ইসলামে নারীর অধিকার

প্রশ্ন: ইসলামে নারীর অধিকারগুলো কি কি? ইসলামের স্বর্ণযুগের পর (অষ্টম শতাব্দী থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত) কিভাবে নারীর অধিকারসমূহে পরিবর্তন এল? যেহেতু নারীর অধিকারগুলোতে পরিবর্তন এসেছে?

উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ।

এক:

ইসলাম নারীকে মহান মর্যাদা দিয়েছে। ইসলাম মা হিসেবে নারীকে সম্মান দিয়েছে। মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার করা, মায়ের আনুগত্য করা, মায়ের প্রতি ইহসান করা ফরয করেছে। মায়ের সন্তুষ্টিকে আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি হিসেবে গণ্য করেছে। ইসলাম জানিয়েছে, মায়ের পদতলে বেহেশত। অর্থাৎ জান্নাতে যাওয়ার সহজ রাস্তা হচ্ছে- মায়ের মাধ্যমে।

মায়ের অবাধ্য হওয়া, মাকে রাগান্বিত করা— হারাম; এমনকি সেটা যদি শুধু উফ্‌ উফ্‌ শব্দ উচ্চারণ করার মাধ্যমে হয় তবুও। পিতার অধিকারের চেয়ে মায়ের অধিকারকে মহান ঘোষণা করেছে। বয়স হয়ে গেলে ও দুর্বল হয়ে গেলে মায়ের খেদমত করার উপর জোর তাগিদ দিয়েছে। কুরআন-হাদিসের অসংখ্য স্থানে এ বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন-

আল্লাহর বাণী: “আমরা মানুষকে তার মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছি।”[সূরা আহক্বাফ, আয়াত: ১৫]

“আর আপনার রব আদেশ দিয়েছেন তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করতে ও মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে। তারা একজন বা উভয়ই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। তাদের সাথে সম্মানসূচক কথা বল। আর মমতাবশে তাদের প্রতি নম্রতার পক্ষপুট অবনমিত কর এবং বল ‘হে আমার রব! তাঁদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তাঁরা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।”[সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত: ২৩-২৪]

ইবনে মাজাহ (২৭৮১) মুয়াবিয়া বিন জাহিমা আল-সুলামি (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে বললাম: ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! আমি আপনার সাথে জিহাদে যেতে চাই; এর মাধ্যমে আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি ও আখেরাত অর্জন করতে চাই। তিনি বললেন: তোমার জন্য আফসোস! তোমার মা কি জীবিত? আমি বললাম: হ্যাঁ। তিনি বললেন: ফিরে গিয়ে তার সেবা কর। এরপর আমি অন্যভাবে আবার তাঁর কাছে এসে বললাম: ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! আমি আপনার সাথে জিহাদে যেতে চাই। এর মাধ্যমে আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি ও আখেরাত অর্জন করতে চাই। তিনি বললেন: তোমার জন্য আফসোস! তোমার মা কি জীবিত? আমি বললাম: হ্যাঁ। তিনি বললেন: তার কাছে ফিরে গিয়ে তার সেবা কর। এরপরও আমি তাঁর সামনে থেকে এসে বললাম: ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! আমি আপনার সাথে জিহাদে যেতে চাই। এর মাধ্যমে আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি ও আখেরাত অর্জন করতে চাই। তিনি বললেন: তোমার জন্য আফসোস! তোমার মা কি জীবিত? আমি বললাম: হ্যাঁ। তিনি বললেন: তোমার জন্য আফসোস! তুমি তার পায়ের কাছে পড়ে থাক। সেখানেই জান্নাত রয়েছে।”[আলবানী সহিহু সুনানে ইবনে মাজাহ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন। হাদিসটি সুনানে নাসাঈ গ্রন্থেও (৩১০৪) রয়েছে। সেখানে হাদিসটির ভাষ্য হচ্ছে- “তার পায়ের কাছে পড়ে থাক। তার পায়ের নীচে রয়েছে – জান্নাত।”

সহিহ বুখারী (৫৯৭১) ও সহিহ মুসলিমে (২৫৪৮) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন: “এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে বলল: ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! আমার সদ্ব্যবহার পাওয়ার বেশি অধিকার কার? তিনি বললেন: তোমার মায়ের। লোকটি বলল: এরপর কার? তিনি বললেন: তোমার মায়ের। লোকটি বলল: এরপর কার? তিনি বললেন: তোমার মায়ের। লোকটি বলল: এরপর কার? তিনি বললেন: তোমার পিতার।”

এগুলো ছাড়াও আরও অনেক দলিল রয়েছে; এ পরিসরে সবগুলো উল্লেখ করা সম্ভব নয়।

ইসলাম সন্তানের উপর মায়ের যে অধিকার নির্ধারণ করেছে এর মধ্যে রয়েছে মায়ের খোরপোষের প্রয়োজন হলে খোরপোষ দেয়া; যদি সন্তান শক্তিশালী ও সামর্থ্যবান হয়। এ কারণে মুসলমানেরা শতাব্দীর পর শতাব্দী নারীকে ওল্ড হোমে রেখে আসা, কিংবা ছেলের বাড়ী থেকে বের করে দেয়া, কিংবা মায়ের খরচ দিতে ছেলের অস্বীকৃতি জানানো কিংবা সন্তানেরা থাকতে ভরণপোষণের জন্য নারীকে চাকুরী করা ইত্যাদির সাথে পরিচিত ছিল না।

স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েও ইসলাম নারীকে সম্মানিত করেছে। ইসলাম স্বামীদেরকে নির্দেশ দিয়েছে স্ত্রীর সাথে ভাল আচরণ করার, জীবন ধারণের ক্ষেত্রে নারীর প্রতি ইহসান করার। ইসলাম জানিয়েছে স্বামীর যেমন অধিকার রয়েছে তেমনি স্ত্রীরও অধিকার রয়েছে; তবে স্বামীর মর্যাদা উপরে। যেহেতু খরচের দায়িত্ব স্বামীর এবং পারিবারিক বিষয়াদির দায়িত্বও স্বামীর। ইসলাম ঘোষণা করেছে, সর্বোত্তম মুসলমান হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে তার স্ত্রীর সাথে আচার-আচরণে ভাল। স্ত্রীর অনুমতি ব্যতীত তার সম্পদ গ্রহণ করাকে নিষিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ক দলিল হচ্ছে, আল্লাহ্‌র বাণী: “তোমরা তাদের সাথে সদ্ভাবে জীবনযাপন কর”[সূরা নিসা, আয়াত: ১৯] আল্লাহ্‌র বাণী: “আর নারীদের তেমনি ন্যায়সংগত অধিকার আছে যেমন আছে তাদের উপর পুরুষদের; আর নারীদের উপর পুরুষদের মর্যাদা রয়েছে। আর আল্লাহ্‌ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।”[সূরা নিসা, আয়াত: ২২৮]

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমরা নারীদের সাথে ভাল ব্যবহার করার ব্যাপারে ওসিয়ত গ্রহণ কর।”[সহিহ বুখারী (৩৩৩১) ও সহিহ মুসলিম (১৪৬৮)]

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। আমি আমার পরিবারের কাছে উত্তম।”[সুনানে তিরমিযি (৩৮৯৫), সুনানে ইবনে মাজাহ (১৯৭৭), আলবানী সহিহুত তিরমিযি গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]

মেয়ে হিসেবেও ইসলাম নারীকে সম্মানিত করেছে। ইসলাম মেয়ে সন্তান প্রতিপালন ও শিক্ষা দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছে। মেয়ে সন্তান প্রতিপালনের জন্য মহা প্রতিদান ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী হচ্ছে- “যে ব্যক্তি বালেগ হওয়া পর্যন্ত দুইজন মেয়েকে লালন-পালন করবেন সে ও আমি কিয়ামতের দিন এভাবে আসব (তিনি আঙ্গুলসমূহকে একত্রিত করে দেখালেন)”।[সহিহ মুসলিম (২৩১)]

ইবনে মাজাহ (৩৬৬৯) উকবা বিন আমের (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি তিনি বলেন: “যে ব্যক্তির তিনজন মেয়ে রয়েছে। তিনি যদি মেয়েদের ব্যাপারে ধৈর্য্য ধারণ করেন, তাদেরকে সচ্ছলভাবে খাওয়ান ও পরান; এ মেয়েরা কিয়ামতের দিন তার জন্য জাহান্নামের আগুনের মাঝে বাধা হবে।”[আলবানী সহিহ ইবনে মাজাহ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন]

ইসলাম নারীকে বোন হিসেবে, ফুফু হিসেবে ও খালা হিসেবেও সম্মানিত করেছেন। ইসলাম সিলাতুর রেহেম বা আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে ও এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করেছে। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা— হারাম হওয়ার কথা অনেক দলিল-প্রমাণে এসেছে। যেমন- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “হে লোকেরা! তোমরা সালামের প্রচলন কর, মানুষকে খাবার খাওয়াও, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা কর, রাতের বেলা নামায আদায় কর যখন মানুষ ঘুমিয়ে থাক; তাহলে তোমরা নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”[সুনানে ইবনে মাজাহ (৩২৫১), আলবানী সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন]

সহিহ বুখারীতে (৫৯৮৮) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন: আল্লাহ্‌ তাআলা রেহেম বা আত্মীয়তার সম্পর্ক সম্পর্কে বলেন: “যে তোমার সাথে সম্পর্ক রাখবে আমিও তার সাথে সম্পর্ক রাখব। আর যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে আমিও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করব।”

অনেক সময় একজন নারীর মধ্যে উল্লেখিত সবগুলো মর্যাদার দিক একত্রিত হতে পারে। একজন নারী হতে পারেন তিনি স্ত্রী, তিনি মেয়ে, তিনি মা, তিনি বোন, তিনি ফুফু, তিনি খালা। তখন তিনি এ সকল দিকের মর্যাদা লাভ করেন।

মোটকথা, ইসলাম নারীর মর্যাদা সমুন্নত করেছে। অনেক বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীকে সমান অধিকার দিয়েছে। পুরুষের ন্যায় নারীও ঈমান আনা ও আল্লাহ্‌র আনুগত্য করার জন্য আদিষ্ট। আখিরাতে প্রতিদান পাওয়ার ক্ষেত্রেও নারী পুরুষের সমান। নারীর রয়েছে- কথা বলার অধিকার: নারী সৎ কাজের আদেশ করবে, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে ও আল্লাহর দিকে আহ্বান করবে। নারীর রয়েছে মালিকানার অধিকার: নারী ক্রয়-বিক্রয় করবে, পরিত্যক্ত সম্পত্তির মালিক হবে, দান-সদকা করবে, কাউকে উপঢৌকন দিবে। নারীর অনুমতি ছাড়া কারো জন্য তার সম্পদ গ্রহণ করা জায়েয নয়। নারীর রয়েছে সম্মানজনক জীবন যাপনের অধিকার। নারীর উপর অন্যায়, অত্যাচার করা যাবে না। নারীর রয়েছে জ্ঞানার্জনের অধিকার। বরং নারী তার দ্বীন পালন করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জন করা ফরয।

কেউ যদি ইসলামে নারীর অধিকারগুলোর সাথে জাহেলি যুগে নারীর অধিকারগুলো তুলনা করে দেখে কিংবা অন্য সভ্যতাগুলোর সাথে তুলনা করে দেখে তাহলে আমরা যা বলেছি এর সত্যতা দেখতে পাবে। বরং আমরা দৃঢ়তার সাথে বলছি, ইসলামে নারীকে যে মহান মর্যাদা দেয়া হয়েছে অন্য কোথাও সে মর্যাদা দেয়া হয়নি।

গ্রিক সমাজে, পারসিক সমাজে কিংবা ইহুদি সমাজে নারী কেমন ছিল সেটা উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। খোদ খ্রিস্টান সমাজেও নারীর অবস্থান খুবই খারাপ ছিল। বরং খ্রিস্টান ধর্মগুরুরা ‘ম্যাকন কাউন্সিলে’ সমবেত হয়েছিল এ বিষয়ে গবেষণা করার জন্য: নারী কি শুধু একটি দেহ; নাকি রূহ বিশিষ্ট দেহ?! শেষে তারা অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে আসে যে, নারী হচ্ছে- রূহবিহীন; শুধু ব্যতিক্রম হচ্ছেন মরিয়ম আলাইহিস সালাম।

৫৮৬ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সে নারীকে নিয়ে গবেষণার জন্য একটি সেমিনার ডাকা হয়: নারীর কি রূহ আছে, নাকি নেই? যদি নারীর রূহ থাকে সে রূহ কি পশুর রূহ; নাকি মানুষের রূহ? সবশেষে তারা সিদ্ধান্ত দেয় যে, নারী মানুষ! তবে, নারীকে শুধুমাত্র পুরুষের সেবার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।

অষ্টম হেনরির শাসনামলে ইংরেজ পার্লামেন্ট একটি আইন পাস করে, সে আইনে নারীর জন্য ‘নিউ টেস্টমেন্ট’ পড়া নিষিদ্ধ করা হয়; কারণ নারী নাপাক।

ইংরেজ আইনে ১৮০৫ সাল পর্যন্ত পুরুষের জন্য নিজের স্ত্রীকে বিক্রি করে দেয়া বৈধ ছিল। স্ত্রীর মূল্য নির্ধারণ করা হয় ছয় পেনি।

আধুনিক সমাজে আঠার বছর বয়সের পর নারীকে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়; যাতে করে সে জীবনধারণের জন্য চাকুরী করা শুরু করে। আর যদি নারী পিতামাতার বাসায় থেকে যেতে চায় তাহলে তাকে তার রুমের ভাড়া, খাবারের খরচ ও কাপড়-চোপড় ধোয়ার খরচ মেয়ে কর্তৃক পিতামাতাকে পরিশোধ করতে হয়।

[দেখুন: আউদাতুল মারআ (২/৪৭-৫৬)]

নারীর এ অবস্থার সাথে ইসলামে নারীর মর্যাদাকে কিভাবে তুলনা করা যেতে পারে! যেখানে ইসলাম নারীর সাথে সদ্ব্যবহার করা, তার প্রতি দয়া করা, তাকে সম্মান করা ও তার জন্য খরচ করার নির্দেশ দিয়েছে?!

দুই:

সময়ের ব্যবধানে এ অধিকারগুলো পরিবর্তন হওয়া:

নীতিগতভাবে ও তাত্ত্বিকভাবে এ অধিকারগুলোর কোন পরিবর্তন সাধিত হয়নি। তবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে: কোন সন্দেহ নেই ইসলামের স্বর্ণযুগের মুসলমানেরা ইসলামি শরিয়া বাস্তবায়নে অগ্রসর ছিলেন। শরিয়তের বিধানাবলীর মধ্যে রয়েছে: মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার, স্ত্রী, মেয়ে, বোন ও আমভাবে সকল নারীর সাথে ভাল আচরণ। যখনি মানুষের দ্বীনদারি দুর্বল হয়ে যায় তখনি এ অধিকারগুলো প্রদানে ত্রুটি ঘটে। তদুপরি কিয়ামত পর্যন্ত একদল মানুষ তাদের দ্বীনকে আঁকড়ে ধরে থাকবে, তাদের রবের শরিয়তকে বাস্তবায়ন করবে। এবং এরাই নারীকে সম্মান দিতে ও নারীর অধিকার আদায়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী হবে।

আমরা মেনে নিচ্ছি বর্তমানে নারীর অধিকারের ক্ষেত্রে কসুর আছে, কিছু যুলুম সংঘটিত হচ্ছে, কিছু মানুষ নারীর অধিকার আদায়ে অবহেলা করছে। কিন্তু অনেক মুসলমানের মধ্যে দ্বীনদারি কমে যাওয়া সত্ত্বেও মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে, বোন হিসেবে নারীর সম্মান ও মর্যাদা অটুট আছে। প্রত্যেককে তার নিজের ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে।

সুত্রঃ

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
skybet88 skybet88 skybet88 skybet88 mix parlay skybet88 slot bonus new member skybet88 skybet88 slot gacor skybet88 skybet88