তার সামনে যে চাকুরীটি করার সুযোগ আছে সেটা হচ্ছে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন; কিন্তু তাকে জুমার নামাযে যেতে দেওয়া হবে না; এমতাবস্থায় কী করণীয়

প্রশ্ন: জনৈক ব্যক্তি পাশ্চাত্যে থাকে। তার সামনে যে চাকুরীটি করার সুযোগ আছে সেটা হচ্ছে- বিল্ডিং নির্মাণ। কিন্তু সুপারভাইজার তাকে জুমার নামাযে যাওয়ার অনুমতি দিবে না। এমতাবস্থায় সে কী করবে?

উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ।

যদি বাস্তব অবস্থা এমনই হয় যেমনটি আপনি উল্লেখ করেছেন যে, বিল্ডিং নির্মাণের কাজে ফিতনা নেই তাহলে আমরা আপনাকে এ কাজ করারই পরামর্শ দিব। আপনি মালিকের কাছ থেকে আপনার জন্য ও অন্য মুসলমানদের জন্য – যদি থাকে- জুমার নামাযে যেতে দিতে অনুমতি চাইবেন। যদি অনুমতি দেয় তাহলে ভাল। আর যদি না দেয় তাহলে আপনি তাকে জানাবেন যে, তার কাজের যে সময়টা নষ্ট হবে সেটার বদলে আপনি ওভারটা‌ইম কাজ করে দিবেন। আমরা আশা করছি, এতে সে নিষেধ করবে না। আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করতে থাকুন, যেন তিনি বিষয়টি আপনার জন্য সহজ করে দেন।

যদি এরপরেও অনুমতি না দেয় তাহলে – ইনশাআল্লাহ্‌- আপনি এ চাকুরী চালিয়ে গেলেও কোন গুনাহ হবে না। জুমার নামায না পড়তে পারার ক্ষেত্রে আপনার ওজর গ্রহণযোগ্য। তবে, জুমার নামাযে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে যদি কোন সুযোগ তৈরী হয়।

জুমার নামায না পড়ার ক্ষেত্রে কাদের ওজর গ্রহণযোগ্য ফিকাহবিদগণ তাদের কথা উল্লেখ করেছেন: যে ব্যক্তি তার নিজের জান কিংবা মাল কিংবা সে যে জীবিকার মুখাপেক্ষী সে জীবিকা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা করে।

মুরাদি বলেন: যে ওজরের কারণে জামাতে নামায ও জুমার নামায বর্জন করা যায়: যে ব্যক্তি এমন কোন জীবিকা নষ্ট হওয়ার আশংকা করে যেটা তার প্রয়োজন কিংবা সম্পদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা করে যা সংরক্ষণের জন্য তাকে নিযুক্ত করা হয়েছে যেমন কোন বাগান বা এ জাতীয় কিছুর প্রহরী। [আল-ইনসাফ (১/৩০১) থেকে সমাপ্ত]

কাশশাফুল ক্বিনা গ্রন্থে  (১/৪৯৫) বলেন: জুমার নামায ও জামাতে নামায বর্জনের ক্ষেত্রে যাদের ওজর গ্রহণযোগ্য: যে ব্যক্তি পায়খানা-পেশাব আটকিয়ে রেখেছে। কিংবা সম্পদ নষ্ট হওয়ার ভয়ে ভীত। কিংবা জীবিকা নষ্ট হওয়ার ভয়ে ভীত। কিংবা তার জমিনে বা বাগানে পানি দিচ্ছে; যদি রেখে চলে যায় তাহলে নষ্ট হয়ে যাবে। কিংবা তাকে কোন কিছু সংরক্ষণ করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, সে চলে গেলে যা নষ্ট হয়ে যাবে, যেমন- বাগানের প্রহরী ইত্যাদি। কেননা এসবের ফলে যে ক্ষতি হয় সেটা বৃষ্টির পানিতে কাপড় ভিজে যাওয়ার চেয়ে বড় ক্ষতি। বৃষ্টির পানিতে কাপড় ভিজে যাওয়া (জুমা ও জামাত বর্জনের ক্ষেত্রে) সর্বসম্মত ওজর।”[সমাপ্ত]

আমরা আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন, আপনাকে নিজ অনুগ্রহে রিযিক দান করেন এবং হারামের পরিবর্তে হালাল দিয়ে রিযিক দেন।

আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন

সুত্রঃ ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

১টি মন্তব্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
slot online skybet88 skybet88 skybet88 mix parlay skybet88 rtp slot slot bonus new member skybet88 mix parlay slot gacor slot shopeepay mix parlay skybet88 slot bonus new member