বললাম হিমু ভাই গুনাহ দিয়ে বেঁচে থাকে । আর তাই হয়তো আল্লাহ তার দুয়া কবুল করেন। তখন হাসতে হাসতে সে প্রায় বিষম খায়। আজকে সে সত্য বুঝবে ঠিকই , আজকে তার একটা শিক্ষা হবে।

বাদলের চোখ ভিজে গেছে। ঝালের কারণে পানি এলো না আনন্দের পানি সেটা বোঝা যাচ্ছে না।

আল্লাহর দারুণ এক সৃষ্টি মানুষের চোখের এই পানি। দুঃখ বেদনা আনন্দ ।। সব কিছু প্রকাশের অদ্ভুত সুন্দর এক মাধ্যম এই চোখের পানি।

( চলবে ইন শা আল্লাহ …)

লেখক – আলী আব্দুল্লাহ ভাই

প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন!

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button
skybet88 skybet88 skybet88 skybet88 mix parlay skybet88 slot bonus new member skybet88 skybet88 skybet88 slot gacor skybet88 skybet88