রাশিফল ও মানব জীবনের উপর গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাব সম্পর্কিত বিশ্বাস করার বিধান

রাশিফল ও মানব জীবনের উপর গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাব সম্পর্কিত বিশ্বাস করার বিধান

লেখক :- মাকসুদ বিন আমাল

নক্ষত্র ও গ্রহ সংক্রান্ত গণনা অর্থাৎ জ্যোতিষশাস্রের চর্চাকে পূর্ববর্তী মুসলিম পণ্ডিতেরা সামগ্রিকভাবে ‘তানযীম’ বলে অভিহিত করেন। এ বিষয়ের উপর ইসলামী বিধানকে বিশেষভাবে কার্যকর করতে তারা তানযীমকে তিনটি ভাগে শ্রেণীবিন্যাস করেছেন।

১। প্রথম শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত জ্যোতিষীরা এ বিশ্বাস পোষণ করে যে, সমগ্র বিশ্ব যেহেতু জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর প্রভাবে প্রভাবিত, তাই ভবিষ্যতে ঘটবে এমন সব ঘটনাসমূহ সংঘটিত হওয়ার পূর্বে জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করা সম্ভব। (তাইসীর আল-আযীয আল-হামীদ, ৪৪১ পৃষ্ঠা)

এটা বিশ্বাস করা সর্বসম্মতিক্রমে বড় ধরণের কুফরী এবং ইব্রাহীম(আ) এর জাতির শিরকের ন্যায় শিরক।

ইব্রাহীম (আ) এর উম্মাত সাবীয়রাও জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস করত। এরা সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্রকে পূজা করত। তাছাড়া, তারা গ্রহ-নক্ষত্র তথা জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর প্রতীক ছবি ও মূর্তি তৈরি করে বিশেষ বিশেষ জায়গায় সেগুলোকে স্থাপন করত। তারা বিশ্বাস করত এগুলো জগত নিয়ন্ত্রণ করে, বিপাদাপদ দূরীভূত করে, দোআ কবুল করে, প্রয়োজন পূরণ করে।তারা আরো বিশ্বাস করত এ সমস্ত গ্রহ নক্ষত্র আল্লাহ ও সৃষ্টি জগতের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী এবং তাদেরকে দেওয়া হয়েছে পৃথিবী পরিচালনার দায়-দায়িত্ব। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হল এই একই রকমের বিশ্বাস আজ একশ্রেণীর মুসলিমদের! তারা নক্ষত্রের জায়গায় তাদের কথিত পীর বুজুর্গদের স্থান দিয়েছে। আর তাদেরকে তারা কুতুব নামে অবিহিত করে অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণকারী! যা সুস্পষ্টভাবে শিরক। ইব্রাহীম (আ) এর জাতির শিরকের সাথে এদের পার্থক্য একটাই- তা হলঃ পূজ্য বস্তুর অর্থাৎ ইব্রাহীম (আ) এর জাতি বিশ্বাস করত গ্রহ-নক্ষত্রে আর এরা করে পীর বুজুর্গের!

এসকল বিশ্বাস তাওহীদ আর-রুবুবিয়্যাহ-কে সমূলে ধংস করার কারণে এসকল জ্যোতিষশাস্রের চর্চাকে শিরক হিসেবে গণ্য করা হয়। কেননা, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ নক্ষত্র (পীর, বুজুর্গ, কবর, মাজার) ইত্যাদিকে সিজদাহ করা কিংবা ছবি, মূর্তি ও প্রতিমা ইত্যাদির নিকট প্রার্থনা করা তাওহীদ আর-রুবুবিয়্যাহ-তে শিরকের অন্তর্ভুক্ত। পক্ষান্তরে, যদি কেউ নক্ষত্রকে মঙ্গল-অমঙ্গল, শুভ-অশুভ ইত্যাদির পূর্বাভাষ বা প্রতীক ও আলামত হিসেবে বিশ্বাস করে, তাহলে তা হবে আল-আসমা ওয়াস সিফাত-তে শিরকের অন্তর্ভুক্ত। মূলত, এ শাস্ত্রের চর্চাকারীরা একই সাথে শিরক ও কুফর চর্চায় লিপ্ত। কারণ, এ সব জ্যোতিষীরা সাধারণত ভবিষ্যতে ঘটবে এমন কিছু সম্পর্কে জানাতে সক্ষম বলে দাবী করে থাকে। কিন্তু ভবিষ্যতের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ তা’আলাই রাখেন। তারা নিজেদেরকে আল্লাহর কিছু গুণাবলীতে গুণান্বিত বলে মিথ্যা দাবী করে এবং যে ভাল-মন্দ ভাগ্য আল্লাহ তা’আলা সুনির্দিষ্ট করে রেখেছেন তা পরিবর্তন করার মিথ্যা আশ্বাস প্রদান করে। জ্যোতিষশাস্র চর্চা হারাম বলে প্রমাণিত হয়েছে ইবনু আব্বাস (রা) এর বর্ণিত হাদীছের ভিত্তিতে। উক্ত হাদীছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

‘জ্যোতিষশাস্রের কোন বিষয়ের জ্ঞান অর্জন করার অর্থ হচ্ছে যাদু বিদ্যার জ্ঞান লাভ করা। সুতরাং এভাবে কেউ যত জ্ঞান অর্জন করল, ততই তাঁর গুনাহের পরিমাণ বাড়তে থাকল।’ (সুনান আবু দাউদ, হা/৩৯৮৬)

২। দ্বিতীয় শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত জ্যোতিষীদের দাবী এ রকম যে, ‘আল্লাহ তা’আলা ইচ্ছা করেছেন, জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর গতিবিধি এবং তাদের অবস্থানের ভিন্নতার মাধ্যমে ভবিষ্যতে সংঘটিতব্ব্য জাগতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদান করবেন।’ (তাইসীর আল-আযীয আল-হামীদ, ৪৪২ পৃষ্ঠা)

ব্যাবিলনের জ্যোতিষশাস্র নিয়ে পড়াশোনা ও চর্চাকারী মুসলিম জ্যোতিষীরা সাধারণত এ ধরণের বিশ্বাস পোষণ করত। জ্যোতিষশাস্ত্রের চর্চার প্রচলন মুসলিম রাজ্যে রাজকীয়ভাবে শুরু হয় উমাইয়া খিলাফাতের শেষ প্রান্তে এবং আব্বাসীয় খিলাফাতের সূচনাকালে খলিফার আসনে আসীন শাসকদের মাধ্যমে। একজন জ্যোতিষী নিয়োগ করা হত এজন্যে যে, সে খলিফাকে দৈনন্দিন বিভিন্ন সিদ্ধান্তগ্রহণে পরামর্শ এবং আসন্ন বিপাদাপদ সম্পর্কে সতর্কবাণী প্রদান করবে। জ্যোতিষশাস্ত্রের অন্তর্গত মৌলিক বিষয়গুলোকে মুসলিম জনগণ যেহেতু কুফর বলে গণ্য করত, তাই মুসলিমদের মাঝে জ্যোতিষশাস্ত্রের চর্চা করাকে তথাকথিত এ সব মুসলিম জ্যোতিষী ইসলামসম্মত বলে চালিয়ে দেয়ার নিমিত্তে একটা কৌশল প্রয়োগ করল। ফলে, জ্যোতিষশাস্ত্রের বিভিন্ন আলামত ও প্রতীক আল্লাহর ইচ্ছাশক্তি বলে প্রচার করা হল। যা হোক, জ্যোতিষশাস্রের এ ধরণের চর্চাও হারাম এবং এর চর্চাকারীকে কাফির বলে গণ্য করা উচিত। কারণ, এ বিশ্বাস এবং মুশরিকদের বিশ্বাসের মধ্যে তেমন উল্লেখযোগ্য কোন পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর উপর আল্লাহর ক্ষমতা আরোপিত হয়েছে এবং এদের বিভিন্ন অবস্থান ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হওয়ার দাবীদারেরা ভবিষ্যৎ জ্ঞানের অধিকারী বলে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে থাকে, অথচ ভবিষ্যতের ঘটনা সম্পর্কে একমাত্র আল্লাহই পূর্ণ ওয়াকিবহাল। এই ধরণের কাজ যারা করে তাদেরকেই বলা হয় জ্যোতিষী। যা গণকের একটা অংশ। এদের কাছে শয়তানের আঘমন ঘটে এবং শয়তান তাদেরকে তাদের কথামত খবর প্রদান করে এটা সম্পূর্ণ হারাম এবং কবিরা গুনাহ; তাছাড়া এটা আল্লাহর সাথে প্রকাশ্য কুফরী।

তবে অনেক সময় দেখা যায় যে, এসব গণকদের কিছু কথা সত্য হয়ে যায়! এটা কিভাবে হয়।

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

“আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দিয়ে সুসজ্জিত করেছি আর শয়তানকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য, এবং প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি…………।” (সূরা মুলকঃ৫)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যাখ্যা করেছেন যে, পৃথিবীতে সংঘটিতব্ব্য ঘটনাবলী নিয়ে আলাপ-আলোচনারত ফিরিশতাদের কথাবার্তা মাঝে মাঝে জিনেরা নিচের আসমান পর্যন্ত ভ্রমণ করে আড়ি পেতে শ্রবণ করে পৃথিবীতে ফিরে এসে জ্যোতিষীদের অবগত করত। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, অধিকাংশ সময় আড়িপাতা বন্ধে বেশিরভাঘ জিনদের প্রতি আল্লাহ তা’আলা কক্ষচ্যুত নক্ষত্র (উল্কাপিণ্ড) ব্যবহার করেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

‘গণকদের ভবিষ্যদ্বাণী কিছু সত্যের সঙ্গে শত শত মিথ্যার সংমিশ্রণ বৈ কিছুই নয়।’ (বুখারী ৬৫৭)

এসব জিনদের মধ্যে যারাই উল্কাপিণ্ডের হাত থেকে বেঁচে আসে তারা তাদের ঐ মানুষ গণকের কাছে মিথ্যা মিশিয়ে খবর দেয় আর তখন সেটা সেই গনক আপনাদেরকে বলে আর আপনারা সেই শত কথার মাঝে দুই একটা সঠিক কথাকে ভিত্তি করে সেই গণককে বিশ্বাস করেন আর টাকা দেন। আপনারা জেনে দেখবেন যে, যারাই এসব কথা বলে তাদের সাথে জিন থাকে। জিনদের মাধ্যমেই তারা এসব ধোঁকাবাজির ঈমান ধ্বংসকারী ব্যবসা করে থাকে। আসলে আপনারা টাকার বিনিময়ে আপনাদের ঈমান বিক্রি করে দেন। অতএব হে মুসলিম! এদের থেকে সাবধান। আল্লাহ তা’আলার উপরই ভরসা করুন।

৩। তৃতীয় ও শেষ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত সে সব বিষয় যা নক্ষত্রের বিভিন্ন অবস্থান ও এর গতিবিধির উপর ভিত্তি করা সম্পর্কিত। এর দ্বারা মুসলিমরা কেবলা নির্ধারণ করে থাকে, সময় নির্ধারণ করে,নাবিক বা মরুভূমির পথিকেরা তাদের দিক নির্ণয় এবং কৃষকেরা তাদের শস্য রোপণের সময় নির্ধারণ ইত্যাদি করে থাকে।

এই প্রকার জ্যোতির্বিদ্যার উলামায়ে কেরাম সম্মতি প্রদান করেছেন। ফলে উক্ত প্রকার জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও আলোচনায় কোন অসুবিধা নেই। কারণ এটি হালাল হওয়ার বিষয়টি কুরআন ও সহীহ হাদীছ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত।

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

“তিনি তোমাদের জন্য নক্ষত্ররাজি সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা সেগুলোর সাহায্যে জলে স্থলে অন্ধকারে পথের দিশা লাভ করতে পার।” (সূরা আনআমঃ ৯৭)

ইমাম বুখারী রহঃ তাঁর সহীহ গ্রন্থে বলেছেন,

কাতাদাহ রাহিঃ বলেছেন, ‘আল্লাহ তা’আলা এসব নক্ষত্ররাজিকে তিনটি উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন, (১) আকাশের সৌন্দর্যের জন্য, (২) আঘাতের মাধ্যমে শয়তান বিতাড়নের জন্য এবং (৩) দিক ভ্রান্ত পথিকদের নির্দেশনা হিসেবে পথের দিশা পাওয়ার জন্য। যে ব্যক্তি এ উদ্দেশ্য ছাড়া এর ভিন্ন ব্যাখ্যা দিবে সে ভুল করবে এবং তাঁর ভাগ্য নষ্ট করবে। আর এমন জটিলতায় সে পড়বে যে সম্পর্কে তাঁর কোন জ্ঞানই থাকবে না।

নিশ্চয়ই এ কাজ যারা সম্পাদন করে তারা আল্লাহর আদেশ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়।

ভবিষ্যতের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ তা’আলাই জানেন। অন্য কেউ জানে না। এমনকি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও জানতেন না। আল্লাহ তা’আলা যদি কাউকে অদৃশ্যের জ্ঞান অর্জনের কৌশল শিক্ষা দিতেন, তাহলে আদম (আ)কেই শিক্ষা দিতেন। কারণ, তিনিই তাঁর নিজ হাত দ্বারা আদম (আ)কে সৃষ্টি করেছেন, ফিরিশতাদেরকে দিয়ে তাকে সিজদা করিয়েছেন এবং তাকে সকল বস্তুর নাম শিক্ষা দিয়েছেন।

রাশিচক্রঃ

পূর্বের আলোচনা থেকে আমাদের নিকট স্পষ্ট হয়েছে যে জ্যোতিষশাস্ত্রের চর্চা শুধু হারামই নয়, বরং জ্যোতিষীর নিকট গমন করা, তাঁর দেয়া ভবিষ্যদ্বাণী শ্রবণ করা , এ সংক্রান্ত বইপত্র ক্রয় অথবা কারো ভাগ্য গণনা করাও সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

‘গণকের নিকটে কোন ব্যক্তি গমন করে যদি তাকে কিছু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তাহলে ৪০ দিন ও ৪০ রাত পর্যন্ত তাঁর সলাত কবুল হবে না।’ (সহীহ মুসলিম)

‘যদি কেউ গণকের বা জ্যোতিষীর নিকট গমন করে তাঁর কথায় বিশ্বাস করল, তাহলে সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর অবতীর্ণ বিষয়কে অবিশ্বাস করল।’ (সুনান আবু দাউদ)

‘তিন শ্রেণীর লোক জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, (১) মাদকাসক্ত ব্যক্তি (২) আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী এবং (৩) যাদুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী।’(মুসনাদে আহমাদ)

মানুষের অজ্ঞাতসারে বর্তমানে স্পষ্টত জ্যোতির্বিদ্যার যে ক্ষেত্রে মানুষ নিমজ্জিত হচ্ছে তা হল, ব্যাপকভাবে পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত ও প্রচারিত রাশিফল বা রাশিচক্র। এটি হল তাসীরী জ্যোতির্বিদ্যা এবং তা গণকদের কর্মের অন্তর্ভুক্ত। অতএব এটিকে সার্বিকভাবে প্রতিহত করা অপরিহার্য। এ ধরণের পেপার পত্রিকা ঘরে উঠানো, পড়া ও তা সম্পর্কে অবগত হওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেননা যে রাশিফল সম্বলিত পত্রিকা গ্রহণ করল, পড়ল ও তার সেই রাশি সম্পর্কে জানল যাতে সে জন্মগ্রহণ করেছে বা তাঁর উপযুক্ত রাশি নির্ণয় করল ও সে সম্পর্কে পড়ল তবে সে গণকের নিকটেই এসে সেগুলো সম্পর্কে জানল যা শরীয়তে নিষিদ্ধ। অতএব, রাশিফল সে যা পড়ে জানল তা সত্যি মনে করে তবে অবশ্যই সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর যা নাযিল হয়েছে তাঁর সাথে কুফরী করল। সুতরাং রাশিফল প্রয়োগকারী হল, গণকদেরই অন্তর্ভুক্ত ও তাওহীদের পরিপন্থী।

হে মুসলিম! এসব হতে সাবধান! থাকুন। নিজে বাচুন , নিজের পরিবার পরিজনকে বাচান।

আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে তাওহীদের পরিপন্থী সকল প্রকার কর্ম হতে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুক। আমীন।

গ্রন্থপঞ্জী

১। তাওহীদের মূল নীতিমালা, ড. আবূ আমীনাহ বিলাল ফিলিপস

২। কিতাবুত তাওহীদ ও এর ব্যাখ্যা, মুহাম্মাদ বিন সুলায়মান আত-তামীমী (রাহি)

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
kiw kow kan