মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানীর শারঈ বিধান

রচনায়: আবু শিফা আকমাল হুসাইন বিন বাদীউযযামান***

মাসিক আত-তাহরীক পুরনো সংখ্যা থেকে সংগৃহীত

মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী করা সম্পর্কে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন। এ বিষয়েই আলোচ্য নিবন্ধের অবতারণা। ইসালামী শরী’আতের একটি মূলনীতি হচ্ছে যেকোন মুসলিম ব্যক্তি ছওয়াবের আশায় কোন ইবাদত করতে চাইলে অবশ্যই তার সমর্থনে কুরআন মাজীদ অথবা ছহীহ হাদীছ থেকে দলীল থাকতে হবে। ছহীহ দলীল থাকলে তা করা যাবে। অন্যথায় তা করা যাবে না। আর কোন আমলে স্বপক্ষে দলীল না থাকলে তা নবাবিষ্কার তথা বিদ’আত হিসাবে গণ্য হবে। এরকমই একটি বিষয় হচ্ছে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করা। এ মর্মে কোন ছহীহ দলীল পাওয়া যায় না। এমনকি মৃত ব্যক্তির সাথে কুরবানীর কোন সম্পৃক্ততাই নেই।

ইমাম আবূ দাউদ এবং ইমাম তিরমিযী এ মর্মে দু’টি হাদীছ বর্ণনা করেছেন। নিম্নে হাদীছ দু’টি সম্পর্কে আলোচনা কর হ’ল-

(১) হানাশ হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আলী (রাঃ)-কে দু’টি মেষ যবেহ করতে দেখেছি। আমি তাকে বললাম, এটা কি? (অর্থাৎ দু’টি কেন?) তিনি উত্তরে বললেন, রাসূল (ছাঃ) আমাকে তাঁর পক্ষ থেকে কুরবানী করার জন্য অছিয়ত করে গেছেন। তাই আমি তাঁর পক্ষ থেকে কুরবানী করছি।

(২) হাকাম হানাশ থেকে এবং তিনি আলী (রা) হ’তে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (আলী) দু’টি মেষ কুরবানী দিতেন। একটি নবী করীম (ছাঃ)-এর পক্ষ থেকে এবং অপরটি তার নিজের পক্ষ থেকে। তাকে এব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বললেন, আমাকে নবী করীম (ছাঃ) তা করতে নির্দেশ দিয়ে গেছেন। অতএব আমি কখনও তা ছাড়ব না।

ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীছটি গারীব। হাদীছটিকে একমাত্র শারীক কর্তৃক বর্ণনাকৃত হাদীছ থেকেই জানতে পেরেছি। আবূ দাউদ এবং তিরমিযী কর্তৃক বর্ণনাকৃত হাদীছ দু’টিতে দু’জনের উস্তাদ ভিন্ন হ’লেও সনদের উপরের বর্ণনাকারীগণ একই।

হাফিয মুনযেরী বলেন, ‘হানাশ হচ্ছেন আবুল মু’তামির কিনানী ছান’আনী। ইমাম তিরমিযী তার হাদীছটি বর্ণনা করে বলেছেন, হাদীছটি গারীব। হাদীছটিকে একমাত্র শারীক কর্তৃক বর্ণনাকৃত হাদীছ থেকেই জানতে পেরেছি। এটি তার সম্পর্কে তিরমিযীর সর্বশেষ কথা। একাধিক ব্যক্তি (মুহাদ্দিছ) বর্ণনাকারী হানাশের সমালোচনা করেছেন। ইবনু হিববান আল-বুসত্মী বলেন, তিনি হাদীছ বর্ণনার ব্যাপারে খুবই ভুল করতেন। তিনি আলী (রাঃ)-এর উদ্ধৃতিতে কতিপয় হাদীছ এককভাবে বর্ণনা করেছেন যেগুলো নির্ভযোগ্য বর্ণনাকারীগণের হাদীছের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। এভাবেই তিনি অগ্রহণযোগ্য বর্ণনাকারী হিসাসে গণ্য হয়ে যান। এছাড়া আরেক বর্ণনাকারী শারীক,তিনি হচ্ছেন ইবনু আব্দুল্লাহ কাযী। তারও সমালোচনা করা হয়েছে। ইমাম মুসলিম তার থেকে বর্ণনা করেছেন শুধুমাত্র মুতাবা‘আতের ক্ষেত্রে (তার স্থলে অন্য কোন নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী হাদীছটি বর্ণনা করে থাকলে) এবং যৌথভাবে বর্ণনাকারী হিসাবে তার হাদীছ গ্রহণ করেছেন। এককভাবে বর্ণনা করে থাকলে তার হাদীছ গ্রহণ করেননি। [দ্রঃ উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যা, তুহ্ফাতুল আহওয়াবী ]

বর্ণনাকারী শারীকের উসত্মাদ আবুল হাসনার হাসান অথবা হুসাইন। তার সম্পর্কে হাফিয যাহাবী ‘লিসানুল মীযান’ গ্রন্থে বলেন, হাকাম ইবনু ওতায়বাহ্ হ’তে তার বর্ণনা সম্পর্কে জানা যায় না। অর্থাৎ তিনি অপরিচিত (মাজহূল)। হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী ‘আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে বলেন, তিনি মাজহূল।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কর্তৃক অফিয়ত সম্পর্কে ইমাম তিরমিযী এবং আবূ দাউদ কর্তক বর্ণনাকৃত উক্ত হাদীছের সনদে তিন তিনজন দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছেন। অতএব হাদীছটি দুর্বল হেতু এর দ্বারা কোনক্রমেই দলীল গ্রহন করা যায় না।

কোন কোন আলেম উক্ত হাদীছের দ্বারা দলীল গ্রহন করে বলেছেন যে, যদি মৃত ব্যক্তি অছিয়ত করে যায় তা’হলে তার পক্ষ থেকে কুরবানী করা যাবে। কিন্তু দুর্বল হওয়ার কারণে যেহেতু হাদীছটির দ্বারা দলীলই গ্রহণ করা যাচ্ছে না, সেহেতু মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানীর ব্যাপারে অছিয়ত করে যাওয়ার বিষয়টি সাব্যস্ত  হচ্ছে না।

তবে অছিয়তের ক্ষেত্রে ‘আম হাদীছের কারণে মৃত ব্যক্তি যদি তার পক্ষ থেকে কুরবানী করার অছিয়ত করে গিয়ে থাকে তাহ’লে তার এক তৃতীয়াংশ সম্পদের মধ্যে থেকে তা তার উত্তরাধিকারীগণ বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু কুরবানী করার জন্য অছিয়ত করাকে সুন্নাত মনে করা যাবে না। কারণ এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ নয়।

মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করা সম্পর্কে সউদী আরবের বিশিষ্ট আলেমগণকে প্রশ্ন করা হ’লে তাঁরা বলেন, ‘কুরবানী করা শরী’আত সম্মত শুধুমাত্র জীবিত মুসলিমদের ক্ষেত্রে। কারণ তাদের পক্ষ থেকেই কুরবানী করার বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে বর্ণিত হয়েছে; মৃত ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে বর্ণিত হয়নি। তবে কেউ যদি মৃত্যুর পূর্বে অছিয়ত করে যায়, তাহ’লে তার পক্ষ থেকে তার অভিভাবক তা বাস্তবায়ন করবে … এবং তা তার সম্পদের এক তৃতীয়াংশ থেকেই করবে’।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর স্ত্রী খাদীজা মক্কাতে মারা গিয়েছিলেন এবং তাঁর তিন মেয়ে পরবর্তীতে মারা যান, তাঁর চাচা হামযা মারা যান কিন্তু তিনি তাদের কারো পক্ষ থেকেই কুরবানী করেননি। যদি এরূপ করা বিধিসম্মত হ’ত তাহ’লে অবশ্যই তিনি তাঁর উম্মাতকে তা করার জন্য নির্দেশনা দিয়ে যেতেন। আর এরূপ নির্দেশনা প্রদান না করাই প্রমাণ করছে যে, মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করা শরী’আত সম্মত নয়। অপরদিকে ফিকহ শাস্ত্রের একটি পরিভাষা হচ্ছে,‘প্রয়োজনের সময় সময় থেকে দেরী করে ব্যাখ্যা আসা না-জায়েজ’।

এছাড়া নিম্নের হাদীছ থেকে প্রমানিত হয় যে, একটি ছাগল এক ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে আদায় হয়।

আতা ইবনু ইয়াসার হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আবূ আইউব আনছারী (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলাম রাসূল (ছাঃ)- এর যুগে কিভাবে কুরবানী করা হ’ত? উত্তরে তিনি বললেন, নবী করীম (ছা)-এর যুগে এক ব্যক্তি একটি ছাগল কুরবানী করত নিজের এবং তার গৃহের সদস্যদের পক্ষ থেকে। অতঃপর নিজেরা খেত এবং অন্যদেরকে খাওয়াত …।

এ হাদীছ থেকে স্পষ্ট হচ্ছে ছওয়াবে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও সম্পৃক্ত হবে। এথেকে এরূপ বুঝা যায় না যে, মৃত পিতা বা মাতার নাম উলেস্নখ করে নিয়ত করতে হবে কিংবা তাদের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে কুরবানী করলেৱ গ্রহণযোগ্য হবে।

কেউ কেউ নিম্নের হাদীছ দ্বারা মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করা যাবে মর্মে দলীল গ্রহন করে থাকেন,

জাবের হ’তে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন, আমি নবী-করীম (ছাঃ)-এর সাথে ঈদুল আযহার মুসাল্লায় উপস্থিত ছিলাম। তিনি খুৎবা শেষ করে মিম্বর থেকে নামলেন। অতঃপর একটি মেষ নিয়ে আসা হ’ল। তিনি এটি আমার এবং আমার উম্মতের যারা যবেহ করেনি তাদের পক্ষ থেকে বলে নিজ হাতে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে যবেহ করলেন।

নিম্নের হাদীছটির দ্বারাও দলীল গ্রহন করার চেষ্টা করা হয়,

আয়েশা ও আবূ হুরায়রা (রা) হ’তে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন কুরবানী করার করার ইচ্ছা তখন বড়, মোটাসোটা, শিং বিশিষ্ট এবং কালো রংয়ের চেয়ে সাদার পরিমাণ বেশী এরূপ দু’টি খাসি করা মেষ ক্রয় করে একটি তাঁর উম্মতের পক্ষ থেকে সেই ব্যক্তির জন্য যবেহ করতেন যে আল্লাহর এক-অদ্বিতীয় হওয়ার সাক্ষ্য দিয়েছে এবং তিনি (মুহাম্মদ) যে আল্লাহর বানীকে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন এ সাক্ষ্য দিয়েছে। আর দ্বিতীয়টি মুহাম্মদ (ছাঃ) ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে যবেহ করতেন।

এ হাদীছে প্রমাণ মিলছে যে, একটি মেষ এক ব্যাক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে এবং ছওয়াবের ক্ষেত্রেও তারা সকলে অংশীদার হবে।

আর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর উম্মতের যারা কুরবানী করেনি তাদের পক্ষ থেকে একটি মেষ করেছেন। উম্মতের পক্ষ থেকে এরূপ মেষ কুরবানী করাটা তাঁর জন্য খাছ ব্যাপার ছিল। এর উপর ভিত্তি করে অন্য কেউ মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করবেন তা হ’তে পারে না। কারণ যদি এরূপ করা জায়েযই থাকত তাহ’লে রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পর চার খলীফা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ছাহাবীগণ হ’তে অবশ্যই তা ছহীহ সূত্রে সাব্যস্ত হ’ত। কিন্তু ছাহাবীগণ মৃত ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে কুরবানী করেছেন মর্মে ছহীহ সূত্রে এর কোন প্রমান মিলে না। অতএব রাসূলুল্লাহর সুন্নাত হিসাবে সে যুগে যা করা হয়নি এ যুগে তা করা জায়েয হ’তে পারে না।

আমাদের সমাজে কোন কোন ব্যক্তিকে এরূপ পাওয়া যায় যে, সে নবী করীম (ছাঃ)-এর নামে কুরবানী করছে এবং এরূপ কুরবানী করাকে তারা বিশেষ ফযীলতের মনে করছে। কিন্তু ইসলামী শরী’আতে এর কোন ভিত্তি পাওয়া যায় না। এরূপ করা সম্পূর্ণরূপে বিদ’আত। কারণ ইসলামের প্রথম যুগে সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিমগণ নবী করীম (ছাঃ)-এর নামে কুরবানী করেছেন বলে প্রমাণ মিলে না।

কেউ কেউ বলেছেন, পিতা-মাতার জন্য সম্মানের পক্ষ থেকে যেমন কিছু ছাদাক্বা করা জায়েয, অনুরূপভাবে ছাদাক্বার উপর কিয়াস করে কুরবানী করাও জায়েয। ছাদাকাহ্ হিসাবে এর ছওয়াব মৃত পিতা-মাতার নিকট পৌঁছবে।

উল্লেখ্য, পিতা-মাতার জন্য ছাদাক্বা করলে তার ছওয়াব তাদের নিকট পৌঁছবে মর্মে একাধিক ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। সেসব হাদীছকে দলীল হিসাবে গ্রহন করে কেউ যদি একটি গরু বা ছাগল মৃত পিতা-মাতার নামে ছাদাক্বাহ্ হিসাবে কোন মাদ্রাসা বা ইয়াতীম খানায় দান করে তাহ’লে এর ছওয়াব মৃত পিতা-মাতা পাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সে দলীলগুলোর তো কুরবানীর সাথে কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। কারণ কুরবানী একটি স্বতন্ত্র ইবাদত এবং ইসলামী শরী’আতের একটি বিধান যার সমর্থনে পৃথক দলীল বর্ণিত হয়েছে এবং জীবিত ব্যক্তিদেরকে সম্বোধন করে বলা হয়েছে,‘সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানী করবে না সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকবর্তী না হয়’।

 

অতএব জীবিতদের জন্য নির্ধারিত একটি স্বতন্ত্র ইবাদতকে মৃত ব্যক্তির সাথে সম্পৃক্ত করতে হ’লে অবশ্যই মৃত ব্যক্তির সাথে সম্পৃক্ত করে পৃথকভাবে ছহীহ দলীল উপস্থাপন করতে হবে। অন্যথা এরূপ কথা গ্রহনযোগ্য হবে না। যে ইবাদত যাকে সম্বোধন করে বর্ণিত হয়নি সে ইবাদতকে তার সাথে কিয়াস করে সম্পৃক্ত করা মোটেই যৌক্তিক নয়। বরং এরূপ কিয়াস নীতি বিরোধী অযৌক্তিক এবং অগ্রহনযোগ্য।

ইসলামের প্রথম যুগের শ্রেষ্ঠ মুসলিম নবী করীম (ছাঃ)-এর ছাহাবীগণ তো এরূপ কিয়াস করে মৃতের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত সর্বশ্রেষ্ঠ সে যুগের মুসলিমগণ (ছাহাবীগণ) কি কম বুঝতেন?

তাদের থেকে ছহীহ সূত্রে এরূপ আমল প্রমাণিত না হওাটাই প্রমাণ করছে যে, মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী করা যাবে না। কেউ করলে তা দলীলহীন আমল হিসাবে গণ্য হবে, যা সম্পূর্ণরূপে ইসলামী নীতি বিরোধী। আল্লাহ আমাদেরকে দলীল বিহীন আমল তথা বিদ’আত থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক্ব দান করুন- আমীন!!

* লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব; এম.এ.ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; দাঈ, সউদী ধর্ম মন্ত্রণালয়, দক্ষিণ   কোরিয়া।

তথ্যসূত্র:

১. আবূ দাউদ হা/২৭৯০, হাদীছটি ছহীহ নয়।

২. তিরমিযী হা/১৪৯৫

৩. ‘ছহীহ্ তিরমিযী’ হা/১৫০৫, হাদীছ ছহীহ্; ইবনু মাজাহ্ হা/৩১৪৭।

৪. তিরমিযী হা/১৫২১; আবূ দাউদ হা/২৮১০।

৩. ‘ছহীহ্ তিরমিযী’ হা/১৫০৫, হাদীছ ছহীহ্; ইবনু মাজাহ্ হা/৩১৪৭।

৪. তিরমিযী হা/১৫২১; আবূ দাউদ হা/২৮১০।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
slot online skybet88 skybet88 skybet88 mix parlay skybet88 rtp slot slot bonus new member skybet88 mix parlay slot gacor slot shopeepay mix parlay skybet88 slot bonus new member