দাওয়াতী কাজে ইখলাসের গুরুত্ব
দাওয়াতী কাজে ইখলাসের গুরুত্ব
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের জন্য ইসলামকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। দরূদ ও শান্তির অবিরাম ধারা বর্ষিত হোক নবীকুল শিরোমণী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর পবিত্র বংশধর ও সম্মানিত সাথীদের উপর।
দ্বীনের প্রচার ও প্রসারের কাজে আত্ননিয়োগ করা বিরাট একটি এবাদত এবং ইসলামের অন্যতম একটি মৌলিক বিষয়।এটিই ছিল নবী ও রাসূলদের কাজ। তারা মানব জাতিকে আজীবন দ্বীনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।বিশেষ করে উম্মাতে মুহাম্মাদী য়ার অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে তারা কিয়ামত পর্যন্ত মানুষকে সত্যের আহবান জানাবে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
كُنْتُمْخَيْرَأُمَّةٍأُخْرِجَتْلِلنَّاسِتَأْمُرُونَبِالْمَعْرُوفِوَتَنْهَوْنَعَنِالْمُنْكَرِوَتُؤْمِنُونَبِاللَّهِ
“তামরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানব জাতির কল্যাণের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে।তোমরা সৎ কাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনবে”। (সূরা আল-ইমরানঃ ১১০)
আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেনঃ
وَمَنْأَحْسَنُقَوْلامِمَّنْدَعَاإِلَىاللَّهِوَعَمِلَصَالِحًاوَقَالَإِنَّنِيمِنَالْمُسْلِمِينَ
“যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার থাকতে পারে? (সূরা হা-মীম সাজদাহঃ ৩৩)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
(مندعاإلىهدىكانلهمنالأجرمثلأجورمنتبعهلاينقصذلكمنأجورهمشيئاًومندعاإلىضلالهكانعليهمنالإثممثلآثاممنتبعهلاينقصذلكمنآثامهمشيئاً ) رواهمسلم
“যে ব্যক্তি হেদায়াতের পথে দা’ওয়াত দিবে, সে তার অনুসরণ কারীর প্রতিদান পরিমাণ প্রতিদান পাবে। এতে তাদের (অনুসরণ কারীদের) প্রতিদানকে কিছু মাত্র হ্রাস হবেনা।আর যে ব্যক্তি ভ্রষ্টতার পথে আহবান করবে, সে তার অনুসারীদের গুনাহ পরিমাণ গুনাহের অধিকারী হবে। এতে তাদের (অনুসারীদের) পাপ কিছু মাত্র কম করা হবে না।” (মুসলিম)
রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেনঃ
(فواللهلانيهدياللهبكرجلاًواحداًخيرلكمنأنيكونلكحمرالنعم) متفقعليه
“আল্লাহর শপথ ! আল্লাহ্ তোমার দ্বারা যদি একজন লোককে হেদায়াত করেন, তবে লাল উট পাওয়ার চাইতে তা তোমার জন্য উত্তম হবে।” (বুখারী ও মুসলিম)
সুতরাং যেহেতু দ্বীনের পথে মানুষকে আহবান করা একটি গুরত্বপূর্ণ এবাদত, তাই এতে আল্লাহ তাআলার নিকট এবাদত কবুল হওয়ার দু’টি শর্ত পূর্ণ রুপে বর্তমান থাকতে হবে।অন্যথায় দাঈর এই মহান আমল আল্লাহর দরবারে গৃহীত হবেনা এবং এই কাজের বিনিময়ে আল্লাহর পক্ষ হতে বিরাট ছাওয়াবের ঘোষণা থাকা সত্বেও বিন্দুমাত্র ছাওয়াবও পাবেনা।আল্লাহর দরবারে দাওয়াতী কাজের বিনিময়ে ঘোষিত পুরস্কার পেতে হলে দাঈকে অবশ্যই এ দু’টি শর্ত সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে।দু’টি শর্তের প্রথম ও প্রধান হচ্ছে, দাঈর মধ্যে পরিপূর্ণ ইখলাস থাকতে হবে।ইখলাস অর্থ হচ্ছে দাঈ তার আমলের বিনিময়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালে নাজাতের আশা ব্যতীত অন্য কিছু কামনা করবেনা।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
فَإِنْتَوَلَّيْتُمْفَمَاسَأَلْتُكُمْمِنْأَجْرٍإِنْأَجْرِيَإِلاعَلَىاللَّهِوَأُمِرْتُأَنْأَكُونَمِنَالْمُسْلِمِينَ
“তারপর ও যদি বিমুখ তা অবলম্বন কর, তবে আমি তোমাদের কাছে কোন রকম বিনিময় কামনা করিনা।আমার বিনিময় হল আল্লাহর দায়িত্বে। আর আমার প্রতি নির্দেশ রয়েছে যেন আমি আনুগত্য অবলম্বন করি। (সূরা ইউনুসঃ৭২)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
مَنْتَعَلَّمَعِلْمًامِمَّايُبْتَغَىبِهِوَجْهُاللَّهِعَزَّوَجَلَّلَايَتَعَلَّمُهُإِلَّالِيُصِيبَبِهِعَرَضًامِنَالدُّنْيَالَمْيَجِدْعَرْفَالْجَنَّةِيَوْمَالْقِيَامَةِيَعْنِيرِيحَهَا
“যে জ্ঞানের মাধ্যমে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জন করতে হয়, তা যদি কোন ব্যক্তি শুধু এ উদ্দেশ্যে শিক্ষা করে যে, তা দ্বারা দুনিয়ার সামগ্রী সংগ্রহ করবে, তাহলে সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবেনা। (আবু দাউদ)
ماينافيالإخلاصفيالدعوة
যে সমস্ত দোষ-ত্রুটি দাঈর ইখলাস ও তার আমল বরবাদ করে দেয়ঃ
যে সমস্ত দোষ-ত্র“টি দাঈর ইখলাস ও তার আমল বরবাদ করে দেয়, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে রিয়া বা মানুষকে দেখানো, শুনানো, কিংবা সমাজের নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করার জন্য দাওয়াতী কাজ করা।দাওয়াতী কাজে যাতে এখলাস বা একনিষ্ঠতা বজায় থাকে সেজন্য নিম্নলিখিত মুসবীত গুলো থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
(১) সুখ্যাতি, সুনাম ও মানুষের মধ্যে প্রসিদ্ধ হওয়ার মনোবাসনা নিয়ে দাওয়াতী কাজ করাঃ
একজন দাঈ যখন এমন সব প্রোগ্রামে যোগ দেয়ার জন্য তৎপর হবে, যেখানে যোগ দিলে তার নাম ছড়িয়ে পড়বে, তার ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পাবে এবং যেখানে যোগ দিলে তার নাম কম ছড়াবে সেখানে যোগ দিতে যদি অনিহা দেখা যায়, তখন অনুমান করা যাবে উক্ত দাঈর মধ্যে ইখলাসের কমতি রয়েছে।
(২) নেতৃত্ব ও সম্মানের আসনের প্রতিলোভঃ
নেতৃত্ব ও সম্মানের আসনের প্রতি লোভ দাঈর আমল ও ইখলাসকে নষ্ট করে দেয়।যদি দেখা যায় দাঈকে কোন মজলিসের পিছনে রসা রিতে বসতে দিলে বা প্রচার পত্রে নাম পিছনে থাকলে কিংবা প্রধান অতিথি হিসাবে দাওয়াত না দিলে মজলিসে বা সভায় উপস্থিত হয় না, তখন বুঝতে হবে যে দাঈর মধ্যে ইখলাসের অভাব রয়েছে।
(৩) মানুষের সন্তুষ্টি ও প্রশংসা অর্জনের জন্য দাওয়াতী কাজ করাঃ
দাঈর অবস্থা যদি এমন হয় যে সে চায় মানুষের তার প্রশংসা করুক, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সে এমন বক্তৃতা প্রদান করে, যা শুনে মানুষ খুশী হয় এবং তাকে মারহাবা জানায়, সে অধিকাংশ ঐ সমস্ত লোকের প্রতি আকৃষ্ট হয় যারা তার প্রশংসা করে আর যারা তার ভুলত্র“টি ধরিয়ে দিতে চায় কিংবা সংশোধন করতে চায় তাদেরকে কাছেই ভিড়তে দেয়না তাহলে মনে করবেন সেই দাঈকে আরো ইখলাসের সবক নিতে হবে।
(৪) দাওয়াতী কাজকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসাবে বেছে নেয়াঃ
এর আলামত হচ্ছে, দাঈ সব সময় এমন কাজে আঞ্জাম দিতে ব্যস্ত থাকবে বা এমন মাহফিলে যোগদান করতে প্রবল আগ্রহ দেখাবে যেখানে গেলে অর্থ পাওয়া যাবে।অপর পক্ষে যেখানে দাওয়াতী কাজের ব্যাপক প্রয়োজন রয়েছে, কিন্তু অর্থ পাওয়া যাবে না বা পাওয়া গেলেও তার পরিমাণটা তেমন বড় নয়, সেখানে উপস্থিত হতে মোটেই আগ্রহ দেখায় না; বরং সেখানের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নবী বলেন,
مَنْتَعَلَّمَعِلْمًامِمَّايُبْتَغَىبِهِوَجْهُاللَّهِعَزَّوَجَلَّلَايَتَعَلَّمُهُإِلَّالِيُصِيبَبِهِعَرَضًامِنَالدُّنْيَالَمْيَجِدْعَرْفَالْجَنَّةِيَوْمَالْقِيَامَةِيَعْنِيرِيحَهَا
“যে জ্ঞানের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হয়, তা যদি কোন ব্যক্তি শুধু এ উদ্দেশ্যে শিক্ষা করে যে, তা দ্বারা দুনিয়ার সামগ্রী সংগ্রহ করবে, তাহলে সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। (আবু দাউদ)
আমি একথা বলতে চাচ্ছি না যে, দ্বীনী শিক্ষা প্রদান বা ওয়াজ-নসীহত ও বক্তৃতা করে অর্থ গ্রহণ করা জায়েয নয়। শুধু এতটুকু বলতে চাচ্ছি যে, অর্থ উপার্জনই যাতে মূল উদ্দেশ্য না হয় এবং অর্থটাই যেন দাওয়াতী কাজের ক্ষেত্রে প্রাধান্য না পায়।আমাদের সমাজে মুখলিস তথা একনিষ্ঠ দাঈর যথেষ্ট অভাব রয়েছে। দাঈদের ভিতরে ইখলাসের কমতি থাকার কারণে দাওয়াতী কাজে কাঙ্খিত বরকত হচ্ছে না।আমার মনে হয় একারণেই আমাদের তথা আহলে হাদীছ সমাজের দাঈদের ভিতরে মতভেদ ও দলাদলি বিদ্যমান রয়েছে।
كيفيختبرالداعيةإخلاصه؟
দাঈ কিভাবে তার ইখলাস পরীক্ষা করবে?
দাঈর মধ্যে কতটুকু ইখলাস বিদ্যমান রয়েছে, তা অপর মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। কারণ এটিএকান্ত ব্যক্তিগত ও অন্তরের সাথে সম্পৃক্ত। দাঈর ইখলাসের অবস্থা দাঈ নিজে এবং এক আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো পক্ষে জানা সম্ভব নয়।
আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
يَعْلَمُخَائِنَةَالأعْيُنِوَمَاتُخْفِيالصُّدُورُ
“চোখের চুরি এবং অন্তরের গোপন বিষয় তিনি জানেন”। (সূরা মুমিনঃ ১৯)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
التَّقْوَىهَاهُنَاالتَّقْوَىهَاهُنَاالتَّقْوَىهَاهُنَايُشِيرُإِلَىصَدْرِهِثَلاَثًا
“তাকওয়ার স্থান হচ্ছে এখানে, তাকওয়ার স্থান হচ্ছে এখানে, তাকওয়ার স্থান হচ্ছে এখানে- কথাটি তিন বার বলে নবীসা ল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বুকের দিকে ইঙ্গিত করেছেন”। সুতরাং কোন দাঈ তার দাওয়াতী কাজে কত টুকু মুখলিস তা অন্য কারো পক্ষে পরীক্ষা করা অসম্ভব। সে নিজেই অনুমান করতে পারবে সে তার কাজে মুখলিস কিনা। আমরা অনেক সময় কারো সুন্দর বক্তৃতা, লেখা, জুমআর খুৎবা এবং বাহ্যিক আচার-আচরণ দেখে চট করে বলে দেই অমুক আলেম বা দাঈ খুব মুখলিস।এভাবে ইখলাসের সার্টিফিকেট দেয়া সম্পূর্ণ অন্যায়। সালাফে সালেহীন থেকে এভাবে জোর দিয়ে কাউকে মুখলিস বানানোর উদাহরণ খুজে পাওয়া যায় না।কারো প্রশংসা করতে হলে এভাবে বলতে হবে যে, অমুক ব্যক্তি সম্পর্কে আমি এরূপ ধারণা করি, তবে আল্লাহই তার অন্তরের অবস্থা সম্পর্কে ভাল জানেন।
দাঈ যখন নির্দিষ্ট কোন দাওয়াতী কাজে নামবে, তখন নামার আগে চিন্তা করবে সে কি উদ্দেশ্যে কাজটি করতে যাচ্ছে।এতে করে সহজেই সে তার ইখলাসের পরীক্ষা নিতে পারবে।যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন উদ্দেশ্য হয়, তাআল্লাহর উপর ভরসা করে দ্রুত গতিতে সেদিকে অগ্রসর হবে।আর যদি অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকে তাহলে জোর করে হলে ও তার অন্তর কে ইখলাসের উপর থাকতে বাধ্য করবে ।যেমনটি করতেন সালাফে সালেহীনগণ।
কোন দাঈর জন্য যদি নির্দিষ্ট কোন কাজ থাকে এবং সে কাজটি তারই মত অন্য কোন দাঈ করে ফেললে তার মধ্যে যদি কোন প্রকার আক্ষেপ না থাকে তাহলে বুঝতে হবে উক্ত দাঈর মধ্যে ইখলাসের প্রভাব রয়েছে।আর যদি কাজটি নিজে না করার কারণে তার মধ্যে আক্ষেপ ও আফসোস থাকে, তা হলে দেখতে হবে আফসোসটি কি কারণে? যদি এজন্য হয় যে অন্য লোক কাজ টি করে ছাওয়াব নিয়ে গেল এবং সে ছাওয়াব থেকে বঞ্চিত হলো, তাহলেও বুঝবে যে সে একজন মুখলিস দাঈ।অপর পক্ষে তার আফসোস ও হতাশা যদি এজন্য হয় যে অন্যরা কাজটি করে অর্থ ও পার্থিব স্বার্থ কামিয়ে নিলো, যা তার প্রাপ্য ছিল তাহলে বুঝতে হবে তার ইখলাস রোগাক্রান্ত হয়ে গেছে। তার উচিত দ্রুত ইখলাসের চিকিৎসা করা।মোট কথা দাঈ সব সময় তার ইখলাসের খোঁজ-খবর নিবে এবং তাতে কোন প্রকার ত্র“টি-বিচ্যুতি হলে আত্মসংশোধনের দিকে ফিরিয়ে আনার অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
مايعينعلىالإخلاصفيالدعوة
দাওয়াতী কাজে ইখলাস বৃদ্ধির উপায় সমূহঃ
(১) দাঈ বেশী করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীদের জীবনী অধ্যায়ন করবে।তাদের জীবনীতে রয়েছে, ইখলাসের এক অনুপম দৃষ্টান্ত ।একজন দাঈ কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীদের জীবনী থেকে অবশ্যই শিক্ষা নিতে হবে।রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী, পূর্ববর্তী যুগের আলেম ও দাঈ গণ নিজেদের উপার্জিত ও পৈত্রিক সম্পদ ব্যয় করে দ্বীনী জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং তা প্রচার করেছেন।বর্তমান যুগের দাঈ দেরকে পূর্ব যুগের দাঈ দের জীবনী অনুসরণ করতে হবে।সামর্থ থাকলে দাওয়াতী কাজের বিনিময় না নিয়ে দাওয়াতের পথে ব্যয় করতে হবে।দাঈ কেমনে রাখতে হবে দাতার হাত গ্রহীতার হাত থেকে উত্তম।
(২) দাঈর জন্য আল্লাহ্তাআলা যে, মহান পুরস্কার নির্ধারিত করে রেখেছেন দাঈ সেইপু রস্কারের মোকাবেলায় দুনিয়া রক্ষণ স্থায়ী সম্পদকে তুচ্ছ ও নগণ্য মনে করবে।
(৩) দাঈ সব সময় তার আমল গুলো গোপন রাখার চেষ্টা করবে।পূর্ব যুগের ন্যায় পরায়ন ব্যক্তি গণ তাদের সৎ আমল গোপন রাখতেন। তাদের ইখলাসের মধ্যে যাতে কোন ত্র“টি না হয় সেজন্যই তারা এমনটি করতেন।
(৪) দাঈ তার দাওয়াতী কাজে রিয়া তথা লোক দেখানোর প্রবণতা থেকে দূরে থাকবে।রিয়া এসে গেলে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেতা ধমন করার চেষ্টা করবে।
(৫) দাঈ সব সময় মনে রাখবে যে, মহান আল্লাহ্সর্বদা তার সকল কাজ কর্ম পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তার অন্তরের গোপন অবস্থা সম্পর্কে অবগত আছেন
শেষ কথাঃ
দাঈর ইখলাসের মূল্যায়নে এটি আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রস্তাবনা। এটি আমার জন্য এবং যে সমস্ত দাঈ ভাই আল্লাহর দিকে মানুষকে আহবান করছেন তাদের উপকারে আসবে বলে আশা করি। আমার দৃষ্টিভঙ্গী ভুল ও হতে আবার সঠিকও হতে পারে। সঠিক হয়ে থাকলে তা আল্লাহর পক্ষ হতে। আর ভুল হলে আমার ও শয়তানের পক্ষ হতে। আল্লাহ যেন আমাকে এবং সকল দাঈ ভাইকে ইখলাসের সাথে দ্বীনের দাওয়াতে আঞ্জাম দেয়ার তাওফীক দেন। আমীন।