ইতালির এমপি কন্যার ইসলাম গ্রহণ নিয়ে ইউরোপজুড়ে তোলপাড়

ইতালির সাবেক পার্লামেন্ট সদস্যের কন্যার ইসলাম গ্রহণ নিয়ে ইউরোপজুড়ে চলছে ব্যাপক তোলপাড়। গোটা ইউরোপে যখন ইসলাম আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে তখন ইসলাম গ্রহণের হার কমেনি। সম্প্রতি ইউরোপে মানুষের ইসলাম সর্ম্পকে জানার আগ্রহ বেড়েছে। বাড়ছে ইসলাম গ্রহণকারীর সংখ্যাও। এরই অনন্য নজির- ইতালির সাবেক এমপি ফ্রাংকো বারবাতোর মেয়ের ইসলাম গ্রহণ। ইসলাম গ্রহণের পর ইসলামের অনুশাসন মেনে তিনি এখন পূর্ণাঙ্গ ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিজাবী নারী। তিনি খ্রিস্টধর্ম থেকে ইসলামে দীক্ষিত হয়েছেন। ম্যানুয়েলা ফ্রাংকো বারবাতো নামের ওই তরুণীর নতুন নাম আয়েশা।

ম্যানুয়েলার এই ইসলাম গ্রহণের ঘটনা এখন ইতালিতে আলোচনার বিষয়। শুধু ইতালিতেই নয়, গোটা ইউরোপেও নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। খ্রিস্টান উগ্রপন্থীরা কঠোরভাবে সমালোচনা করছেন তার।

সমালোচনা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না নওমুসলিম ওই তরুণীর বাবাও। ফ্রাংকো বারবাতোকে হাফিংটন পোস্টের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনার মেয়ে তো মুসলমান হয়ে গেল, এখন আপনার কেমন লাগছে?  তার উত্তর ছিল, ‘শুধু খারাপ না, খুবই খারাপ লাগছে। কারণ এটি একটি অত্যন্ত কঠোর ধর্ম, খুবই চরমপন্থী, একদম সেকেলে! এই ধর্মটি মৌলবাদী। আমার মেয়ে আমার সাথে থাকাবস্থায় আমি নিজে দেখেছি। প্রতিদিন দেখেছি নামাজের সময় হলে সে সন্তানের কথাও ভুলে যায়! এজন্য আমি তার প্রতি রাগ করতাম। সে যা নিজের জন্য পছন্দ করেছে আমি তাতে খুবই ব্যথিত।

তবে আয়েশা ইসলাম গ্রহণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত ও সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, ‘আমার আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য আমি গর্বিত। এ সব আল্লাহর নিয়ম, আমার অভিযোগ করার কী আছে?’

নিজের হিজাব পরিধান নিয়ে চারপাশে যত কথা। তার উত্তরে আয়েশা বলেন, ‘হিজাব আমার জীবনের অংশ, যা আল্লাহ আমার জন্য পছন্দ করে দিয়েছেন।’

আয়েশা আগে বাবার সাথে থাকলেও প্রকাশ্যে ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেয়ার পর তার স্বামীকে নিয়ে ভারতে চলে গেছেন। সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন করছেন। বিবাহিত জীবনে তার দুই শিশু সন্তান রয়েছে। ইতালীর সরকারী সংস্থার হিসেবে তা প্রায় বিশ হাজার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্যান্য ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। ইতালির এই চিত্র প্রমাণ করে ইউরোপে ক্রমবর্ধমান ধর্ম হিসাবে ইসলামের প্রসার ঘটছে।

সূত্রঃ হাফিংটন পোস্ট ও ইন্ডিয়া ডটকম অবলম্বনে

ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
kiw kow kan