পাশ্চাত্যে ধর্ষণ নিধনে ফরমালিন ও ইসলামের মাহাত্ম্য
আমাদের মেয়েরা ধর্ষনের শাস্তি হিসেবে ১৪০০ বছর আগে ইসলাম নির্ধারিত ধর্ষনের শাস্তিও চাননা আবার ধর্ষিতাও হতে চাননা। তারা শুধু চান ছেলেদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হোক। তারা ধর্ষন এড়াতে শুধুমাত্র ছেলেদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন চান। কিন্তু তারা এটা জানেননা যে, শুধুমাত্র দৃষ্টিভঙ্গির বা মানষিকতার পরিবর্তন করেই কোন অপরাধ দমন করা যায়না। ধর্ষনও একটি অপরাধ। ঘোরতর অপরাধ। অপরাধ দমন করতে প্রয়োজন উপযুক্ত শাস্তি। যে শাস্তি অপরাধীর মনে ভয় সৃষ্টি করবে। সেই ভয় তাকে অপরাধ করনে বাধা দিবে।
১৪০০ বছর আগের ইসলাম নির্ধারিত ধর্ষনের সেই শাস্তি কি??????
১) পুরুষ যদি বিবাহিত হয় তাহলে তাকে জনসম্মুখে গর্তে পুতে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা।
২) পুরুষ যদি অবিবাহিত হয় তাহলে জনসম্মুখে তাকে বেধে ১০০ বেত্রাঘাত করা।
একজন ধর্ষকের জন্য এর চেয়ে উপযুক্ত কঠিন শাস্তি আর কি হতে পারে????
অনেকেই বলতে পারেন, এই শাস্তি প্রয়োগ করেও কি আরব রাষ্ট্র গুলো ধর্ষকদের দমিয়ে রাখতে পারছে????
একটু চোখ বুলিয়ে নিন।
ধর্ষনের আসলি দাওয়াই খুজে বের করুনঃ-
ধর্ষনের হার অনুযায়ী ২০৬ দেশের মধ্যে প্রথম ৫ দেশঃ
১) South Africa: প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ১১৯৫ জন ধর্ষিত হয়।
২) Australia: প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৭৭৭ জন ধর্ষিত হয়।
3) Canada : প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৭৩৩ জন নারী ধর্ষিত হয়।
৪) U.S.A : প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৪৫৭ জন নারী ধর্ষিত হয়।
৫) India : প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৩০১ জন নারী ধর্ষিত হয়।
তালিকার শেষের ৫ টি দেশ:
৫) Saudi Arabia: শেষের দিক থেকে ১ নম্বর। এখানে প্রতি ১০লক্ষ নারীতে ২ জন ধর্ষিত হয়। অন্তত খাতা-কলমে শরীয়া আইন এ চলে। অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবায়ন হয়। মেয়েদের পর্দা না করে বের হওয়া মানা। এবং ধর্ষকের শাস্তি ১৪০০ বছর আগের ইসলাম নির্ধারিত শাস্তি।।
৪) Azerbaijan: শেষের দিক থেকে ২ নম্বর। প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৩ জন ধর্ষিত হয়।
মেয়েদের পর্দা আবশ্যক ।
৩) Yemen: শেষের দিক থেকে ৩ নম্বর। প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৪ জন ধর্ষিত হয়। মেয়েদের পর্দা আবশ্যক।
২) Oman : এখানে প্রতি ১০লক্ষ নারীতে ৫ জন ধর্ষিত হয়। মেয়েদের পর্দা আবশ্যক ।
১) Indonesia : এখানে প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ১৮ জন ধর্ষিত হয়। মেয়েদের পর্দা আবশ্যক ।
#ফলাফলঃ মেয়েদের পর্দা আবশ্যক ও ধর্ষনের কঠিন শাস্তি প্রয়োগ হওয়ার কারনেই ঐ দেশগুলোতে ধর্ষনের হার এত কম।
[Source: Official cold case investigations for raperecords. উপরের প্রথম পাঁচটি দেশই অমুসলিম কান্ট্রি এবং নিচের পাঁচটি দেশই মুসলিম কান্ট্রি]
শুধুমাত্র দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন নয়, দরকার ধর্ষনের কঠিন শাস্তি প্রয়োগ এবং সাথে সাথে আপনাদের পোষাকের শালীনতা ( ইসলাম ধর্মে যাকে আমরা পর্দা বলি)।।
[Mubarak ভাইয়ের ফেসবুক পোস্ট থেকে]
ইসলামে ধর্ষণের ৪ প্রকার শাস্তি আছে। [বিস্তারিত]
এক ভাই বললেন, আরবে নাকি মেয়েরা ভয়ে রেপের কেস করতে যায় না। [তারা সৌদি ফেরত ধর্ষিতা নারীদের উদাহরণ দেয়]
সত্য তো এটা যে, আমেরিকায় মেয়েরা কেস করতে যায় না। [দেখুন] সৌদি ফেরত মেয়েদের যারা ধর্ষণের শিকার হয়, তাদের কথা বিশ্ব মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হচ্ছে। যারা উপরের রিপোর্ট তৈরি করেছেন, তারা টিভি নিউজ দেখেন। আর যদি আপনি মনে করেন যে, পরিসংখ্যাকারীরা টিভি দেখে না; বিশ্বের খোজ খবর রাখে না। তাই তারা ঐসব নারীদের তালিকার বাইরে রেখে হিসাব করেছে। তাহলে আপনাদের কথা ঠিকই আছে।
সত্য তো এটা যে, তারা ঐ সকল টিভি নিউজ দেখেছেন। আর তা মাথা রেখেই রিপোর্ট তৈরি করেছে। আর এরপরেও আরব তালিকার শেষে।
তিনি বলেন,একবার নাকি এক নির্দোষ নারী আরবের আদালতে বিচার চেয়েও লান্ছিত হয়েছে।
আমার কথা হল, সৌদি সরকার যা ইসলামি ফিকাহ মতে যালিম এটা সবাই জানেন।কাজেই বিচারক এখানে কারচুপি করে থাকলে তার দায় ইসলামের না। সবদেশেই কম-বেশি অবিচার হয়ে থাকে যা কিনা কারোই কাম্য নয়।
তাছাড়া খাতা-কলমে সৌদিতে রজম আছে।[দেখুন] আর গত কয়েক বছর ধরেই এই শাস্তি বহাল আছে।কেউ কেউ অবিচারের শিকার হতেই পারে।
আর অবিচার নাস্তিকদের কিবলা আমেরিকাতেও আছে। আর সেটা অনেক বেশি অসহনীয়। [ভিডিও]
আর এই ভিডিওতে দেখুন নারী এবং পুরুষ উভয়কেই হত্যা করা হয়, শুধু নারীকে নয়। কাজেই যারা বলে শুধু মেয়েদেরকেই শাস্তির আওতায় নেয়া হয়, তারা সঠিক নয়। [ভিডিও]
আরবে নারীর অধিকার অক্ষুন্ন আছে কিনা জানতে পশ্চিমাদের এই গবেষণা পত্রটি পড়তে অনুরোধ করলাম। [লিংক]
এখানে মাত্র ২ টি শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।আরও ২ প্রকারের শাস্তি রয়েছে। যতদূর জানি আমেরিকাতেই মাত্র ১৬ ভাগ কেস লিখা হয়। এরপরেও আমেরিকা তালিকার শীর্ষে ।
http://www.peaceinislam.com/mahir/19040/