
আল্লাহর তাওফীক অর্জনের ১০টি উপায়
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা প্রদত্ত তাওফীক অর্জনের ১০টি উপায়
আমরা যতই সংকল্প, পরিকল্পনা বা দুআ করি না কেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা প্রদত্ত তাওফীক (সাফল্য অর্জনের ক্ষমতা) ছাড়া আমরা জীবনে কখনই কিছু অর্জন করতে পারবনা।
হযরত শুআইব ‘আলাইহিস সালাম তার লোকদের বলেনঃ
إِنْ أُرِيدُ إِلَّا الْإِصْلَاحَ مَا اسْتَطَعْتُ ۚ وَمَا تَوْفِيقِي إِلَّا بِاللَّهِ ۚ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْهِ أُنِيبُ
“আর আমার সাফল্যতো শুধু আল্লাহরই সাহায্যে, আমি তারই উপর নির্ভর করি এবং আমি তারই অভিমূখী।” (আল কুরআন, সুরাহ হুদ, আয়াত ৮৮)
তাওফীক কী?
তাওফীক হচ্ছে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার একটি বিশেষ রহমত যা আমাদের লক্ষ্য অর্জনের পথ খুলে দেয়। যে সকল প্রকৃত ঈমানদারগণ সত্যিকার অর্থেই শুধুমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষে কাজ করতে চায় তাদের জন্য ইহা তার একটি নিয়ামাত।
গতানুগতিকভাবে চিন্তা না করলে বলা যায় যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দেয়া তাওফীক ভাগ্যগুণে পেয়ে যাওয়ার মত কিছু নয়, বরং এটি এমন একটি জিনিস যা আপনাকে নিরন্তর চেষ্টার মাধ্যমে অর্জন করতে হবে।
এই প্রবন্ধে, আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা প্রদত্ত তৌফিক অর্জনের কতগুলো ধাপ নিয়ে আলোচনা করবো, যে রহমত আমাদের জন্য ভালকাজ ও সাফল্য অর্জনের চাবিকাঠি হিসাবে কাজ করবে, ইন-শা-আল্লাহ।
১. আল্লাহকে আপনার প্রয়োজন বিষয়টি অনুধাবন করুন
এই প্রবন্ধের প্রথম ও প্রধান ধাপ হচ্ছে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা যে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী তা বুঝতে পারা। তিনি আমাদের অবশ্যই সঠিক পথ বাছাই করা ও সে পথে চলার চেষ্টা করার ক্ষমতা দিয়েছেন, কিন্তু এর মানে এই নয় যে আমরা সবকিছু একা একাই করতে সক্ষম, আমাদের সর্বদা তার সাহায্য প্রয়োজন।
তাই, আমাদের উচিৎ তার গুরুত্ব অনুধাবন করা এবং শুধুমাত্র কাজের পূর্বে নয়, বরং প্রতি পদে পদে, এমনকি আমাদের কর্ম সম্পাদন হয়ে যাওয়ার পরও তার প্রতি নম্র ও বিনয়ী থাকা। তার সহায়তার ফলেই আমরা সফল হয়েছি তা আমাদের বুঝতে হবে, এ নিয়ে গর্বিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের বুঝতে হবে যে তার দেয়া তাওফীক এর মাধ্যমেই আমরা এই ভালো সিদ্ধান্তটি নিতে পেরেছি এবং তিনিই আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেনঃ
وَمَا تَشَاءُونَ إِلَّا أَن يَشَاءَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ
“তোমরা ইচ্ছা করবে না, যদি মহাবিশ্বের রব আল্লাহ ইচ্ছা না করেন।” (আল কুরআন, সুরাহ তাকভীর, আয়াত ২৯)
২. উদ্দেশ্য স্থির করুন
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সন্তুষ্টিকে জীবনের মূল লক্ষে পরিণত করতে আপনার সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও আন্তরিকভাবে নিয়্যাত করতে হবে, এবং এই উদ্দেশ্যকে আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।
কতিপয় পরামর্শঃ
দৈনন্দিন প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে নিজেকে প্রশ্ন করুনঃ
- কাজটি আমি কেন করছি (আপনি যে কাজটি করতে যাচ্ছেন) ?
- আমার এই কাজটি কি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ? এটা কি তার জন্য না অন্য কিছুর জন্য?
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সন্তুষ্টিই যদি আমাদের সত্যিকারের লক্ষ্য হয়ে থাকে, তবে আমরা অবশ্যই মানুষের প্রশংসা ও দৃষ্টির আশা করবোনা, এবং তাদের সমালোচনাকেও কোনো গুরুত্ব দিবোনা।
৩. বারবার আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করুন
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নিকট ভালো কাজের আকাঙ্খা ও সংকল্পের জন্য দুআ করুন। দুআ করাকে আপনার জীবনের একটি অংশে পরিনত করুন। বসা, দাঁড়ানো, হাঁটা, রান্না করা, পরিস্কার করা মোটামুটি সব অবস্থাতেই দুআ করুন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নিকট তার পছন্দনীয় ও অন্যদের জন্য উপকারী কাজের তৌফিক প্রার্থনা করতে থাকুন।
৪. আন্তরিকতার সাথে নিজেকে কুরআন ও হাদীসের সাথে সম্পৃক্ত করুন
খাওয়া ও পান করার মতই, কুরআন ও হাদীসের অধ্যয়নকে আপনার জীবনের অংশে পরিনত করুন। আসলে, আমাদের শরীরের খাওয়া ও পান করার চেয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার বাণী হৃদয়ে শ্রবণ ও গ্রহণ করা অনেক বেশী জরুরী। আমরা যখন শুধু শরীরের ক্ষুধা মিটাতে মগ্ন থাকি তখন আমাদের আত্মা উপোস করতে থাকে, তাই এক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই ভারসাম্য ঠিক রাখার প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে। যখন আপনার হৃদয় তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করবে (কুরআন ও হাদীসের অধ্যয়ন ও এ নিয়ে চিন্তাভাবনা করার মাধ্যমে), তখন এটি আরো বেশী শক্তিশালী এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নির্দেশনা গ্রহণ করতে সক্ষম ও তা পালন করতে অনেক বেশী উজ্জীবিত থাকবে, ইন-শা-আল্লাহ।
৫. অন্যের উপকার করতে থাকুন
আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে এর মাধ্যমে আপনি নিজের কাজ থেকে দূরে সরে যাবেন, কিন্তু আসলে পরোপকারী হওয়ার চেষ্টা করতে থাকলে, আপনার উপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তার রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং সৎকর্মের দরজাগুলো আপনার জন্য একে একে খুলতে থাকবে।
তাই, সৎকাজের জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দেয়া বিশেষ তাওফীক অর্জনের বড় একটি রহস্য হলো নিঃশর্তভাবে অমায়িক, উদার ও ক্ষমাশীল হওয়া। আপনি অন্যদেরকে যত বেশী দিবেন, আপনাকেও তত বেশী দেয়া হবে।
কতিপয় পরামর্শঃ
আমাদের অবশ্যই যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো নিজেদের করা উচিৎ তা হলোঃ
- আমার হৃদয়ে কি অপরের প্রতি ভালো কোনো অনুভুতি হয়, না আমি আত্মকেন্দ্রিক?
- আমি কি অন্যদের সফলতা চাই, না আমি শুধু নিজের জন্য জান্নাত চাই?
- যখন আমার অন্যদেরকে কিছু দিতে হয়- বিশেষভাবে তাদেরকে যাদের আমি পছন্দ করি না, আমি কি একে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলাকে খুশী করার একটি সূযোগ হিসাবে দেখি, না আমি একে একটি বোঝা মনে করি?
- মানুষ আমার প্রতি ভালো বলেই কি আমি তাদের প্রতি ভালো? না আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই আমি তাদের ভালোবাসি ও যত্ন নেই?
৬. তাক্বওয়া বৃদ্ধি করুন
তাক্বওয়ার আক্ষরিক অর্থ হলো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার অসন্তুষ্টি থেকে নিজেকে রক্ষা করা। আমরা যদি সাফল্যের পথে অগ্রসর হতে চাই, তবে একটি সচেতন জীবনযাপন করা এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলাকে অসন্তুষ্ট করে এমন কাজ করার ব্যাপারে সাবধান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কেউ হয়তো মনে করতে পারে যে ভালো কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদেরকে পাপ থেকে রক্ষা করবে। যদিও, বাস্তবতা হলো আমাদের একইসাথে দুভাবেই চেষ্টা করা উচিত। আমাদের ভালো কাজের পাশাপাশি মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
এধরনের ফাঁদে না পড়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবেঃ কিছু লোক মনে করে যে তারা যদি স্বলাত (নামাজ) ও কুরআন তিলাওয়াত করে তবে তারা এখানে সেখানে কিছু পাপ করলেও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাদের প্রতি কোনো রাগ করবেন না। ইহা একটি বড় ভুল, কেননা পৃথিবীর কাছে আমাদেরকে যতই ধার্মিক দেখাক না কেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের প্রকৃত রূপ সম্পর্কে অবগত আছেন এই বিষয়টি আমাদের অনুধাবন করতে হবে। শুধুমাত্র মানুষ আমাদেরকে দেখে ভাল মনে করে বলে, আমরা যদি আমাদের গোপন পাপগুলোকে গুরুত্ব না দেই তবে আমরা হয়তো ভালো কাজের ধারা বজায় রাখার তাওফীক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছ থেকে গ্রহণ করতে পারবোনা।
“বল, মন্দ ও ভালো এক নয়, যদিও মন্দের আধিক্য তোমাকে চমৎকৃত করে। সুতরাং হে বুদ্ধিমানগণ, আল্লাহকে ভয় কর-যাতে তোমরা মুক্তি পাও।” (আল কুরআন, সুরাহ মায়্যিদা, আয়াত ১০০)
৭. অনর্থক কাজ পরিহার করুন
কেউ যদি আসলেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সন্তুষ্টির জন্য কাজ করতে চায়, তবে সতর্কতার সাথে সময় ব্যয় এবং যেসব কাজ কোনো উপকারে আসবেনা সেসব কাজ পরিহার করা অত্যন্ত জরুরী।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা অনর্থক কাজ পরিহারকারী লোকদের সফল বলে বর্ণনা করেছেনঃ
وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ
“আর যারা অনর্থক কথা-বার্তা থেকে দূরে থাকে” (আল কুরআন, সুরাহ মু’মিনুন, আয়াত ৩)
এখানে আলোচিত অনর্থক কাজগুলো হতে পারে সেসব ঠুনকো আনন্দ যা নিয়ে আমাদের অধিকাংশ লোকই ইদানিং মেতে থাকে, যা আমাদের সময় ও হৃদয়কে এতটাই গিলে ফেলেছে যে আমরা মনে করি আমরা এসব ছাড়া বাঁচতে পারবোনা।
আপনি কি আপনার দৈনন্দিন জীবনের সেই কাজগুলোকে চিহ্নিত করতে পারবেন?
ভেবে দেখুন, আপনি হয় আপনার সময় ও মেধাকে ভালো কিছুর জন্য ব্যয় করতে পারেন যা আপনার দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য কল্যান বয়ে আনবে অথবা অনর্থক ও অস্থায়ী আনন্দের জন্য আপনার সময় নষ্ট করতে পারেন।
৮. স্বল্পভাষী হোন
যে অপ্রয়োজনীয় কাজটি আমাদের সমাজের বহু লোকের সময় নষ্ট করেছে তা হলো কোনো কারণ বা উদ্দেশ্য ছাড়া অতিরিক্ত কথা বলা।
আসলে আমরা যদি আমাদের কথা সংবরণ না করি, তবে গীবত, পরনিন্দা, মানুষকে নিয়ে হাসি-তামাশা অথবা মানুষের ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার মত কাজে আমরা লিপ্ত হয়ে যেতে পারি।
এমনকি যদি আপনি এসব মন্দ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন, তবুও আপনি অনেক মূল্যবান সময় হারাবেন যা আপনি কখনো কিনতে পারবেন না। এটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা প্রদত্ত তাওফীক অর্জন এবং ভালো কাজের সুযোগগুলো থেকে আপনাকে আলাদা করে দেয়।
তাই, আমাদের নাবী মুহাম্মাদ স্বল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিম্নোক্ত হাদীসটির ওপর আমাদের আমাল করা উচিৎঃ
“যে ব্যাক্তি আল্লাহ ও কিয়ামাত দিবসে বিশ্বাস রাখে সে যেন অবশ্যই ভালো কথা বলে অন্যথায় নিশ্চুপ থাকে।” (সাহীহ মুসলিম)
৯. সুযোগগুলো কাজে লাগান
সৎকর্মের ক্ষেত্রে আমাদের পিছিয়ে পরার একটি বড় কারণ হচ্ছে যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের ভালো কাজের সূযোগ দেন, কখনো কখনো, সেগুলো আমরা কাজে লাগাইনা। বরং, আমরা দেরী করতে থাকি এবং মনে করি যে পরবর্তীতে সুবিধামত সময়ে আমরা কাজটি করবো। এর কারণ হলো আমরা মনের মধ্যে অবাস্তব আশা লালন করি এবং বুঝতে পারিনা যে আমাদের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে।
অতএব, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা প্রদত্ত তাওফীক অর্জনের একটি নিশ্চিত উপায় হচ্ছে সৎকাজের সূযোগের সদ্ব্যবহার করা। এর মাধ্যমে আপনি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার প্রতি আপনাকে কিছু ভালো কাজের সূযোগ প্রদানের জন্য শুকরিয়া জানাতে পারবেন। এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ওয়াদা করেছেন যে আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকলে তিনি আমাদের জীবনকে আরো বেশী বরকতময় করে তুলবেনঃ
“তোমরা যদি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেবো” (আল কুরআন, সুরাহ ইব্রাহীম, আয়াত ৭)
১০. পরিশ্রমী হোন
আমরা হয়তো পর্বতের চূড়ায় ওঠার স্বপ্ন দেখি, কিন্তু যা আমাদের পর্বতের চূড়ায় পৌঁছে দিবে তা হলো বিরামহীন কঠোর পরিশ্রম।
কেউ যদি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরে স্থান পেতে চায় তবে তাকে অবশ্যই পরিশ্রমী হতে হবে।
আমাদের অনেকেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য অনেক বড় ধরনের স্বপ্ন দেখি, কিন্তু তা বাস্তবায়নের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেইনা।
কেন? কারণ আমরা আমাদের আরাম আয়েশ ও আনন্দগুলোকে বিসর্জন দিতে চাইনা, আর কেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের দুআ কবুল করছেন না এই ভাবনায় মশগুল থাকি।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাদেরকেই তাওফীক দিয়ে থাকেন যারা নিজের কথার মূল্য দেয়, যারা তাকে খুশী করতে সংগ্রাম করে, যারা তার পছন্দনীয় কাজের পথ খুজে বের করতে কঠোর পরিশ্রম করে।
وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا ۚ وَإِنَّ اللَّهَ لَمَعَ الْمُحْسِنِينَ
“আর যারা আমাদের পথে সাধনায় আত্মনিয়োগ করে, আমরা অবশ্যই তাদেরকে আমাদের পথে পরিচালিত করব। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের সাথে আছেন।” (আল কুরআন, সুরাহ ‘আনকাবুত, আয়াত ৬৯)
জীবনের এই পরীক্ষায় আমরা আসলেই কতটুকু সফল হতে চাই তা আমাদের উপরই নির্ভর করে। এই ছোট্ট জীবন থেকে সবটুকু আদায় করার আকাঙ্খা ও উৎসাহ পেতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের প্রতি সহায় হোন, যাতে আখিরাতে আমরা সীমাহীন সৌভাগ্যের অধিকারী হতে পারি, আমীন।
অনুবাদ: শাহীন আহমাদ