যুক্তরাজ্যে ইসলামের অগ্রযাত্রা

এক বিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জকে সফলভাবে মোকাবেলা ও বিশ্বব্যাপী পাহাড়সম বৈরিতা উপেক্ষা করে সারা বিশ্বে ইসলামের জয়রথ ছুটে চলছে। এ যেন আল্লাহর সেই ঘোষণা বাস্তবায়নেরই ইঙ্গিত। (আল -কুর’আনঃ৬১ সুরা সফঃ৯)
.
তিনি তাঁর রসূলকে পথ নির্দেশ ও সত্য জীবনব্যাবস্থা নিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে একে সব জীবনব্যাবস্থা উপর বিজয়ী করে দেন যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।
.
যুক্তরাজ্যে কিভাবে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ছে, তা আমরা ধারাবাহিকভাবে সেদেশি কয়েকটি পত্রিকার মাধ্যমেই জানার চেষ্টা করব, ইনশা’আল্লাহ।
নিচে ডেইলিমেইল অনলাইনে প্রকাশিত একটি রিপোর্টের অনুবাদ তুলে ধরা হল। রিপোর্টটি ২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি তারিখের।


.
যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত ১ লাখ মানুষ ইসলামে দীক্ষিত হয়েছেন। নওমুসলিমদের গড় বয়স ২৭ বছর, দুই-তৃতিয়াংশের বেশিই মহিলা এবং ৭০ শতাংশের বেশি মানুষই শ্বেতাঙ্গ।।


[এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, নিছক শিশুসুলভ ভাবাবেগ বা বৃদ্ধ হয়ে গিয়ে মরণের ভয়ে মানুষ ইসলামে আসছে এমনটা বলা যাচ্ছে না- অনুবাদক]
শুধুমাত্র গত বছরেই (২০১০) মুসলিম হয়েছেন ৫২০০ জন। আরো দেখা গেছে, শ্বেতাঙ্গ মহিলাদের মধ্যেই ইসলাম গ্রহণের হার সবচেয়ে বেশি।
.
অন্য দিকে গত দশ বছরে এই হার দ্বিগুণ হয়েছে। ব্রিটিশদের ভোগবাদ (consumerism ) ও অনৈতিকতার প্রতি বিরক্তির উদ্রেক বিষয়গুলোই ইসলাম গ্রহণের প্রধান নিয়ামক ছিল। Faith Matters নামক ফেইথ গ্রুপের একটি জরিপ থেকে তথ্যগুলো উঠে এসেছে ।
রিপোর্টে বলা হয়, গত বার মাসে প্রায় ৫২০০ নারী ও পুরুষ ইসলাম গ্রহণ করেন, যাদের ১২০০ হচ্ছেন লন্ডনবাসী।
.
২০০১ সালে ব্রিটেনে নওমুসলিমদের সংখ্যা ছিল ৬০ হাজার। Swansea University এর কেভিন ব্রাইস পরিচালিত এই জরিপে ব্রিটিশ সংস্কৃতির নেতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে নওমুসলিমদের মতামত চাওয়া হয়েছিল। তাদের উত্তরে উঠে আসে অ্যালকোহল, মাদকাসক্তি, নৈতিকতার অভাব, অবাধ যৌনতা এবং লাগামহীন ভোগবাদের মতো ব্যাপারগুলো।
.
প্রতি চার জনে এক জনের বেশির মত ছিল, দেশটিতে বসবাস ও পরিপূর্ণ ইসলাম চর্চার মধ্যে সহজাত বিরোধ (natural conflict) রয়েছে। প্রতি ১০ জন মহিলা নওমুসলিমের মধ্যে ৯ জনই বলেছেন, ইসলাম গ্রহণের পরে তাঁদের পোশাকে আমূল পরিবর্তন এসেছে। অর্ধেকের বেশি মাথায় স্কার্ফ পরছেন আর বোরকা পরছেন ৫ ভাগ নারী।
.
[উল্লেখ্য, ইসলামিক হিজাব পালনের জন্য বোরকাই পরতে এমন কোন কথা নেই, উপযুক্ত কাপড় পরে বোরকা না পরেও ফরজ পালন করা যায়। তাই মনে করা ঠিক নয় যে নওমুসলিম মহিলারা ধার্মিক নন- অনুবাদক]
গত বছর (২০১০) সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারে শ্যালিকা লরেন বুথ ইসলাম গ্রহণ ও তা ব্যাপকভাবে প্রচার করে মানুষের নজর কাড়েন।
.
লিনি আলী নামক ৩১ বছর বয়সী একজন নওমুসলিম বলেন, “অন্যান্যদের মতই আমি নিয়মিত পার্টিতে যেতাম। তবু সব সময়ই মনে হত আমার জীবনে কিছু একটার যেন অভাব রয়েছে। মনে হত, আমি কিছু একটা খুঁজে বেড়াচ্ছি। পার্টি করে এবং প্রচুর মদ গিলেও আমি তৃপ্তি পেতাম না।”
.
এসেক্সের এই মহিলা আগে ডিজে ছিলেন। ১৯ বছর বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধু জাহিদের সাথে তার পরিচয়, অতঃপর ইসলাম গ্রহণ। বর্তমানে তিনি নিকাব পরেই বাইরে বের হন।
তিনি বলেন, “আমি কৃতজ্ঞ, আমি আমার মুক্তির পথ পেয়ে গেছি। আমি আমার নিজেকে খুঁজে পেয়েছি। আমি আনন্দের সাথে দিনে পাঁচবার সালাত আদায় করি এবং মসজিদে ক্লাস নেই। আমি এখন আর একটি রুগ্ন সমাজ ও তার এক্সপেকটেশনের দাস নই।”
.
সূত্রঃ ডেইলিমেইল থেকে অনূদিত (http://www.dailymail.co.uk/…/100-000-Islam-converts-living-…)

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button
skybet88 skybet88 skybet88 skybet88 mix parlay skybet88 slot bonus new member skybet88 skybet88 slot gacor skybet88 skybet88