ঈমানী দুর্বলতার লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসা

-শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ

দুর্বল ঈমানের লক্ষণ-

১। পাপে নিমজ্জিত হওয়া, হারাম কাজ করা।
২। অন্তকরণে কাঠিন্য অনুভব, উপদেশ বা জানাজা দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া।
৩। ইবাদতে একাগ্রতার অভাব, বরং উদাসীনতা।
৪। ইবাদত ও আনুগত্যে শৈথিলতা ও অলসতা প্রদর্শন।
৫। মেজাজের ভারসাম্যহীনতা ও বক্ষের অপ্রশস্থততা।


৬। কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া।
৭। আল্লাহর জিকির ও দুয়ার ব্যাপারে গাফিল হওয়া।
৮। হারাম কাজ হতে দেখলেও খারাপ না লাগা।
৯। নিজেকে প্রকাশ করতে ভালবাসা।
১০। কৃপণতা।
১১। কথা ও কাজে অমিল।
১২। মুসলিম ভাইয়ের বিপদে খুশি হওয়া।
১৩। কোন কাজ গুনাহের কিনা তা না দেখে নিজের অপছন্দের কিনা তা দেখা।
১৪। ভাল কাজ তুচ্ছজ্ঞান ও নেকীর কাজ গুরুত্ব না দেয়া।
১৫। মুসলিমদের সমস্যার ব্যাপারে গুরুত্ব না দেয়া।
১৬। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ছিন্ন করা।
১৭। দ্বীনের কাজে দায়িত্বানুভূতি না থাকা।
১৮। বিপদাপদে ভীত সন্ত্রস্ত হওয়া।
১৯। দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণ ও এর প্রতি ঝুঁকে যাওয়া।
২০। অনর্থক ঝগড়া বিবাদ বা তর্কে লিপ্ত হওয়া।
২১। জনশ্রুতিকে বর্ণনার জন্য গ্রহন করা।
২২। নিজেকে নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকা।

ঈমানী দুর্বলতার কারণ-

১। ঈমানী পরিবেশ থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকা।

২। সৎ ও অনুকরণযোগ্য ব্যক্তি হতে দূরে থাকা।
৩। শরীয়তী জ্ঞান ও ঈমানী বই হতে দূরে থাকা।
৪। গুনাহগারদের মাঝে অবস্থান করা।
৫। দুনিয়ার মোহে মগ্ন হওয়া।
৬। ধন-সম্পদ ও পরিবার নিয়েই মেতে থাকা।
৭। উচ্চাকাঙ্ক্ষা বা বিলাসী আকাঙ্ক্ষা।
৮। বেশী খাওয়া, বেশী ঘুম, বেশী কথা, অধিক রাত্রিজাগরণ, কাঠিন্যতা ।


ঈমানী দুর্বলতার চিকিৎসা-

১। কুরআন নিয়ে চিন্তা গবেষণা করা।

২। মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর বড়ত্ব অনুভব এবং তাঁর নাম ও গুণাবলীর চিন্তা করা।
৩। শরীয়াতের জ্ঞানার্জন, ঈমানী বইয়ের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি।
৪। নিয়মিত ইসলামী আলোচনায় উপস্থিত হওয়া।
৫। বেশী বেশী নেক আমল করা ও নেক কাজে প্রতিযোগিতা করা।
৬। বিভিন্ন ধরনের ইবাদাতে (শারীরিক, আর্থিক) আত্মনিয়োগ করা।
৭। খারাপ পরিণতির আশঙ্কা করা ও শেষ পরিণতির ব্যাপারে সতর্কতা।
৮। বেশী বেশী মৃত্যুর স্মরণ, জানাজা, দাফন ও জিয়ারতে অংশ নেয়া।
৯। পরকালের মাঞ্জিল যেমন- কিয়ামত, পুলসিরাত, জান্নাত, জাহান্নাম নিয়ে চিন্তা করা।
১০। প্রাকৃতিক কোন ঘটনা দেখলে পরকালের চিন্তা করা। যেমন-মেঘ, সূর্য, চন্দ্র, এদের গ্রহন।
১১। সর্বদাই আল্লাহর স্মরণ বা জিকির।
১২। মোনাজাত বা একাগ্রভাবে আল্লাহকে ডাকা।
১৩। কামনা বাসনা কম করা।
১৪। দুনিয়াকে নগন্য মনে করা।
১৫। আল্লাহর নির্দেশসমূহের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন।
১৬। মুমিনের সাথে সম্পর্ক গড়া ও কাফেরের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা।
১৭। বিনয়ী হওয়া, দুনিয়ার চাকচিক্য পরিহার করা।
১৮। অন্তরে আল্লাহকে ভালোবাসা, ভয় করা, তাঁর প্রতি সুধারনা ও ভরসা পোষণ করা, তাঁর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকা ও তাঁর নিকট তাওবা করা।
১৯। আত্নসমালোচনা করা।
২০। আল্লাহর নিকট মজবুত ঈমানের জন্য দুয়া করা।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
kiw kow kan