সাহীহ হাদীছের আলোকে ঈসা ও মাহদী আলাইহিস সালাম কি একই ব্যক্তি?
লেখক : আফফান বিন তৈয়ব
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা-র জন্য এবং অসংখ্য সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নাবী ও রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ-এর প্রতি।
ভণ্ড, কাফির মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ১৮৯১ সালের ২২শে জানুয়ারী নিজেকে প্রতিশ্রুত মাসীহ বা মাসীহ মাওউদ এবং ১৮৯৪ সালের ১৭ই মার্চ নিজেকে ইমাম মাহদী এবং সর্বশেষ ১৯০৮ সালের ৫ই মার্চ নাবী ও রাসূল দাবী করে।
বর্তমানে প্রচলিত বাংলাদেশী আহমদীয়া তথা কাদিয়ানীদের প্রধান দাওয়াতী বিষয় ও দলীল তিনটি। যথা :
১) ঈসা আলাইহিস সালাম এর মৃত্যু।
২) দাজ্জাল হল খৃষ্টান পাদ্রীগণ ও তাদের আধুনিক প্রযুক্তি।
৩) ঈসা ও মাহদী একই ব্যক্তি। এবং সে হল গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী।
এই তিনটি বিষয় প্রমাণ করতে পারলেই তারা সঠিক বলে দাবী করতে পারে। কিন্তু প্রমাণ করতে হলে জালিয়াতি ভিন্ন কোন রাস্তা নেই।
প্রথম বিষয়টির দলীল হল ক্বুরআনের সেইসব আয়াতের অপব্যাখ্যা যাতে আল্লাহ তাআ’লা ঈসা আলাইহিস সালাম কে আসমানে উঠিয়ে নিয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছেন।
এতে আয়াতের অর্থ নিয়ে জোচ্চুরি করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। ঈসা আলাইহিস সালাম কে বিভ্রান্তির জবাব দিয়েছেন শহীদুল্লাহ খান মাদানী। তার বইটির নাম “বিভ্রান্তির প্রতিবাদে ক্বুরআন ও সহীহ হাদীছের আলোকে ঈসা আলাইহিস সালাম এর পুনঃআগমন”।
দ্বিতীয় বিষয়টির দলীল হল, দাজ্জাল ও ইয়াজুজ-মাজুজ সম্পর্কিত হাদীছসমূহের গাজাখুরি ও মনগড়া ব্যাখ্যা। উল্লেখ্য কাফির কাদিয়ানীদের সাথে এক্ষেত্রে মিলে গেছেন হোমিওপ্যাথিস্ট বায়াজীদ খান পন্নী। যার সংগঠনের নাম হেযবুত তওহীদ। তিনিও বলেন, দাজ্জাল হল ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের যান্ত্রিক সভ্যতা। যার জবাব দিয়েছেন ইকবাল বিন ফাখরুল।
আর তৃতীয় বিষয়টির দলীল হচ্ছে, একখানা দ্বাঈফ ও মুনকার হাদীছ (ইবনু মাজাহ/৪০৩৯) ও সুবিধামত ও অসম্পূর্ণ সাহীহ হাদীছসমূহ। যার জবাব এখানে আমরা পাবো ইনশাআল্লাহ।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বা হাক্বপন্থীদের আক্বীদাহ হল, ঈসা আলাইহিস সালাম কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা আসমানে উঠিয়ে নিয়েছেন এবং ক্বিয়ামাতের পূর্বে তিনি আবার পৃথিবীতে আসবেন। ঈসা ও মাহদী আলাইহিস সালাম দুজন স্বতন্ত্র ব্যক্তি। দাজ্জাল একজন যুবক ও ভয়ংকর ফিতনাহ। তাকে ঈসা আলাইহিস সালামই হত্যা করবেন।
ঈসা ও মাহদী আলাইহিস সালাম দু’জন স্বতন্ত্র ব্যক্তি :
“লা–মাহদী ইল্লা ঈসা” মাহদী কেউ নয় ঈসা ছাড়া। অর্থাৎ “যিনি ঈসা তিনিই মাহদী” (ইবনু মাজাহ/৪০৩৯)। এটি কাদিয়ানীদের অন্যতম দলীল। তারা বলে, ঈসা আলাইহিস সালাম মারা গেছেন। আর যেহেতু ঈসা আলাইহিস সালাম ক্বিয়ামাতের পূর্বে আবার দুনিয়াতে আসবেন বলে ওরাও স্বীকার করে তাই বলে যে, ঈসা ও মাহদী একই ব্যক্তি। অর্থাৎ মাহদীই হলেন রূপক ঈসা।
তারা মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে ঈসা ও মাহদী বলে দাবী করে। দলীলস্বরূপ পেশ করে ইবনু মাজাহ এর (উপরি-উক্ত) হাদীছটি। উক্ত হাদীছটির তাখরীজ ও তাহক্বীক্ব শায়েখ আলবানী রাহিমাহুল্লাহ এর “সিলসিলা আহাদীছুল দ্বাঈফাহ ওয়াল মাওদ্বুআহ” গ্রন্থ (হাদীছ নং ৭৭) থেকে সংক্ষেপে পেশ করছি :
হাদীছটি মুনকার। এটি ইবনু মাজাহ (২/৪৯৫), হাকিম (৪/৪৪১), ইবনুল জাওযী “আল ওয়াহিয়াত” গ্রন্থে (১৪৪৭), ইবনু আব্দিল বার “জামে’উল ইলম” গ্রন্থে (১/১৫৫), আবু আমর আদ্দানী “আস-সুনানুল ওয়ারিদা ফিল ফিতান” গ্রন্থে, সিলাফী “আত-তায়ূরিয়াত” গ্রন্থে (৬২/১) এবং খাতীব বাগদাদী (৪/২২১) মুহাম্মাদ ইবনু খালেদ জানাদী সূত্রে আবান ইবনু সালেহ হতে, তিনি হাসান হতে …বর্ণনা করেছেন।
হাদীছটির সানাদ তিনটি কারণে দুর্বল :
১) হাসান বাসরী কর্তৃক আন্ আন্ শব্দ দ্বারা বর্ণনাকৃত। কারণ তিনি কখনও কখনও তার শায়খের নাম গোপন করতেন।
২) সানাদের মুহাম্মাদ ইবনু খালেদ জানাদী মাজহূল বা অজ্ঞাত।
৩) হাদীছটির সানাদে বিভিন্নতা।
বায়হাক্বী বলেন, হাসান বাসরী সূত্রে নাবী ﷺ হতে হাদীছটি মুনকাতি।
যাহাবী “আল মীযান” গ্রন্থে বলেন, এ হাদীছটি মুনকার ও মুরসাল।
সাগানী ও শাওকানী বলেছেন, হাদীছটি জাল।
সূয়ুতী কুরতুবীর উদ্ধৃতিতে বলেন, এটির সানাদ দুর্বল।
ইবনু হাজার বলেছেন হাদীছটি মারদুদ বা পরিত্যক্ত মাহদী সংক্রান্ত (সাহীহ) হাদীছগুলোর বিরোধী হওয়ার কারণে। এই হল কাদিয়ানীদের দলীলের অবস্থা। আমাদের সমাজে মাহদী ও ঈসা আলাইহিস সালাম কে দুজন ব্যক্তি বলেই সাধারণ মানুষ ধারণা পোষন করে থাকে। এবং সেটিই সঠিক। নিচের হাদীছগুলো দেখুন মাহদী ও ঈসা আলাইহিস সালাম সম্পূর্ণ আলাদা দুজন ব্যক্তি। বাস্তবতা কাদিয়ানীদের সম্পূর্ণ বিপরীত। হাদীছগুলো মনোযোগ সহকারে পড়লে আশা করি কোন সংশয় থাকবে না।
ইমাম মাহদী
১) আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন : “মাহদী আমাদের আহলে বাইত থেকে হবে। আল্লাহ তাআ’লা তাকে এক রাতে খিলাফাতের যোগ্য করবেন।” [ইবনু মাজাহ/৪০৮৫; আলবানী ও যুবায়ের আলী ঝাঈ রাহিমাহুমুল্লাহ হাদীছটির সানাদ হাসান বলেছেন]
২) সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমরা উম্মু সালামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর নিকট বসা ছিলাম। আমরা পরস্পর মাহদী সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি : “মাহদী ফাতেমার বংশধর (থেকে হবে)।” [ইবনু মাজাহ/৪০৮৬; আবু দাউদ/৪২৮৪; আলবানী রাহিমাহুল্লাহ হাদীছটির সানাদ সাহীহ ও যুবায়ের আলী ঝাঈ রাহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন]
৩) আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নাবী ﷺ বলেছেন : “যদি দুনিয়ার মাত্র একদিনও অবশিষ্ট থাকে তবে আল্লাহ সেই দিনকে অত্যন্ত দীর্ঘায়িত করবেন এবং আমার হতে অথবা আমার পরিজন হতে একজন লোক আবির্ভূত করবেন, যার নাম ও তার পিতার নাম আমার ও আমার পিতার নামের সঙ্গে হুবহু মিল হবে। সে পৃথিবীকে ইনসাফে পরিপূর্ণ করবে যেরূপ তা যুলুমে পরিপূর্ণ ছিল। অন্য বর্ণনায়, ততদিন দুনিয়া ধ্বংস হবে না, যতদিন পর্যন্ত আমার পরিবারের এক ব্যক্তি আরবের রাজত্ব না করবে, তার নাম হুবহু আমার নামই হবে।” [আবু দাউদ/৪২৮২-৮৩; তিরমিযী/২২৩০-৩১; আলবানী ও যুবায়ের আলী ঝাঈ রাহিমাহুমুল্লাহ হাদীছের সানাদ হাসান সাহীহ বলেছেন]
ইমাম মাহদী সম্পর্কে আরও অনেক দ্বাঈফ, মাওদ্বু ও বিতর্কিত সানাদের হাদীছ আছে।
ঈসা আলাইহিস সালাম :
১) আবু হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি, “আমি ঈসা ইবনু মারইয়ামের অধিক ঘনিষ্ঠ। আর নাবীগণ পরস্পর বৈমাত্রিয় ভাই। আমার ও তার মাঝখানে কোন নাবী নেই।” [সাহীহ বুখারী/৩৪৪২,(৩৪৪৩)]
২) আবু হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “শপথ সেই সত্তার যার হাতে আমার প্রাণ, শীঘ্রই তোমাদের মধ্যে ঈসা ইবনু মারইয়াম আলাইহিস সালাম শাসক ও ন্যায়-বিচারক হিসেবে আগমন করবেন। তিনি “ক্রুশ” (†) ভেঙ্গে ফেলবেন, শূকর হত্যা করবেন এবং যুদ্ধের সমাপ্তি টানবেন। তখন সম্পদের ঢেউ বয়ে চলবে। এমনকি কেউ তা গ্রহণ করতে চাইবে না। তখন আল্লাহকে একটি সিজদাহ করা সমস্ত দুনিয়া এবং তার মধ্যকার সমস্ত সম্পদ হতে অধিক মূল্যবান বলে গণ্য হবে। অতঃপর আবু হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তোমরা ইচ্ছা করলে এর সমর্থনে এ আয়াতটি পড়তে পার : “কিতাবীদের মধ্যে প্রত্যেকে তার (ঈসা আলাইহিস সালাম এর) মৃত্যুর পূর্বে তাকে বিশ্বাস করবেই এবং ক্বিয়ামাতের দিন তিনি তাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবেন।” [নিসা :১৫৯] [সাহীহ বুখারী/৩৪৪৮,(২২২২,২৪৭৬); ইবনু মাজাহ/৪০৭৮; তিরমিযী/২২৩৩; এ হাদীছটি কাদিয়ানীরাও মানে। দেখুন : বিষয়ভিত্তিক কতিপয় নির্বাচিত হাদীস এর সংকলন, ২য় সংস্করণ আগস্ট ২০০৮, ইমাম মাহদী আ. এর আগমন অনুচ্ছেদ, হাদীছ নং ২, পৃঃ২৫,২৬]
৩) “…আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা ঈসা ইবনু মারইয়াম আলাইহিস সালাম কে যমিনে পাঠিয়ে দিবেন। তিনি দামেশকের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত মিনারা বাইযায় (সাদা মিনারায়) অবতরণ করবেন। এসময় তিনি ওয়ারস ও জাফরান রংয়ের দুটো বস্ত্র পরিহিত থাকবেন। তিনি দু’জন ফেরেশতার পাখায় দু’হাত রেখে অবতরণ করবেন। যখন তিনি মাথা নীচু করবেন হালকা বৃষ্টি হবে আর যখন মাথা উঁচু করবেন তার শরীর থেকে মুক্তা বিন্দুর ন্যায় ফোটা গড়িয়ে পড়বে। তার নিশ্বাসের বাতাস পেলে একটি কাফিরও বাঁচতে পারবে না, সব মরে যাবে। এবং তার শ্বাস তার শেষ দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। তিনি এসে দাজ্জালকে অনুসন্ধান করবেন। অবশেষে তাকে বাইতুল মুকাদ্দাস এলাকার “লুদ্দ” নামক শহরের দ্বারপ্রান্তে খুঁজে বের করে হত্যা করবেন…”। [সাহীহ মুসলিম (দারুস সালাম)/৭৩৭৩; বা.ই.সে./৭১৬০; ইবনু মাজাহ/৪০৭৫; তিরমিযী/২২৪০; আবু দাউদ/৪৩২১]
৪) “…আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা ঈসা ইবনু মারইয়াম আলাইহিস সালাম কে পাঠাবেন, তিনি যেন উরওয়াহ ইবনু মাস’উদের আকৃতিবিশিষ্ট। তিনি যমিনে অবতরণ করে দাজ্জালের অনুসন্ধান করবেন। অবশেষে তাকে হত্যা করবেন। তাকে হত্যা করার পর মানুষ দীর্ঘ সাত বছর যাবৎ এমন শান্তিপূর্ণভাবে জীবনযাপন করবে যে, দু’ব্যক্তির মধ্যে কোন শত্রুতা থাকবে না। এরপর আল্লাহ সিরিয়ার দিক থেকে একটা শীতল বাতাস ছেড়ে দিবেন। শীতল বাতাসের স্পর্শ লেগে যমিনের বুকে এমন একটি লোকও বেঁচে থাকবে না যার অন্তুরে অণু পরিমান কল্যাণ বা ঈমান আছে বরং সবাই প্রাণত্যাগ করবে।…” [সাহীহ মুসলিম (দারুস সালাম)/৭৩৮১; বা.ই.সে/৭১৬৮]
৫) আবু হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নাবী ﷺ বলেছেন : “আমার ও তার (অর্থাৎ ঈসা আলাইহিস সালাম এর) মাঝে কোন নাবী নেই। আর তিনি তো অবতরণ করবেন। তোমরা তাকে দেখে এভাবে চিনতে পারবে যে, তিনি মাঝারি উচ্চতার, লাল-সাদা ও গেরুয়া রংয়ের মাঝামাঝি (অর্থাৎ দুধে আলতা) তার রং হবে এবং তার মাথার চুল ভিজা না থাকলেও মনে হবে চুল হতে বিন্দু বিন্দু পানি টপকাচ্ছে। তিনি ইসলামের জন্য মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন, ক্রুশ (†) ভেঙ্গে ফেলবেন, শূকর হত্যা করবেন ও জিযিয়া রহিত করবেন। তিনি তার যুগে ইসলাম ছাড়া সকল ধর্ম বিলুপ্ত করবেন এবং মাসীহ দাজ্জালকে হত্যা করবেন। তিনি পৃথিবীতে ৪০ বছর অবস্থান করবেন, অতঃপর মৃত্যুবরণ করবেন এবং মুসলিমরা তার জানাযা পড়বে।” [আবু দাউদ/৪৩২৪; আলবানী রাহিমাহুল্লাহ হাদীছটির সানাদ সাহীহ ও যুবায়ের আলী ঝাঈ রাহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন]
৬) ইবনু সীরীন রাহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : ইবনু মারইয়াম আলাইহিস সালাম অবতরণ করবেন আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সময়ে হালকা হলুদ রং বিশিষ্ট দু’খানি চাদর ও বর্ম পরিহিত অবস্থায়। লোকেরা তাকে বলবে : আপনি অগ্রসর হোন (অর্থাৎ ইমামতি করুন)। তখন তিনি বলবেন : বরং তোমাদের ইমাম তোমাদের সলাত পড়াবেন। তোমরা একে অপরের ইমাম।” অন্য বর্ণনায়, “ঈসা আলাইহিস সালাম যার ইমামতিতে সলাত আদায় করবেন তিনিই হলেন মাহদী।”
[মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক/২০৮৩৮-৩৯; আলবানী রাহিমাহুল্লাহ এর সানাদ সাহীহ মাক্বতূ এবং মুরসালভাবে মারফুর হুকুম আছে বলেছেন। গৃহীত : দাজ্জাল, আলবানী একাডেমী, প্রথম প্রকাশ, পৃঃ ৮৮,৮৯]
মাহদী ও ঈসা আলাইহিস সালাম এর মধ্যে সহজ কিছু স্বাতন্ত্রিক পার্থক্য :
১) মাহদী আলাইহিস সালাম এর পিতা থাকবে যার নাম হবে আব্দুল্লাহ। কিন্তু ঈসা আলাইহিস সালাম এর যে পিতা নেই তাতো ভণ্ড কাফির কাদিয়ানীরাও স্বীকার করে।
২) মাহদী আলাইহিস সালাম হবেন ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর বংশধর। কিন্তু ঈসা আলাইহিস সালাম নন।
৩) মাহদী আলাইহিস সালাম স্বাভাবিকভাবেই জন্মগ্রহণ করবেন আর ঈসা আলাইহিস সালাম আকাশ থেকে অবতরণ করবেন।
৪) ঈসা আলাইহিস সালাম দামেশকের সাদা মিনারায় অবতরণ করবেন, মাহদী আলাইহিস সালাম নন।
৫) ঈসা আলাইহিস সালাম নাবী ছিলেন, মাহদী আলাইহিস সালাম নন।
৬) ঈসা আলাইহিস সালাম আকাশ থেকে নেমে মাহদী আলাইহিস সালাম এর ইমামতিতে সলাত আদায় করবেন।
মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর অবস্থা ও কিছু প্রশ্ন :
১) তার বাবার নাম গোলাম মুরতাজা কেন?
২) সে দামেশকের সাদা মিনারায় অবতরণ করল কবে?
৩) সে যদি ঈসা আলাইহিস সালাম হয় তাহলে (ক) কাফিররা এখনো জীবিত কেন? (খ) শূকর জীবিত কেন? (গ) ক্রুশ (†) এখনও অক্ষত কেন? (ঘ) ইসলাম ছাড়াও অন্য ধর্ম এখনো কেন পালিত হচ্ছে?
৪) এই (ভণ্ড) মাসীহ ১৯০৮ সালের ২৬শে মে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে পায়খানায় পরে মারা গেল কেন? এবং আরও অনেক প্রশ্ন???
হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে সত্য বুঝার তাওফীক্ব দাও। আমীন