আদাবুয যিফাফ
আমাদের বর্তমান মুসলিম সমাজ সবক্ষেত্রেই অমুসলিমদের অনুসরণ করার পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে অনুকরণও করছে। তাদের কৃষ্টি, কালচার, সংস্কৃতি, অপসংস্কৃতি গ্রহণ করছে। কোনরুপ যাচাই বাছাই না করেই তারা গড্ডালিকা প্রবাহে মিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে সংস্কৃতির ক্ষেত্রে আজ মুসলিমরা অসহায়। তারা যেনো ইসলামী সংস্কৃতিকে ভুল বিজাতীয় অপসংস্কৃতিকেই সংস্কৃতি ভাবছি। এগুলোর অনুসরণ করছে। যত সব অপসংস্কৃতির এই প্রবাহ তার অন্যতম হলো আচার-অনুষ্ঠানকেন্দ্রিক।
এরকম বিবাহের মতো এই পবিত্র কাজকেও আমরা আজ অনুষ্ঠাননির্ভর করে ফেলেছি। এর সাথে যা করছি তা পুরোটাই হিন্দুয়ানী এবং পশ্চিমা সংস্কৃতি। যার পুরোটাই অনৈসলামিক। বিবাহের মতো এই পবিত্র বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে এবং অপসংস্কৃতিকে তুলে ধরতে শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ)-এর আদাবুয যিফাফ বা বাসর রাতের আদর্শ বইটি অনন্য। এ বইয়ে তিনি সংস্কৃতির হক বাতিলের পার্থক্য তুলে ধরেছেন, যাতে উম্মাতে মুহাম্মাদী নিজস্ব সংস্কৃতিতে চলে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করতে পারে। শাইক এই বই রচনায় তত্ত্ববহুল গভীর পান্ডিত্যের পরিচয় দিয়েছেন। এ কারণে জাতি তাঁর নিকট চিরকতজ্ঞ। বিশেষত: তিনি পুস্তকটিতে মহিলাদের স্বর্ণ ব্যবহার সম্পর্কে একটি অধ্যায় রচনা করেছেন। বিষয়টি তত্ত্ববহুলে বটে কিন্তু এটি তাঁল একটি স্বতন্ত্র গবেষণা ও তাঁর ব্যতিক্রমধর্মী ভুমিকা। বিষয়টি সঠিক হলে তিনি দ্বিগুন সাওয়াবের অধিকারী হবেন এবং ভুল হলেও একগুণ সওয়াবের অধিকারী হবেন।
পাঠকের প্রতি অনুরোধ সওয়াব প্রাপ্তির বাসনায় বিষয়ীট গবেষণাধীন রাখা উচিত হবে এবং বিবাদ-বিসম্বাদ মতানৈক্য এড়িয়ে ঐক্যে অটুুট থেকে মুসলিম সভ্যতা সংস্কৃতি পালনের মাধ্যমে তাকওয়াবান হওয়ার প্রতিযোগীতায় উপনীত হওয়া বাঞ্জনীয় হবে।
এক নজরে বইটি :
আদাবুয যিফাফ
অনুবাদ নাম : বাসর রাতের আদর্শ
রচনায় : শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ)
অনুবাদ : খলীলুর রহমান বিন ফযলুর রহমান
সাইজ : ৬ মেগাবাইট ( পূর্বে এটা স্ক্যানকৃত ছিলো কিন্তু হাই কোয়ালিটি ছিলো না, এডিটিং করা হয়েছে) কৃতজ্ঞতা : ফুয়াদ ভাই