ইমাম নববীর ৪০ হাদীস ( হাদীস নং- ২৯)

হাদীস-২৯

শিরোনামঃ

الحديث التاسع والعشرون

“تعبد الله لا تشرك به شيئا”

عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قُلْت يَا رَسُولَ اللَّهِ! أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ يُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ وَيُبَاعِدْنِي مِنْ النَّارِ، قَالَ: “لَقَدْ سَأَلْت عَنْ عَظِيمٍ، وَإِنَّهُ لَيَسِيرٌ عَلَى مَنْ يَسَّرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ: تَعْبُدُ اللَّهَ لَا تُشْرِكْ بِهِ شَيْئًا، وَتُقِيمُ الصَّلَاةَ، وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ، وَتَصُومُ رَمَضَانَ، وَتَحُجُّ الْبَيْتَ، ثُمَّ قَالَ: أَلَا أَدُلُّك عَلَى أَبْوَابِ الْخَيْرِ؟ الصَّوْمُ جُنَّةٌ، وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الْخَطِيئَةَ كَمَا يُطْفِئُ الْمَاءُ النَّارَ، وَصَلَاةُ الرَّجُلِ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ، ثُمَّ تَلَا: ” تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ ” حَتَّى بَلَغَ “يَعْمَلُونَ”، ثُمَّ قَالَ: أَلَا أُخْبِرُك بِرَأْسِ الْأَمْرِ وَعَمُودِهِ وَذُرْوَةِ سَنَامِهِ؟ قُلْت: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: رَأْسُ الْأَمْرِ الْإِسْلَامُ، وَعَمُودُهُ الصَّلَاةُ، وَذُرْوَةُ سَنَامِهِ الْجِهَادُ، ثُمَّ قَالَ: أَلَا أُخْبِرُك بِمَلَاكِ ذَلِكَ كُلِّهِ؟ فقُلْت: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ‍! فَأَخَذَ بِلِسَانِهِ وَقَالَ: كُفَّ عَلَيْك هَذَا. قُلْت: يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَإِنَّا لَمُؤَاخَذُونَ بِمَا نَتَكَلَّمُ بِهِ؟ فَقَالَ: ثَكِلَتْك أُمُّك وَهَلْ يَكُبُّ النَّاسَ عَلَى وُجُوهِهِمْ -أَوْ قَالَ عَلَى مَنَاخِرِهِمْ- إلَّا حَصَائِدُ أَلْسِنَتِهِمْ؟!” .

رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ [رقم:2616] وَقَالَ: حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ. 

  :  অনুবাদ

মু’আয বিন জাবাল (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন :আমি বললাম : ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমাকে এমন কাজের সংবাদ দিন যা আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে দিবে।

তিনি বললেন : তুমি এক বৃহৎ বিষয়ে প্রশ্ন করেছ। বিষয়টি আল্লাহ যার জন্য সহজ করে দেন তার পক্ষে খুব সহজ। আল্লাহর ইবাদত কর তাঁর  সঙ্গে অন্য কাউকে শরীক করো না। সালাত কায়েম কর, যাকাত আদায় কর, রমযানের সিয়াম পালন কর, কা’বা ঘরে হজ্জ সম্পাদন কর ।

অত:পর তিনি বললেন : আমি কি তোমাকে কল্যাণের দ্বার দেখাব না? সাওম বা রোযা হচ্ছে ঢাল স্বরুপ, সদকাহ গুনাহকে নি:শেষ করে দেয় যেমন পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয় , আর কোন ব্যক্তির গভীর রজনীতে সালাত আদায়। তারপর তিনি সুরা আসসাজদার  হতে   পর্যন্ত তিলাওয়াত করেন।

নবী করীম (সা:) আবারো বললেন : আমি তোমাকে কর্মের মূল ও স্তম্ভ এবং সর্বোচ্চ চূড়া সম্পর্কে বলব কি ?  আমি নিবেদন করলাম অবশ্যই ইয়া রাসূলাল্লাহ ! কর্মের মূল হচ্ছে ইসলাম , তার স্তম্ভ হচ্ছে সালাত , আর সর্বোচ্চ চুড়া হচ্ছে জিহাদ বা আল্লাহর পথে সংগ্রাম।  আবার তিনি বললেন : আমি কি তোমাকে এসব কিছুর রক্ষাকবচ সম্পর্কে বলবোনা ? নিবেদন করলাম অবশ্যই ইয়া রাসূলাল্লাহ ! বলুন ! তিনি নিজের জিভ ধরে বললেন : একে সংযত কর ।

আমি জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর নবী (সা:) আমরা যা বলি সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হব কি? তিনি বললেন : তোমার মা তোমাকে হারাক, হে মুআয জিভের কর্মফল ব্যতীত আর এমন কিছু আছে কি যা মানুষকে মুখ থুবড়ে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করে।

ইমাম তিরমিযী বলেছেন এটা হাসান সহীহ হাদীস।

 

হাদীসের শিক্ষাঃ

  1. বান্দার উপর অবশ্য পালনীয় বিষয় হচ্ছে পাঁচটি ফরয আদায় করা , জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম হতে মুক্তির লক্ষ্যে।
  2. নফল বিষয় সমূহ হচ্ছে ইসলামের কল্যানের দ্বার।
  3. আল্লাহর বাণী সমুন্নত ও সংরক্ষণে জিহাদের স্থান সর্বোচ্চে।
  4. জিহ্বার ক্ষতি , পাপাচার  ও অন্যায়ের মূল হচ্ছে জিহ্বা।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
slot online skybet88 skybet88 skybet88 mix parlay skybet88 rtp slot slot bonus new member skybet88 mix parlay slot gacor slot shopeepay mix parlay skybet88 slot bonus new member