গীবত করার প্রতি উদ্বুদ্ধকারী বিষয়সমূহ
গীবত করার প্রতি উদ্বুদ্ধকারী বিষয়সমূহ
১। রাগ ও ক্রোধঃ রাগ ও ক্রোধের বশবর্তী হয়ে অনেকে গীবত করে থাকে। অথচ রাগ দমন করা একটি মহৎ গুণ।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল উভয় অবস্থায় দান করে থাকে, ক্রোধকে সংবরণ করে থাকে আর মানুষের অপরাধকে মার্জনা করে থাকে, মহান আল্লাহ এই জাতীয় সৎকর্মশীলদেরকে ভালবাসেন” (আলে ইমরান, আয়াত নং-১৩৪) ।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি (কোন বিষয়ে রাগ হলে) তার রাগকে দমন করে নিবে অথচ সে ঐ বিষয়ে তার রাগকে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম, একারণে আল্লাহ তা‘আলা পরকালে তাকে সমস্ত সৃষ্টিকুলের সামনে ডেকে “হুরদের ব্যাপারে স্বাধীনতা দিবেন। সে যত সংখ্যক হুর চাইবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে তাদের সাথে বিয়ে দিয়ে দিবেন”(সহীহুল জামে হা/ ৬৫২২)।
২। নিজেকে বড় মনে করা আর অপরকে ছোট মনে করাঃ
এই অসৎ উদ্দেশ্যের কারণে বহু মানুষ একে অপরের গীবত করে থাকে। অথচ এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “কোন মানুষের অমঙ্গলের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে নিজ মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ মনে করবে” (সহীহ মুসলিম)।
৩। খেলাধূলা ও হাসিঠাট্টা করাঃ অর্থাৎ খেল তামাসা ও ঠাট্টা মশকরা করতে গিয়ে বিনা প্রয়োজনে অনেক সময় মানুষ অন্য লোকের দোষ বর্ণনা করতে থাকে। আবার অনেকে এই সমালোচনা দ্বারা নিজের জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থা করে থাকে। নাবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই ধরণের লোকদের সম্পর্কে বলেছেন,
“দুর্ভোগ ঐ ব্যক্তির জন্য, যে মানুষকে হাসানোর জন্য মিথ্যা কথা বলে। দুর্ভোগ তার, দুর্ভোগ তার” (সহীহুল জামে হা/৭১৩৬) ।
৪। একে অপরের কথায় মিল দিয়ে চলাঃ বন্ধু-বান্ধবের সাথে মিল মিল দিয়ে চলা এবং তাদের কথার কোন প্রতিবাদ না করে বাহ্যিকভাবে তা সমর্থন করা। কারণ প্রতিবাদ করলে তাকে তারা বিদ্রোহী মনে করবে ও খারাপ ভাববে। এই প্রকৃতির লোকদের রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিম্নের বানী স্মরন রাখা উচিত।
“যে ব্যক্তি মানুষকে নাখোশ রেখে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে চায়, আল্লাহ তা‘আলাই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবেন মানুষের সাহায্যের মোকাবেলায়। আর যে ব্যক্তি মানুষের সন্তুষ্টি কামনা করে মহান আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করে, আল্লাহ তাকে মানুষের নিকট সোপর্দ করে দেবেন”(সহীহুল জামে হা/৬০৯৭)।
৫। হিংসা-বিদ্বেষঃ হিংসা-বিদ্বেষের তাড়নায় অনেকে অপরের গীবতে জড়িয়ে পড়ে। এই হিংসা-বিদ্বেষ শরিয়াতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ তথা হারাম। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,“তোমরা একে অপরের সাথে হিংসা-বিদ্বেষ কর না” (সহীহ বুখারী)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)আরো বলেছেন,
“তোমাদের মধ্যে প্রবেশ করেছে তোমাদের পূর্ববর্তী জাতির রোগ তথা হিংসা-বিদ্বেষ ও ঘৃণা।আর এ ঘৃণাবোধ হলো মুণ্ডনকারী বিষয়। এটা চুল মুণ্ডনকারী নয়; বরং দ্বীন অর্থাৎ ইসলাম ধর্মকে মুণ্ডনকারী” (সহীহুল জামে হা/৩৩৬১)।
৬। বেশী বেশী অবসরে বা বেকার থাকা আর ক্লান্তি অনুভব করাঃ
এধরণের মানুষই বেশী বেশী অপরের গীবত করে থাকে। কারণ তাদের কোন কাজ থাকে না। সময় কাটানোর মাধ্যম হিসাবে তারা ঐ নোংরা পথকে বেছে নেয়।এই ধরণের লোকদের উচিত হবে অবসর সময়কে আল্লাহর আনুগত্যে, ইবাদাতে, ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনে এছাড়া দুনিয়া ও আখিরাতের উপকারে আসে এমন কাজে ব্যয় করা। তাহলে তারা অন্যের সমালোচনা করার সময় পাবে না।এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
“দুটি নেয়ামত এমন রয়েছে,যার ব্যাপারে অনেক মানুষ ধোঁকাগ্রস্ত রয়েছে।সুস্থতা ও অবসর।” (সহীহ বুখারী হা/২৯১)
আর এজন্যইরাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অন্য একটি হাদীসে বলেছেন,
“তুমি ৫টি বস্তুকে ৫টি বস্তুর পূর্বে মূল্যায়ন করবে অর্থাৎ বিশেষভাবে গুরুত্ব দিবে।যৌবন কালকে বার্ধক্য আসার পূর্বে, সুস্থতাকে অসুস্থতার পূর্বে, সচ্ছল অবস্থাকে অসচ্ছল অবস্থা আসার পূর্বে, অবসর সময়কে ব্যস্ততার পূর্বে, জীবনকে মরণ আসার পূর্বে”। (সহীহুল জামে হা/১০৭৭)
৭। নিজে নিজের প্রশংসা করা আর নিজের দোষ-ত্রুটির প্রতি কোন খেয়াল না করাঃ
এ কারণেও অনেকে গীবতের কাজে জড়িয়ে পড়ে।এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
“ধ্বংসাত্মক বিষয়গুলি হলো, অনুসৃত বখিলী ও প্রবৃত্তি এবং আত্মপ্রশংসা করা অর্থাৎ নিজে নিজের প্রশংসা করা।”(সহীহুল জামে হা/৫০)
৮। পরিবেশিত সংবাদ যাচাই-বাছাই না করে বিশ্বাস করাঃ
অনেক সময় দেখা যায়, একটা সংবাদের উপর ভিত্তি করে অনেকে অনেক কিছু বলাবলি করে। অথচ যাচাই-বাছাই করার পর অনেক সময় সংবাদটি সম্পূর্ণ ভুয়া বা মিথ্যা প্রমাণিত হয়।এ প্রসঙ্গে একটা প্রসিদ্ধ গুজবের কথা উল্লেখ করা হলোঃ সাহাবী সা‘আলাবা (রাঃ) নাকি খুবই গরীব মানুষ ছিলেন। তাই নাবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে নামায পড়া শেষ হলেই তিনি বাড়ী দৌড়ে চলে যেতেন। নাবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি এমনটি কর কেন? উত্তরে তিনি বললেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী আমাদের একটি মাত্র কাপড় আছে। তাই আমি যখন নামায পড়তে আসি তখন আমার স্ত্রী উলঙ্গ হয়ে ঘরে অপেক্ষায় থাকে। আমি বাড়ীতে গিয়ে আমার পরনের কাপড় খুলে দিলে সে তা পরিধান করে নামায আদায় করে। আর এ জন্যেই আমি নামায শেষে দ্রুত বাড়ীতে চলে যাই। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর নিকট তার জন্য সচ্ছলতার দরখাস্ত করলে নাবী কারীম(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার ধন সম্পদ বৃদ্ধির জন্য দোআ করেন। ফলে অল্প দিনেই তিনি বড় ধনী হয়ে যান। ফলে তিনি ৫ ওয়াক্ত নামাযের জন্য মাসজিদে আসা ছেড়ে দিলেন। শুধু যোহর ও আছরের নামায মাসজিদে এসে জামাআতে আদায় করতে লাগলেন। গরু-ছাগল আরো অনেক বেড়ে গেলে যোহর ও আছরেও মাসজিদে আসা ত্যাগ করলেন। তখন তিনি শুধু জুমু‘আর নামাযে শরীক হতেন। সম্পদ আরো অনেক বেড়ে গেলে তখন তিনি জুমু‘আয় আসাও বাদ দিয়ে দিলেন। এরপর নাবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক সময় তার কাছে যাকাত আদায় করার জন্য লোক পাঠালে তিনি যাকাত দিতেও অস্বীকার করলেন। ফলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার জন্য আফসোস করেন, একারণে আল্লাহ তা‘আলা তার সম্পর্কে আয়াতও নাযিল করলেন। পরবর্তীতে নিজেরাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট যাকাতের মাল নিয়ে আসলে তিনি তা ফিরিয়ে দেন। এরপর নাবী কারীম(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মৃত্যুর পর আবূ বাকর (রাঃ) এর যামানায় তিনি যাকাতের মাল নিয়ে আবূ বাকর (রাঃ) এর দরবারে হাজির হলে তিনিও তার যাকাতের মাল নিতে অস্বীকার করলেন। এমনিভাবে আবূ বাকর (রাঃ) এর পর উমার ফারুক (রাঃ) এর যামানায় তিনি যাকাতের মাল জমা দিতে আসলে উমার ফারুক (রাঃ)ও একইভাবে তার যাকাতের মাল গ্রহণ করেন নাই। এমনিভাবে উসমান (রাঃ)ও তার যাকাতের মাল গ্রহণ করেন নাই। আর এই উসমান (রাঃ) এর যামানাতেই তার মৃত্যু হয়। (আল কুরআনের গল্প শুনি পৃষ্ঠা ৪৬-৫১)। ঘটনাটি সহীহ নয়। (কাছাছুন লা-তাছবুতু ১/৪৩, কিচ্ছা নং ৩)। উক্ত ঘটনার কোন সহীহ ভিত্তি নেই। অথচ এই বানোয়াট কাহিনীর উপর ভিত্তি করেই জালীলুল ক্বদর সাহাবী সা‘আলাবা (রাঃ) সম্পর্কে কত বড় ধরণের গীবত ও জঘন্য ঘটনা মানব সমাজে প্রচলিত আছে- এটা একবার ভেবে দেখার বিষয় নয় কি? (আমাদের মাসজিদের হুজুর রামাদানে যাকাতের গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে এই ঘটনা বর্ণনা করে! তিনি আবার আরেকটু রঙ মেখে তা বলে! আফসুস! তারা একবারও ভেবে দেখে না যা, একজন সাহাবার কত মর্যাদা, তারা হলেন উম্মাতে মুহাম্মাদির শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। আর তারা ছিল নাবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর একনিষ্ঠ অনুসারী। নাবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদেরকে যা বলত তারা তা বিনা বাক্যে, নির্দ্বিধায় মেনে নিত, কোনটা ফরয আর কোনটা নফল তারা এসবের কিছুই ভাবত না, তাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল সকল ক্ষেত্রে নাবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর অনুসরণ। অথচ তাদেরকে নিয়ে এমন নোংরা জঘন্য কথা বলার পূর্বে এসব নামধারী হুজুরদের মুখ একবারও কেঁপে উঠে না!!!!
এরকমই আর একটি ঘটনাঃ দাউদ (আঃ) নাকি আওরিয়া নামক এক ব্যক্তিকে কোন এক জিহাদে প্রেরণ করেছিলেন এজন্য যে, তার স্ত্রী খুবই সুন্দরী ছিল। জিহাদে সে শহীদ হলে, তিনি তার স্ত্রীকে বিবাহ করতে পারবেন, আর বাস্তবে নাকি তিনি তাই করেছিলেন। অর্থাৎ তিনি তাকে একাধিকবার যুদ্ধে পাঠান, যাতে সে নিহত হয়। এভাবে শেষবারে সে নিহত হলে তিনি তার সুন্দরী স্ত্রীকে বিয়ে করে নিয়েছিলেন।
এ ঘটনাটিও একটি বানোয়াট ঘটনা। কোন জাহেল, মূর্খ অথবা ইসলামের শত্রুরা আল্লাহর নাবী দাউদ (আঃ) কে খাটো করে দেখানোর জন্য বা তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উক্ত ঘটনা রচনা করেছে। অথচ উক্ত ঘটনা মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত। পরিবেশিত ঘটনা বা তথ্য যাচাই-বাছাই না করার কারণে আল্লাহর নাবী ও রাসূলগণের নামেও এভাবে কখনো কখনো বড় ধরণের গীবত করা হয়ে যাচ্ছে।
আমাদের দেশে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাহাবীদের সম্পর্কে আরেকটি খুব বড় ধরণের গীবত লোক সমাজে খুবই প্রচলিত। সেটা হলো, সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) নাকি বগলে পুতুল রেখে নামায আদায় করতেন। আর এ জন্যেই নাকি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাহাবীদেরকে নামাযে রাফউল ইয়াদাইন করে নামায পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন পুতুলগুলি সব ঝরে পড়ে যায়। এ কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। অথচ এই ভিত্তিহীন কথাটি কি আলেম আর কি জাহেল সকলের মুখে সমানভাবে শোনা যায়। এই ঘটনা যদি সত্যিই হয় , তবে কেন নাবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্বয়ং নিজে রাফউল ইয়াদাইন করেছিলেন, যার স্পষ্ট প্রমাণ বুখারী ও মুসলিম শরীফের একাধিক হাদীসে রয়েছে। তবে কি নাবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-ও বগলে পুতুল নিয়ে নামাযে হাজির হতেন? (নাউজুবিল্লাহ)। জানি না, সর্ব প্রথম কোন জাহেল এই জঘন্য মন্তব্যটি করেছিল? সাহাবীদের শানে এই ধরণের বেয়াদবী,তাদের নামে এ ধরণের গীবত সত্যিকার অর্থেই খুবই অপরাধের বিষয়। আল্লাহ আমাদেরকে এ ধরণের খারাপ আক্বীদা হতে তওবা করার তাওফ্বীক দান করুক, আমীন।
‘খেলাফত ও মুলক’ নামক কিতাবে বর্ণিত উসমান ও মু‘আবিয়া (রাঃ) আর আমর ইবনুল আছ (রাঃ) ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ইতিহাসে বর্ণিত অভিযোগগুলির কোন সঠিক ভিত্তি নেই। অথচ এ সমস্ত ভিত্তিহীন ইতিহাসে পরিবেশিত ভিত্তিহীন কথাগুলিকে কেন্দ্র করে বিশেষ একটি মহল সাহাবীদের ব্যাপারে সমালোচনায় রত আছে। অভিযোগগুলির মূল বর্ণনা সূত্র হলো ঐ সমস্ত ঐতিহাসিক কিতাব, যাদের লেখকগণ স্বয়ং নিজেরাই ঐ ঐতিহাসিক বর্ণনাগুলির সত্যাসত্যের দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করেন নি। কাজেই ইতিহাসের এসব মিথ্যা ও বানোয়াট বর্ণনা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সাহাবীদের সমালোচনায় লিপ্ত হওয়া নির্বুদ্ধিতা, মূর্খতা এবং শী‘আ বা রাফেযী মতবাদের অনুকরণ করা ছাড়া আর কিছু নয়।
সূত্রঃ
বইঃ কতিপয় হারাম কাজ যেগুলিকে মানুষেরা হালকা মনে করে অথচ তা থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেকের ওয়াজিব,
লেখকঃ মুহাম্মাদ ছালিহ আল মুনাজ্জিদ , অনুবাদ ও সংযোজনঃ শাইখ আবুল কালাম আযাদ ।
How to save a file as pdf. Please give me a suggestion.