বিদ’আত মানুষকে জাহান্নাম নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট

বিদ’আত খুবই ভয়ঙ্কর জিনিস। আমাদের চারিদিকে বিদ’আতে ভরে থাকলেও কেউ এটাকে তেমন গুরুত্ব দেয়না। অথচ বিদ’আত মানুষকে জাহান্নাম নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। বিদ’আত বলা হয় ধর্ম বা ইবাদতে নব আবিস্কৃত কাজকে। অর্থাৎ দ্বীন বা ইবাদত মনে করে করা এমন কাজকে বিদ’আত বলা হবে, যে কাজের কুর’আন ও সহীহ সুন্নাহর কোন দলিল নেই। আরো সহজ করে বললে, আল্লাহ বান্দাদের জন্য যার বিধি বিধান দেননি, বান্দারা নিজেদের ইচ্ছেমতো যা রচনা করে নিয়েছে তাই বিদ’আত। আসুন বিদ’আতের ব্যাপারে জানি –

◆ আল্লাহ বলেন, ‘বলো হে নবী! আমলের দিক দিয়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের কথা কি তোমাদের বলব? তারা হচ্ছে এমন লোক, যাদের যাবতীয় চেষ্টা সাধনায় দুনিয়ার জীবনে বিভ্রান্ত হয়ে গেছে আর তারাই মনে মনে ধারণা করে যে, তারা খুবই ভালো কাজ করছে’ [আল ক্বা’হাফ/১০৩-১০৪]

◆ ‘সেই ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক গোমরাহ আর কে হতে পারে? যে আল্লাহর পক্ষ হতে কোন দলিল ব্যতীত স্বীয় নাফসের অনুসরণ করে চলে’ [আল ক্বাসাস/৫০]

◆ মুহাম্মাদ সা. বলে্‌ন ‘তোমরা (দ্বীনে) নব উদ্ভাবিত কর্মসমূহ (বিদ’আত) থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ, প্রত্যেক বিদ’আতই ভ্রষ্টতা’ [আবু দাউদ, তিরমিযী] নাসাঈর এক বর্ণনায় আছে, ‘আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতা জাহান্নামে (নিয়ে যায়)’।

◆ ‘যে ব্যক্তি আমার এই দ্বীনে (নিজের পক্ষ থেকে) কোন নতুন কিছু উদ্ভাবন করল… যা তার মধ্যে (দ্বীনে) নেই, তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য’ [বুখারী ও মুসলিম] মুসলিমের অন্য একটি বর্ণনায় আছে, ‘যে ব্যক্তি এমন কাজ করল, যে ব্যাপারে আমাদের কোন নির্দেশ নেই তা বর্জনীয়’।

আল্লামা কান্দলভী (রহ.) বলেন, ‘বিদ’আত বলতে বোঝায় এমন জিনিস, যা দ্বীনের ক্ষেত্রে অভিনব, শারীয়াতে যার কোন ভিত্তি নেই, মৌলিক সমর্থন নেই। ইসলামী পরিভাষায় তারই নাম বিদ’আত’। এবার একটু চোখ খুলে দেখুন কত বিদ’আত চারিদিকে। আল্লাহ আমাদের বিদ’আত থেকে রক্ষা করুন। আমীন!

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
skybet88 skybet88 skybet88 skybet88 mix parlay skybet88 slot bonus new member skybet88 skybet88 slot gacor skybet88 skybet88