ইসলাম ও ঈমানের পার্থক্য
অনুবাদক: সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদক: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
প্রশ্ন: সূরা আয-যারিয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿فَأَخۡرَجۡنَا مَن كَانَ فِيهَا مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٣٥ فَمَا وَجَدۡنَا فِيهَا غَيۡرَ بَيۡتٖ مِّنَ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ٣٦ ﴾ [الذاريات: ٣٥، ٣٦]
“অতঃপর সেখানে যারা মুমিন ছিল, আমরা তাদেরকে বের করে নিয়ে আসলাম, তবে একটি বাড়ি ব্যতীত সেখানে কাউকে আমরা মুসলিম পাই নি”। [সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত: ৩৫-৩৬]
এ আয়াতে মুমিন ও মুসলিম দু’টি শব্দ আল্লাহ ব্যবহার করেছেন, আমি মুমিন ও মুসলিম তথা ইসলাম ও ঈমানের পার্থক্য জানতে চাই এবং জানতে চাই কে শ্রেষ্ঠতর?
উত্তর: আল-হামদুলিল্লাহ।
আলেমগণ ঈমান ও ইসলামের পার্থক্য নির্ণয়ে আকীদার কিতাবসমূহে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন, যার সারাংশ: যখন ইসলাম কিংবা ঈমান পৃথক উল্লেখ করা হয়, তখন অর্থ পুরো দীন ইসলাম, ঈমান ও ইসলামের অর্থে কোনো পার্থক্য থাকে না, যখন উভয় একসঙ্গে উল্লেখ করা হয়, তখন ঈমান অর্থ হয় অভ্যন্তরীণ আমল, যেমন আল্লাহর প্রতি ঈমান, আল্লাহর মহব্বত, ভয়, আশা ও তার প্রতি একনিষ্ঠতা। আর ইসলাম অর্থ হয় বাহ্যিক আমল, অভ্যন্তরীণ ঈমান থাক বা না-থাক, যেমন দুর্বল মুসলিম বা মুনাফিকের আমল। মুনাফিকের মাঝে বাহ্যিক আমল ইসলাম থাকে; কিন্তু অভ্যন্তরীণ আমল ঈমান থাকে না।
শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন: “ঈমান কখনো ইসলাম ও নেক আমল থেকে পৃথক উল্লেখ করা হয়, কখনো একত্র উল্লেখ করা হয়, যেমন হাদীসে জিবরীলে এসেছে: (ما الإسلام … وما الإيمان) ইসলাম কী, ঈমান কী? অনুরূপ আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ إِنَّ ٱلۡمُسۡلِمِينَ وَٱلۡمُسۡلِمَٰتِ وَٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ ٣٥ ﴾ [الاحزاب : ٣٥]
“নিশ্চয় মুসলিম পুরুষ ও নারী, মুমিন পুরুষ ও নারী”। [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩৫]
তিনি অন্যত্র বলেন:
﴿ قَالَتِ ٱلۡأَعۡرَابُ ءَامَنَّاۖ قُل لَّمۡ تُؤۡمِنُواْ وَلَٰكِن قُولُوٓاْ أَسۡلَمۡنَا وَلَمَّا يَدۡخُلِ ٱلۡإِيمَٰنُ فِي قُلُوبِكُمۡۖ ١٤ ﴾ [الحجرات: ١٤]
“বেদুঈনরা বলল, ‘আমরা ঈমান আনলাম’। আপনি বলুন, ‘তোমরা ঈমান আন নি’; বরং তোমরা বল, ‘আমরা আত্মসমর্পণ করলাম’। আর এখন পর্যন্ত তোমাদের অন্তরে ঈমান প্রবেশ করে নি” [ সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১৪]
অন্যত্র তিনি বলেন:
﴿ فَأَخۡرَجۡنَا مَن كَانَ فِيهَا مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٣٥ فَمَا وَجَدۡنَا فِيهَا غَيۡرَ بَيۡتٖ مِّنَ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ٣٦ ﴾ [الذاريات: ٣٥، ٣٦]
“অতঃপর সেখানে যারা মুমিন ছিল, আমরা তাদেরকে বের করে নিয়ে আসলাম, তবে আমরা সেখানে একটি বাড়ি ব্যতীত কাউকে মুসলিম পাই নি”। [সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত: ৩৫-৩৬]
ঈমানের সাথে যখন আল্লাহ ইসলাম উল্লেখ করেছেন, তখন ইসলাম অর্থ বাহ্যিক আমল, যেমন শাহাদাতের কালিমার সাক্ষ্য, সালাত, যাকাত, সিয়াম ও হজ। আর ঈমান অর্থ অভ্যন্তরীণ বিষয়, যেমন আল্লাহর প্রতি ঈমান, মালায়েকা, কিতাবসমূহ, রাসূলগণ ও পরকাল দিবসের ওপর ঈমান। আবার যখন ইসলাম থেকে ঈমান পৃথক উল্লেখ করা হয়, তখন ঈমান ইসলাম ও আমলকে অন্তর্ভুক্ত করে। যেমন, ঈমানের শাখা-প্রশাখার হাদীসে এসেছে,
«الإِيمَانُ بِضْعٌ وَسَبْعُونَ أَوْ، بِضْعٌ وَسِتُّونَ شُعْبَةً، فَأَفْضَلُهَا قَوْلُ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَدْنَاهَا إِمَاطَةُ الأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ، وَالْحَيَاءُ شُعْبَةٌ مِنَ الإِيمَانِ»
“ঈমানের সত্তর উর্ধ্ব অথবা ষাট উর্ধ্ব শাখা রয়েছে, সবচেয়ে উত্তম শাখা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, সবচেয়ে নিম্নস্তরের শাখা রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু হটানো এবং লজ্জাও ঈমানের শাখা”।[1]
অনুরূপ যেসব হাদীসে নেক আমলকে ঈমানের অংশ সাব্যস্ত করা হয়েছে, সেখানে ঈমান অর্থ ইসলাম ও ঈমান উভয়, অর্থাৎ পুরো দীনে ইসলাম”।[2]
শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ ইবন উসাইমীন রহ. বলেন: “যখন ইসলাম ও ঈমান যৌথভাবে উল্লেখ করা হয়, তখন ইসলাম অর্থ হয় বাহ্যিক আমল এবং ঈমান অর্থ হয় অভ্যন্তরীণ আনুগত্য। বাহ্যিক আমল যেমন মুখের কথা ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল, যা পূর্ণ মুমিন ও দুর্বল মুমিন উভয় শ্রেণি থেকে প্রকাশ পায়। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ قَالَتِ ٱلۡأَعۡرَابُ ءَامَنَّاۖ قُل لَّمۡ تُؤۡمِنُواْ وَلَٰكِن قُولُوٓاْ أَسۡلَمۡنَا وَلَمَّا يَدۡخُلِ ٱلۡإِيمَٰنُ فِي قُلُوبِكُمۡۖ ١٤ ﴾ [الحجرات: ١٤]
“বেদুঈনরা বলল, ‘আমরা ঈমান আনলাম’। আপনি বলুন, ‘তোমরা ঈমান আন নি’; বরং তোমরা বল, ‘আমরা আত্মসমর্পণ করলাম’। আর এখন পর্যন্ত তোমাদের অন্তরে ঈমান প্রবেশ করে নি”। [সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১৪]
এ ইসলাম মুনাফিক থেকেও প্রকাশ পায়, তবে সে বাহ্যিকভাবে মুসলিম, যদিও অভ্যন্তরীণভাবে কাফির।
অভ্যন্তরীণ আনুগত্য যেমন অন্তরের বিশ্বাস ও তার আমল, যা একমাত্র মুমিন থেকেই প্রকাশ পায়, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ٱلَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ ٱللَّهُ وَجِلَتۡ قُلُوبُهُمۡ وَإِذَا تُلِيَتۡ عَلَيۡهِمۡ ءَايَٰتُهُۥ زَادَتۡهُمۡ إِيمَٰنٗا وَعَلَىٰ رَبِّهِمۡ يَتَوَكَّلُونَ ٢ ٱلَّذِينَ يُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَمِمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡ يُنفِقُونَ ٣ أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ حَقّٗاۚ ٤ ﴾ [الانفال: ٢، ٤]
“মুমিন তো তারা, যাদের অন্তরসমূহ কেঁপে উঠে যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয়। আর যখন তাদের ওপর তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং যারা তাদের রবের ওপরই ভরসা করে। যারা সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি, তা হতে ব্যয় করে। তারাই প্রকৃত মুমিন”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ২-৪] এ হিসেবে ঈমানের মর্যাদা উঁচু, কারণ প্রত্যেক মুমিন মুসলিম, কিন্তু প্রত্যেক মুসলিম মুমিন নয়”।[3]
এ অর্থেই প্রশ্নে উল্লিখিত আয়াতে লূত আলাইহিস সালামের পরিবারকে একবার মুমিন ও দ্বিতীয়বার মুসলিম বলা হয়েছে। এতে ইসলাম অর্থ বাহ্যিক ইসলাম, ঈমান অর্থ অভ্যন্তরীণ ঈমান। আল্লাহ তা‘আলা লূত আলাইহিস সালামের পরিবারভুক্ত সবাইকে মুসলিম বলেছেন, যার শামিল তার স্ত্রীও, সে ইসলাম যাহির করে অভ্যন্তরীণভাবে কুফুরি গোপন করে ছিল, তাই আল্লাহ যখন নাজাতপ্রাপ্তদের সম্বোধন করেছেন, তখন মুমিন বলেছেন:
﴿ فَأَخۡرَجۡنَا مَن كَانَ فِيهَا مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٣٥ فَمَا وَجَدۡنَا فِيهَا غَيۡرَ بَيۡتٖ مِّنَ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ٣٦ ﴾ [الذاريات: ٣٥، ٣٦]
“অতঃপর সেখানে যারা মুমিন ছিল, আমরা তাদেরকে বের করে নিয়ে আসলাম, তবে আমরা সেখানে একটি বাড়ি ব্যতীত কাউকে মুসলিম পাই নি”। [সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত: ৩৫-৩৬]
শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন: “লূতের স্ত্রী ছিল মুনাফিক, কুফুরি গোপন করত, তবে স্বামীর সাথে বাহ্যিকভাবে মুসলিম ছিল, তাই তার কওমের সাথে তাকেও শাস্তি দেওয়া হয়েছে। অনুরূপ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে যারা বাহ্যিকভাবে মুসলিম ছিল; কিন্তু অন্তরে কুফুরি লালন করেছে তাদের অবস্থাও তথৈবচ”।[4]
তিনি আরো বলেন: “এখানে আরেকটি নীতি রয়েছে যে, কুরআন ও সুন্নাহয় কতক কওমকে মুসলিম বলা হয়েছে; কিন্তু মুমিন বলা হয় নি। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ قَالَتِ ٱلۡأَعۡرَابُ ءَامَنَّاۖ قُل لَّمۡ تُؤۡمِنُواْ وَلَٰكِن قُولُوٓاْ أَسۡلَمۡنَا وَلَمَّا يَدۡخُلِ ٱلۡإِيمَٰنُ فِي قُلُوبِكُمۡۖ ١٤ ﴾ [الحجرات: ١٤]
“বেদুঈনরা বলল, ‘আমরা ঈমান আনলাম’। আপনি বলুন, ‘তোমরা ঈমান আন নি’; বরং তোমরা বল, ‘আমরা আত্মসমর্পণ করলাম’। আর এখন পর্যন্ত তোমাদের অন্তরে ঈমান প্রবেশ করে নি”। [সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১৪]
পক্ষান্তরে তিনি লূত আলাইহিস সালামের ঘটনায় বলেন:
﴿ فَأَخۡرَجۡنَا مَن كَانَ فِيهَا مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٣٥ فَمَا وَجَدۡنَا فِيهَا غَيۡرَ بَيۡتٖ مِّنَ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ٣٦ ﴾ [الذاريات: ٣٥، ٣٦]
“অতঃপর সেখানে যারা মুমিন ছিল, আমরা তাদেরকে বের করে নিয়ে আসলাম, তবে আমরা সেখানে একটি বাড়ি ব্যতীত কাউকে মুসলিম পাই নি”। [সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত: ৩৫-৩৬]
কতক লোক মনে করে এ আয়াতের দাবি হচ্ছে ঈমান ও ইসলামের অর্থ এক, তাই তারা সূরা হুজুরাত ও সূরা যারিয়াতের আয়াতদ্বয়ে বৈপরীত্য সাব্যস্ত করে, বস্তুত এতে কোনো বৈপরীত্ব নেই; বরং এ আয়াত পূর্বের আয়াতের সাথে সামঞ্জস্যশীল। কারণ, আল্লাহ সংবাদ দিচ্ছেন যে, তিনি মুমিনদের বের করেছেন, তবে সেখানে তিনি একটি ঘরই মুসলিম পেয়েছেন। লূত আলাইহিস সালামের স্ত্রী যদিও তার পরিবারভুক্ত ছিল; কিন্তু নাজাত প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সে ছিল পশ্চাতে অবস্থানকারী ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত, তবে বাহ্যিকভাবে তার স্বামীর দীনের ওপর ছিল, অভ্যন্তরীণভাবে ছিল তার কওমের সাথে ও তাদের দীনের ওপর। সে লূত আলাইহিস সালামের মেহমানের কথা তার কওমের নিকট প্রকাশ করে স্বামীর সাথে খিয়ানত করেছে। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ ضَرَبَ ٱللَّهُ مَثَلٗا لِّلَّذِينَ كَفَرُواْ ٱمۡرَأَتَ نُوحٖ وَٱمۡرَأَتَ لُوطٖۖ كَانَتَا تَحۡتَ عَبۡدَيۡنِ مِنۡ عِبَادِنَا صَٰلِحَيۡنِ فَخَانَتَاهُمَا ١٠ ﴾ [التحريم: ١٠]
“যারা কুফুরি করে তাদের জন্য আল্লাহ নূহের স্ত্রীর ও লূতের স্ত্রীর উদাহরণ পেশ করেন। তারা আমার বান্দাদের মধ্যে দু’জন সৎ বান্দার অধীনে ছিল; কিন্তু তারা উভয়ে তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল”। [সূরা আত-তাহরীম, আয়াত: ১০]
তার খিয়ানত ছিল দীনদারিতে, বিছানায় নয় (অন্য পর-পুরুষের শয্যাশায়ী হওয়ার মাধ্যমে নয়), উদ্দেশ্য হচ্ছে তার স্ত্রী মুমিন ছিল না, ফলে নাজাত পায় নি ও আল্লাহর নিম্নের বাণীর
﴿ فَأَخۡرَجۡنَا مَن كَانَ فِيهَا مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٣٥ ﴾ [الذاريات: ٣٥]
তবে সে মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত ছিল ও লূতের পরিবারের একজন সদস্য ছিল, তাই আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
﴿ فَمَا وَجَدۡنَا فِيهَا غَيۡرَ بَيۡتٖ مِّنَ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ٣٦ ﴾ [الذاريات: ٣٦]
এতেই কুরআনুল কারীমের হিকমত স্পষ্ট হয়, পরিবার থেকে বের করার জন্য মুমিন বলা হয়েছে, আর তাকে অন্তর্ভুক্ত করে মুসলিম বলা হয়েছে।[5]
ইবন উসাইমীন রহ. বলেন: “আল্লাহ তা‘আলা লূত আলাইহিস সালামের ঘটনায় বলেন:
﴿ فَأَخۡرَجۡنَا مَن كَانَ فِيهَا مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٣٥ فَمَا وَجَدۡنَا فِيهَا غَيۡرَ بَيۡتٖ مِّنَ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ٣٦ ﴾ [الذاريات: ٣٥، ٣٦]
তিনি এখানে মুমিন ও মুসলিমের মাঝে পার্থক্য করেছেন। কারণ, জনপদে যে ঘরটি ছিল বাহ্যিকভাবে মুসলিম ছিল। কারণ, তাতে লূতের স্ত্রীও ছিল, যে কুফুরি করে তার সাথে খিয়ানত করে, তবে যাদেরকে তিনি বের করেছেন ও যারা মুক্তি পেয়েছে, তারা প্রকৃতপক্ষে মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত ছিল, যাদের অন্তরে ঈমান প্রবেশ করেছিল”।[6]
আল্লাহ ভালো জানেন।
তথ্যসূত্র:
[1] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৭
[2] মাজমুউল ফতোয়া: ৭/১৩-১৫, সংক্ষিপ্ত।
[3] মাজমু‘ ফতোয়া ও রাসায়েল লি ইবন উসাইমীন: ৪/৯২
[4] জামেউল মাসায়েল: ৬/২২১
[5] মাজমুউল ফতোয়া: ৭/৪৭২-৪৭৪
[6] মাজমু ফতোয়া ও রাসায়েল ইবন উসাইমীন: ১/৪৭-৪৯