ধৈর্য ও এর ফযীলত
ধৈর্য ব্যতীত কোন ব্যক্তি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ অর্জনে সে ধৈর্যের মুখাপেক্ষী। কেননা আমল অল্প হোক কিংবা বেশি, তা আদায় করতে হলে উপযুক্ত ধৈর্যের প্রয়োজন। তাইতো এর প্রতি উৎসাহ দিয়ে অনেক আয়াত ও হাদীস বর্ণিত হয়েছে ।
ইবনে মাসঊদ রা. বলেন—
الصبر نصف الإيما. অর্থ :- ধৈর্য ঈমানের অর্ধেক।
আলেমগণ বলেন, ঈমানের অর্ধেক ধৈর্য ও বাকি অর্ধেক শুকরিয়া।
صبر শব্দের আভিধানিক অর্থ حبس (আটকানো) كف (ফিরানো) منع (বাধা প্রদান)
শরিয়তের পরিভাষায় صبر (ধৈর্য) পাঁচ ভাগে বিভক্ত।
(১) ওয়াজিব ধৈর্য : এটি আবার তিন প্রকার।
(ক) আল্লাহর আনুগত্যে ধৈর্যধারণ। অর্থাৎ আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়নে নিজেকে নিবেদিত রাখা। যেমন, মুসলিমদের সাথে জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা। যাকাত আদায় ও পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা।
(খ) গুনাহ থেকে ধৈর্যধারণ। অর্থাৎ পাপে জড়িত হওয়া থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা। যেমন হারাম দৃষ্টি থেকে ধৈর্যধারণ, অবৈধ সম্পদ ছেড়ে দেয়া। গীবত ও খারাপ বন্ধু-বান্ধব পরিত্যাগ―ইত্যাদি।
(গ) আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত বিপদাপদের উপর ধৈর্যধারণ। সর্ব সম্মতি ক্রমে এটি ওয়াজিব। অর্থাৎ হতাশা ও নৈরাশ্য প্রকাশ করা থেকে নিজেকে সংরক্ষণ করা। কোন-রূপ অভিযোগ পেশ করা থেকে জিহবাকে এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ হয় এমন কাজ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হেফাজত করা। যেমন―গাল চাপটানো , জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলা প্রভৃতি। আত্মীয়-স্বজন কিংবা সম্পদ হারানো এবং অসুস্থতার উপর ধৈর্যধারণ এ প্রকারের অন্তর্ভুক্ত, মানুষের কষ্ট দেয়াও এর আওতাভুক্ত।
صبر তথা ধৈর্যের বিপরীত হলো―تسخط তথা রাগ প্রকাশ করা, অভিযোগ করা, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ে যাওয়া এবং উৎকন্ঠা ও নৈরাশ্য ব্যক্ত করা। এর কারণে প্রতিদান নষ্ট হয়ে যায় , বিপদ – মুসীবত আরো বেড়ে যায় এবং ঈমান হ্রাস পায়।
নেক কাজ করা ও অন্যায় – অসৎ কাজ থেকে ফিরে থাকা সম্পর্কিত ধৈর্য বিপদ-আপদের উপর ধৈর্য থেকে উত্তম। এ অভিমত প্রকাশ করেছেন সাইদ ইবনে জোবায়ের, মাইমূন ইবনে মেহরান প্রমুখ। ভাল কাজে ধৈর্যধারণ হারাম থেকে বেঁচে থাকার ধৈর্য থেকে উত্তম।
(২) মুস্তাহাব ধৈর্য : এটি হচ্ছে মাকরূহ কাজ ছেড়ে দেয়া ও মোস্তাহাব আমলের ধৈর্য। যেমন―অপরাধীর মোকাবেলায় তার অনুরূপ অপরাধ না করা।
(৩) হারাম ধৈর্য : যেমন―মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত খানা-পিনা পরিত্যাগ করা, ধ্বংসাত্মক বস্তুর উপর ধৈর্যধারণ। যেমন―আগুন অথবা পরিবারের কেউ অশ্লীল কাজ করতে চাইলে সে ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ ।
(৪) মাকরূহ ধৈর্যধারণ: মাকরূহ কাজে অথবা মুস্তাহাব ছেড়ে দেয়ার উপর ধৈর্যধারণ।
(৫) মুবাহ (জায়েজ) ধৈর্য : ক্ষতি হয় না এ পরিমাণ সময় খাবার গ্রহণ না করা অথবা কিছু সময় ঠান্ডার উপর ধৈর্যধারণ।
ধৈর্যের ফযীলত :
ধৈর্য ধারণের ফজিলত অনেক। নিম্নে কয়েকটি উলেখ করা হল :―
(১) ধৈর্যের প্রতিদান অসীম। আল্লাহ তাআলা বলেন―
إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُمْ بِغَيْرِ حِسَابٍ ﴿10﴾ (سورة الزمر : 10)
‘একমাত্র ধৈর্যশীলদের প্রতিদান হিসাব ছাড়া দেয়া হবে।’[1]
যেহেতু সিয়াম ধৈর্যের অন্তর্ভুক্ত, তাই এর প্রতিদানও বিনা হিসেবে দেয়া হবে।
নবী করিম সালালাহু আলাইহি ওয়াসালাম বলেন, বনী আদমের প্রতিটি আমলের প্রতিদান দশগুণ থেকে সাত শত গুন দেয়া হবে। আল্লাহ বলেন: সিয়াম ব্যতীত। কেননা সেটি আমার জন্যে, আর এর প্রতিদান আমিই দেব।
(২) ধৈর্যশীলদের জন্যে মহা সুসংবাদ : আল্লাহ বলেন―
وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ ﴿155﴾ الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُمْ مُصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ ﴿156﴾ أُولَئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِنْ رَبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُونَ ﴿157﴾ (سورة البقرة : 155-157
‘আপনি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন, যারা মুসীবতে আক্রান্ত হরে বলে―إنا لله وإنا إليه راجعون অর্থাৎ আমরা আল্লাহর জন্যেই এবং পরিশেষে তার কাছেই ফিরে যাব। প্রভুর পক্ষ থেকে তাদের উপর শান্তি ও রহমত রয়েছে এবং তারাই হেদায়েত প্রাপ্ত।’[2]
(৩) আল্লাহর বিশেষ সঙ্গ ও ভালোবাসা : আল্লাহ বলেন―
وَاصْبِرُوا إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ ﴿46﴾ (سورة الأنفال: 46)
‘তোমরা ধৈর্য ধর, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।’[3]
মহান আল্লাহ তাআলা আরো বলেন:
وَاللَّهُ يُحِبُّ الصَّابِرِينَ ﴿146﴾
আল্লাহ তাআলা ধৈর্যশীলদের পছন্দ করেন।[4]
(৪) ধৈর্য উত্তম সম্পদ। আল্লাহ বলেন―
وَلَئِنْ صَبَرْتُمْ لَهُوَ خَيْرٌ لِلصَّابِرِينَ ﴿126﴾ (سورة النحل : ১২৬)
আর যদি তোমরা ধৈর্যধারণ কর তাহলে তা ধৈর্যশীলদের জন্য উত্তম।[5]
রাসূল সালালাহু আলাইহি ওয়াসালাম বলেন―
وما أعطي أحد عطاء خيراً وأوسع من الصبر. (رواه البخاري : ১৩৭৬)
কোন বান্দাকে ধৈর্যের মত উত্তম সম্পদ অন্য কিছু দেয়া হয়নি।[6]
(৫) আল্লাহ তাআলা ধৈর্যশীলদের উত্তম প্রতিদানের ওয়াদা করেছেন। তিনি বলেন―
وَلَنَجْزِيَنَّ الَّذِينَ صَبَرُوا أَجْرَهُمْ بِأَحْسَنِ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ﴿96﴾. (سورة النحل : ৯৬)
অবশ্যই ধৈর্যশীলদের আমলের চেয়েও উত্তম প্রতিদান দেয়া হবে।[7]
সিয়াম সাধনায় ধৈর্যের অনুশীলন :
ধৈর্যের প্রকারসমূহের মাঝে সিয়াম সাধনা অন্যতম। কেননা এর মাঝে তিন প্রকার ধৈর্যই বিদ্যমান। এটি আল্লাহর আনুগত্যের উপর ধৈর্য ধারণের প্রকৃত স্বরূপ। আবার বান্দা নফ্সের চাহিদার বিপরীত অবস্থান নেয় ফলে এটি গুনাহ থেকে বিরত থাকার ক্ষেত্রে সবরের স্বরূপ।পাশাপাশি নির্ধারিত কষ্ট-মুসীবতের উপর ধৈর্যধারণও এর মাঝে পাওয়া যায়। কেননা রোযাদারকে ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কষ্ট সহ্য করতে হয়। এ কারণে নবী সালালাহু আলাইহি ওয়াসালাম সিয়ামের মাসকে সবরের মাস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত নবী সালালাহু আলাইহি ওয়াসালাম বলেন―
صوم شهر الصبر وثلاثة أيام من كل شهر صوم الدهر. (رواه أبو داؤد : ২০৭৩)
‘সবর মাস তথা রমযান মাসের রোযা এবং প্রতি মাসে তিন দিন রোযা রাখা পূর্ণ এক বছর রোযার সমতুল্য।’ [8]
ধৈর্য অর্জনে মুজাহাদার প্রয়োজন :
ধৈর্যের জন্যে মোজাহাদা ও অনুশীলনের প্রয়োজন। ভাল কাজ করা, খারাপ কাজ ছেড়ে দেয়া, দুঃখ-বেদনা ও মুসীবতের সময় এবং মানুষ কষ্টে আক্রান্ত হলে―সর্বক্ষেত্রে এটি প্রয়োজন। অবশ্যই এ সমস্ত কাজে মানুষকে কষ্ট করতে হয়। কিন্তু ধৈর্যের পথ অবলম্বন করার স্বরূপ আল্লাহ তাআলা তাকে সাহায্য করেন। অতঃপর দুনিয়া ও আখেরাতে উত্তম পরিণতি লাভ করে। রাসূল সালালাহু আলাইহি ওয়াসালাম বলেন―
ومن يتصبر يصبره الله. (رواه البخاري : ১৩৭৬)
যে ব্যক্তি ধৈর্যের অনুশীলন করে, আল্লাহ তাকে ধৈর্যধারণের তৌফিক দিয়ে দেন।[9]
ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্যে আল্লাহ তাআলার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা প্রয়োজন। কেননা তিনি ধৈর্যদানকারী ও সাহায্যকারী। আল্লাহ বলেন―
وَاصْبِرْ وَمَا صَبْرُكَ إِلَّا بِاللَّهِ (سورة النحل : 127)
তুমি ধৈর্যধারণ কর। আল্লাহর ইচ্ছাই তোমার ধৈর্যধারণের শক্তি। [10]
আল্লাহ তাআলা আপন জাতির প্রতি মুসা আ.-এর বক্তব্য নকল করে বলেন—
اسْتَعِينُوا بِاللَّهِ وَاصْبِرُوا ﴿128﴾ (سورة الأعراف : 128)
‘তোমরা আল্লাহর সাহায্য কামনা কর এবং ধৈর্য ধারণ কর।’[11]
ভাল মানুষের ধৈর্য ও মন্দ লোকের ধৈর্যের মাঝে পার্থক্য :
ভাল মানুষ আল্লাহর আনুগত্যে ধৈর্য ধারণকরে। আর মন্দ মানুষ শয়তানের আনুগত্যে ধৈর্য ধরে। মন্দ লোকেরা কুপ্রবৃত্তির পিছনে অধিক ধৈর্য ধরে। আর আল্লাহর আনুগত্যে খুব কম সময় ধৈর্য ধরে। তারা শয়তানের আনুগত্যে সবকিছু প্রচুর পরিমাণে খরচ করে। কিন্তু আল্লাহর পথে সামান্য বস্ত্তও খরচ করার উপর ধৈর্যধারণ করে না। নফ্সের চাহিদা পূরণ করতে অনেক কষ্ট সহ্য করে, কিন্তু আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনে কোন কষ্ট করতে চায় না।
নেয়ামতের উপর ধৈর্যধারণ :
অনেকে মনে করে ধৈর্য কষ্টদায়ক বিষয়ের সাথেই সংশিষ্ট। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। যেভাবে কষ্টের উপর ধৈর্য ধরতে হয়, ঠিক তেমনিভাবে নেয়ামত ও আনন্দদায়ক বিষয়ের উপর ধৈর্য ধারণ করতে হয়। বরং এ ব্যাপারে ধৈর্যধারণ কষ্টের সময়ের ধৈর্যের চেয়ে বেশি কঠিন। আর এ কারণেই সত্যবাদীগণ এ গুণে গুণান্বিত হয় এবং অন্যরা এর থেকে গাফেল থাকে। কারণ নেয়ামতের উপর সবর করার বিষয়টি শক্তি সামর্থ্যের সাথে সম্পৃক্ত। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন―
والعبد مأمور بالصبر في السراء أعظم من الصبر في الضراء
মানুষের সুসময়ে ধৈর্যধারণ মুসীবতে ধৈর্যধারণের চেয়ে আরো অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা বলেন―
وَلَئِنْ أَذَقْنَا الْإِنْسَانَ مِنَّا رَحْمَةً ثُمَّ نَزَعْنَاهَا مِنْهُ إِنَّهُ لَيَئُوسٌ كَفُورٌ ﴿9﴾ وَلَئِنْ أَذَقْنَاهُ نَعْمَاءَ بَعْدَ ضَرَّاءَ مَسَّتْهُ لَيَقُولَنَّ ذَهَبَ السَّيِّئَاتُ عَنِّي إِنَّهُ لَفَرِحٌ فَخُورٌ ﴿10﴾ إِلَّا الَّذِينَ صَبَرُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أُولَئِكَ لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ كَبِيرٌ ﴿11﴾. (سورة هود : ৯-১১)
আমি মানুষকে অনুগ্রহ করার পর আবার তা ছিনিয়ে নিয়ে গেলে সে নিরাশ ও অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়। আর মুসীবতের পর নেয়ামত প্রদান করলে সে বলে, আমা থেকে দূরাবস্থা চলে গেল। সে খুশি হয় এবং গর্ব করে। তবে যারা ধৈর্যধারণ করে এবং নেক আমল করে তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহান প্রতিদান।[12]
সুদিনে নেয়ামতের উপর ধৈর্যের দিক সমূহ :
(১) নেয়ামতের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল না হওয়া এবং তা পেয়ে ধোঁকায় না পড়া। গর্ব ও অহংকার না করা। অকৃতজ্ঞ না হওয়া এবং এমনভাবে খুশি না হওয়া, যা দেখে আল্লাহ তাআলা অসন্তুষ্ট হন।
(২) নেয়ামত অর্জনে সম্পূর্ণ ডুবে না পড়া। যারফলে অন্যান্য দিকসমূহ থেকে গাফেল হয়ে হক ও বাতিলের পার্থক্য না করে তাতে ডুবে থাকা হয়।
(৩) আল্লাহ তাআলার হক আদায়ে ধৈর্যধারণ।
(৪) হারাম কাজে তা খরচ করা থেকে নিজেকে আঁকড়ে রাখা। নিজের নফ্সকে এমনভাবে প্রবৃত্তির পিছনে ছেড়ে না দেয়া, যা তাকে হারাম পথে ধাবিত করে।
ধৈর্যের আদব সমূহ :
ধৈর্যধারণের অনেক আদব রয়েছে।
(1) মুসীবত আসার প্রথম ধাপেই ধৈর্যধারণ। নবী করিম সালালাহু আলাইহি ওয়াসালাম বলেন :―
إنـما الصبر عنـد الصـدمة الأولى. (رواه البخاري : ১২০৩)
প্রথম আঘাতের ধৈর্যধারণই প্রকৃত ধৈর্যধারণ।[13]
(2) মুসীবতের সময় ‘‘ইন্নালিলাহ’’ পড়া। আল্লাহ তাআলা বলেন―
﴿الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُمْ مُصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ ﴾ (سورة البقرة : 156)
‘‘যখন তাদের উপর মুসীবত আসে তখন তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা তার দিকেই ফিরে যাব।[14]
উম্মে সালামা রা. থেকে বর্ণিত নবী করিম সালালাহু আলাইহি ওয়াসালাম বলেন―কোন মুসলিম মুসীবতে পড়লে যদি আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী إنا لله وإنا إليه راجعــون এবং নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করে তাহলে আল্লাহ তাকে উত্তম বস্ত্ত দান করবেন। اللهــم أجرني في مصيبتي واخلف لي خيــراً منها উম্মে সালামা বলেন, যখন আবু সালামা ইন্তেকাল করলেন তখন আমি বললাম মুসলিমদের মাঝে আবু সালামার চেয়ে উত্তম আর কে-ই বা আছে ? অল্প সময়ের মাঝেই আল্লাহ তাআলা আমার জন্যে রাসূল সালালাহু আলাইহি ওয়াসালামকে নির্ধারণ করলেন।
(3) মুসীবতের সময় জবান ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গ স্থির থাকা। তবে উঁচু আওয়াজ ও চিৎকার-চেঁচামেচি না করে কাঁদা বৈধ।
তথ্যসূত্র :
[1] যুমার: ১০
[2] বাকারা : ১৫৫-১৫৭
[3] আনফাল : ৪৬
[4] আল ইমরান : ১৪৬
[5] নাহল : ১২৬
[6] বুখারী : ১৩৭৬
[7] নাহল : ৯৬
[8] আবু দাউদ : ২০৭৩
[9] বুখারী : ১৩৭৬
[10] নাহল:১২৭
[11] আ’রাফ : ১২৮
[12] হুদ : ৯-১১
[13] বুখারী : ১২০৩
[14] বাকারাহ্ : ১৫৬