পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধে ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের এ কেমন ষড়যন্ত্র?

বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক মতবিনিমিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইমাম-খতিব, আলেম-ওলামা ও মুফতি মুহাদ্দিস-মুফাসসিরগণের সমন্বয় গবেষণা উন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভা ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁও সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তথাকথিত আলেম-ওলামাগণ বলেন, জাকির নায়েক তার পিস টিভির মাধ্যমে গ্লোবাল টেরোরিজমের বিস্তার ঘটাচ্ছেন (!) এবং এ অঞ্চলে আইএস তথা ইসলামিক স্টেট জঙ্গী গোষ্ঠীর অনুপ্রবেশের ক্ষেত্র তৈরির মদদদাতা (!) হিসেবে কাজ করছেন। আইএস ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে ২০২০ সালের মধ্যে সমগ্র ভারত থেকে চীন পর্যন্ত তাদের কর্র্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তারা বাংলাদেশকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। জাকির নায়েক নিজে লা-মাযহাবী সালাফী মতাদর্শের অনুসারী। তাই তিনি এদেশে লা-মাযহাবী ও স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-মওদুদী চক্রের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আইএসের পক্ষে (!) কাজ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

peace

তারা আরও বলেন, পিস টিভি ইসলামের আকিদা ও শরীয়ত পরিপন্থী (!) অনুষ্ঠান প্রচার করে ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনগণের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করছে। এর মাধ্যমে জঙ্গীবাদ বিস্তারের (!) পথ সুগম হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশকে টার্গেট করে তার সম্প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হতে পারে! তাই আলেমগণ বাংলাদেশে জাকির নায়েকের পিস টিভির সম্প্রচারসহ অন্যান্য প্রকাশনা বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান!

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিতর্কিত মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মীর হাবিবুর রহমান, প্রফেসর ড. এ কে এম ইয়াকুব হোসাইন, ড. মাওলানা আবদুল্লাহ আল মারুফ, ড. মাওলানা আ জ ম কুতুবুল ইসলাম প্রমুখ।

মন্তব্য…

সস্তা কয়েকটা ডিগ্রী থাকলেই তিনি আলেম হয়ে যান না। কিছু তথাকথিত আলেম কিন্তু যাদের কাজকর্ম মূর্খের ন্যায় -এমন কিছু লোককে দিয়ে বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে এই “ইসলামিক ফাউন্ডেশন”। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিতর্কিত মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সম্পর্কে আনেকেরই জানা আছে। কিছুদিন আগেই তারা ফাতাওয়া দিয়েছিলো, চেয়ারে বসে সালাত আদায় করা যাবে না। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত প্রতিটি বইয়ের উপর এখন “জাতির জনক….” লেখা হয়। আমরা যখন অপসংস্কৃতির প্রচারক স্টার জলসার মতো চ্যানেল বন্ধের দাবি তুলছি তখন “ইসলামিক ফাউন্ডেশন” কোনো সাড়াশব্দ করে না। যখন দেশীয় ইসলামিক চ্যানেল “ইসলামিক টিভি” বন্ধ করা হয় তখনও এরা টু-শব্দ করে না। অথচ পিস টিভি সারা বিশ্বে বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের মাঝে ইসলামের শাশ্বত বাণী প্রচারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। যাদের সাফল্য সম্পর্কে সবারই জানা আছে। কিন্তু এইসব তথাকথিত আলেম নামধারী ইর্ষান্বিত কিছু লোক সরকারকে ব্যবহার করে ইসলামের প্রচার-প্রসারকে কিভাবে বন্ধ করা যায়, সেই চেষ্টায় ব্যস্ত। আল্লাহ এদেরকে হেদায়াত দান করুন…. আমিন।

একের পর এক ইসলামী মিডিয়া ধ্বংসের এই হীন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সবার সামনে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রকৃত মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

দৈনিক জনকন্ঠ, ২৮/০৮/২০১৫

 

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
kiw kow kan