এমন কি কারনে ছেলেটির পরিবর্তন

ছেলেটি ব্যবসা করতো আরব আমিরাতে,ব্যবসার মৌহে অনেকাংশ দুনিয়াবি আকর্ষণে ছুটতে লাগলো। এইভাবে তার রুটিন হয়ে যায় প্রতি সপ্তাহে বড় পর্দায় সিনেমা দেখা, লংড্রাইবে যাওয়া,বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া, গান করা , এইভাবেই চলতে থাকে

ব্যবসায়িক লেনদেনে চেক দেওয়া নেওয়া আরব আমিরাতে খুব গুরুত্বপুর্ন,

সেই ছেলেটির পরিবর্তনের কাল হবে সেই একটি ছোট অংকের চেক যা আজ আপনাদের কাছে সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইন-শাহ-আল্লাহ

ছেলেটি দেশে এসেছিল ২০ দিনের জন্য এর মধ্যে তার মোবাইল বন্ধ পেয়ে তার ১২০০০ দেরহামের একটি চেক দুবাই সি আই ডি ব্রাঞ্চে কেইস হয়ে যায়। যা তার কাছে কোন ভাবে জানা ছিলনা।

দেশ থেকে দুবাই ফিরে সে। তখনো সেই কেইস ইমিগ্রেশনে আসেনি আসলে তাকে এয়ারপোর্টে আটকে ফেলা হত। এর মধ্যে রমদান শুরু হয়ে যায় । আল্লাহর রহমতে তার মনে জেগে উঠলো উমরা করার ইচ্ছা। রমাদানে উমরা করবে নিজ গাড়ি নিয়ে যাবে মানুষিক ভাবে প্রস্তুত, সাথে তার বন্ধুও যোগ দেয়। উমরার ভিসাও হয়ে যায় ভিসা বের হওার ৩০ দিনের মধ্যে মক্কা এন্ট্রি করতে হয়। এইভাবে ব্যবসার সব কাজ গুছিয়ে ভিসার মিয়াদের শেষ ৭ দিন পুর্বে সোমবারে রওনা দেয়। শার্জাহ থেকে ৬ ঘন্ঠা ড্রাইভ করার পর আবুদাবি শিলা বর্ডারে পৌঁছলে ইমিগ্রেশেনে তাকে আটকে দেওয়া হয় । তখন সে মাত্র জানতে পারলো তার নামে কেইস ওয়ারেন্ট হয়েছে। এমনকি সে সেই স্থানেই তা ক্যাশ দিয়ে সমাধান করবে বলেছিল কিন্তু তাও কাজ হয়নি, কি আর করার তার বন্ধুরা তার গাড়ি নিয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো আর তাকে শিলা বর্ডার থেকে আবুদাবি সেন্টারজেলে নিয়ে গেলো। তার মোবাইল পর্যন্ত তাকে দেওয়া হয়নি। আসলে সব কিছুর প্ল্যান আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত । তিনি নির্ধারন করেছেন তার এই বান্ধার জন্য সামনে কি আসছে। ৭ দিন থেকে ১ দিন চলে গেলো আর আছে ৬ দিন

সে অনেক ভাবে পুলিশকে অনুরোধ করেছে তার টাকা রেডি সে বার বার সমাধান করে যেন শুধু উমরা করতে যেন যেতে পারে। কেও শুনে না তার কথা এইবার চলে গেলো আরেকদিন হাতে আছে আর ৫ দিন । সেই ছেলে মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়লো। জেলখানাই একজন আরাবিক প্রভাবশালীকে তার সব কিছু খুলে বলে, তার কথায় সেই আরবি লোকটি পুলিশকে রিকুয়েস্ট করলো তার ব্যাপারটা সমাধান করে যেন সে উমরাতে যেতে পারে। এইভাবে তার ৩টা দিন চলে গেলো। এইভাবে আসে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজকে অফিসার সবাই অর্ধেক দিন কাজ করবে দুপুর ১২ টার পর সবাই চলে যাবে এই দদিকে আর আছে ৩ দিন বাকি শুক্রবার বন্ধ,শনি বারও বন্ধ। সেই ছেলের সকাল বেলা তার জীবনের একটি বিশাল জানা একটি মুহূর্ত তার মনে পবিত্র কুরআনে এই আয়াতটি বার বার আস্তে থাকে

“তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব”- আল কুরআন (সুরা গাফীর/মু’মিনঃ ৬০)

এই আয়াত মনে পড়ার সাথে সাথে সে নামজে দাড়িয়ে যায় এবং নামাজে মনে মনে ক্রন্দনরত অবস্তায় আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে। তাকে কেন আল্লাহর ঘর দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সে এমন চিন্তা করে প্রয়োজনে তার সব কিছুর বিনিময়ে হলেও যেন সে উমরাহ্‌ করতে যেতে পারে এই চিন্তা করে ২ রাকআত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে। সেই ছেলেটি নামাজের সালাম ফিরাতেই মাইকে তার নাম ডাকা হয় । সেই মুহুর্ত কেমন ছিল তা একমাত্র সেই বলতে পাড়বে । বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টাই আবুদাবি থেকে পুলিশের গাড়ি করে তাকে দুবাই সি আই ডি ব্রাঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে মোবাইলে সে তার সব ব্যবস্তা করে ফেলেছে দুবাই পুলিশ হেড কুয়াটারে তার কফিল (স্পন্সার) উপস্তিত টাকা জমা করে কাজ শেষ করতে করতে সময় হয় দুপুর ২ টা সেইখান থেকে সে সরাসরি দুবাই এয়ারপোর্ট। টিকেট করে সরাসরি দুবাই টু জেদ্দাহ। জেদ্দাহ এয়ারপোর্টে তার বন্ধুরা তার জন্য অপেক্ষায় । জেদ্দাহ থেকে মক্কা এসে যখন সে আল্লাহর ঘর দেখে তখন তার মধ্যেকার মুহুর্তের অবস্তা ক্রন্দনরত। তখনোই সে ধিরস্থির করলো। এখন থেকে তার সম্পর্কে জানবো যিনি এই সকল সৃষ্টির মালিক।

সেই থেকে তার জানা শুরু , সে সত্য সন্ধানের খোজে চলছে, সে মুক্তিপ্রাপ্ত দলের খোজে তাদের সম্পর্কে জেনে । সেই দলের গুনাগুণ জেনে নিজের মধ্যে সে গুন রুপনের চেষ্টাই ব্যস্থ।সেই ছেলেটি বর্তমানে প্রায় ১২৫০ টির অধিক কিতাব পড়েছে। জানার চেষ্টা এমনিতে হয়না। জানার চেষ্টা হয় আগ্রহে , সত্য সন্ধানে, ন্যায়বিচারের মাধ্যমে।

তাই মনে রাখা উচিত নিজের কষ্ট, নিজের পাপ, নিজের দারিদ্রতা, সব আল্লাহর কাছে বলুন এবং বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করুন।

আল্লাহ আমাদের সকলকে সত্য গ্রহনের সাহায্য করুন- আমিন

collected for facebook

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button
skybet88 skybet88 skybet88 skybet88 mix parlay skybet88 slot bonus new member skybet88 skybet88 skybet88 slot gacor skybet88 skybet88