
আমি ফেরিওয়ালা হতে চাই
বিশ্ববিদ্যায়য়ে পড়া পর্যন্তও রাস্তার মোড়ে ফেরিওয়ালা বা ঔষধের লেকচারারদেরকে দেখলে দাঁড়িয়ে যেতাম, তাদের ভেজালযুক্ত ঔষদের নির্ভেজাল বক্তব্য শুনে। তারা গল্প বলার মাধ্যমে মানুষকে আকৃষ্ট করে এবং গল্প শেষ না করেই গল্পের আকর্ষনীয় স্থানে এসে গল্প বন্ধ করে ঔষধ বিক্রয় করে। অনেক ঔষধওয়ালার লেকচার শুনলেও কোনদিন ঔষধ কিনিনি। কারণ এটা খুব ভালভাবেই জানতাম তাদের ঔষধ মানুষের উপকার না করলেও ক্ষতি করার সম্ভাবনা বেশী।
কিন্তু ৭৩ সিদ্ধেশ্বরীতে কুরআন ক্লাসে এসে আমরা এমন এক ফেরিওয়ালার সন্ধান পেলাম যিনি পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল ঔষধ ফেরি করছেন। এবং তার ঔষধ এমন ভাল ও উন্নত যা মানুষের সকল রোগের জন্য শেফা। যে ঔষধটি মানুষের অন্য সকল রোগ সহ মনের রোগেরও চিকিৎসা করে সবচেয়ে ভালভাবে। এই ঔষধের একজন দক্ষ ফেরিওয়ালার নিকট থেকে সুন্দর লেকচার শুনে আমি নিজেসহ অন্য সকর ছাত্ররাও এর ফেরিওয়ালা হওয়ার শপথ গ্রহণ করি।
আলোচকের আলোচনার মাধ্যমে আমরা সূরা বাকারায় ১৫১ নং আয়াত থেকে ফেরিওয়ালার কাজের কর্মসূচী সুন্দরভাবে জানতে পারলাম যেখানে আল্লাহ বলেছেন, “কামা আরসালনা ফিকুম রাসূলাম মিনকুম ইয়াতলু আ’লাইকুম আয়াতুনা ওয়া ইউযাক্কিকুম ওয়া ইউআ’ল্লিমুকুমুল কিতাবা ওয়াল হিক্বমাতা ওয়া ইউআ’ল্লিমুকুম মা লাম তাকুনু তাঅালমুন।”
এখানে আল্লাহ ফেরিওয়ালাদের কর্মসূচী তিনটি উল্লেখ করেছেন।
১। মানুষকে কুরআন তিলাওয়াত করে শুনাবে
২। মানুষকে পরিশুদ্ধ ও পবিত্র করবে
৩। এবং মানুষকে কিতাব ও হিকমাতের শিক্ষা দিবে। যা মানুষ জানে না।
আমি নিজেও মহান আল্লাহর দেয়া ফেরিওয়ালার কর্মসূচী বাস্তবায়ন করব এবং অন্য মানুষকে কুরআন ফেরিওয়ালা হওয়ার জন্য উৎসাহ দান করব। মাহান আল্লাহ আমাদের সকল ভাল প্রচেষ্টা কবুল করুন। আমীন!
– মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম