নামাযের অভিযোগ!

রচনায় : আব্দুর রাকীব বুখারী মাদানী

প্রভাষক: জামেয়াতুল ইমাম বুখারী, কিষানগঞ্জ।

আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন, ওয়াস স্বলাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিহিল কারীম, আম্মাবাদ:

বর্তমান যুগের মুসলিমদের নামাযের সাথে যে সম্পর্ক ও সম্বন্ধ এবং নামাযীদের যে অবস্থা তাতে যেন স্বলাত আল্লাহর কাছে বহু ফরিয়াদ ও অভিযোগ জানাচ্ছে আর বর্তমান যুগের নামায ও নামাযীর করূণ অবস্থা বর্ণনা করছে। একটু শুনুন সেই অভিযোগ সমূহ কি এবং সে সবের রূপ-রেখা ও ধরণ কি?

হে মহান আল্লাহ! তুমি আমাকে এত মর্যাদা দিয়েছ যে স্বয়ং তোমার প্রিয় নবী মুহাম্মদ স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মেরাজের মাধ্যমে সপ্তাকাশের উপরে নিয়ে এসে আমাকে তাঁকে প্রদান করলে কিন্তু আজ লোকেরা মেরাজ ঘটনাকে স্মরণ রেখেছে, তা উদযাপনও করছে কিন্তু আমাকে ভুলে গেছে, আমার কথা স্মরণ করে না, বর্ণনাও করে না!

হে মহান আল্লাহ! তুমি আমাকে ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ বানালে, ইসলামের দ্বিতীয় খুটি হওয়ার সম্মান দিলে কিন্তু মুসলিমরা তো আজ আমাকে ছেড়েই নিজেকে খাঁটি মুসলিম বলছে, আসল মুসলিম ভাবছে!

হে মহান আল্লাহ! তুমি তোমার নবীর মাধ্যমে উম্মতকে জানিয়ে দিলে যে, তোমাদের সন্তানদের বয়স যখন সাত বছর হবে তখন যেন তারা তাদের বাচ্চাদের স্বলাত সম্পাদন করার আদেশ দেয় কিন্তু আজ অবস্থা এমন যে অবিভাবকরাই নামায পড়ে না তারা সন্তানদের আর কি আদেশ করবে!

হে মহান আল্লাহ! তুমি আদেশ করলে যেন লোকেরা আমাকে দিবা-রাতে পাঁচ বার আদায় করে কিন্তু লোকেরা আজ আমাকে ৭ দিনে এক বার আদায় করে!

হে আমার রব্ব! তুমি আমাকে ৫ টাইম জামাআতের সাথে সংঘবদ্ধভাবে আদায় করার আদেশ করলে কিন্তু এদের অনেকে তো আমাকে তাদের ঘরের কোনে আদায় করে!

হে আমার রব্ব! তুমি আদেশ দিলে যে, তারা যেন নামাযের ডাক শুনলে কেনা-বেচা ও কাজ-কাম ছেড়ে মসজিদে যায় কিন্তু এরা তো সেই সময়ই কেনা-বেচা বেশী করে, আড্ডা দেয়, চায়ের আসরে চা খায়, সিগারেট জ্বালিয়ে লম্বা টান দেয়, টিভি দেখে, খবর শুনে, খবরের কাগজ পড়ে আর অনেকে তো তাদের ঘরের জানালা ও দরজা বন্ধ করে দেয় যেন ভিতরে আজানের আওয়াজ না আসে!

ইয়া আল্লাহ! তোমার অনেক বান্দা তো দুনিয়াবি জটিল জটিল বড় বড় বিদ্ব্যা অর্জন করেছে উঁচু উঁচু ডিগ্রি নিয়েছে। সেই ডিগ্রির ড. ম. দেখে লোকেরা তাদের মঞ্চের উপরে স্থান দেয়, তাদের কথা মন দিয়ে শুনে কিন্তু আমাকে সম্পাদন করার আগে তাদের দুচারটি দুআ ও কিছু সূরা মুখস্থ করতে হবে, একটু রিডিং পড়তে হবে তো তারা আর পারে না! তাদের জিহব্বা অসাড় হয়ে যায় আর নাকি জিভ নড়ে না!

ইয়া আল্লাহ! এরা সবাই নিজের কাজ বুঝে, নিজ কাজের সময়-সূচিও বুঝে, সে যদি অজ্ঞ হয় তবুও নিজের কাজের রুটিন বুঝে। ফজরের সময় উঠে চার দোকানের চুলো জ্বলায়, প্রস্তুতি নেয়। গরু-ছাগল গোয়াল ঘর থেকে বের করে বাইরে বেঁধে দেয়। ফকির হলে আজ কোন্ গ্রামে যেতে হবে তাও স্থীর করে নেয় কিন্তু তাদের সময়-সূচি ও রুটিনে আমাকে স্থান দেয় না, আমার জন্য কোনো সূচি নির্ধারণ করে না!

ইয়া আল্লাহ! এদের কিছু লোক বলছে: নামাজ পড়ে কে বড় লোক হয়েছে? এরা বড়লোকি ভাল বুঝে। এরা বড় লোক হতে খুব আগ্রহী তাই নামাজেও বড়লোকি খোঁজে। নামাজ পড়লে বড় লোক হওয়া যায় না এটা বুঝে কিন্তু নামায না পড়ে কতজন বড়লোক হল, তার হিসাব দিতে পারে না। আর নিজে এতদিন ধরে বেনামাযী থেকে কত মাল দৌলত অর্জন করলো, কত বড় ধ্বনি হল তা নিজেও বুঝে না। আসলে এরা বাহানাকারী।

ইয়া আল্লাহ! এদের মধ্যে অনেকে এমন কথাও বলে যে, মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়েছি, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়েছি, নামায না পড়লেও একদিন না একদিন জান্নাতে অবশ্যই যাব। এরা এমনি এমনি বিনা আমল করেই জান্নাত যেতে চায়। জাহান্নামে কিন্তু যেতে চায় না ! এদের কে বুঝাবে যে, নবী স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে মুনাফেকরাও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলত, নিজেকে মুসলিম হিসাবে পরিচয় দিত তার পরেও তাদের ঠিকানা জাহান্নামের সর্ব নিম্ন স্থানে কেন?

ইয়া ইলাহী! আর যারা স্বলাত পড়ে তাদের অনেকের অবস্থা এই রকম যে, যখনই ইমামের সাথে তাকবীরে তাহরীমা ‘আল্লাহুআকবার’ বলে নামায শুরু করে, তখন তার মাথায় দুনিয়ার সব চিন্তা-ফিকর চলে আসে, যত পরিকল্পনা সব কিছুর বাস্তবায়ন এখানেই শুরু হয়ে যায়, অটোম্যাটিক ম্যাশিনের মত নামাযের যাতীয় কাজ করতে থাকে। আর যখন ইমাম আস্ সালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলে নামায সমাপ্ত করে তখন তার হঠাৎ মনে পড়ে যে, যাহ! আমি তো নামাযে ছিলাম!

ইয়া ইলাহী! তোমার কিছু নামাযী বান্দা তো এমন যে, নামাযের লাইনে দাঁড়ালে যেন তার কাপড়-চপড় ঠিক করার সময় হয়। নামায শুরুর সাথে সাথে সে তার প্যান্ট-পায়জামা টেনে উপরে তুলে। এই কাজ শেষ হলে পাঞ্জাবী-সার্টের কোনা ধরে টেনে-টেনে সোজা করে। এটা শেষ হলে টুপিটাকে এদিক ওদিক ঘুরিয়ে সঠিক স্থানে বসায়। কাপড়ের ভাঁজ যেন নষ্ট না হয় তাই রুকুতে যাওয়া ও উঠার সময় এবং সাজদা করা ও উঠার সময় একবার করে জামা-কাপড় সোজা করে নেয়। আর এভাবেই নামায সমাপ্ত করে।

ইয়া ইলাহী! অনেক নামাযী এমন রয়েছে যে, নামায শুরু করলেই যেন তার যত স্থানের চুলকানি আছে সব শুরু হয়। মাথা চুলকায়, দাড়ি চুলকায়, আগে-পিছে চুলকায়, এমন এমন স্থান চুলকায় যেসব স্থানে মানুষ মানুষের সামনে চুলকাতে লজ্জাবোধ করে কিন্তু আমাকে আদায় করা অবস্থায় লজ্জা করেনা! আর কিছু লোক তো এমনও আছে যে, নামাযে দাঁড়িয়ে নাকে আঙুল ঢুকিয়ে মাথা বেঁকিয়ে নাকের ময়লা সাফ করতে থাকে। আমি কি চুলকানি বা নাক সাফ করার পাত্র!?

হে আমার মাবূদ! বলতে লজ্জা লাগে, আজ-কাল কিছু নামাযী আমাকে গান শোনায়, মিউজিক শোনায়, টুংটাং রিং শোনায় (আউযু বিল্লাহ)। তোমার ঘরে প্রবেশ করে তোমার উদ্দেশ্যে বড় ইবাদত করতে আসে কিন্তু মোবাইল বন্ধ করে আসে না। এরা নামাযেও সেই পাপ করতে চায় যা তারা বাইরে করে। নামাযী হয়ে অন্য নামাযী ভাইয়ের খুশু-খুযু ও একাগ্রতায় বিঘ্ন ঘটায়। আর অনেকে তো এই সময় কিছুটা মুবাইলও চালায়। এদিক ওদিক টিপে প্রগ্রাম ও আইকোন খোঁজে বের করে বন্ধ করে!

ইয়া রব্ব! কিছু নামাযী নামাযে দাঁড়িয়ে তার দোকান-পাটের হিসাব নিকাশ করে। কত বিক্রয় হল, আর কত হবার সম্ভাবনা আছে, কাকে কত দিয়েছে, কে কত পাবে, কি ওয়াডার দিবে ইত্যাদি। আমি কি অংক কশার স্থান!

রাব্বী! কেউ তো এমনও আছে যার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সহীহ সালামত রয়েছে তার পরেও নামাযে দাঁড়ালে বিষেশ এক পশুর মত এক পায়ে ভোর দিয়ে দাঁড়ায় আর এক পা এমনি খাড়া রাখে। এতটুকুও বুঝে না যে, সে কার সামনে দাঁড়িয়েছে!

হে আমার মালিক! অনেকে নামাযে আসে কিন্তু এত দ্রুত গতিতে স্বলাত সম্পাদন করে যে, রুকু সাজদায় স্থীর হয় না আধা ঝুকেই উঠে যায়। এত দ্রুত গতিতে দুআ ও যিকর পাঠ করে যে তা স্বাভাবিকরূপে বোধগম্য নয়। সাজদায় কেবল কপাল ঠেকিয়েছে কিন্তু এখনও নাক ঠেকাইনি তার আগেই উঠে যায়। আর সালাম শেষ হলে যেন, মশা মাছিতে কাটছে তাই ঝট-পট বেরিয়ে যায়; অথচ দেখা যায় মসজিদ থেকে বের হয়ে সে বাইরে পরিচিতদের সাথে রাস্তায় গল্প করছে!

নামাযে খুশুখুযু অবলম্বনে সহায়ক বিষয়াদী:

১-নামায শুরু করার পূর্বে দুনিয়াবী কাজ-কর্ম সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করে নামাযে মনযোগ দেওয়া।

২-মনে এই অনুভুতি থাকা যে, সে মহিয়ান গরিয়ান সত্ত্বার সামনে দাঁড়াচ্ছে।

৩- নামাযের পরিপূর্ণ সওয়াব হাসিলের ইচ্ছা থাকা।

৪-ভালভাবে অযু করা, কোন অংশ না ছাড়া এবং পানি অপচয় না করা।

৫-নামায শুরু করার পূর্বে প্রস্তুতি নেওয়া। (খাবার-দাবার, পেশাব- পায়খানা সেরে নেওয়া এবং নামাযের জন্য কলাহল মুক্ত স্থান চয়ন করা।)

৬-জামাআতে নামায পড়া থেকে অবহেলা না করা।

৭-নফল নামায বিশেষ করে বিতর ও ফজরের সুন্নত না ছাড়া।

৮-নামাযে পাঠিতব্য আয়াত, দুআ ও যিকরের অর্থ স্মরণ করা ও বুঝার চেষ্টা করা।

৯-নামাযে তাড়াহুড়া না করা। এমন না করা যে, নামাযই যেন আপনার নিকট সবচেয়ে অবহেলার বিষয় কনোরূপে আদায় করলেই হল!

১০-নামাযের আদব রক্ষা করা আর তা হচ্ছে অনর্থক নড়াচড়া সহ ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় কাজ না করা।

১১- নামাযের নিয়ম সমূহ পালন করা এবং নিজের দৃষ্টি সাজদার স্থানে রাখা আর তাশাহ্হুদের সময় তর্জনি আংগুলের দিকে।

১২-সুতরা করার স্থান হলে সুতরা করে নেওয়া।

১৩-দুনিয়াবি কাজকর্ম ও ঝামেলা থেকে মুক্ত হওয়া এবং এমন ভাবা যে, সে সবের মূল্য আল্লাহর নিকট মশার ডানার মতও না।

১৩-এমন স্থানে নামায পড়া থেকে বিরত থাকা যেখানে বাদ্যযন্ত্র, ছবি, শব্দ ও চেঁচামেচি হয়।

১৪-এই অনুভূতি অন্তরে থাকা যে, হতে পারে এটি আমার শেষ নামায।

আবার স্বলাত পড় তোমার স্বলাত হয়নি:

عن أبي هُرَيرةَ – رضي الله عنه -: أنَّ رجلاً دخل المسجد فصلَّى ورسولُ الله – صلَّى الله عليه وسلَّم – في ناحية المسجد، فجاءَ فسلَّم عليه، فقال: ((وعليك، ارجع فصلِّ؛ فإنَّك لم تُصلِّ بعدُ))، فرجع فسلَّم عليه، فقال: ((ارجعْ؛ فإنَّك لم تُصلِّ بعدُ))، فقال في الثالثة: فعَلِّمني يا رسولَ الله، فقال: ((إذا قُمتَ إلى الصلاة، فأسْبِغ الوضوء، ثم استقبل القِبلة فكَبِّر، ثم اقرأ بما تيسَّر معك مِن القرآن، ثم اركعْ حتى تطمئنَّ راكعًا، ثم ارفعْ حتى تعتدلَ قائمًا، ثم اسجدْ حتى تطمئنَّ ساجدًا، ثم ارْفعْ حتى تستوي قائمًا – أو قال: قاعدًا – ثم افعلْ ذلك في صلاتك كلِّه.

আবু হুরাইরাহ (রাযি:) থেকে বর্ণিত, একদা এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল এবং নামায আদায় করল। ঐ সময় নবী স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদের এক প্রান্তে বসে ছিলেন। সে নামায শেষে রাসূল (সা:) কে সালাম করল। রাসূল সা: সালামের উত্তর দিলেন এবং তাকে বললেন: ফিরে যাও এবং স্বলাত পড় কারণ তুমি নামায পড় নি। সেই ব্যক্তি পুনরায় নামায পড়ল ও এসে আবার সালাম দিল। নবী সা: তাকে আবার বলেন: ফিরে যাও এবং স্বালাত পড় কারণ তুমি এখনও স্বলাত পড়নি। সে ব্যক্তি তৃতীয়বারে বলল: আল্লাহর রাসূল আমাকে নামায পড়া শিখিয়ে দিন। তখন নবী (সা:) তাকে বললেন: যখন নামাযে দাঁড়াবে ভালভাবে পূর্ণরূপে অযু করবে। অত:পর কিবলামুখী হয়ে তাকবীর দিবে। অত:পর কুরআন থেকে যা তোমার জন্য সহজ তা পাঠ করবে। অত:পর রুকু করবে ও রুকুতে স্থীর হবে। তারপর বরাবর হয়ে দাঁড়াবে। তারপর সাজদা করবে এবং সাজদায় স্থীর হবে অত:পর বরাবর হয়ে বসবে। সমগ্র নামাযেই এমন করবে।” [বুখারী নং ৭৫৭, ৬২৫১ মুসলিম নং ৩৯৭]

যায়দ বিন অহাব বলেন: “আমরা হুযাইফা (রাযি:) এর সাথে এক মসজিদে বসে ছিলাম ইতিমধ্যে এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে নামায আদায় করতে লাগলো কিন্তু সে রুকু ও সাজদা পূর্ণরূপে করলো না। তার নামায শেষ হলে সাহাবী হুযাইফা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন: কত দিন যাবত এই ভাবে স্বলাত পড়ছো? সে বলল প্রায় চল্লিশ বছর ধরে। তিনি বললেন: তুমি চল্লিশ বছর ধরে স্বালাত আদায় করনি। আর এই ধরনের নামায পড়া অবস্থায় যদি তুমি মারা যাও তাহলে তুমি মুহাম্মদ স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রেখে যাওয়া সুন্নাতের উপর মৃত্যু বরণ করবে না।” [বুখারী নং৭৫৮]

নামাযে খুশু-খুযু তথা ইখলাস ও একাগ্রতার জন্য যেমন নামায আদায়ের সময় উপরোক্ত বিষয়গুলির খেয়াল রাখা প্রয়োজন তেমন নামায আদায়ের বাইরে নিম্নোক্ত বিষয়গুলির খেয়াল রাখাও আবশ্যিক।

১-তাওহীদের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা।

২-সুমহান আল্লাহর মর্যাদা ও ইখলাস অন্তরে থাকা এবং প্রকাশ্যে ও গোপনে তাঁর সম্মান করা।

৩-রাসূল স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পূর্ণ অনুসরণ করা।

৪-তাক্বওয়া তথা আল্লাহর আদেশসমূহ পালন করা এবং নিষেধসমূহ হতে বিরত থাকা।

৫-হালাল রুযি ভক্ষণ করা এবং হারাম ও সন্দিহান বিষয় পরিহার করা।

৬-খুশু-খুযু অর্জনে আল্লাহর কাছে দুআ করা।

মহান আল্লাহর কাছে দুআ করি তিনি যেন আমাদের সত্যিকারে নামাযী হওয়ার তাওফীক দেন। আমীন।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
slot online skybet88 skybet88 skybet88 mix parlay skybet88 rtp slot slot bonus new member skybet88 mix parlay slot gacor slot shopeepay mix parlay skybet88 slot bonus new member