তাহক্বীক রিয়াদুস সালেহীন ( ইন্টারেকটিভ লিংকসহ)

সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ ইসলামে হাদিস বা হাদিস শাস্ত্র বলা হয় সেই জ্ঞান সম্পর্কে যার সাহায্যে রাসুল্লাহ (সঃ) এর কথা, কাজ, ইত্যাদি সম্পর্কে অগ্রগতি লাভ করা যায়। যে কাজ তার উপস্থিতিতে সম্পাদন করা হয়েছে, কিন্তু তিনি তা নিষেধ করেননি, এমন কাজও হাদিসের অন্তর্ভুক্ত। হাদিস শাস্ত্র দুই ভাগে বিভক্ত। এক ইলমে রওয়ায়েতুল হাদিস, দুই ইলমে দেবায়াতুল হাদিস। মুহাদ্দিসগন হাদিসের বিশুদ্ধতা নির্ধারনে যে বিশ্বস্তত ও আমানতদারীর পরিচয় দিয়েছেন, তা অতুলনীয়। কুরআন মজীদের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য সাহাবায়ে কিরাম যেরুপ সতর্কতা অবলম্বন করেছেন হাদিসের ক্ষেত্রেও অনেক মুহাদ্দিস তাই করেছেন। এ ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহ প্রচুর দায়িত্ব বোধের পরিচয় দিয়েছে।

মুহাদ্দিসগণ হাদিসের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা ও সাধনা করেছেন। ইমাম নববী (রহ) এই গ্রন্থের বিষয়ভিত্তিক বিন্যাসসাধনে যে পরিশ্রম ও আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা আতুলনীয়। তিনি ফিকাহর দৃষ্টিতে হাদিসের বিন্যাস করেছেন এবং প্রতিটি অধ্যায়ের শুরুতে কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করেছেন। এভাবে হাদিসের এই সংকলনকে তিনি সর্বতোভাবে সুন্দর ও সমৃদ্ধ করে তুলেছেন। এর ফলে হাদিসের এই গ্রন্থটি বিপুলভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে। ইতিপূর্বে এই গ্রন্থটি অনুদিত হলেও গ্রন্থটিতে কিছু যঈফ হাদিস থাকায় শাইখ নাসিরুদ্দিন আল আলবানি কতৃক তাহক্বীক কৃত গ্রন্থটির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তাওহীদ পাবলিকেশন্স ঢাকা এই বইটি প্রকাশ করেছে।

Tahqiq Riyadus Salehin Bangla

তাহক্বীক রিয়াযুস স্বা-লিহীন গ্রন্থের বিশেষ বৈশিষ্ট্যাবলীঃ

১. স্পেশাল ফন্টে আরবী ইবারতের পাশাপাশি বাংলা সরল অনুবাদ।
২. প্রতিটি হাদিসকে ৯টি হাদীসগ্রন্থ (বুখারী,মুসলিম, তিরমিযী, আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ,মুয়াত্তা মালিক, মুসনাদ আহমাদ ও দারেমী )র আলকে তাখরীজ করা হয়েছে।
৩. প্রতিটি হাদিসের শেষে ৯টি গ্রন্থের যে নাম্বার গুলো দেয়া হয়েছে তাতে পাঠক ও গাবেষকবৃন্দ একই বিষয়ের উপর ৯ টি গ্রন্থের কোথায় কতটি হাদিস আছে তা সহজেই জানতে পারবেন। মূল হাদিসের সাথে সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক মিল থাকা হাদিস গুলোর নাম্বার উল্লেখ করেছি। কোন হাদিসগ্রন্থে এক বিষয়ের একাধিকহাদিস থাকলে তার অধিকাংশ পুনরাবৃত্তি নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।
৪. গ্রন্থে উল্লেখিত বুখারি ও মুসলিমের হাদিস ব্যাতীত প্রতিটি হাদিস যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস শাইখ নাসিরুদ্দিন আল আলবানীর তাহক্বীক কৃত।
৫. এ গ্রন্থে আলবানীর তাহক্বীকৃত হাদিস যেগুলো যঈফ সেগুলোর চারিদিকে সিঙ্গেল বর্ডার দিয়ে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর ফুটনোটের মাধ্যমে প্রতিটি যঈফ হাদিসের দুর্বল রাবী চিহ্নিত করে এ হাদিস সম্পর্কে মুহাদ্দিস আলবানির পর্যালোচনা উল্লেখ করা হয়েছে।
৬. যে হাদিস গুলোতে আল্লামা আলবানি (রহ) তার পূর্বের মত থাকে ফিরে অন্য মত প্রকাশ করেছেন। অর্থাৎ প্রথমে যঈফ না বললেও সর্বশেষ তাহক্বীক অনুযায়ী যঈফ বলেছেন সে হাদিস গুলো হচ্ছেঃ ৪৮৮, ১৩৯৩, ১৭২০ নং হাদিস। আর তিনি প্রথম তাহক্বীকে যঈফ মন্তব্য করলেও পরে তিনি সহীহ আখ্যা দিয়েছেন আমন একটি হাদিস হচ্ছে ১৫০০ নং হাদিস।
৭. প্রতিটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুখ নিঃসৃত বাণীগুলো বোল্ড বা মোটা অক্ষরে প্রকাশ করা হয়েছে।
৮. হাদিসের নম্বরের ক্ষেত্রে বুখারীর নম্বর ফাতহুল বারীর নম্বর এর সঙ্গে, মুসলিম ও ইবনু মাজাহ ফুয়াদ আব্দুল বাকীর নম্বরের সঙ্গে, তিরমিযীর নম্বর আহমেদ শাকেরের নম্বরের সঙ্গে, আবু দাউদ মুহাম্মাদ মহিউদ্দিন আব্দুলহামিদের নম্বরের সঙ্গে, মুসনাদ আহমাদ এহইয়াউত তুরাস আল ইসলামীর নম্বরের সঙ্গে, মুয়াত্তা মালিক তার নিজস্ব নম্বরের সঙ্গে, নাসাঈর নম্বর আবু গুদ্দার নম্বরের সঙ্গে মিল রেখে করা হয়েছে।
৯. প্রতিটি হাদিসে পরিচ্ছেদের বিষয়ের সঙ্গেহাদিসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশটুকু অনুবাদে বোল্ড বা মোটা অক্ষরে দেখানো হয়েছে।
১০. মাঝে মাঝে হাদিসের অনুবাদের শেষে অনুবাদক কতৃক ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে।
১১. বাংলা সূচীপত্রের পাশাপাশি আরবী সূচীও উল্লেখ করা হয়েছে।
১২. যঈফ হাদিসের একটি আলাদা তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে।

বইটির নতুন এই ভার্সনে Interactive Link অ্যাড করা হয়েছে। মানে আপনি যখন সূচীপত্র থেকে কোন বিষয় পড়তে চাবেন, তখন আপনাকে কষ্ট করে বিষয়টা খুঁজতে হবে না। আপনি সুধু বিষয়টির উপর ক্লিক করলেই, আপনাকে সেই বিষয়টি তাৎক্ষণিক দেখানো হবে। আবার বইটির উপরে Contents অপশনে ক্লিক করলে, আপনাকে সূচীপত্র দেখাবে।

ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

ডাউনলোড

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

১টি মন্তব্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
skybet88 skybet88 skybet88 skybet88 mix parlay skybet88 slot bonus new member skybet88 skybet88 slot gacor skybet88 skybet88