সেহরির সময়

ইব্‌ন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«لايَمْنَعَنَّأَحَدَكُمْأَذَانُبِلالٍمِنْسُحُورِهِفَإِنَّهُيُؤَذِّنُأَوْقَالَ: يُنَادِيلِيَرْجِعَقَائِمُكُمْوَيُنَبِّهَنَائِمَكُمْوَلَيْسَالفَجْرُأَنْيَقُولَهَكَذا – وجَمَعَيَحيَىبنُسَعِيدٍالقَطَانُكَفَّيْهِ – حَتَّىيَقُولَهَكَذَا – ومَدَّيَحيىإِصْبَعَيْهِالسَّبَابَتَينِ».

“বেলালের আযান যেন তোমাদের কাউকে সেহরি থেকে বিরত না রাখে। কারণ সে আযান দেয় অথবা তিনি বলেছেন: সে ডাকে যেন তোমাদের জাগ্রতরা ফিরে যায় ও ঘুমন্ত‎‎রা জাগ্রত হয়। ফজর এটা নয় যে এরকম হবে, (ইয়াহইয়া ইব্‌ন সায়িদ আল-কাত্তান ‎নিজ হাতের তালুদ্বয় জড়ো করলেন [অর্থাৎ লম্বালম্বি অবস্থায় আলো প্রকাশ পেলেই তা ফজর হিসেবে ধর্তব্য হবে না, বরং তা সুবহে কাযিব]) যতক্ষণ না এরকম হবে, (ইয়াহয়াহ তার তর্জনীদ্বয় ‎প্রসারিত করলেন [অর্থাৎ আলো ডানে বাঁয়ে ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করলেই কেবল ফজর হিসেবে ধর্তব্য হবে, তখন তা হবে সুবহে সাদিক])[1]‎‎

সাহল ইব্‌ন সা‘দ রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমি আমার পরিবারে সেহরি খেতাম, অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ফজর সালাতের জন্য দ্রুত ‎ছুটতাম”।

বুখারির অপর বর্ণনায় আছে: “আমার দ্রুততার কারণ ছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সিজদায় অংশ গ্রহণ করা”।[2]

যির ইব্‌ন হুবাইশ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি হুযায়ফার সঙ্গে সেহরি করলাম, অতঃপর আমরা সালাতের জন্য চললাম, মসজিদে এসে দু’রাকাত সালাত আদায় করলাম, আর ইকামত আরম্ভ হল, উভয়ের মাঝে সামান্য ব্যবধান ছিল”।[3]

“যেন তোমাদের ঘুমন্তরা ফিরে যায়” অর্থ: বেলাল রাতে আযান দেয়, তোমাদের জানানোর জন্য যে, ফজর বেশী দেরি নাই। সে তাহাজ্জুদে দণ্ডায়মানকারীদের আরামের জন্য ফিরিয়ে দেয়, যেন সামান্য ঘুমিয়ে উদ্যমতাসহ সকালে উঠতে পারে, অথবা বেতর পড়ে নেয়, যদি তা পড়ে না থাকে, অথবা ফজরের জন্য প্রস্তুতি নেয় যদি পবিত্রতার প্রয়োজন থাকে, বা অন্যান্য প্রয়োজন সেরে নেয়, যা ফজরের সময় জানলেই সম্ভব।[4]

“ঘুমন্তদের জাগ্রত করে” অর্থ: ঘুমন্তরা যেন ঘুম থেকে জেগে ফজরের ‎প্রস্তুতি নেয়, সামান্য তাহাজ্জুদ আদায় করে, অথবা বেতর আদায় না করলে তা আদায় করে, অথবা সওমের ইচ্ছা থাকলে সেহরি খায়, অথবা গোসল বা ওযু সেরে নেয়, অথবা অন্যান্য প্রয়োজন সেরে নেয়।[5]

শিক্ষা ও মাসায়েল:‎

‎এক. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবিগণ ফজরের শেষ সময় পর্যন্ত সেহরি বিলম্ব করতেন। তাদের কেউ সময় শেষ হওয়ার আশঙ্কায় সেহরি সংক্ষেপ করতেন। অতএবফজরের পূর্ব পর্যন্ত সেহরি বিলম্ব করা সুন্নত।[6]

দুই. প্রয়োজনের সময় দ্রুত আহার করা জায়েয। এ ব্যাপারে ইমাম বুখারি একটি অধ্যায় কায়েম করেছেন: “সেহরি দ্রুত করার অধ্যায়”, শিরোনামে। ‎ইমাম মালিক রাহিমাহুল্লাহ আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আবি বকর থেকে, সে তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন: “রমযানে আমরা সালাতুল লাইল শেষে এতো দেরিতে বাড়ি যেতাম যে, খাদেমদের দ্রুত খানা পেশ করার জন্য বলতাম, যেন ফজর ছুটে না যায়”।‎[7]

 

আব্দুল্লাহ ইব্‌ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

«إِنَّبِلالاًيُؤَذِّنُبِلَيْلٍفَكُلُواوَاشْرَبُواحَتَّىيُنَادِيَابنُأُمِّمَكْتُومٍثُمَّقَالَ: وَكَانَرَجُلاًأَعْمَىلايُنَاديحَتَّىيقَالَلَهُ: أَصْبَحْتَأَصْبَحْتَ»رواهالشيخان.

“নিশ্চয় বেলাল আযান দেয় রাতে, অতএব ‎‎তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ না আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উম্মে মাকতুম আযান দেয়। অতঃপর তিনি বলেন: সে ছিল অন্ধ, যতক্ষণ না তাকে বলা হত ভোর করেছ, ভোর করেছ সে আযান দিত না”।

মুসলিমের অপর বর্ণনায় রয়েছে:

«كَانَلِرَسُولِاللهﷺمُؤَذِّنانِ: بِلالٌوابْنُأُمِّمَكْتُومٍالأَعْمَىفَقَالَرَسُولُاللهﷺ: إِنَّبِلالاًيُؤَذِّنُبِلَيْلٍفَكُلُواواشْرَبُواحَتَّىيُؤَذِّنَابْنُأُمِّمَكْتُومقَالَ: وَلميَكُنْبَيْنَهُماإِلاّأَنْيَنْزِلَهَذاويَرْقَىهَذَا».

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দু’জন মুয়াজ্জিন ছিল: বেলাল ও অন্ধ আব্দুল্লাহ ইব্‌ন ‎উম্মে মাকতুম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: বেলাল রাতে আযান দেয় ‎সুতরাং তোমরা পানাহার কর, যতক্ষণ না ইব্‌ন উম্মে মাকতুম আযান দেয়। তিনি বলেন: তাদের দু’জনের সময়ের ব্যবধান ছিল একজন (আজানের স্থান ‎‎থেকে) নামতেন অপরজন উঠতেন”।‎[8]‎‎

সামুরা ইব্‌ন জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ‎করেন:

«لايَغُرَّنكُمْمِنْسُحُورِكُمأَذانُبِلالٍولابَياضُالأُفِقِالمسْتَطِيلِهَكَذا،حَتَّىيَسْتَطيرَهَكَذا»وَحَكَاهُحَمادُبنُزَيْدٍبِيَدَيْهِ،قَالَ: يَعْنِيمُعْتَرِضاً. رواهمسلم

“বেলালের আযান বা দিগন্তের লম্বা সাদা রেখা যেন তোমাদেরকে সেহরি থেকে ‎বিরত না রাখে, যতক্ষণ না তা এভাবে প্রলম্বিত হয়”।হাম্মাদ ইব্‌ন যায়েদ দু’হাতে ইশারা করে তার ব্যাখ্যা দেন। তিনি ইঙ্গিত করলেন: অর্থাৎ প্রস্থের দিক থেকে প্রসারিত হওয়া। মুসলিম।

নাসায়ির এক বর্ণনায় আছে:

«لايَغُرَّنكُمْأَذانُبِلالٍ،ولاهَذَاالبَيَاضُحَتَّىيَنْفَجِرَالفَجْرُهَكذَاوَهَكَذا»يَعْني: مُعْتَرضاً. قَالَأَبودَاوُدَالطَيالِسيُ: وَبَسَطَبِيدَيْهِيَمِيناًوشِمالاًمَادَّاًيَدَيْهِ.

“বেলালের আযান এবং এ শ্রুভ্রতা যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে, যতক্ষণ না ফজর এভাবে এভাবে ছড়িয়ে পড়ে”। অর্থাৎ প্রস্থেরদিকে। আবু দাউদ তায়ালিসি বলেন: তিনি তার দু’হাত ডানে-বামে লম্বাকরে প্রসারিত করলেন।[9]

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

«إِذَاسَمِعَأَحَدُكُمْالنِّدَاءَوالإِنَاءُعَلىيَدِهِفَلايَضَعْهُحَتَّىيَقْضِيَحَاجَتَهُمِنهُ»

“যখন তোমাদের কেউ আযান শ্রবণ করে, আর হাতে থাকে খানার প্লেট, সে তা রাখবে না যতক্ষণ না সেখান থেকে তার প্রয়োজন পূর্ণ করে”।[10]

ইমাম আহমদের এক বর্ণনায় অতিরিক্ত বলেছেন:

«وَكَانَالمؤَذِّنُيُؤَذِّنُإِذابَزَغَالفَجْرُ».

“মুয়াজ্জিন আযান দিত যখন সুবহে সাদিকের আলো বিচ্ছুরিত হত”।[11]

শিক্ষা ও মাসায়েল:‎[12]

এক. ফজর উদিত হওয়ার আগ পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রীগমন বৈধ।

দুই. অন্ধ ব্যক্তির আযান দেয়া বৈধ, যদি সে সময় সম্পর্কে জানে বা তাকে জানানোর কেউ থাকে।

তিন. ফজরের জন্য দু’বার আযান দেয়া বৈধ: প্রথমবার ফজরের পূর্বে, দ্বিতীয়বার: ফজর উদয় হওয়ার পর।

চার. সওমের নিয়তের পর সেহরি খাওয়া বৈধ, পানাহারের কারণে পূর্বের নিয়ত নষ্ট হবে না। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজর উদয়ের পূর্ব পর্যন্ত পানাহার বৈধ করেছেন, অথচ ফজর উদয়ের পর নিয়ত বৈধ নয়, এ থেকে প্রমাণিত হয় নিয়তের স্থান খানার পূর্বে, তারপর পানাহারে সওম নষ্ট হবে না। অতএব কেউ মাঝরাতে আগামীকালের সওমের নিয়ত করে, শেষ রাত পর্যন্ত পানাহার করলে তার নিয়ত শুদ্ধ।

পাঁচ. ফজর উদয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হলে পানাহার করা বৈধ, কারণ রাত অবশিষ্ট আছে এটাই স্বাভাবিক। দলিল নিম্নের আয়াত:

﴿وَكُلُواْ وَٱشۡرَبُواْ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ ٱلۡخَيۡطُ ٱلۡأَبۡيَضُ مِنَ ٱلۡخَيۡطِ ٱلۡأَسۡوَدِ مِنَ ٱلۡفَجۡرِۖ ١٨٧﴾ [البقرة: 187]

“তোমরা পানাহার করতে থাক যতক্ষণ না ‎ফজরের সাদা রেখা থেকে কালো রেখা সুস্পষ্ট আলাদা না হয়ে যায়।”[13]সন্দেহকারীর নিকট ফজরের সাদা রেখা সুস্পষ্ট হয়নি, তাই সে সেহরি খেতে পারবে। আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ থেকে সহিহ সনদে বর্ণিত:

«كُلْمَاشَكَكَتَحتىيَتَبَينَلكَ»رواهالبيهقي،

“তোমার সন্দেহ পর্যন্ত তুমি খাও, যতক্ষণ তোমার নিকট স্পষ্ট হয়”।[14]

এ বিধান তখন, যখন সে স্বচক্ষে ফজর দেখে নিশ্চিত হয়, কিন্তু সে যদি আযান অথবা ঘড়ির উপর নির্ভর করে, তাহলে সন্দেহের অবকাশ নেই। কারণ তখন জিজ্ঞাসা করে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব।

ছয়. সেহরি খাওয়া ও তাতে বিলম্ব করা মোস্তাহাব।

সাত. “দুই মুয়াজ্জিনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান: একজন নামতেন, অপরজন উঠতেন”। ইমাম নববী রাহিমাহুল্লাহ বলেন: “এর অর্থ: বেলাল ফজরের পূর্বে আযান দিতেন, আযানের পর দো‘আ ইত্যাদির জন্য অপেক্ষা করতেন। অতঃপর ফজর পর্যবেক্ষণ করতেন, যখন ফজর ঘনিয়ে আসত, তিনি অবতরণ করে উম্মে মাকতুমকে খবর দিতেন। ইব্‌ন ‎উম্মে মাকতুম ওযু, ইস্তেঞ্জা সেরে প্রস্তুতি নিতেন, অতঃপর উপরে উঠে ফজর উদিত হওয়ার সাথে সাথে আযান আরম্ভ করতেন”।[15]‎‎‎

আট. এ থেকে প্রমাণিত হয়, ফজরের পর রাত থাকে না, বরং তা দিনের অংশ।[16]

নয়. ব্যক্তির জন্য মায়ের পরিচয় গ্রহণ করা বৈধ, যদি লোকেরা তার মায়ের পরিচয়ে তাকে চিনে, বা তার প্রয়োজন হয়।[17]

দশ. প্রথম ফজর ও দ্বিতীয় ফজরে পার্থক্য তিনটি:

প্রথম পার্থক্য: দিগন্তের উত্তর থেকে দক্ষিণে লম্বালম্বি সাদা রেখা দ্বিতীয় ফজরের আলামত। আর উর্ধ্ব আকাশে পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সাদা লম্বা রেখা প্রথম ফজরের আলামত।

দ্বিতীয় পার্থক্য: দ্বিতীয় ফজরের পর অন্ধকার থাকে না, বরং সূর্যোদয় পর্যন্ত ফর্সা ক্রমান্বয়ে পায়। আর দ্বিতীয় ফজরে আলোর পর অন্ধকার মেনে আসে।

তৃতীয় পার্থক্য: দ্বিতীয় ফজরের সাদা রেখা দিগন্তের সাথে মিলিত থাকে। প্রথম ফজরে সাদা রেখা ও উর্ধ্ব আকাশের মাঝে অন্ধকার বিরাজ করে।[18]

এগার. মুয়াজ্জিন যখন ফজরের আযান দেয়, তখন যদি রোযাদারের হাতে খাবার প্লেট থাকে, সে পানাহার পূর্ণ করবে, বন্ধ করবে না, হাদিসের বাহ্যিক অর্থ তাই বলে। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে ছাড়। তাঁর জন্য সকল প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা।[19]

 তথ্যসূত্র :

[1] বুখারি: (৬৮২০), মুসলিম: (১০৯৩)

[2]বুখারি: (৫৫২), দ্বিতীয় বর্ণনা বুখারি: (১৮২০) ও আবু ইয়ালার: (৭৫৩৩)

[3] নাসায়ি: (৪/১২৪), আলবানি সহিহ নাসায়িতে হাদিসটি সহিহ বলেছেন।

[4] শারহুন নববী আলা মুসলিম: (৭/২০৪), আল-মুফহিম: (৩/১৫৩)

[5]শারহুন নববী আলা মুসলিম: (৭/২০৪), আল-মুফহিম: (৩/১৫৩)

[6]ফাতহুল বারি: (৪/১৩৮)

[7] মালেক : (১/১১৬), বায়হাকি: (২/৪৯৭)

[8] বুখারি: (৫৯২), মুসলিম: (১০৯২)

[9] মুসলিম: (১০৯৪), আবু দাউদ: (২৩৪৬), তিরমিযি: (৭০৬), নাসায়ি: (৪/১৪৮)

[10] আবু দাউদ: (২৩৫০), আহমদ: (২/৫১০), দারা কুতনি: (২/১৬৫), বায়হাকি: (৪/২১৮), হাকেম: (১/৫৮৮), তিনি মুসলিমের শর্তে সহিহ বলেছেন, ইমাম যাহাবি তার সমর্থন করেছেন।

[11] আহমদ: (২/৫১০), তাবারি ফি তাফসিরিহি: (২/১৭৫), বায়হাকি: (৪/২১৮)

[12] আল-মুফহিম: (৩/১৫০), শারহুন নববী: (৭/২০৪), ফাতহুল বারি: (২/৯৯০-১০০), দিবায: (৩/১৯৪)

[13]সূরা বাকারা: (১৮৭)

[14] ইমাম নববী বলেছেন: “যদি ফজর উদয়ে সন্দেহ হয়, তাহলে তার জন্য পানাহার ও স্ত্রীগমন বৈধ, এতে কারো দ্বিমত নেই, যতক্ষণ না ফজর স্পষ্ট হয়”। মাজমু: (৬/৩১৩), দেখুন: যাখিরাতুল উকবা: (২০/৩৫৫)

[15]কুরতুবি এ ব্যাখ্যা উল্লেখ করে বলেন, এটাই যুক্তিযুক্ত। আল-মুফহিম: (৩/১৫১), দেখুন: শারহুন নববী: (৭/২০৪), দিবায: (৩/১৯৪)

[16] আল-মুফহিম: (৩/১৫১), দিবায: (৩/১৯৪), দেখুন: ফাতহুল বারি: (২/১০১)

[17]ফাতহুল বারি: (২/১০১)

[18] ফিকহুল ইবাদাত লি শায়খ উসাইমিন: (১৭২-১৭৩)

[19]“মুখতাসারে মুনযিরির” উপর শায়খ আহমদ শাকেরের টিকা: (৩/২৩৩), তামামুল মিন্নাহ লিল আলবানি: (৪১৭-৪১৮)

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button