দু‘আ ও তার ফযিলত

দু‘আ ও তার ফযিলত


الدُّعَاءُ (দু‘আ) শব্দের অর্থ্ ডাকা, আহবান, প্রার্থনা, সম্বোধন। শরীয়তের পরিভাষায় দু‘আ হল কল্যাণ ও উপকার লাভের উদ্দেশ্যে এবং ক্ষতি ও অপকার রোধকল্পে আল্লাহকে ডাকা এবং তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা। আল্লাহ বান্দাদের উপর আবশ্যক করে দিয়েছেন তাঁর কাছে তারা দু‘আ করবে। আল্লাহ বলেন-
وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ
তোমাদের রব বলেছেন, “তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব নিশ্চয় যারা অহঙ্কার করে আমার ইবাদাত থেকে বিমুখ থাকে, তারা অচিরেই লাঞ্জিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে”। আল-মু‘মেন, সুরা-৪০, আয়াত-৬০

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
مَنْ لَمْ يَسْأَلِ اللَّهَ يَغْضَبْ عَلَيْه


“যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে চায় না, তিনি তার উপর রাগম্বিত হন।” তিরমিযি


তাছাড়া বান্দা আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে তিনি তার প্রতি খুশি হন। যারা বারবার তাঁর কাছে ধর্ণা দেয় তিনি তাদেরকে ভালবাসেন এবং তাদেরকে তাঁর নিকটবর্তী করে দেন।


দু‘আর ফযিলত ও উপকারিতা


দু‘আতে রয়েছে বহু ফযীলত, মহা পুরুস্কার, শুভ পরিণতি ও অনেক উপকার। নিম্নে তারই কিছু উল্লেখ করা হল।

(ক) দু‘আ ইবাদত। দু‘আকারী ব্যক্তি দু‘আর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে এবং পুরুস্কার প্রাপ্ত হয়। মহান আল্লাহ বলেন-

تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَطَمَعًا وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ فَلا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
তাদের পার্শ্বদেশ বিছানা থেকে আলাদা হয়, তারা ভয় ও আশা নিয়ে তাদের রবকে ডাকে, আর আমি তাদেরকে যে রিযিক দান করেছি, তা থেকে তারা ব্যয় করে। অতঃপর কোন ব্যক্তি জানে না তাদের জন্যে চোখ জুড়ানো কী জিনিস লুকিয়ে রাখা হয়েছে, তারা যা করত তার বিনিময় স্বরূপ। আস-সাজদা, ৩২/১৬-১৭

(খ) দু‘আতে রয়েছে দু‘আকারী ব্যক্তির আবেদনের সাড়া। আল্লাহ বলেন-
وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ
তোমাদের রব বলেছেন, “তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। নিশ্চয় যারা অহঙ্কার করে আমার ইবাদাত থেকে বিমুখ থাকে, তারা অচিরেই লাঞ্চিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” আল-মু‘মেন, ৪০/৬০

وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيبُوا لِي وَلْيُؤْمِنُوا بِي لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ
আর যখন আমার বান্দাগণ তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, তখন (বল) আমি তো নিশ্চয় নিকটবর্তী। আমি আহবানকারীর ডাকে সাড়া দেই, যখন সে আমাকে ডাকে। সুতরাং তারা যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমার প্রতি বিশ্বাস রাখে। আশা করা যায় তারা সঠিক পথে চলবে। আল-বাকারা, ২/১৮৬

(গ) দু‘আতে রয়েছে স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য ও হীনতা-দীনতার প্রকাশ। আল্লাহ বলেন-
ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً إِنَّهُ لا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ وَلا تُفْسِدُوا فِي الأرْضِ بَعْدَ إِصْلاحِهَا وَادْعُوهُ خَوْفًا وَطَمَعًا إِنَّ رَحْمَةَ اللَّهِ قَرِيبٌ مِنَ الْمُحْسِنِينَ
তোমরা তোমাদের রবকে ডাক অনুনয় বিনয় করে ও চুপিসারে। নিশ্চয় তিনি পছন্দ করেন না সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে। আর তাঁর সংশোধনের পর তোমরা যমীনে ফাসাদ করো না এবং তাঁকে ডাক ভয় ও আশা নিয়ে। নিশ্চয় আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী। আল-আ‘রাফ, ৭/৫৫-৫৬

(ঘ) দু‘আ ইহকাল ও পরকালে দু‘আকারী ব্যক্তি থেকে অনিষ্ট রোধ করে ও পাপ মোচন করে।

  দু‘আ কবুলের শর্তাবলী


মুমিনের প্রত্যাশা মহান আল্লাহ যেন তার দু‘আ কবুল করেন। এবং তার মনের আশা পূরণ করেন। কিন্ত্ত দু‘আ কবুল হওয়ার জন্য কিছু শর্ত্ আছে। নিম্নে তা উল্লেখ করা হল:

১- ইখলাস: আমল কবুল হওয়ার মূল শর্ত্ এটি, মহান আল্লাহ বলেন-
هُوَ الْحَيُّ لا إِلَهَ إِلا هُوَ فَادْعُوهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
তিনি চিরঞ্জীব, তিনি ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই, সুতরাং তোমরা দীনকে তাঁর জন্য একনিষ্ঠ করে তাঁকে ডাক, সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি সৃষ্টিকুলের রব। আল-মু‘মেন, সুরা-৪০/৬৫

সব কিছু বাদ দিয়ে কেবল আল্লাহর জন্য ইবাদতকে নিরঙ্কুশ করার নাম ইখলাস। সুতরাং ইবাদত ও দু‘আ মহান আল্লাহ ব্যতীত কোন কিছুকে উদ্দেশ্যে করা যাবে না। এর বিপরীত কর্মপন্থা যে অবলম্বন করল, সে অবশ্যই শির্ক্ করল। আল্লাহ বলেন-

وَمَنْ يَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ لا بُرْهَانَ لَهُ بِهِ فَإِنَّمَا حِسَابُهُ عِنْدَ رَبِّهِ إِنَّهُ لا يُفْلِحُ الْكَافِرُونَ
আর যে আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহকে ডাকে, যে বিষয়ে তার কাছে কোন দলীল নেই; তার হিসাব কেবল তাঁর রবের কাছে, নিশ্চয় কাফিররা সফলকাম হবে না। আল-মু‘মেনুন, ২৩/১১৭

২- দু‘আকারী ব্যক্তির সম্পদ হালাল হওয়া:   কেননা, হারাম সম্পদ হচ্ছে দু‘আ কবুলের পথে অন্তরায় ও বাধা। আল্লাহ বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَاشْكُرُوا لِلَّهِ إِنْ كُنْتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ
হে মুমিনগণ, আমি তোমাদেরকে যে পবিত্র রিযিক দিয়েছে তা থেকে আহার কর এবং আল্লাহর জন্য শোকর কর, যদি তোমরা শুধুমাত্র তাঁরই ইবাদত কর। আল-বাকারা, ২/১৭২

ইমাম মুসলিম (রহ) তাঁর সহীহ গ্রন্থে আবু হুরায়রা (রা) থেকে উল্লেখ করেন, তিনি বলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- অতঃপর উস্কখুস্ক ধূলোময় অবস্থায় দীর্ঘ সফরকারী একজন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, যে স্বীয় হস্তদ্বয় আকাশের দিকে প্রসারিত করে বলে, হে প্রভু! হে প্রভু! অথচ তাঁর খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক হারাম এবং সে হারাম দ্বারা লালিত, তার দু‘আ কিভাবে কবুল হবে? (মুসলিম)

৩- দু‘আতে সীমালঙ্ঘন না করা: দু‘আর সময় বান্দা বৈধ সীমারেখায় বিচরণ করবে, পাপের কাজ সিদ্ধ করা বা আত্মীয়তার সর্ম্পক ছিন্ন করা, অথবা সামান্য ভুলের শাস্তি স্বরূপ কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠির ধ্বংসের জন্য দু‘আ করবে না। আল্লাহ বলেন-
ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً إِنَّهُ لا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
তোমরা তোমাদের রবকে ডাক অনুনয় বিনয় করে ও চুপিসারে। নিশ্চয় তিনি পছন্দ করেন না সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে। আল-আ‘রাফ, ৭/৫৫

 

বিভিন্ন প্রকার দু‘আ

১. এক শ্রেণীর দু‘আ বান্দাহ সে সম্পর্কে নির্দেশিত হয়েছে। নির্দেশটি হয় অবশ্য পালনীয় অথবা সেটি পছন্দনীয়। যেমন: সালাত ও অন্যান্য বিষয়ে বর্নিত দু‘আ সমূহ, যা আল-কুরআন ও নবীর হাদীসে বর্নিত হয়েছে। কারণ উক্ত দো‘আগুলি পাঠ করলে আল্লাহ পছন্দ করেন এবং তাতে সন্ত্তষ্ট হন।

২. নির্দিষ্টভাবে কোন বস্তু চাওয়ার জন্য দু‘আ করা যা বৈধ বা অনুমোদিত। যেমন: অতিরিক্ত চাওয়া, যা চাইলে কোন পাপ হয় না।

৩. যেসব দু‘আ পাঠ করা হতে বান্দাকে নিষেধ করা হয়েছে। দু‘আর ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা। আল্লাহর নিকট এমন দু‘আ করা, যা আল্লাহর বৈশিষ্ট্য। যেমন: আল্লাহর নিকট এই বলে দু‘আ করা যে, আমাকে সকলবিষয়ে জ্ঞানী করে দাও। অথবা সবকিছু করতে পারার প্রতি ক্ষমতা দাও। কিংবা গায়েব-অজানাকে জানার উপর ক্ষমতা দাও অথবা চিরকাল দুনিয়াতে বেচে থাকার জন্য দু‘আ করা ইত্যাদি। আল্লাহ এ ধরনের দু‘আ পছন্দ করেন না এবং তাতে অসন্ত্তষ্ট হন।

দু‘আর আদবসমূহ

১- বিনয় নম্রতা ও একাতগ্রতার সাথে দু‘আ করা।

২- সংকল্প ও আকুতির সাথে দু‘আ করা, দু‘আ কবুলে প্রবল আশাবাদী হওয়া।

৩- দু‘আকারী যেন উত্তম সময় ও স্থান বেছে নেয়, যেমন:

আরাফার দিবস, রামাযান মাস, জুমার দিবস, কদরের রাত, প্রত্যেক রাতের শেষাংশ, সালাতে সাজদারত অবস্থায়, আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়, সফরকালীন সময়, সিয়ামের সময়, হজ্জের সময়, বিশেষভাবে তাওয়াফের সময়, সায়ীর সময়, ছোট ও মাধ্যম জামরায় পাথর নিক্ষেপের পর, এছাড়া বিশেষ বিশেষ সময় ও স্থান সমূহে।

৪- পবিত্র অবস্থায় কেবলামুখী হয়ে হাত তুলে দু‘আ করা। দু‘আর শুরু এবং শেষে আল্লাহর প্রশংসা করা এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর সালাত ও সালাম পেশ করা।

৫- তওবা করা ও নিজের পাপের স্বীকারোক্তি দিয়ে দু‘আ করা।

৬- দু‘আর পূর্বে কিছু নেক আমল করা। যেমন: সাদকা, ওযু, সালাত ইত্যাদি।

৭- আল্লাহ যে সমস্ত নে‘য়ামত দান করেছেন তার শুকরিয়া আদায় করা।

৮- যে বিষয়ে দু‘আ করবে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী চয়ন করে তার উসীলা দিয়ে দু‘আ করা।


  দু‘আ কবুলের অন্তরায় সমূহ


মানুষ দু‘আ করে কিন্ত্ত তা কখনো কবুল করা হয় না বা দেরীতে কবুল করা হয়। তার কারণ আছে। যেমন: আল্লাহর সাথে শির্ক্ করা। আল্লাহর কাছে দু‘আ করা আবার গাইরুল্লাহর কাছে দু‘আ করা। অবৈধ বা বিদয়াতী দু‘আ করা। যথা: মৃত বা কবরস্থ ব্যক্তির অসীলা গ্রহণ করে দু‘আ করা। দু‘আতে এখলাস না থাকা। দু‘আ কবুল হওয়ার জন্য তাড়াহুড়া করা। যেমন- এই কথা বলা: “এত দু‘আ করলাম কিন্ত্ত কবুল হল না”, ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়ে দু‘আ করা ছেড়ে দেওয়া, গাফেল ও উদাস অন্তরে দু‘আ করা, অবৈধ কারবার করা, ভেজাল দেয়া, সুদ খাওয়া, ঘুষ নেওয়া, অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ ভক্ষণ করা, দু‘আতে সীমালঙ্ঘণ করা। উল্লেখিত প্রত্যেকটি বিষয় স্বতন্ত্রভাবে দু‘আ কবুলের অন্তরায়। অতএব প্রত্যেক মুসলিমের উপর অবশ্য দায়িত্ব হল, সে যেন দু‘আ কবুলের যে কোন অন্তরায় থেকে নিজেকে দুরে রাখে।

  বৈধ দু‘আর কতিপয় উদাহরণ

১- ইহকাল ও পরকালের কল্যাণের জন্য দু‘আ করা।

২- সন্তান সঠিক ও সৎ পথে চলার জন্য দু‘আ করা।

৩- অসুস্থ ব্যক্তির শেফা ও কল্যাণের জন্য দু‘আ করা।

৪- উপকারী ব্যক্তির জন্য দু‘আ করা।

৫- মুজাহিদ ও সাধারণ মুসলিমদের জন্য ইহকাল ও পরকালে কল্যাণের দু‘আ করা।

যে সমস্ত উত্তম সময়, স্থান ও অবস্থায় দু‘আ কবুল হয়

১. দু‘আ কবুলের উত্তম সময়:  রাতের এক তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে যখন আল্লাহ প্রথম আকাশে আসেন। আযান ও একামতের মধ্যবর্তী সময়। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাতের পর। জুমার দিবসের কিছু সময় আর তা হলো আসরের শেষ সময়। লাইলাতুল কদরে। আরাফার দিবসে। আল্লাহর পথে বেরিয়ে যুদ্ধের জন্য কাতারবন্দী হয়ে অগ্রসর হওয়ার সময়। রামাযান মাসে ইফতারের সময় দু‘আ করা ইত্যাদি।

২. দু‘আ কবুল হওয়ার উত্তম স্থানসমূহ:  কা‘বার নিকটে বিশেষ করে মুলতাযিমের কাছে দু‘আ করা, হিজর তথা হাতীম তার অন্তর্ভুক্ত। মাকামে ইবরাহীমের নিকটে দু‘আ করা। সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের উপর দু‘আ করা। আরাফার দিবসে আরাফার মাঠে দু‘আ করা। (মুযদালিফায় অবস্থিত) মাশ’আরুল হারামে ও মিনার মাঠে দু‘আ করা। হ্জ্জকালে ছোট ও মাধ্যম জামরায় পাথর নিক্ষেপের পর হাত তুলে কেবলামুখী হয়ে দু‘আ করা। জমজমের পানি পান করার সময় দু‘আ করা ইত্যাদি।

৩- দু‘আ কবুল হওয়ার উত্তম অবস্থাসমূহ:  আল্লাহর প্রতি অন্তর ধাবিত হওয়া অবস্থায় দু‘আ করা, ওযুর পর দু‘আ করা, মুসাফির ব্যক্তির সফর অবস্থায় দু‘আ, রুগ্ন ব্যক্তির দু‘আ, জালিমের প্রতি মাজলুম অত্যাচারিত ব্যক্তির বদ-দু‘আ, সন্তানের জন্য পিতা-মাতার দু‘আ বা বদ-দু‘আ, ইফতারীর সময় সিয়াম পালনকারী ব্যক্তির দু‘আ, সালাতে সাজদারত অবস্থায় দু‘আ, সালাতে সালাম ফেরানোর পূর্বে দু‘আ, রাত্রিকালীন ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এস্তেগফার তথা ক্ষমা চেয়ে দু‘আ করা ইত্যাদি।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
slot gacor skybet88 slot online skybet88 skybet88 skybet88 slot gacor skybet88 slot bonus new member skybet88 skybet88 skybet88 slot shopeepay slot gacor skybet88 demo slot skybet88 skybet88 skybet88 skybet88