সিয়ামের আদব, করণীয় ও বর্জণীয় (পর্ব: ৫)

সিয়ামের আদব, করণীয় ও বর্জণীয় (পর্ব: ৫)
ছিয়ামের অন্যতম সুন্নাত ও আদব হ’ল তাড়াতাড়ি অর্থাৎ সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করা। রাসূল (ছাঃ) বলেন:
لاَ يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ
‘মানুষ ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে যতদিন তারা ইফতার দ্রুত করবে’। (সহীহ বুখারী: ১৮৫৬ ও সহীহ মুসলিম: ২৬০৮)

তিনি আরো বলেন:
لاَ تَزَالُ أُمَّتِيْ عَلَى سُنَّتِيْ مَا لَمْ تَنْتَظِرْ بِفِطْرِهَا النُّجُوْمَ
‘আমার উম্মত আমার সুন্নাতের উপরে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ইফতারের জন্য তারকা উদয়ের অপেক্ষা না করবে’। (সহীহ ইবনে হিব্বান) অন্যত্র তিনি আরো বলেন:
لاَ يَزَالُ الدِّيْنُ ظَاهِرًا مَا عَجَّلَ النَّاسُ الْفِطْرَ لأَنَّ الْيَهُوْدَ وَالنَّصَارَى يُؤَخِّرُوْنَ
‘দ্বীন ততদিন পর্যন্ত বিজয়ী থাকবে যতদিন মানুষ ইফতার তাড়াতাড়ি করবে। কেননা ইহুদী, নাছারারা দেরীতে ইফতার করে’। (আবু দাউদ) সিলসিলা সাহিহায় আছে, “মুহাম্মদ স: এর সাহাবীরা ইফতার দ্রুত করতেন এবং সাহারী দেরীতে করতেন।

কি দিয়ে ইফতার করবেঃ আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
«كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يُفْطِرُ عَلَى رُطَبَاتٍ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّىَ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ رُطَبَاتٌ فَعَلَى تَمَرَاتٍ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ حَسَا حَسَوَاتٍ مِنْ مَاءٍ»
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘রুতাব’ (শুকনা নয় এমন) খেজুর দিয়ে নামাযের আগে ইফতার করতেন, রুতাব পাওয়া না গেলে শুকনা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাও পাওয়া না গেলে তিনি কয়েক ঢোক পানি পানে ইফতার করতেন।’’ (উত্তম সনদে ইমাম আহমাদ, হাদীস নং ১২৬৭৬ ও আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩৫৬)

রোযাদারকে ইফতার করানোর ফযীলাত: সহীহ সনদে তিরমিযী ও আহমাদ বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
«مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا كُتِبَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ إِلَّا أَنَّهُ لَا يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِ الصَّائِمِ شَيْء»
‘‘যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করায়, সে উক্ত রোযাদারের সাওয়াবের কোনরূপ ঘাটিত না করেই তার সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে।’’ (সুনান তিরমিযী, হাদীস নং ৮০৭ ও মুসনাদ আহমাদ, হাদীস নং ১৭০৩৩)

-সমাপ্ত

উত্স

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button