কয়েকটি নির্বাচিত প্রশ্নের উত্তর
কয়েকটি নির্বাচিত প্রশ্নের উত্তর
উত্তর দিয়েছেন সউদী আরবের ইসলামী গবেষণা এবং ফতওয়া বিষয়ক স্থায়ী উলামা পরিষদ।
প্রশ্ন : অনুপস্থিত ব্যক্তি কিংবা মৃত ব্যক্তির নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা (ফরিয়াদ করা ) কি বড় কুফরী কাজ ?
উত্তর : হাঁ ,মৃত কিংবা অনুপস্থিত ব্যক্তির নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা বড় শিরক। যে এই রকম করে সে ইসলাম থেকে বেরিয়ে যায়। কারণ আল্লাহ বলেন: ( যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে ডাকে অন্য উপাস্যকে ,ঐ বিষয়ে তার নিকট কোন প্রমাণ নেই ;তার হিসাব তার প্রতিপালকের নিকট আছে,নিশ্চয়ই কাফেররা সফলকাম হবে না।) [ সূরা আল মুমিনূন/ ১১৭] ,তিনি আরো বলেন: (তিনিই আল্লাহ,তোমাদের প্রতিপালক। সার্বভৌমত্ব তাঁরই। আর তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো তারা তো খেজুরের আঁটির আবরনেরও অধিকারী নয়। তোমরা তাদেরকে আহ্বান করলে তারা তোমাদের আহ্বান শুনবে না এবং শুনলেও তোমাদের আহ্বানে সাড়া দিবে না। তোমরা তাদেরকে যে শরীক করেছো তা তারা কিয়ামতের দিন অস্বীকারকরবে। সর্বজ্ঞের ন্যায় কেউই তোমাকে অবহিত করতে পারে না। ) [ সূরা ফাত্বির /১৩-১৪]
প্রশ্ন : নবী এবং ওলীদের কবর-মাযার যিয়ারতের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করা কি জায়েয ?যেমন আমাদের নবী (সাঃ) কিংবা অন্য নবীর কবর যিয়ারত। আর এই রকম যিয়ারত কি শরিয়ত সম্মত না শরীয়ত অসম্মত ?
উত্তর : নবীগণ, নেক বান্দাগণ এবং অন্যান্যদের কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করা না জায়েয। বরং ইহা বিদআত। নবীজী বলেন, তিনটি মসজিদ ব্যতীত (নেকীর আশায়) ভ্রমণ নিষেধ: মসজিদে হারাম, আমার মসজিদ এবং আক্কসার মসজিদ।’’ তিনি (সাঃ) আরো বলেন, যে ব্যক্তি এমন কাজ করলো যার প্রতি আমাদের আদেশ নেই তা বর্জনীয়।
তবে ভ্রমণ ছাড়াই এ সবের সাধারণ যিয়ারত সুন্নত কাজ। কারণ নবী (সাঃ) বলেন, তোমরা কবরের যিয়ারত কর,কারণ ইহা আখেরাতকে স্মরণ করায়।[মুসলিম]
{ভ্রমণ নিষেধ অর্থাৎ,বেডিং পত্র নিয়ে নেকীর আশায় সফর করা। যেমন হাজী ভাইয়েরা বের হোন। আর সাধারণ যিয়ারত অর্থাৎ,বিশেষ কোন প্রস্তুতি ছাড়াই যখন ইচ্ছা তখন কবরের যিয়ারত করা। }
প্রশ্ন : ওলীদের কবরের মাধ্যমে সাহায্য চাওয়া,তাদের কবরের তওয়াফ করা,মাযারের পাথর থেকে বরকত গ্রহণ করা,তাদের উদ্দেশ্যে মান্নত করা,কবরের উপর ছায়া করা এবং তাদেরকে আল্লাহর মাধ্যম (অসীলা) মনে করার বিধান কি ?
উত্তর : ওলীদের কবরের মাধ্যমে সাহায্য চাওয়া কিংবা তাদের জন্যে মান্নত করা কিংবা তাদেরকে আল্লাহ তাআলার কাছে পৌঁছানোর জন্য অসীলা-মাধ্যম মনে করা বড় শির্ক। ইসলামী মিল্লাত থেকে বহিষ্কারকারী কাজ। যদি এ সবের সাথে জড়িত থেকে কারো মরণ হয় তাহলে সে সবসময়ের জন্য জাহান্নামী। আর কবরের তওয়াফ করা এবং তার উপর ছায়া করা বিদআত। ইহা করা হারাম এবং ইহা আল্লাহ ব্যতীত কবরবাসীর ইবাদতের বড় মাধ্যম। অনেক ক্ষেত্রে ইহা শিরকে পরিণত হয়। যেমন এই আমল যদি এই উদ্দেশ্যে করা হয যে, মৃত ওলী, এর কারণে তাকে কল্যাণ দিবে কিংবা মন্দ থেকে উদ্ধার করবে কিংবা তওয়াফের মাধ্যমে যদি মৃত ওলীর সন্তুষ্টি কামনা করা হয়।
প্রশ্ন : যে ব্যক্তি দরগাহ-মাযারে পশু বলিদান (কুরবানী) করে এবং কবরস্থ ওলীর নিকট ফরিয়াদ জানায় ,সাহায্য চায় ,নিজের লাভ ক্ষতির বিষয়ে,এ ব্যাপারে আল্লাহর বিধান কি ?
উত্তর : মাযারে পশু যবেহ করা বড় শিরক। যে ব্যক্তি ইহা করবে সে অভিশপ্ত। কারণ আলী (রাযি:) হতে বর্ণিত,নবীজী বলেন : আল্লাহর অভিশাপ হউক সে ব্যক্তির প্রতি যে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের উদ্দেশ্যে যবেহ করে।’’
প্রশ্ন : ওলী এবং নেক বান্দাদের কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করা কি জায়েয ?এরকম মসজিদে নামায পড়া কি জায়েয যদি শহরে ইহা ছাড়া কবরবিহীন মসজিদ থাকে ?
উত্তর : ওলীদের এবং সৎ বান্দাদের কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করা না জায়েয। আর এরকম মসজিদে নামায পড়াও নিষেধ। কারণ নবীজী বলেন : ‘‘আল্লাহর অভিশাপ হউক খৃষ্টান এবং ঈহুদীদের প্রতি কারণ তারা তাদের নবীদের কবরসমূহকে মসজিদ বানিয়েছে’’। [বুখারী এবং মুসলিম] তিনি (সা:) আরো বলেন : ‘‘খবরদার ! জেনে রেখো,তোমাদের পূর্বের লোকেরা তাঁদের নবী এবং নেক লোকদের কবরগুলোকে মসজিদ বানাতো,খবরদার! তোমরা কবরসমূহকে মসজিদে পরিণত করো না,আমি তোমাদের ইহা থেকে নিষেধ করে যাচ্ছি ’’[সহীহ মুসলিম ] মুসলিম শরীফের অন্য এক বর্ণনায় জাবের বিন আব্দুল্লাহ বলেন: ‘‘নবী (সাঃ) কবরকে সিমেন্টেড করতে,কবরের উপর বসতে এবং কবরের উপর কিছু নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন ’’।
প্রশ্ন : সেই ব্যক্তির পিছনে নামায পড়ার বিধান কি যে বলে যে,আল্লাহ আকাশে আছে,যমীনে আছে এবং তিনি ভূমন্ডলে বিরাজমান ( অর্থাৎ সব স্থানে আছে) তাঁর স্থান নির্ধারণে সে ভয় করতঃ এরকম বলে ?
উত্তর : আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আক্কীদাহ হল : আল্লাহ তাআলা সমস্ত সৃষ্টির উপরে আছেন। এবং তিনি তাঁর আরশে (সিংহাসনে) সমাসীন হয়েছেন,যে ভাবে তাঁকে মানায়। ইহার প্রমাণে আল্লাহর বাণী : ( রহমান আরশে সমাসীন হয়েছেন ) এবং তাঁর বাণী ( এবং তিনি সর্বোচ্চ মহান ),তিনি আরো বলেন: ( আর আল্লাহই স্বীয় বান্দাদের উপর প্রতাপশালী ) [ আনআম/৬১] এবং তাঁর বক্তব্য ঈসা (আলাইহিস্ সালাম) এর সম্পর্কে : ( বরং তিনি তাকে (ঈসাকে) তাঁর দিকে উঠিয়ে নিয়েছেন )। তিনি মহিয়ান গরিয়ান আকাশে উপাস্য এবং যমীনেও উপাস্য। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন :
( তিনিই মাবূদ নভোমন্ডলে,তিনিই মাবূদ ভূতলে ) [ যুখরুফ/৮৪] এবং তিনি আছেন সৃষ্টির সাথে,তাঁর জ্ঞানের মাধ্যমে। যেমন তিনি বলেন ( এবং তিনি তোমাদের সাথে আছেন যেখানেই তোমরা অবস্থান করো না কেন )। তাই যে বিশ্বাস রাখে যে আল্লাহ তাআলা নিজ সত্তার সাথে যমীনে আছেন,তার এ আক্কীদাহ কুরআন,সুন্নত এবং ইজমার (সর্বসম্মতের) বিপরীত। এ বিশ্বাস হুলূলী সমপ্রদায়ের,যারা বলে: আল্লাহ সব স্থানে বিরাজমান। যে এমন বলবে তাকে সঠিক বিধান জানাতে হবে। তবুও যদি সে জিদ করে নিজ কথার উপর অটল থাকে কিংবা দলীল প্রমাণ জানিয়ে দেওয়ার পরও যদি এরকম বলে,তাহলে সে আল্লাহকে অস্বীকারকারী, তার পিছনে নামায সহীহ হবে না।
প্রশ্ন : গণক এবং জ্যোতিষীদের কাছে যাওয়ার বিধান কি ?
উত্তর : গণক,জ্যোতিষী এবং যাদুগরের কাছে যাওয়া না জায়েয। তাদের কথা বিশ্বাস করাও না জায়েয। কারণ নবীজী বলেন : ‘‘যে ব্যক্তি গণক-জ্যোতিষীর নিকট যায় এবং তাকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস করে,তার চল্লিশ দিনের নামায কবূল হবে না ’’। [ মুসলিম] উক্ত হাদীসে ‘আররাফ’শব্দ ব্যবহার হয়েছে যা,গণক,জ্যোতিষী এবং যাদুগর সবকে বুঝায়। কারণ নবী (সাঃ) বলেন : ‘‘যে ব্যক্তি কাহেন তথা ভবিষ্যদ্বাণী করে এমন ব্যক্তির কাছে আসে এবং সে যা বলে তা বিশ্বাস করে,সে কুফরী করে যা মুহাম্মদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে’’। [ সুনান গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে]
প্রশ্ন : আল্লাহ ব্যতীত অন্যের কসম করা কি জায়েয ?
উত্তর : আল্লাহ ছাড়া অন্যের কসম জায়েয নয়। কারণ নবী (সা:) বলেন : ‘‘জেনে রেখো ! আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন,তোমাদের পিতা-মাতার কসম করতে। কাউকে যদি কসম খেতেই হয় তাহলে সে জেন আল্লাহর কসম খায় নচেৎ চুপ থাকে’’। [ বুখারী মুসলিম ] আবু দাউদ এবং নাসাঈর বর্ণনায় আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত,নবী (সাঃ) বলেন : ‘‘তোমরা তোমাদের বাবা মায়ের কসম করো না,আর না আল্লাহর কসম কর কিন্তু যদি সত্যবাদী হও’’। আবু দাউদ এবং তিরমিযীতে সহীহ সনদে রাসূল (সাঃ) হতে বর্ণিত : ‘‘যে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের কসম করে,সে কুফরী করে কিংবা শির্ক করে’’।
প্রশ্ন : মাইয়্যেতের কবরের উপর লোহার টুকরা কিংবা সাইন বোর্ড রাখা কি জায়েয,যাতে কুরআনের আয়াত অনুরুপ মাইয়্যেতের নাম,মৃত্যু তারিখ .. .. লেখা থাকে।
উত্তর : মাইয়্যেতের কবরের উপরে কুরআনের আয়াত কিংবা অন্য কিছু লেখা জায়েয নয়,নাতো লোহাতে আর না কোন তখতীতে আর না উভয় ব্যতীত অন্য কিছুতে। কারণ জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন: ‘‘নবী (সাঃ) নিষেধ করেছেন, কবরকে সিমেন্টেড করতে,তার উপর বসতে এবং কবরের উপর কিছু নির্মাণ করতে’’। [ মুসলিম ]
তিরমিযী এবং নাসাঈর সহীহ সনদে ইহাও এসেছে (এবং নিষেধ করেছেন কবরের উপর কিছু লেখতে)।
[ এই উত্তরটি দিয়েছেন শায়খ ইবনে বায ]
প্রশ্ন : মহিলাদের কবর যিয়ারতের বিধান কি ?
উত্তর : মহিলাদের কবর যিয়ারত বৈধ নয়। কারণ নবী (সাঃ) কবর যিয়ারতকারিণী মহিলাদের প্রতি অভিশাপ করেছেন। এবং এ কারণে যে,তারা ফেতনার কারণ এবং তাদের ধৈর্য কম। তাই আল্লাহ তাআলার রহমত এবং অনুকম্পা স্বরুপতাদের প্রতি কবর যিয়ারত নিষিদ্ধ,যেন তারা নিজে ফিতনায় না পড়ে এবং অন্যকে ফিতনায় না ফেলে। আল্লাহ যেন আমাদের সকলের অবস্থা ভাল করেন। [ এই উত্তরটি শায়খ ইবনে বায দিয়েছেন ]
প্রশ্ন : মাইয়্যেতের দাফন শেষে কবরের নিকট কুরআন পড়ার বিধান কি .. এবং বাড়িতে ভাড়া করে কুরআন পড়ানোর হুকুম কি যাকে আমরা মৃতের প্রতি রহমত বলে থাকি ?(কুরআন খানী বলে থাকি )
উত্তর : ইসলামী মনিষীদের প্রাধান্য মত অনুযায়ী দফন শেষে কবরের নিকট কুরআন পড়া বিদআত। কারণ এই প্রথা নবীর যুগে ছিলনা,আর না তিনি কাউকে ইহা করার নির্দেশ দেন,আর না নিজে করেন। বরং সর্বোচ্চ এই বিষয়ে যা পাওয়া যায় তা হচ্ছে,তিনি সাল্লাল্লাহু আলাই হি ওয়া সাল্লাম দফন শেষে একটু দাঁড়াতেন এবং বলতেন : তোমরা তোমাদের ভাইর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং ফেরেস্তাদের প্রশ্নোত্তরে সে যেন দৃঢ় থাকতে পারে তার জন্য দওয়া কর। কারণ এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদি কবরের নিকট কুরআন পড়া ভাল হত এবং শরিয়তী কাজ হত তাহলে নবীজী তার আদেশ অবশ্যই দিতেন,যেন উম্মত ইহা জানতে পারেন।
আর মাইয়্যেতের আত্মার প্রতি কুরআন পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়িতে একত্রিত হওয়া, এ বিষয়রও কোন সত্যতা নেই। আর না সালাফে সালেহীনগণ ইহা করতেন। বিপদের সময় মুসলিম ব্যক্তির জন্য যা জায়েয তা হল, সে যেন ধৈর্য ধারণ করে এবং আল্লাহর কাছে নেকীর আশা করে। আর তাই বলে যা পূর্বের ধৈর্যধারীগণ বলেছেন : ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিঊন,আল্লাহুম্মা আজুরনী ফী মুসীবাতী,ওয়া আখলিফ্ লী খায়রাম্ মিন্হা ) অর্থ : ‘আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমাদের সবাইকে তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ ! আমাকে আমার বিপদের বিনিময়ে সওয়াব দাও এবং উহা অপেক্ষা উত্তম উত্তরাধিকারী প্রদান কর। ’
আর মাইয়্যেতের পরিবারবর্গের বাড়িতে জমায়েত হওয়া,কুরআন পড়া এবং খানা-পিনার আয়োজন করা কিংবা এ ধরণের অন্য কিছু করা সবই বিদআত। [ উত্তর দাতা মাননীয় শায়খ সালেহ ইবনে উছায়মীন ]
প্রশ্ন : মীলাদুন্নাবী (নবীর জম্ম দীবস ) উপলক্ষ্যে কিংবা অন্যের জম্ম দীবস উপলক্ষ্যে যবেহকৃত পশুর গোশ্ত খাওয়ার বিধান কি ?
উত্তর : নবী কিংবা ওলীর জম্ম দীবস উপলক্ষ্যে, তাদের সম্মানার্থে যা যবেহ করা হয়, উহা গায়রুল্লার উদ্দেশ্যে (আল্লাহ ব্যতীত অন্যের উদ্দেশ্যে) যবেহকৃত। ইহা শির্ক। তাই উহা খাওয়া নিষেধ। নবী (সাঃ) হতে প্রমাণিত, তিনি বলেন :
‘‘আল্লাহর অভিশাপ হোক সে ব্যক্তির উপরে যে,আল্লাহ ব্যতীত অন্যের উদ্দেশ্যে যবেহ করে’’।
প্রশ্ন : আহলে সুন্নাতেরা কি খুরাফাতী-বিদআতীদের জানাযায় শরীক হতে পারে এবং তাদের মৃতদের জানাযার নামায পড়তে পারে ?
উত্তর : যাদের খুরাফাত-বিদআত শির্কের পর্যায়,যেমন তারা যারা মৃতদের কাছে সাহায্য চায়, প্রার্থনা করে কিংবা অনুপস্থিতদের নিকট যেমন জিন ফেরেশ্তা বা অন্যান্য সৃষ্টির কাছে সাহায্য কামনা করে,প্রার্থনা করে,তারা কাফের। তাদের মৃতদের জানাযা পড়া যাবে না এবং তাদের জানাযায় শরীকও হওয়া যাবে না। কিন্তু যাদের বিদআতী কার্যকলাপ শিরকে পৌঁছেনা যেমন মীলাদুন্নবী পালনকারী যাতে শির্ক নেই এবং শবে মেরাজ পালনকারী কিংবা এ ধরণের অন্য বিদআতকারী,এরকম গুনাহগারদের জানাযা পড়া যাবে এবং তাদের জানাযায় শরীক হওয়া যাবে। আর এদের জন্য তাই আশা করা হবে যা পাপী মুআহ্হিদদের জন্য করা যায়। মহান আল্লাহ বলেন:- ( নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না যে তার সাথে শরীক করে,আর ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন।) [ নিসা/৪৮]
[ দেখুন ফাতাওয়াল্ লাজনা আদ্ দায়িমাহ, ১ম খন্ড ]
লেখাটির পিডিএফ ডাউনলোড করতে চাইলে
অনুবাদ : আব্দুর রাকীব (মাদানী)
লিসান্স, মদীনা বিশ্ববিদ্যালয় (সউদী আরব)
আমার একটি প্রশ্ন আছে, প্লিজ উত্তর দিবেন, অনেক মেয়ে আছে জাদের বিয়ে হতে অনেক দেরি হই,আবার অনেকে বিয়ে করতে চাই কিন্তু পরিবার থেকে দিতে রাজি হই না, এক্ষেত্রে এমন কোন আমল আছে কি, যেটা করলে তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়ে যাবে।আমি শুনেসি চল্লিশ দিনের মাঝে বিয়ে হবার একটি আমল আছে, কিন্তু কোন আমল তা জানি না্ একটু যনাবেন প্লিজ
Nari keno pardai thakbe