প্রচলিত জাল হাদীস
আল্লাহ তাআলা ইসলামকে সর্বশেষ ও চুড়ান্ত দ্বীন ও শরীয়ত হিসেবে মনোনীত করেছেন। ক্বিয়ামাত পর্যন্ত এই শরীয়তের বিধানই চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। তাই এই দ্বীনে ভিত্তিগুলোও ক্বিয়ামাত পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে। কেননা এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আল্লাহ তাআলা নিজে নিয়েছেন। যদিও ইসলামের শত্রুগণ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ইলমে হাদীসকে বিকৃত করার চেস্টা করেছে। তারা রাসূল (সা) থেকে এমন সব কথা প্রচার করেছে যা তাঁর থেকে প্রমাণিত নয়। কতক ধর্মাদ্রোহী তো অসংখ্যা উদ্ভট, ভিত্তিহীন ও বাতিল কথাকে হাদীসে রাসুল (সা) নামে মানুষের মাঝে চালিয়ে দেওয়ার অপচেস্টা করেছে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে একদল নিবেদিত প্রাণ মুহাদ্দিস হাদীস যথাযথভাবে সংরক্ষণ করেচেন। যারা দাজ্জাল ও মিথ্যুকদের মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্ভট ও জালিয়াতি মানুষের সামনে প্রকাশ করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আরবীতে অসংখ্যা কিতাব লিখা হয়েছে। মুহাক্কিকগণ এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। কিন্তু বাংলা ভাষায় এরকম বই খুবই কম। অধুনা শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ) রচিত “সিলসিলাহ যইফাহ ওয়াল মাওযুআহ” এর বাংলা অনুবাদ বের হয়েছে। যেগুলো আমরা প্রকাশ করেছি। বিভিন্ন মুহাদ্দিসের বই থেকে সংকলন করে কিছু প্রচলিত জাল হাদীস সম্পর্কে এই ছোট কিতাবটি মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মালেক-এর তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায় রচিত।
বক্ষমান গ্রন্থটি ভূমিকা ও মূল কিতাব-দু’টি অংশে বিভক্ত। ভূমিকাটি লিখেছেন মারকাযুদ্দাওয়াতিল ইসলামিয়অ ঢাকা-এর উলূমুল হাদীস বিভাগের প্রধান মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব।
ভূমিকাতে তিনি যেসব বিষয়ের আলোচনা করেছেন :
- হাদীস ও সুন্নাহ সুসংরক্ষিত
- হাদীস হেফাযতের পদ্ধতি
- হেফাযতের মর্ম
- জাল রেওয়ায়াত ও জালকারীদের পরিণতি
- কতিপয় জরুরী জ্ঞাতব্য
- সহীহ হাদীসের উত্স
- জাল রেওয়ায়াত বর্ণনা করা কবীরা গুনাহ
- হাদীস বর্ণনায় সতর্কতা অবলম্বন করা ফরয
- জাল হাদীসের পরিচয়
- কথা সঠিক হলেই হাদীস হওয়া জরুরী নয়।
- হাদীস যাচাইয়ে স্বপ্ন বা কাশফ গ্রহণযোগ্য নয়।
- শরীয়তে স্বপ্ন, কাশফ ও ইলহামের মান।
- হাদীস প্রমাণে শুধু বুযুর্গের উদ্ধৃতি যথেষ্ট নয়।
- একটি জরুরী সতর্কীকরণ প্রভৃতি।
পরিশেষে আমাদের সমাজে প্রচলিত জাল হাদীসগুলো বিশ্লেষণসহ তালিকা বিদ্যমান।
বইটি পছন্দ হলে কিনে বিতরণ করার ও নিজে কেনার অনুরোধ রইলো।
বইটি স্ক্যান করেছে এই পেজ। আপনারা লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন।