ফাতিহা ইয়াযদহম পালন করার বিধান
ফাতিহা ইয়াযদহম (রবিউস সানীর ১১ তারিখ) একটি বিদআতি রসমের নাম।
শায়খ আব্দুল কাদের জীলানী রহঃ – এর ওফাত উপলক্ষ্যে এই দিন পালিত হয়। ফারসী ভাষায় ‘ ইয়াযদহম ‘ মানে ১১ তম। যেহেতু রবিউস সানী মাসের ১১ তারিখে তাঁর অফাত হয় সে জন্য এই দিনটিকে ‘ফাতিহা ইয়াযদহম’ নামে স্মরণ ও পালন করা হয়। ১১ তারিখের রাতে তাঁর নামে কুরআন-খতম ও মিলাদ-মাহফিল করে লোকেরা’ফয়য’ হাসিলকরে থাকে।
এ তারিখে শায়খ আবদুল কাদের জীলানী রহ.-এর ওফাতদিবস পালন করার উদ্দেশ্যে এই রসমের সূচনা করা হয়। ওই আল্লাহর বান্দারা চিন্তা করেনি যে, ইসলামে না জন্মদিবস পালন করা হয়, না মৃত্যুদিবস। না শায়খ জীলানী রহ. তাঁর কোনো শায়খের জন্মদিবস বা মৃত্যুদিবস পালন করেছেন, না তার কোনো খলীফা বা শাগরিদ তা পালন করেছেন। আমরা জানি যে, ইসলামে ব্যক্তিপূজার কোন স্থান নেই। খোদ মহানবী সাঃ – এর জন্ম-মৃত্যু দিবস পালন করা বিদআত। সুতরাং তাঁর পরে আর কার জন্ম-মৃত্যু দিবস পালন করা বিধেয় হতে পারে? {সূত্রঃ ১২ মাসে ১৩ পরব, পৃষ্ঠা ৯৮-৯৯}
আল্লাহর কী শান, এই ভিত্তিহীন রেওয়াজের উদযাপন দিবসের জন্যও একটি ভিত্তিহীন তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। আমরা তারীখ ও রিজালের অনেক গ্রন্থে শায়খ জীলানীর জীবনালোচনা পড়েছি। কোথাও এগারো রবীউস সানীর কথা নেই। আট, নয় বা দশ রবীউস সানী ৫৬১ হিজরীর কথা উল্লেখিত হয়েছে।
(দেখুন : সিয়ারু আলামিন নুবালা, যাহাবী ১৫/১৮৯; আলমুনতাযাম, ইবনুল জাওযী : ১৮/১৭৩; যায়লু তবাকাতিল হানাবিলা, ইবনে রজব ১/২৫১; আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৮/৩৯৫; শাযারাতুয যাহাব, ইবনুল ইমাদ ৪/২০২; তারীখুল ইসলাম, যাহাবী ৩৯/৬০)।
মোটকথা, এ তারিখ যদি সহীহও হতো তবুও তো জন্মদিবস-মৃত্যুদিবস পালন করার কোনো অনুমতি ইসলামে নেই। তাঁর নামে যা করা হয় তা বিদআত। জন্ম মৃত্যু উদযাপন করা বা জন্মতারিখ বা মৃত্যু তারিখ উপলক্ষ্যে দোয়া খঅয়ের বা সাওয়াব রেসানী করার কোন নির্দেশনা, প্রচলন বা উত্সাহ কোন হাদীসে বর্ণিত হয় নি।
অথচ আমাদের দেশের বহুল প্রচলিত বিদআতী কিতাব বার চান্দের ফযীলত-এ বানোয়াট বর্ণনা রয়েছে
“রবিউস-সানী মাসের প্রথম তারিখে চার রাকআত নফল নামায আদায় করতে হয়। উহার প্রতি রাকআতে সুরা ফাতিহার পরে সুরা ইখলাস পড়তে হয়। এই নামায আদায়কারীর আমল নামায় ৯০ হাজার বত্সরের সাওয়াব লিখা হইবে এবং ৯০ হাজার বত্সরের গুনাহ মাফ করিয়া দেওয়া হইবে”
– মুফতী হাবীব ছামদানী, বার চান্দের ফযীলত পৃ> ১৭-১৮ ( মীনা বুক হাউস, ১ম প্রকাশনা, ২০০১)
দেখুন কতবড় জালিয়াতি। যেখানে ফরয নামায পড়লেও এতো বছরের গুনাহ মাফ হয় না সেখানে এই নামাযে গুনাহ মাফ হবে। এমনকি কাদর রাতের ফযীলতকে অতিক্রম করেছে। আল্লাহ তাদের হিদায়াত দিন অথবা ধ্বংস করুন।
এরকম হাজারো বানোয়াট কথা রয়েছে। অধ্যাপিকা কামরুন নেসা দুলাল রচিত নেক কানুন, মোকছেুদুল মোমেনিন গ্রন্থগুলোতে পাওয়া যায় যেগুলো কোন হাদীস গ্রন্থে নেই এমনকি কোন বানোয়াট সনদও নেই। এগুলো বই পরিহার করা উচিত।
রাসূলুল্লাহ (সা) এর জীবদ্দশায় তাঁর অনেক মেয়ে, ছেলে, চাচা, চাচাতো ভাই, দুধ ভাই ও আল্লাহর শ্রেষ্ঠতম ওলী সাহাবীগণ ইন্তিকাল করেছেন। তিনি কখনো কারো মৃত্যুরে পরের বত্সরে বা পরবর্তী কোন সময়ে মৃত্যুর দিনে বা অন্য কোন সময়ে কোন ফাতেহা বা কোন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেন নি।
রাসুলুল্লাহ (সা)-এর ইন্তি কালের পরে তাঁর কন্যা ফাতিমা, জামাতা আলী, দৌহিত্র হাসান-হুসাইন, উম্মুল মুমিনীনগণ, খুলাফায়ে রাশেদাগণ, অন্যান্য সাহাবীগণ, তাবিয়ী, তাবে-তাবিয়ীগণ কেউ কখনো তাঁর ইন্তিকালের দিনে বা অন্য কোন সময়ে কোনরুপ ফাতেহা, দোয়া বা অনুষ্ঠান করেন ন।
বলাবাহুল্য, ঐ দিনে ছুটি মানানো বা কাজ-কর্ম বন্ধ করে হালোয়া-রুটি খেয়ে আনন্দ করা শরীয়ত সম্মত কাজ নয়।
শায়খ আবদুল কাদের জীলানী রহ.-এর ওফাতদিবস পালন করার উদ্দেশ্যে তাঁর নামে কুরআন-খতম ও মিলাদ-মাহফিল করে লোকেরা’ফয়য’ হাসিল করে থাকে। ইহা হানাফি মাযহাবে বৈধ। যেহেতু ফাতিহা ইয়াযদহম কে আপনারা বিদআতি কাজ বলছেন তবে আমি বলবো ইহা বিদআতি কাজ নয় কারণ যেহেতু আল্লাহ ও রাসুল (স) এর ঊপর দোয়া পড়া হয় তাই ইহা বিদআতি কাজ হবে না। অনুগ্রহ পূর্বক ইহাকে বিদআতি কাজ বলে প্রচার করা থেকে বিরত থাকুন। ধন্যবাদ।
দ্বীনের নামে নতুন কিছু সওয়াবের নিয়তে প্রচলন করাটাই বিদআত। তা যেকোন মাযহাবেই থাকুক না কেনো । সাহাবীগণ যা করেন নি, তাবেয়ীগণ যা করেননি তা ফরয করার অধিকার আপনাকে দিলো ? ইমাম আবু হানীফা (রহ) কোন কিতাবে তা পালন করতে বলেছেন তার দলীল দেখান ।
মানুষ এতটা বিকৃত মস্তিষ্কের হয় কীভাবে? সত্য জানার পরও তা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা অবশ্যই নিকৃষ্ট কাজগুলোর একটি। আপনার কাছে আমার একটা বিষয় জানার আছে, হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) কোন মাজহাবের অন্তর্গত ছিলেন?
Hazrat mohammad S.M. Kono mazhabi chelen na. TINY ISLAM ER VETOR MAZHAB/ DOL TOYRA KORA K HARAM BOLECHEN… IMAM ABU HANIFA BOLECHEN ‘SOHI HADIS AMER MAZHAB’