
বিজ্ঞানের ভাবনায় মি‘রাজ
বিজ্ঞানের ভাবনায় মি‘রাজ
রচনায়: আল-বারাদী*
আধুনিক বিশ্বে বিস্ময়কর আবিষ্কারের যুগে মানব সভ্যতার উৎকর্ষের সাথে সাথে নাস্তিকতার প্রতিযোগিতাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মানব সমাজ ধর্মের সংস্কারে ব্রত হয়ে বস্তুবাদী ধর্মনিরপেক্ষ তথা ইসলাম পরিপন্থী নাস্তিকতাপূর্ণ কর্মে লিপ্ত হয়েছে। তারপরেও কিছু মানুষের ইসলামী মূল্যবোধ ও মনুষ্যত্ববোধ রয়েছে, যদিও তা এক প্রকার পার্থিব মোহ দ্বারা আচ্ছাদিত। মানুষের মাঝে মানবতা হ্রাস পেলেও আধুনিকতা ঠিকই বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমান বিশ্বে গবেষণার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ আল-কুরআন এবং সর্বোত্তম বিষয় আল-ইসলাম।প্রায় সাড়ে চৌদ্দ শ’ বছর পূর্বে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। কালের আবর্তনে যুগে যিগে বিভিন্ন বিস্ময়কর আবিষ্কারের সূত্র উদ্ভাবনের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের নিকটেও কুরআনের গ্রহনযোগ্যতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা নির্দ্বিধায় স্বীকার করেছে ইসলামই পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা, কুরআন –সুন্নাহ কালজয়ী ও সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানের এ উৎকর্ষের যুগেও কিছু নাস্তিক বিজ্ঞানী মি’রাজকে অস্বীকার করে বলেছে, মি’রাজে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্বশরীরে গমন করা অসম্ভব। কিন্তু অপরদিকে আরেকদল বিজ্ঞানী গবেষণা করে দৃঢ়তার সাথে একথা স্বীকার করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বশরীরেই মি’রাজে গমন করেছিলেন। এর স্বপক্ষে তারা অকাট্য প্রমাণ ও যুক্তি পেশ করেছেন। নিম্নে এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা করা হ’ল-
‘মি’রাজ’ مِعْرَاجٌ আরবী শব্দ। শাব্দিক অর্থ-চড়ার বাহন তথা সিঁড়ি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সপ্তম আকাশে একটি বিশেষ সিঁড়ির মাধ্যমে গমন করেছিলেন বলে ঐ ‘ইসরা’ সফরকে মি’রাজ বলা হয়।
পবিত্র মক্কা নগরী থেকে জেরুযালেম সফরে পৌছাতে একটি দ্রুতগামী উটের সময় লাগত দীর্ঘ এক মাস এবং ফিরতে এক মাস সময় লাগত।১ দীর্ঘ দু’মাসের পথ এবং সেই সঙ্গে যমীন থেকে সপ্তম আসমান পর্যন্ত পাঁচ হাযার বছর চলার পথের অকল্পনীয় দূরত্ব কোন এক রাতের কিয়দাংশে শেষনবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অতিক্রম করেন এবং প্রত্যাবর্তন করেন। আর ঘটনাটি ইসলামের পরিভাষায় মি’রাজ নামে অভিহিত। ইসরা সফরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা’আলার সান্নিধ্য লাভ করেন। মি’রাজ সংঘটিত হওয়ার সঠিক সন ও তারিখ নিয়ে বিভিন্ন মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। তবে নির্ভরযোগ্য মত হ’ল, নবুওয়াতের দশম সনে খাদীজা (রাঃ) মৃত্যুর পর এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মদীনায় হিজরতের কিছুদিন পূর্বে মি’রাজ সংঘটিত হয়।২
বুরাক্ব ও সিঁড়িঃ
বুরাক্ব একটি সাদা জন্তু। গাধা ও খচ্চরের মাঝামাঝি ধরণের। তার দু’টি উরুর মাঝে দু’টি ডানা ছিল। যা তার পা দু’টির কাছাকাছি ছিল।৩ আকৃতি মানুষের চেহারার মত। পায়ের খুরগুলি জন্তুর ক্ষুরের মত। লেজটা বলদের লেজের মত। তাছাড়া সামনে পিছনে দেখতে অনেকটা ঘোড়ার মত ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এতে সওয়ার হয়ে মসজিদুল হারাম থেকে বায়তুল মুক্বাদ্দাস পর্যন্ত ভ্রমণ করেন।
বিশিষ্ট তাবেঈ সাঈদ ইবনুল মুসাইয়েব বলেন, এই বুরাক্ব সেই জন্তু, যার উপর সওয়ার হয়ে ইবরাহীম (আঃ) স্বীয় পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-কে সিরিয়া থেকে মক্কায় দেখতে আসতেন। বুরাক্বের দৃষ্টি যতদূর পর্যন্ত পৌছত, ততদূর দূরত্বে লাফ দিয়ে পা ফেলত।৪
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমি যখন বায়তুল মুক্বাদ্দাসের কর্মসূচী থেকে অবসর পেলাম, তখন একটি সিঁড়ি আমার কাছে নিয়ে আসা হল, যার নীচে উপরে যাতায়াতের ধাপ ছিল। এর চেয়ে সুন্দর জিনিস আমি আর দেখিনি। এটা সেই সিঁড়ি যার……… মরণাপন্ন ব্যক্তি চেয়ে থাকে যখন তার কাছে মরণ এসে হাযির হয়।৫ এই সিঁড়ির সাহায্যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম আসমান গমন করেন। এ সিঁড়িটি কিরূপ ছিল, তা আল্লাহ তা’আলাই অবগত আছেন। ইদানিং পৃথিবীতে আবিষ্কৃত অনেক স্বয়ংক্রিয় লিফ্ট আকারে সিঁড়ি রয়েছে। তাই এই অলৌকিক সিঁড়ি সম্পর্কে সন্দেহের কোন কারণ থাকতে পারে না।
বিজ্ঞান ও যুক্তির নিরিখে মি’রাজঃ
পৃথিবীর আকাশ থেকে তার নিকটবর্তী আকাশের দূরত্ব পাঁচশ’ বছর চলার পথ। অনুরূপভাবে সপ্তম আকাশ পর্যন্ত প্রত্যেক আকাশের মাঝের দূরত্ব সমান। এরপর সপ্তম আকশের উপ্র থেকে ‘আরশে আযীম’ পর্যন্ত পাঁচশ’ বছর চলার পথ। আর মানুষের মাথার উপর থেকে পাঁচ হাযার বছর চলার পথের দূরত্ব আরশে আযীম অবস্থিত।৬ এই দূরত্বকে সামনে রেখে নাস্তিক বিজ্ঞানীরা বলেন, একজন মানুষের পক্ষে স্বশরীরে মি’রাজে গমন করা অসম্ভব। তারা বিশ্ব সভ্যতার উৎকর্ষে বিস্ময়কর আবিষ্কারের নব শিহরণে শিহরিত হয়ে একটি প্রকৃত সত্যকে অস্বীকার করলেও তারা স্বীকার করেন যে, কৃত্রিম-অকৃত্রিম সকল প্রকার সৃষ্টির পেছনে একজন স্রষ্টা স্বয়ং বিদ্যমান।
এ শ্রেণীর বিজ্ঞানীদের ধারণা মহাশূন্যের জ্যোতিষ্কের ভেতর দিয়ে মি’রাজে গমন কিছুতেই সম্ভব হ’তে পারে না । নিম্নে মি’রাজ সম্পর্কিত তাদের প্রধানত তিনটি উদ্ভট যুক্তি ও এর সমাধান তুলে ধরা হ’ল-
(ক) মহাশূন্যে হাযার নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ পেরিয়ে মি’রাজে গমন করা অসম্ভব। কেননা স্থুল মানবদেহ মধ্যাকর্ষণ শক্তি ছেদ করে, জ্যোতিষ্কমণ্ডলী ভেদ করে মহাশূন্য পেরিয়ে যেতে সক্ষম নয়। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ সমস্ত কিছু অতিক্রান্ত করার সময় আবর্তিত নক্ষত্রের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অগ্নির লেলিহান শিখায় নিমেষের মধ্যে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যাবেন। কোনক্রমেই মি’রাজে গমন সম্ভব হ’তে পারে না।
সমাধানঃ
এর অন্যতম জবার হচ্ছে- বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার মহাকাশ যান ‘পাথ ফাইডার’। এই পাথ-ফাইডার পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি ভেদ করে গ্রহ, উপগ্রহ পেরিয়ে নির্দ্বিধায় মহাশূন্য বিজয় করেছে। এ থেকে বিজ্ঞান স্বীকার করতে বাধ্য যে, স্থূল মানবদেহ মধ্যাকর্ষণ শক্তিকে উপেক্ষা করে সামনে অতিক্রম করতে সক্ষম।
আর দেহ ভস্মীভূত হওয়ার ব্যাপারেও উপরোক্ত আলোচনাই যথেষ্ট। এর আরো প্রমাণ হচ্ছে কোন স্থূল দেহ যদি এমন গতিসম্পন্ন হয়, যা বিদ্যুতের গতির ন্যায়, সেক্ষেত্রে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডের ভিতর দিয়ে অতিক্রম করলেও দেহের কোন ক্ষতি হ’তে পারে না। যেমন- একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে তার জ্বলন্ত অগ্নিশিখার ভেতর দিয়ে দ্রুত থেকে দ্রুততর গতিতে একটি আঙ্গুল চালনা করলে আঙ্গুল যেমন কোন প্রকার তাপের স্পর্শ অনুভব করে না, তেমনি মহাশূন্যের অসংখ্য নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহের মাঝে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যাত্রা বিশেষ পদ্ধতিতে দ্রুত থেকে দ্রুততর গতিতে সংঘটিত হওয়ার ফলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কোন ক্ষতি হয়নি। সুতরাং নিঃসন্দেহে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মি’রাজ স্বশরীরে হয়েছিল।
(খ) প্রাকৃতিক বাধা উপেক্ষা করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মসজিদে আক্বছার ছবি কিভাবে প্রদর্শন করানো হ’ল?
সমাধানঃ
আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার হচ্ছে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল। এর মাধ্যমে এক দেশের আচার-অনুষ্ঠান, সংস্কৃতি পৃথিবীর অন্যান্য দেশে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। অর্থাৎ বস্তু সংযোগের ফলশ্রুতিতে আজ যে প্রদর্শনীয় কাজ সম্ভব হয়েছে, ঠিক সাড়ে চৌদ্দশ’ বছর পূর্বেও তা সম্ভব ছিল। কেননা বস্তুর মধ্যে সেদিনও বর্তমান গুণাবলী বিদ্যমান ছিল। শুধুমাত্র সংযোগের প্রয়োজন ছিল, যা আজ বিজ্ঞানী পন্থায় সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু সেদিন স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা এই সংযোগের ব্যবস্থা করেছিলেন। আর এতে অবাক হওয়ার কোন কারণ থাকতে পারে না। আল্লাহ তা’আলাই সর্বশক্তিমান, তাঁর ইচ্ছা, ইশারাই যেকোন সৃষ্টি পূর্ণাঙ্গ রূপ ধারণ করতে সক্ষম। অতএব প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইসরা সফর প্রকৃতপক্ষেই সত্য।
(গ) পৃথিবীতে এত অল্প সময় অতিক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের মি’রাজ কিভাবে সংঘটিত হ’ল?
সমাধানঃ
আলোচ্য প্রশ্নের সমাধানে ‘টাইম লস ও টাইম গেইন’ ব্যাপারটিকে বিবেচনা করা যেতে পারে। কোন ব্যক্তি পূর্ব দিকে গমন করলে সময় হারায়।আবার পশ্চিম দিকে গমন করলে সময় যোগ হয়। কারো গতি যদি পৃথিবীর আবর্তনের গতির দ্বিগুণের সমান হয়, তবে দ্বিগুণ সময় হারাবে। আবার অপরদিকে পশ্চিমে হ’লে দ্বিগুণ সময় অর্জন করবে। এর এতে স্থির ব্যক্তির সাথে উভয়ের সময়ের বিরাট পার্থক্য ঘটবে। বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের মতে, বিশ্ব প্রকৃতির কোন স্ট্যান্ডার্ড সময় নেই। সব সময়ই আপেক্ষিক। সুতরাং মি’রাজের সময় গতিশীল, আর আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গতিশীল সময় যাপনের সাথে পৃথিবীর স্থির মানুষের সময়ের পার্থক্য ঘটা খুবই স্বাভাবিক। এ ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক অন্য একটি সূত্রও প্রয়োগ করা যেতে পারে। পৃথিবীর কেন্দ্রে এক মিনিট কোণ উৎপন্নকারী দু’টি রেখা ভূপৃষ্ঠের যে অংশ ছেদ করবে, সেখানে রেখা দু’টির দুরত্ব এক নটিক্যাল মাইল। এই দু’বাহুর বির্ধিতাংশ যখন সৌরজগৎ অতিক্রম করবে, তখন সেখানে দু’রেখার মধ্যবর্তী মধ্যবর্তী স্থানের দূরত্ব ও সময়ের অনুপাত পৃথিবীর এক মিনিট ও এক নটিক্যাল মাইলের তুলনায় সাড়ে বাইশ বছরের সমান।৭ মি’রাজের রাত্রে নিশ্চয়ই এটা অসম্ভব ছিল না। সুতরাং পৃথিবীর অতি অল্প সময় অতিক্রম হওয়ার সঙ্গে অনুপাত করে দেখা যায় দীর্ঘ সময়ের মি’রাজ সংঘটিত হওয়া সম্ভব।
মি’রাজ এটাও প্রমাণ করে যে, প্রায় সাড়ে ১৪শ’ বছর পূর্বেও এই বিস্ময়কর বিজ্ঞান ছিল এবং কুরআন- সুন্নাহ তার প্রধান উৎস। মি’রাজ সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রী বেলায় ভ্রমন করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আক্বছা পর্যন্ত। যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি। যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণশীল ও দর্শনশীল (ইসরা ১)
মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল ও মনোনীত বান্দা ছিলেন। আল্লাহর ক্ষমতার কাছে সকল প্রকার সম্মিলিত ক্ষমতা দুর্বল ও অকেজো। তিনি তাঁর মনোনীত বান্দার প্রতি সর্বদা সাহায্যকারী। তাই নবুঅতকে আরো দৃঢ় করার জন্য ইসরা অভিযান সংঘটিত করেন এবং বিভিন্ন অলৌকিক নিদর্শন দেখান।
মি’রাজ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ও ছহীহ হাদীছে যে সমস্ত দলীল পাওয়া যায় এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তা-গবেষণায় যে প্রমাণিকতা বিদ্যমান তাতে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মি’রাজ স্বশরীরে হয়েছিল, স্বপ্নযোগে নয়। আল্লাহ আমাদের সঠিক আকিদা পোষণের তাওফীক্ব দান করুন- আমীন !
তথ্যসূত্র :
*আরবী বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
১. তাহযীবু সীরাতে ইবনে হিশাম, পৃঃ ৯১ ।
২. ছফিউর রহমান মুবারকপুরী, আর-রাহীকুল মাখতূম, পৃঃ ৬৬।
৩. তাফসীরে ত্বাবারী, ১৫ খণ্ড, পৃঃ ৩।
৪. ইবনু হাজার আসক্বালানী, ফাৎহুল বারী শরহে বুখারী, ৭/২০৬-৭ পৃঃ ।
৫. তাহযীবু সীরাতে ইবনে হিশাম, ১ম খণ্ড, পৃঃ ৯২ ।
৬. রাদ্দুল ইমাম দারেমী আলাল মুরীসী, পৃঃ ৭৩ ও ৯০।
৭. মোঃ শাহাদাত হোসেন, নিবন্ধঃ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে মি’রাজ, দৈনিক ইত্তেফাক ২০০১ ইং ।
( মাসিক আত-তাহরীকের পুরনো সংখ্যা থেকে গৃহীত)